পরিচ্ছেদঃ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' এর স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত আমি লড়াই করতে আদিষ্ট হয়েছি।
২৬০৭. হান্নাদ (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যতদিন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ না বলবে ততদিন আমি লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আদিষ্ট হয়েছি। যখন তারা এ কথার স্বীকৃতি দিবে আমার থেকে তাদের রক্ত (জান) ও সম্পদ নিরাপদ হয়ে যাবে। তবে শরীয়ত সম্মত কারণ থাকলে ভিন্ন কথা। আর তাদের হিসাব তো আল্লাহর কাছে। সহীহ, মুতাওাতির, ইবনু মাজাহ ৭১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬০৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ বিষয়ে জাবির, আবূ সাঈদ ও ইবন উমর (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا قَالُوهَا مَنَعُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Hurairah:
narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I have been ordered to fight the people until they say La Ilaha Illallah", and if they say that, then their blood and wealth will be protected from me, except what it makes obligatory upon them, and their reckoning is up to Allah."
পরিচ্ছেদঃ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' এর স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত আমি লড়াই করতে আদিষ্ট হয়েছি।
২৬০৮. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যখন ইনতিকাল হল আর তাঁর পর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে যখন খলিফা নির্বাচিত করা হল তখন আরবের কিছু লোক কাফির হয়ে গেল। তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেনঃ আপনি লোকদের বিরূদ্ধে * কিরূপে যুদ্ধ করবেন, অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এ কথা স্বীকার না করা পর্যন্ত লোকদের বিরূদ্ধে লড়াই করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ এ কথা স্বীকার করল, সে আমার থেকে তার জান ও মালের নিরাপত্তা পেল। তবে শরীয়ত সম্মত কারণ থাকলে ভিন্ন কথা। তার হিসাব তো আল্লাহর কাছে।
আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম, আমি সেই ব্যক্তির বিরূদ্ধে অবশ্যই লড়াই করব, যে সালাত (নামায) ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে। কেননা, যাকাত হল মালের হক। আল্লাহর কসম, যদি তারা আমার কাছে একটি উটের রশি দিতেও অস্বীকার করে যা তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে (যাকাত হিসাবে) দিত তবুও এই অস্বীকৃতির দরুন আমি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।
উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, আমি তো দেখছি আল্লাহ্ তা’আলা আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বক্ষকে যুদ্ধের জন্য প্রশস্ত করে দিয়েছেন। সুতরাং আমিও উপলব্ধি করলাম যে, এ-ই হক। সহীহ, সহিহাহ ৪০৭, সহিহ আবু দাউদ ১৩৯১-১৩৯৩, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬০৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। শুআয়ব ইবন আবূ হামযা (রহঃ) এটিকে যুহরী-উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদূল্লাহ্ ইবন উৎবা-আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমরান কাত্তান (রহঃ) হাদীসটি মা’মার-যুহরী-আনাস ইবন মালিক-আবূ বকর (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। মা’মার থেকে বর্ণিত রিওয়ায়তের মধ্যে রাবী ইমরান (রহঃ) এর ব্যাপারে বিরোধিতা রয়েছে।
باب مَا جَاءَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ كَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لأَبِي بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ " . قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَاللَّهِ لأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الزَّكَاةِ وَالصَّلاَةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عِقَالاً كَانُوا يُؤَدُّونَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأَيْتُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهَكَذَا رَوَى شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَرَوَى عِمْرَانُ الْقَطَّانُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ حَدِيثٌ خَطَأٌ وَقَدْ خُولِفَ عِمْرَانُ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ مَعْمَرٍ .
Narrated Abu Hurairah:
said: "When the Messenger of Allah (ﷺ) died and Abu Bakr became the Khalifah after him, whoever disbelieved from the Arabs disbelieved, so Umar bin Al-Khattab said to Abu Bakr: 'How will you fight the people while the Messenger of Allah has said: 'I have been ordered to fight the people until they say La Ilaha Illallah, and if they say that, then their blood and wealth will be protected from me, except what it makes obligatory upon them, and their reckoning is with Allah?' So Abu Bakr said: 'By Allah I will fight whoever differentiates between Salat and Zakat. For indeed, Zakat is the right due upon wealth. And by Allah! If they withhold even (camel) tethers which they used to give to the Messenger of Allah (ﷺ) I will fight them for withholding it.' So Umar bin Al-Khattab said: 'By Allah! I saw that Allah had opened Abu Bakr's chest to fighting, so I knew that it was correct.'"
