পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১. অপরাধের শাস্তি।
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى ( وَلاَ تَحْسَبَنَّ اللهَ غَافِلاً عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الأَبْصَارُ مُهْطِعِينَ مُقْنِعِي رُءُوسِهِمْ ) رَافِعِي الْمُقْنِعُ وَالْمُقْمِحُ وَاحِدٌ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (مُهْطِعِينَ) مُدِيمِي النَّظَرِ وَيُقَالُ مُسْرِعِينَ (لاَ يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ وَأَفْئِدَتُهُمْ هَوَاءٌ) يَعْنِي جُوفًا لاَ عُقُولَ لَهُمْ ( وَأَنْذِرْ النَّاسَ يَوْمَ يَأْتِيهِمْ الْعَذَابُ فَيَقُولُ الَّذِينَ ظَلَمُوا رَبَّنَا أَخِّرْنَا إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ نُجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَتَّبِعْ الرُّسُلَ أَوَلَمْ تَكُونُوا أَقْسَمْتُمْ مِنْ قَبْلُ مَا لَكُمْ مِنْ زَوَالٍ وَسَكَنْتُمْ فِي مَسَاكِنِ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ وَتَبَيَّنَ لَكُمْ كَيْفَ فَعَلْنَا بِهِمْ وَضَرَبْنَا لَكُمْ الأَمْثَالَ وَقَدْ مَكَرُوا مَكْرَهُمْ وَعِنْدَ اللهِ مَكْرُهُمْ وَإِنْ كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ الْجِبَالُ فَلاَ تَحْسِبَنَّ اللهَ مُخْلِفَ وَعْدِهِ رُسُلَهُ إِنَّ اللهَ عَزِيزٌ ذُو انْتِقَامٍ )
আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘আর তুমি কখনও মনে করো না যে, যালিমরা যা করে সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখবর। তবে তিনি তাদেরকে অবকাশ দেন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফারিত হবে। ভীত-বিহবল চিত্তে মস্তক ঊর্ধ্বমুখী করে তারা দৌড়াতে থাকবে, নিজেদের দিকে তাদের দৃষ্টি ফিরে আসবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূন্য।’’ (لاَ يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ وَأَفْئِدَتُهُمْ هَوَاءٌ) অর্থাৎ উপরের দিকে তাদের মাথা তুলে। ﴿الْمُقْنِعُ﴾ এবং ﴿الْمُقْمِعُ﴾ সমার্থক শব্দ। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, (مُهْطِعِينَ) অর্থ দৃষ্টি অবনত করে। ﴿هَوَاءٌ) শব্দের অর্থ জ্ঞানশূন্য।
আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘কাজেই মানুষকে সতর্ক কর সেদিনের ব্যাপারে যেদিন তাদের উপর ‘আযাব আসবে। যারা জুলুম করেছিল তারা তখন বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে অল্পদিনের জন্য সময় দাও, আমরা তোমার আহবানে সাড়া দিব আর রাসূলদের কথা মেনে চলব।’ (তখন তাদেরকে বলা হবে) তোমরা কি পূর্বে শপথ করে বলনি যে, তোমাদের কক্ষনো পতন ঘটবে না? অথচ তোমরা সেই লোকগুলোর বাসভূমিতে বসবাস করছিলে যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল আর তোমাদেরকে স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়া হয়েছিল আমি তাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছিলাম। আর আমি বহু উদাহরণ টেনে তোমাদেরকে বুঝিয়েও দিয়েছিলাম। তারা যে চক্রান্ত করেছিল তা ছিল সত্যিই ভয়ানক, কিন্তু তাদের চক্রান্ত আল্লাহ্র দৃষ্টির ভিতরেই ছিল, যদিও তাদের চক্রান্তগুলো এমন ছিল যে, তাতে পর্বতও টলে যেত। (অবস্থা যতই প্রতিকূল হোক না কেন) তুমি কক্ষনো মনে কর না যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলগণকে দেয়া ওয়া‘দা খেলাপ করবেন, আল্লাহ মহা প্রতাপশালী, প্রবল প্রতিশোধ গ্রহণকারী।’’ (ইবরাহীমঃ ৪২-৪৭)
২৪৪০. আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মু’মিনগণ যখন জাহান্নাম হতে মুক্তি পাবে, তখন জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে এক পুলের উপর তাদের আটকে রাখা হবে। তখন পৃথিবীতে একের প্রতি অন্যের যা যা জুলুম ও অন্যায় ছিল, তার প্রতিশোধ গ্রহণের পরে যখন তারা পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে, তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যেকে পৃথিবীতে তার আবাসস্থল যেরূপ চিনত, তার চেয়ে অধিক তার জান্নাতের আবাসস্থল চিনতে পারবে। (৬৫৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৭৮)
بَاب قِصَاصِ الْمَظَالِمِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا خَلَصَ الْمُؤْمِنُونَ مِنْ النَّارِ حُبِسُوا بِقَنْطَرَةٍ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ فَيَتَقَاصُّونَ مَظَالِمَ كَانَتْ بَيْنَهُمْ فِي الدُّنْيَا حَتَّى إِذَا نُقُّوا وَهُذِّبُوا أُذِنَ لَهُمْ بِدُخُولِ الْجَنَّةِ فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لأحَدُهُمْ بِمَسْكَنِهِ فِي الْجَنَّةِ أَدَلُّ بِمَنْزِلِهِ كَانَ فِي الدُّنْيَا وَقَالَ يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ قَتَادَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الْمُتَوَكِّلِ