পরিচ্ছেদঃ আমি লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষন না তারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এ কথা স্বীকার করে এবং সালাত কায়েম করে।
২৬০৯. সাঈদ ইবন ইয়াকূব তালাকানী (রহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং তারা আমাদের কিবলার অনুসরণ করে, আমাদের যবেহকৃত জীবের মাংস আহার করে, আমাদের সালাতের ন্যায় সালাত (নামায) আদায় করে। যদি তারা তা করে তা হলে আমাদের জন্য তাদের রক্ত ও সম্পদ হারাম। তবে শরীয়ত সম্মত কারণ থাকলে ভিন্ন কথা। অন্যান্য মুসলিমদের যা প্রাপ্য তাদেরও তা-ই হবে প্রাপ্য। অন্য মুসলিমদের উপর যে দায়িত্ব বর্তায় তাদের উপরও তা-ই বর্তাবে।
সহীহ, সহিহাহ ৩০৩ ও ১/১৫২, সহিহ আবু দাউদ ২৩৭৪, বুখারি অনুরূপ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬০৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে মুআয ইবন জাবাল ও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-হাসান-সহীহ এই সূত্রে গারীব। ইয়াহ্ইয়া ইবন আয়্যূব হুমায়দ (রহঃ) সূত্রে আনাস (রাঃ) থেকে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " أُمِرْتُ بِقِتَالِهِمْ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ "
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنْ يَسْتَقْبِلُوا قِبْلَتَنَا وَيَأْكُلُوا ذَبِيحَتَنَا وَأَنْ يُصَلُّوا صَلاَتَنَا فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ حُرِّمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا لَهُمْ مَا لِلْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُسْلِمِينَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ نَحْوَ هَذَا .
Narrated Anas bin Malik:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I have been ordered to fight the people until they bear witness to La Ilaha Illallah, and that Muhammad is His servant and Messenger, and they face our Qiblah, eat our slaughtered (meat), and perform our Salat. And if they do that, then their blood and wealth will be unlawful to us, except with its due right. For them shall be whatever is for the Muslims, and they shall be obliged with that which the Muslims are obliged."
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পাঁচটি বুনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত।
২৬১০. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ..... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইসলাম পাঁচটি বুনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সালাত (নামায) কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, রমযানের সিয়াম পালন করা, বায়তুল্লাহর হজ্জ করা। সহীহ, ইরওয়া ৭৮১, ঈমান আবী ’উবাইদ ২, রাওযুন নাযীর ২৭০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬০৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জারীর ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইবন উমর (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ বর্ণিত আছে। হাদীসবিদগণের কাছে সুআয়র ইবন খিমস ছিকা বা নির্ভরযোগ্য রাবী বলে গণ্য। আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
(আবু ঈসা বলেন)এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُعَيْرِ بْنِ الْخِمْسِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ وَحَجُّ الْبَيْتِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا . وَسُعَيْرُ بْنُ الْخِمْسِ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الْجُمَحِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Ibn 'Umar:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Islam is based upon five: the testimony of La Ilaha Illallah, and that Muhammad is the Messenger of Allah, the establishment of the Salat, giving the Zakat, fasting (the month of) Ramadan, and performing Hajj to the House."
পরিচ্ছেদঃ জিবরীল (আঃ) কর্তৃক নবী (ﷺ)-কে ঈমান ও ইসলামের পরিচয় প্রদান।
২৬১১. আবূ আম্মার হুসায়ন ইবন হুরায়ছ খুযাঈ (রহঃ) ... ইয়াহ্ইয়া ইবন ইয়া’মুর (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সর্বপ্রথম মা’বাদ জুহানী’ কাদর মতবাদ’* সম্পর্কে কথা বলেন। ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেনঃ একবার আমি এবং হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান হিমায়ারী (হজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে) বের হলাম। শেষে আমরা মদ্বীনয় আসলাম। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম যে, যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবীর সাক্ষাৎ পেতাম তবে এসব লোক যে নতুন মতবাদ প্রকাশ করছে সে বিষয়ে তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করতাম। (সৌভাগ্যক্রমে) আমরা তাঁর অর্থাৎ আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সাক্ষাৎ পেলাম। তিনি তখন মসজিদে নববী থেকে বের হচ্ছিলেন। আমি এবং আমার সঙ্গী কথা বলার ভার আমার উপরই ন্যাস্ত করবেন। তাই) আমি আরম্ভ করলামঃ হে আবূ আবদুর রহমান! (আবদুল্লাহ্ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর উপনাম) একদল লোক এমন আছে যারা কুরআন পাঠ করে, ইলম র্চচা করে বটে কিন্তু তারা মনে করে তাকদীর বলতে কিছুই নেই। সবকিছু তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটে।
তিনি বললেনঃ এদের সঙ্গে তোমার যখন সাক্ষাৎ হবে তখন বলে দিবে যে, তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই এবং তারাও আমার সঙ্গে সম্পর্কহীন। যে সত্তার নামে আবদুল্লাহ্ কসম করে সেই সত্তার (আল্লাহ্ তা’আলা) কসম তাদের কেউ যদি উহূদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণও আল্লাহর পথে ব্যয় করে তবুও তাকদীরের ভাল-মন্দ আল্লাহর থেকে ই হয় এই কথার উপর ঈমান না আনা পর্যন্ত তার কিছুই কবুল করা হবে না।
ইয়াহ্ইয়া বলেনঃ এরপর তিনি হাদীস বর্ণনা করতে শুরু করলেন। বললেনঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হাযির হল, তাঁর কাপড় ছিল সাদা ধবধবে আর চুল ছিল কাল কুচকুচে। তার মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। কিন্তু আমাদের কেউই তাঁকে চিনতে পারছিল না। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন এবং নিজের দুই হাঁটু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুই হাঁটুর সঙ্গে লাগিয়ে বসে পড়লেন। তারপর বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! ঈমান কি?
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতা, কিতাব, রাসূলগণ এবং শেষ দিন ও তাকদীরের ভাল-মন্দ তাঁর পক্ষ থেকে ই হয় সেই কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে।
লোকটি বললেনঃ ইসলাম কি?