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "When the believers pass safely over (the bridge across) Hell, they will be stopped at a bridge in between Hell and Paradise where they will retaliate upon each other for the injustices done among them in the world, and when they get purified of all their sins, they will be admitted into Paradise. By Him in Whose Hands the life of Muhammad is everybody will recognize his dwelling in Paradise better than he recognizes his dwelling in this world."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/২. আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ সাবধান! যালিমদের উপর আল্লাহর অভিশাপ।
২৪৪১. সাফওয়ান ইবনু মুহরিব আল-মাযিনী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সাথে তাঁর হাত ধরে চলছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর মু’মিন বান্দার একান্তে কথাবার্তা সম্পর্কে আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কী বলতে শুনেছেন? তখন তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা মু’মিন ব্যক্তিকে নিজের কাছে নিয়ে আসবেন এবং তার উপর স্বীয় আবরণ দ্বারা তাকে ঢেকে নিবেন। তারপর বলবেন, অমুক পাপের কথা কি তুমি জান? তখন সে বলবে, হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক! এভাবে তিনি তার কাছ হতে তার পাপগুলো স্বীকার করিয়ে নিবেন। আর সে মনে করবে যে, তার ধ্বংস অনিবার্য। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, আমি পৃথিবীতে তোমার পাপ গোপন করে রেখেছিলাম। আর আজ আমি তা মাফ করে দিব’’। তারপর তার নেকের আমলনামা তাকে দেয়া হবে। কিন্তু কাফির ও মুনাফিকদের সম্পর্কে সাক্ষীরা বলবে, এরাই তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিল। সাবধান, যালিমদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। (৪৬৮৫, ৬০৭০, ৭৫১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৭৯)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى { أَلاَ لَعْنَةُ اللهِ عَلَى الظَّالِمِينَ }
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ قَالَ أَخْبَرَنِي قَتَادَةُ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ الْمَازِنِيِّ قَالَ بَيْنَمَا أَنَا أَمْشِي مَعَ ابْنِ عُمَرَ آخِذٌ بِيَدِهِ إِذْ عَرَضَ رَجُلٌ فَقَالَ كَيْفَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي النَّجْوَى فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ اللهَ يُدْنِي الْمُؤْمِنَ فَيَضَعُ عَلَيْهِ كَنَفَهُ وَيَسْتُرُهُ فَيَقُولُ أَتَعْرِفُ ذَنْبَ كَذَا أَتَعْرِفُ ذَنْبَ كَذَا فَيَقُولُ نَعَمْ أَيْ رَبِّ حَتَّى إِذَا قَرَّرَهُ بِذُنُوبِهِ وَرَأَى فِي نَفْسِهِ أَنَّهُ هَلَكَ قَالَ سَتَرْتُهَا عَلَيْكَ فِي الدُّنْيَا وَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ الْيَوْمَ فَيُعْطَى كِتَابَ حَسَنَاتِهِ وَأَمَّا الْكَافِرُ وَالْمُنَافِقُونَ فَيَقُولُ الأَشْهَادُ ( هَؤُلاَءِ الَّذِينَ كَذَبُوا عَلَى رَبِّهِمْ أَلاَ لَعْنَةُ اللهِ عَلَى الظَّالِمِينَ )
Narrated Safwan bin Muhriz Al-Mazini:
While I was walking with Ibn `Umar holding his hand, a man came in front of us and asked, "What have you heard from Allah's Messenger (ﷺ) about An-Najwa?" Ibn `Umar said, "I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'Allah will bring a believer near Him and shelter him with His Screen and ask him: Did you commit such-and-such sins? He will say: Yes, my Lord. Allah will keep on asking him till he will confess all his sins and will think that he is ruined. Allah will say: 'I did screen your sins in the world and I forgive them for you today', and then he will be given the book of his good deeds. Regarding infidels and hypocrites (their evil acts will be exposed publicly) and the witnesses will say: These are the people who lied against their Lord. Behold! The Curse of Allah is upon the wrongdoers." (11.18)
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৩. মুসলিম মুসলিমের প্রতি অত্যাচার করবে না এবং তাকে অপমানিতও করবে না।
২৪৪২. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার উপর জুলুম করবে না এবং তাকে যালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে,আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন।যে কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের বিপদ দুর করবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন। (৬৯৫১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৭৮)