তিনি বললেনঃ এই কথার সাক্ষ্য প্রদান যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল, সালাত (নামায) কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, বায়তুল্লাহর হজ্জ করা, রমযানের সিয়াম পালন করা।
লোকটি বললেনঃ ইহসান কি?
তিনি বললেনঃ এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তুমি তাঁকে প্রত্যক্ষ করছ। যদি তুমি তাঁকে না-ও দেখ তবে তিনি তো তোমাকে দেখছেন।
উমর (রাঃ) বলেনঃ এই লোকটি প্রতিটি বিষয়েই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলছিল, ’আপনি ঠিক বলেছেন’। লোকটির এই আচরণে আমরা বিস্মিত বোধ করছিলাম যে, তিনিই প্রশ্ন করছেন আবার তিনিই তা সত্যায়িত করছেন।
লোকটি বললেনঃ কিয়ামত কবে হবে?
রাসূলুল্লাহ বললেনঃ এই বিষয়ে প্রশ্নকর্তা অপেক্ষা জিজ্ঞাসিত জন অধিক অবহিত নন।
লোকটি বললেনঃ এর আলামত কি?
তিনি বললেনঃ তা হল, দাসী তার প্রভুর জননী হবে। আর খালি পা, খালি দেহ, দরিদ্র মেষ পালকদেরকে বিরাট বিরাট অট্রালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে।
উমর (রাঃ) বলেন, এর তিন দিন পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। তখন তিনি বললেনঃ হে উমর! তুমি কি জান এই প্রশ্নকারী কে? তিনি জিবরীল। তিনি তোমাদের দীনী বিষয়ে শিক্ষা দিতে এসেছিলেন। -ইবনু মাজাহ ৬৩, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আহমদ ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) কাহমাস ইবন হাসান (রহঃ) থেকে এই সনদে ই উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবন মুছান্না (রহঃ) কাহমাস (রহঃ) থেকে এই সনদে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই বিষয়ে তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্, আনাস ইবন মালিক ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদীসটি সহীহ-হাসান। একাধিক সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি ইবন উমর ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রেও বর্ণিত আছে। ইবন উমর ... উমর ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সনদটিই হল সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي وَصْفِ جِبْرِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الإِيمَانَ وَالإِسْلاَمَ
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيُّ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمُرَ، قَالَ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ قَالَ فَخَرَجْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَتَّى أَتَيْنَا الْمَدِينَةَ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا أَحْدَثَ هَؤُلاَءِ الْقَوْمُ . قَالَ فَلَقِينَاهُ يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْمَسْجِدِ قَالَ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي قَالَ فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَقَفَّرُونَ الْعِلْمَ وَيَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَأَنَّ الأَمْرَ أُنُفٌ قَالَ فَإِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي مِنْهُمْ بَرِيءٌ وَأَنَّهُمْ مِنِّي بُرَآءُ وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا قُبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ . قَالَ ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ فَقَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَلْزَقَ رُكْبَتَهُ بِرُكْبَتِهِ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ مَا الإِيمَانُ قَالَ " أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ " . قَالَ فَمَا الإِسْلاَمُ قَالَ " شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَحَجُّ الْبَيْتِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ " . قَالَ فَمَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ " . قَالَ فِي كُلِّ ذَلِكَ يَقُولُ لَهُ صَدَقْتَ . قَالَ فَتَعَجَّبْنَا مِنْهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ . قَالَ فَمَتَى السَّاعَةُ قَالَ " مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ " . قَالَ فَمَا أَمَارَتُهَا قَالَ أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ أَصْحَابَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ " . قَالَ عُمَرُ فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ بِثَلاَثٍ فَقَالَ " يَا عُمَرُ هَلْ تَدْرِي مَنِ السَّائِلُ ذَاكَ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ مَعَالِمَ دِينِكُمْ " .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ كَهْمَسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ نَحْوُ هَذَا عَنْ عُمَرَ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالصَّحِيحُ هُوَ ابْنُ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Abdullah bin Buraidah from Yahya bin Ya'mur who said:
"The first person to speak about Al-Qadar was Ma'bad Al-Juhani." He said: "Humaid bin Abdur-Rahman Al-Himyari and I went out until we reached Al-Madinah, and we said: 'If we could only meet someone among the companions of the Prophet (ﷺ) so we could ask him about what those people have innovated." [He said:] "So we met him - meaning Abdullah bin 'Umar - while he was leaving the Masjid." [He said:] "My companion and I were on either side of him." [He said:] I thought my companion was going to leave the speaking to me so I said: "O Abu Abdur-Rahman! There is a group of people who recite the Qur'an and seek knowledge, and they claim there is no Al-Qadar, and that the affair is left to chance.' He said: "Whenever you meet those people, then tell them that I am not of them and they are not of me. By the One Whom Abdullah swears by! If one of them were to spend gold the like of Uhud (mountain) in charity, it would not be accepted from him until he believes in Al-Qadar; the good of it and the bad of it.'" He said: "Then he began to narrate, he said: "'Umar bin Al-Khattab said: "We were with the Messenger of Allah when a man came with extremely white garments, and extremely black hair. He had no appearance of traveling visible on him, yet none of us recognized him. He came until he reached the Prophet (ﷺ). He put his knees up against his knees, and then said: "O Muhammad! What is Iman?' He said 'To believe in Allah, His Angels, His, Books, His Messengers, the Day of Judgement, and Al-Qadar, the good of it and the bad of it.' He said: 'Then what is Islam?' He said: 'Testifying to La Ilaha Illallah, and that Muhammad is His servant and Messenger, establishing the Salat, giving the Zakat, performing Hajj to the House, and fasting (the month of) Ramadan.' He said: 'Then what is Ihsan?' He said 'That (is) you worship Allah as if you see Him, and although you do not see Him, He certainly sees you.' He said: 'For all of those he replied to him: 'You have told the truth.'" He said: "So we were amazed at him, he would ask, and then tell him that he is telling the truth. He said: 'Then when is the Hour?' He (ﷺ) said: 'The one being asked knows no more than the questioner.' He said: 'Then what are its signs?' He said: 'That the slave woman gives birth to her master, and that the naked, poor, and bare-footed shepherds rival each other in the height of the buildings.'" 'Umar said: 'Then the Prophet (ﷺ) met me three days after that and said: 'O 'Umar! Do you know who the questioner was? It was Jibril. He came to teach you about the matters of your religion.'"
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের সঙ্গে ফরয কাজসমূহকে সম্পর্কিত করা।
২৬১২. কুতায়বা (রহঃ) ...... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল কায়স গোত্রের এক প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলো। তারা বললঃ আমরা রাবীআ গোত্রের লোক। শাহরুল হারাম* ছাড়া আমরা আপনার কাছে আসতে পারি না। সুতরাং আমাদেরকে এমন কাজের আদেশ দিন যা আমরা নিজেরাও ধারণ করতে পারি এবং যারা আমাদেরকেও সেগুলোর দাওয়াত দিতে পারি।
তিনি বললেনঃ তোমাদের চারটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। এরপর তিনি এর বিবরণ দিয়ে বললেনঃ এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূর, সালাত (নামায) কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, আর তোমরা গণিমত হিসাবে যা লাভ কর এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ প্রদান করবে।
সহীহ, ঈমান আবী উবাইদ, পৃঃ ৫৮-৫৯, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
কুতায়বা (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ জামরা আয-যুবাঈ (রহঃ) এর নাম হল নাসর ইবন ইমরান। শু’বা (রহঃ)-ও আবূ জামরা (রহঃ) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এতে আরো, তোমরা কি জান, ঈমান কি? এই কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূল। এরপর তিনি পুরো হাদীসটির উল্লেখ করেন।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, আমি কুতায়বা ইবন সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলতে শুনেছি, এই চার জন উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন ফকীহের মত কাউকে আমি দেখিনি- মালিক ইবন আনাস, লায়ছ ইবন সা’দ, আব্বাদ মুহাল্লাবী এবং আবদুল ওয়াহহাব ছাকাফী (রহঃ)। কুতায়বা (রহঃ) আরো বলেন, আমরা এতে সন্তুষ্ট যে, আব্বাদ ইবন আব্বাদ (রহঃ) এর নিকট থেকে প্রতিদিন দু’টো হাদীস সংগ্রহ করে ফিরে আসব। আব্বাস ইবন আব্বাদ (রহঃ) হলেন মুহাল্লাব ইবন আবূ সুফরা-এর বংশের একজন।
باب مَا جَاءَ فِي إِضَافَةِ الْفَرَائِضِ إِلَى الإِيمَانِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِنَّا هَذَا الْحَىَّ مِنْ رَبِيعَةَ وَلَسْنَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي أَشْهُرِ الْحَرَامِ فَمُرْنَا بِشَيْءٍ نَأْخُذُهُ عَنْكَ وَنَدْعُو إِلَيْهِ مَنْ وَرَاءَنَا . فَقَالَ " آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ الإِيمَانِ بِاللَّهِ ثُمَّ فَسَّرَهَا لَهُمْ شَهَادَةَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامَ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءَ الزَّكَاةِ وَأَنْ تُؤَدُّوا خُمْسَ مَا غَنِمْتُمْ " .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ اسْمُهُ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ . وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ أَيْضًا وَزَادَ فِيهِ أَتَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ . سَمِعْتُ قُتَيْبَةَ بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَؤُلاَءِ الأَشْرَافِ الأَرْبَعَةِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَاللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَعَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيِّ وَعَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ . قَالَ قُتَيْبَةُ كُنَّا نَرْضَى أَنْ نَرْجِعَ مِنْ عِنْدِ عَبَّادٍ كُلَّ يَوْمٍ بِحَدِيثَيْنِ وَعَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ هُوَ مِنْ وَلَدِ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"A delegation of Abdul-Qais came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: 'We are a tribe from Rabi'ah, and we cannot come to you except during the sacred months. So order us with something that we can take from you, and then we call those who are behind us to it.' So he said: 'I order you with four things: To testify to La Ilaha Illallah, and that I am the Messenger of Allah; to establish the Salat, to give the Zakat, and to give the Khumus from the spoils of war that you gain.'"
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের পরিপূর্ণতা এবং এর হ্রাস-বৃদ্ধি।
২৬১৩. আহমদ ইবন মানী’ আল-বাগদাদী (রহঃ) ...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানের দিক থেকে পরিপূর্ণ মু’মিন ব্যক্তি হল সে ব্যক্তি যার আখলাক ও চরিত্র সুন্দর এবং যে ব্যক্তি স্বীয় পরিবারের প্রতি অধিক দয়ার্দ্র। যঈফ, সহীহাহ ২৮৪ হাদীসের আওতায়, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা ও আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান। আবূ কিলাবা (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে সরাসরি হাদীস শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আবূ কিলাবা (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) এর দুধ ভাই আবদুল্লাহ্ ইবন ইয়াযীদ-এর বরাতে আয়িশা (রাঃ) থেকে অন্যান্য হাদীস রিওয়ায়ত করেছেন। আবূ কিলাবা (রহঃ) এর নাম হল আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ আল-জারমী (রহঃ)।
ইবন আবূ উমর (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, সুফইয়ান ইবন উওয়ায়না (রহঃ) বলেন, আয়্যূব আস-সিখতিয়ানী (রহঃ) আবূ কিলাবা (রহঃ) এর আলোচনার প্রসঙ্গে বলেছেন। আল্লাহর কসম, তিনি ছিলেন, প্রজ্ঞাবান ফকীহগণের একজন।
باب مَا جَاءَ فِي اسْتِكْمَالِ الإِيمَانِ وَزِيَادَتِهِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَكْمَلِ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَأَلْطَفُهُمْ بِأَهْلِهِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَلاَ نَعْرِفُ لأَبِي قِلاَبَةَ سَمَاعًا مِنْ عَائِشَةَ . وَقَدْ رَوَى أَبُو قِلاَبَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ رَضِيعٌ لِعَائِشَةَ عَنْ عَائِشَةَ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ وَأَبُو قِلاَبَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ الْجَرْمِيُّ . حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ ذَكَرَ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ أَبَا قِلاَبَةَ فَقَالَ كَانَ وَاللَّهِ مِنَ الْفُقَهَاءِ ذَوِي الأَلْبَابِ .
Narrated 'Aishah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed among the believers with the most complete faith is the one who is the best in conduct, and the most kind to his family."
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের পরিপূর্ণতা এবং এর হ্রাস-বৃদ্ধি।
২৬১৪. আবূ আবদুল্লাহ্ হুরায়ম ইবন মিসআর আযদী তিরমিযী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনসম্মুখে ভাষণ দিলেন এবং নসীহত করলেনঃ হে নারী সম্প্রদায়! তোমরা সাদকা কর। কেননা, জাহান্নামের অধিকাংশ বাসিন্দা হলে তোমরা। তখন তাদের মধ্য থেকে জনৈক মহিলা বললেনঃ তা কেন? হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে অভিসম্পাতের আধিক্যহেতু, অর্থাৎ তোমাদের জীবন সঙ্গীর অনুগ্রহ অঙ্গীকার করার দরুন।
তিনি আরো বললেনঃ মেধা ও দীনের দিক থেকে কম হওয়া সত্ত্বেও প্রজ্ঞাবান এবং বিবেচনার অধিকারীদের উপর প্রবল হতে তোমাদের চেয়ে বেশী পারঙ্গম আর কাউকে আমি দেখিনি। জনৈক মহিলা বললেনঃ তাদের মেধা ও দীনের ঘাটতি কি? তিনি বললেনঃ তোমাদের দুই জন মহিলার সাক্ষ্য একজন তিন দিন-চার দিন অতিবাহিত করে অথচ সে কোন সালাত (নামায) আদায় করতে পারে না। সহীহ, ইরওয়া ১/২০৫, আযযিলাল ৯৫৬, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ সাঈদ ও ইবন উমর (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي اسْتِكْمَالِ الإِيمَانِ وَزِيَادَتِهِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ الأَزْدِيُّ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ فَوَعَظَهُمْ ثُمَّ قَالَ " يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّكُنَّ أَكْثَرُ أَهْلِ النَّارِ " . فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ وَلِمَ ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لِكَثْرَةِ لَعْنِكُنَّ " . يَعْنِي وَكُفْرَكُنَّ الْعَشِيرَ . قَالَ " وَمَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذَوِي الأَلْبَابِ وَذَوِي الرَّأْىِ مِنْكُنَّ " . قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ وَمَا نُقْصَانُ دِينِهَا وَعَقْلِهَا قَالَ " شَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ مِنْكُنَّ بِشَهَادَةِ رَجُلٍ وَنُقْصَانُ دِينِكُنَّ الْحَيْضَةُ تَمْكُثُ إِحْدَاكُنَّ الثَّلاَثَ وَالأَرْبَعَ لاَ تُصَلِّي " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) delivered a Khtubah in which he exhorted them, then he said: "O women! Give charity for you are the majority of the people of the Fire." A woman among them said: "And why is that O Messenger of Allah?" He said: "Because of your cursing so much." - meaning your ungratefulness towards your husbands. He said: "And I have not seen any among those lacking in intellect and religion who are more difficult upon people possessing reason and insight than you." A woman among them said: "And what is the deficiency of her intellect and religion?" He said: "The testimony of two women among you is like the testimony of a man, and the deficiency in your religion is menstruation, because one of you will go three or four days without performing Salat."
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের পরিপূর্ণতা এবং এর হ্রাস-বৃদ্ধি।
২৬১৫. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানের দরজা হল সত্তর এবং আরো কিছু। এর সর্বনিম্ন দরজা হল পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্ত দূর করা আর সর্বোচ্চ হল ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্বীকার করা। সহীহ, সহিহাহ ১৩৬৯, বুখারির বর্ণনায় ষাটের অধিক এবং মুসলিমের বর্ণনায় সত্তরের অধিক উল্লেখ আছে। আর এটাই অগ্রগণ্য। তাখরিজুল ঈমান ২১/৬৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। সুহায়ল ইবন আবূ সালিহ (রহঃ) এটিকে আবদুল্লাহ্ ইবন দীনার-আবূ সালিহ-আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন। উমারা ইবন গাযীয়্যা (রহঃ) হাদীসটি আবূ সালিহ-আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঈমানের হল চৌষট্রিটি দরজা। কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي اسْتِكْمَالِ الإِيمَانِ وَزِيَادَتِهِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ بَابًا فَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ وَأَرْفَعُهَا قَوْلُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهَكَذَا رَوَى سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
وَرَوَى عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الإِيمَانُ أَرْبَعَةٌ وَسِتُّونَ بَابًا " . قَالَ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Faith has seventy-some odd doors, the lowest of which is removing something harmful from the road, and its highest is the statement 'La Ilaha Illallah.'"
পরিচ্ছেদঃ লজ্জা হল ঈমানের অঙ্গ।
২৬১৬. ইবন আবূ উমর ও আহমদ ইবন মানী (রহঃ) ..... সালিম তৎপিতা ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে ব্যক্তি তার এক ভাইকে লজ্জা সম্পর্কে নসীহত করছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।
ইবনু মাজাহ ৫৮, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আহমদ ইবন মানী’ (রহঃ) এর বর্ণনায় আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে তার ভাইকে লজ্জা সম্পর্কে নসীহত করতে শুনতে পেলেন। হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ أَنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الإِيمَانِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِرَجُلٍ وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْحَيَاءُ مِنَ الإِيمَانِ " . قَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ فِي حَدِيثِهِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ رَجُلاً يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي بَكْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ .
Narrated Ibn 'Umar:
that the Messenger of Allah (ﷺ) passed by a man and he was chastising his brother about modesty, so the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Al-Haya' is part of faith."
পরিচ্ছেদঃ সালাতের মর্যাদা
২৬১৭. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ...... মুআয ইবন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। একদিন চলার সময় আমি তাঁর নিকটবর্তী হয়ে গেলাম। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি আমল সম্পর্কে অবহিত করুন যা আমাকে জান্নাতে দাখিল করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দিবে।
তিনি বললেনঃ তুমি তো বিরাট একটা বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে। তবে আল্লাহ্ তা’আলা যার জন্য তা সহজ করে দেন তার জন্য বিষয়টি অবশ্য সহজ। আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সঙ্গে কোন কিছু শরীক করবে না। সালাত (নামায) কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে, রমযানের সিয়াম পালন করবে, বায়তুল্লাহর হজ্জ করবে।
এরপর তিনি বললেনঃ সব কল্যাণের দ্বার সম্পর্কে কি আমি তোমাকে দিক-নির্দেশনা দিব? সিয়াম হল ঢালস্বরূপ, পানি যেমন আগুন নিভিয়ে দেয় তেমনি সাদকা ও গুনাহসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, আর হল মধ্য রাতের সালাত (নামায)।
এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা (মু’মিনরা গভীর রাতে) শয্যা ত্যাগ করে তাদের পরওয়ারদিগারকে ডাকে আশায় ও আশংকায় এবং আমি তাদের যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন সুখকর কী লূকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ। (সাজদা ৩২ঃ ১৬-১৭)
তারপর বললেনঃ তোমাকে এই সব কিছুর মাথা ও বুনিয়াদ এবং সর্বোচ্চ শীর্ষদেশ স্বরূপ আমল সম্পর্কে অবহিত করব কি?
এরপর বললেনঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!
তিনি বললেনঃ সব কিছুর মাথা হল ইসলাম, বুনিয়াদ হল সালাত (নামায) আর সর্বোচ্চ শীর্ষ হল জিহাদ।
এরপর বললেনঃ এ সব কিছুর মূল পুঁজি সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব কি?
আমি বললামঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!
তিনি তাঁর জিহ্বা ধরে বললেনঃ এটিকে সংযত রাখ।
আমি বললামঃ হে আল্লাহ্র নবী, আমরা যে কথাবর্তা বলি সেই কারণেও কি আমাদের পাকড়াও করা হবে?
তিনি বললেনঃ তোমাদের মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক,* হে মু’আয! লোকদের অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ্ত হওয়ার জন্য এই যবানের কামাই ছাড়া আর কি কিছু আছে নাকি?
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৯৭৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي حُرْمَةِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَصْبَحْتُ يَوْمًا قَرِيبًا مِنْهُ وَنَحْنُ نَسِيرُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ . قَالَ " لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ عَظِيمٍ وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ وَتَحُجُّ الْبَيْتَ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الْخَيْرِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ وَصَلاَةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ " . قَالَ ثُمَّ تَلاََ: ( تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ ) حَتَّى بَلَغَ: (يَعْمَلُونَ) ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ كُلِّهِ وَعَمُودِهِ وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ " . قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ " . قُلْتُ بَلَى يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ قَالَ " كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا " . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ فَقَالَ " ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Mu'adh bin Jabal:
"I accompanied the Prophet (ﷺ) on a journey. One day I was near him while we were moving so I said: 'O Messenger of Allah! Inform me about an action by which I will be admitted into Paradise, and which will keep me far from the Fire.' He said: 'You have asked me about something great, but it is easy for whomever Allah makes it easy: Worship Allah and do not associate any partners with Him, establish the Salat, give the Zakat, fast Ramadan and perform Hajj to the HOuse.' Then he said: 'Shall I not guide you to the doors of good? Fasting is a shield, and charity extinguishes sins like water extinguishes fire - and a man's praying in depths of the night.'" He said: "Then he recited: 'Their sides forsake their beds to call upon their Lord.' Until he reached: 'What they used to do.' [32:16-17] Then he said: 'Shall I not inform you about the head of the entire matter, and its pillar, and its hump?' I said: 'Of course O Messenger of Allah! He said: 'The head of the matter is Islam, and its pillar is the Salat, and its hump is Jihad.' Then he said: 'Shall I not inform you about what governs all of that?' I said: 'Of course O Messenger of Allah!'" He (ﷺ) said: "So he grabbed his tongue. He said 'Restrain this.' I said: 'O Prophet of Allah! Will we be taken to account for what we say?' He said: 'May your mother grieve your loss O Mu'adh! Are the people tossed into the Fire upon their faces, or upon their noses, except because of what their tongues have wrought'"
পরিচ্ছেদঃ সালাতের মর্যাদা
২৬১৮. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাউকে যদি মসজিদের প্রতি মনোযোগী ও রক্ষণাবেক্ষণশীল দেখতে পাও তবে তার ঈমানের সাক্ষ্য দিতে পার। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ
তারাই তো আল্লাহর মসজিদসমূহের আবাদ ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে যারা আল্লাহ্ ও আখিরাত দিবসে ঈমান আনে এবং সালাত (নামায) কায়েম করে। যাকাত দেয় (তওবা ৯ঃ১৮)
যঈফ, ইবনু মাজাহ ৮০২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي حُرْمَةِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ يَتَعَاهَدُ الْمَسْجِدَ فَاشْهَدُوا لَهُ بِالإِيمَانِ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ: (إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ) " . الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ .
Narrated Abu Sa'eed:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "If you see a man who comes to the Masjid then bear witness to his faith." Because Allah, the Exalted, says: Only those who believe in Allah, and the Last Day, and establish the Salat, and give the Zakat (should) maintain the Masajid until the end of the Ayah (9:18)
পরিচ্ছেদঃ সালাত পরিত্যাগ করা।
২৬১৯. কুতায়বা (রহঃ) ...... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমান ও কুফরের ব্যবধান হল সালাত (নামায) পরিত্যাগ করা।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১০৭৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " بَيْنَ الْكُفْرِ وَالإِيمَانِ تَرْكُ الصَّلاَةِ " .
Narrated Jabir:
that the Prophet (ﷺ) said: "Between disbelief and faith is abandoning the Salat."
পরিচ্ছেদঃ সালাত পরিত্যাগ করা।
২৬২০. হান্নাদ (রহঃ) ..... আ’মাশ (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ বান্দা ও শিরক বা কুফরের মাঝে ব্যবধান হল সালাত (নামায) পরিত্যাগ করা।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ সুফইয়ান (রহঃ) এর নাম হল তালহা ইবন নাফি’।
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَقَالَ " بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ أَوِ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو سُفْيَانَ اسْمُهُ طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ .
Narrated Al-A'mash:
Similar to the previous chain and said: "Between a slave and Shirk or disbelief is abandoning the Salat."
পরিচ্ছেদঃ সালাত পরিত্যাগ করা।
২৬২১. হান্নাদ (রহঃ) ..... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দা ও কুফরের মাঝে ব্যবধান হল সালাত (নামায) পরিত্যাগ করা। সহীহ, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ যুবায়র (রহঃ) এর নাম হল মুহাম্মাদ ইবন মুসলিম ইবন তাদরুস।
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو الزُّبَيْرِ اسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ تَدْرُسَ .
Narrated Jabir:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Between a slave of Allah and disbelief is abandoning the Salat."
পরিচ্ছেদঃ সালাত পরিত্যাগ করা।
২৬২২. আবূ আম্মার হুসায়ন ইবন হুরায়স ও ইউসুফ ইবন ঈসা (রহঃ) ... হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ (রহঃ) থেকে (অনুরূপ) বর্ণিত আছে। আবূ আম্মার ও মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) আলী ইবন হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ ... তৎপিতা হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে।
মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন হাসান শাকীকী ও মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন বুরায়দা তৎপিতা বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মুনাফিকদের জান-মাল রক্ষার জন্য) তাদের ও আমাদের মাঝে চুক্তির শর্ত হল সালাত (নামায)। যে ব্যক্তি সালাত (নামায) পরিত্যাগ করল সে কুফরী করল।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১০৭৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬২১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আনাস ও ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، وَيُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلاَةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
Narrated Abdullah bin Buraidah narrated from his father:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The covenant between us and them is the Salat, so whoever abandons it he has committed disbelief."
পরিচ্ছেদঃ সালাত পরিত্যাগ করা।
২৬২৩. কুতায়বা (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্ ইবন শাকীক উকায়লী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ সালাত (নামায) ছাড়া অন্য কোন আমল পরিত্যাগ করা কুফরী বলে মনে করতেন না।
সহীহ, সহিহুত তারগীব ১/২২৭-৫৬৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬২২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ الْعُقَيْلِيِّ، قَالَ كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم لاَ يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الأَعْمَالِ تَرْكُهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلاَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ أَبَا مُصْعَبٍ الْمَدَنِيَّ يَقُولُ مَنْ قَالَ الإِيمَانُ قَوْلٌ يُسْتَتَابُ فَإِنْ تَابَ وَإِلاَّ ضُرِبَتْ عُنُقُهُ .
Narrated Abdullah bin Shaqiq Al-'Uqayli:
The Companions of Muhammad (ﷺ) didn't consider leaving anything to be disblief except for the Salat.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
২৬২৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যাক্তি আল্লাহ্কে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবী হিসাবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিল সে ঈমানের স্বাদ পেল। সহীহ, মুসলিম ১/৪৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " ذَاقَ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Al-Abbas bin Abdul-Muttalib:
that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "Whoever is pleased with Allah as (his) Lord, and Islam as (his) religion, and Muhammad as (his) Prophet, then he has tasted the sweetness of faith."
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
২৬২৫. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে বিদ্যমান সে ঈমানের স্বাদ পায়। যার কাছে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল অন্য সব কিছু থেকে অধিক প্রিয়, যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই একজনকে ভালবাসে এবং সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ তা’আলা কুফর থেকে মুক্তি দেওয়ার পর সেই দিকে ফিরে যাওয়াকে তেমনিভাবে ঘৃণা করে যেমনিভাবে আগুনে নিক্ষেপ্ত হওয়াকে সে ঘৃণা করে। -ইবনু মাজাহ ৪০৩৩, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। কাতাদা (রহঃ) এটি আনাস ইবন মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ بِهِنَّ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ مِنْهُ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Anas bin Malik:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "There are three things for which whomever has them, then he has tasted the sweetness of faith: The one for whom Allah and His Messenger are more beloved than anything else; whoever loves someone and he does not love him except for the sake of Allah, and whoever hates to return to disbelief after Allah has saved him from it, just as he hates to be thrown into fire."
পরিচ্ছেদঃ ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মু'মিন থাকে না।
২৬২৬. আহমদ ইবন মানী’ (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মু’মিন থাকে না। চোর চুরি করা অবস্থায় মু’মিন থাকে না, তবে তখনও তওবার অবকাশ থাকে। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৯৩৬, বুখারি ও মুসলিম।
এই বিষয়ে ইবন আব্বাস, আয়িশা এবং আবদুল্লাহ্ ইবন আবূ আওফা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ কোন বান্দা যখন যিনা করে তখন তার ভিতর থেকে ঈমান বের হয়ে যায় এবং যেন ছায়ার মত তার মাথার উপর অবস্থান করে। এই দুষ্কর্ম থেকে যখন সেই ব্যক্তি সরে আসে তখন পুনর্বার ঈমান তার কাছে ফিরে আসে।
আবূ জা’ফর মুহাম্মাদ ইবন আলী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ এই সব ক্ষেত্রে ঈমানের স্তর থেকে বেরিয়ে ইসলামের স্তরে সে চলে আসে।
একাধিক সূত্রে যিনা ও চুরি প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, কেউ যদি এই সব পাপ কর্মে লিপ্ত হয় এবং তার উপর হদ প্রতিষ্ঠা করা হয়ে গিয়ে থাকে তবে তা-ই এই ব্যক্তির গুনাহের জন্য কাফফারা বলে গণ্য হবে। আর কেউ যদি এই সব গুনাহে আপতিত হয় আর আল্লাহ্ তা’আলা তা গোপন রাখেন তবে তা আল্লাহর উপরই ন্যাস্ত। ইচ্ছা করলে কিয়ামতের দিন তাকে আযাবও দিতে পারেন আর ইচ্ছা করলে মাফও করে দিতে পারেন।
সহীহ, সহিহাহ ২৩১৭, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬২৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আলী ইবন আবূ তালিব, উবাদা ইবন সামিত ও খুযায়মা ইবন ছাবিত (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত মর্মের হাদিস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَكِنِ التَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ " . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . - وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا زَنَى الْعَبْدُ خَرَجَ مِنْهُ الإِيمَانُ فَكَانَ فَوْقَ رَأْسِهِ كَالظُّلَّةِ فَإِذَا خَرَجَ مِنْ ذَلِكَ الْعَمَلِ عَادَ إِلَيْهِ الإِيمَانُ " . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ فِي هَذَا خَرَجَ مِنَ الإِيمَانِ إِلَى الإِسْلاَمِ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الزِّنَا وَالسَّرِقَةِ " مَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَأُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدُّ فَهُوَ كَفَّارَةُ ذَنْبِهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ " . رَوَى ذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ وَخُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The adulterer is not a believer while he is committing adultery, and the thief is not a believer while he is stealing, but there is a chance for repentance; (if he repents, Allah will accept the repentance)."