بَاب لاَ يَظْلِمُ الْمُسْلِمُ الْمُسْلِمَ وَلاَ يُسْلِمُهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَالِمًا أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُهُ وَمَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللهُ فِي حَاجَتِهِ وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرُبَاتِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "A Muslim is a brother of another Muslim, so he should not oppress him, nor should he hand him over to an oppressor. Whoever fulfilled the needs of his brother, Allah will fulfill his needs; whoever brought his (Muslim) brother out of a discomfort, Allah will bring him out of the discomforts of the Day of Resurrection, and whoever screened a Muslim, Allah will screen him on the Day of Resurrection . "
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৪. তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে অত্যাচারী হোক বা অত্যাচারিত।
২৪৪৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে যালিম হোক অথবা মাযলুম। (অর্থাৎ যালিম ভাইকে যুলুম থেকে বিরত রাখবে এবং মাযলুম ভাইকে যালিমের হাত হতে রক্ষা করবে)। (২৪৪৪, ৬৯৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮১)
بَاب أَعِنْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْصُرْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا
Narrated Anas bin Malik:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Help your brother, whether he is an oppressor or he is an oppressed one."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৪. তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে অত্যাচারী হোক বা অত্যাচারিত।
২৪৪৪. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে যালিম হোক অথবা মাযলুম। তিনি (আনাস) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাযলুমকে সাহায্য করব, তা তো বুঝলাম। কিন্তু যালিমকে কি করে সাহায্য করব? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তার হাত ধরে তাকে বিরত রাখবে। (অর্থাৎ তাকে যুলুম করতে দিবে না)। (২৪৪৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮২)
بَاب أَعِنْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْصُرْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا نَنْصُرُهُ مَظْلُومًا فَكَيْفَ نَنْصُرُهُ ظَالِمًا قَالَ تَأْخُذُ فَوْقَ يَدَيْهِ
Narrated Anas:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Help your brother, whether he is an oppressor or he is an oppressed one. People asked, "O Allah's Messenger (ﷺ)! It is all right to help him if he is oppressed, but how should we help him if he is an oppressor?" The Prophet (ﷺ) said, "By preventing him from oppressing others."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৫. অত্যাচারিতকে সাহায্য করা।
২৪৪৫. বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে নিষেধ করেছেন। তারপর তিনি উল্লেখ করলেন, অসুস্থদের খোঁজখবর নেয়া, জানাযায় পিছে পিছে যাওয়া, হাঁচির জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ্ বলা, সালামের উত্তর দেয়া, অত্যাচারিতকে সাহায্য করা, আহবানকারীর প্রতি সাড়া দেয়া, কসমকারীকে দায়িত্ব মুক্ত করা। (১২৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৩)
بَاب نَصْرِ الْمَظْلُومِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ سُوَيْدٍ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ فَذَكَرَ عِيَادَةَ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعَ الْجَنَائِزِ وَتَشْمِيتَ الْعَاطِسِ وَرَدَّ السَّلاَمِ وَنَصْرَ الْمَظْلُومِ وَإِجَابَةَ الدَّاعِي وَإِبْرَارَ الْمُقْسِمِ
Narrated Muawiya bin Suwaid:
I heard Al-Bara' bin `Azib saying, "The Prophet (ﷺ) orders us to do seven things and prohibited us from doing seven other things." Then Al-Bara' mentioned the following:-- (1) To pay a visit to the sick (inquiring about his health), (2) to follow funeral processions, (3) to say to a sneezer, "May Allah be merciful to you" (if he says, "Praise be to Allah!"), (4) to return greetings, (5) to help the oppressed, (6) to accept invitations, (7) to help others to fulfill their oaths.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৫. অত্যাচারিতকে সাহায্য করা।
২৪৪৬. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক মু’মিন আর এক মু’মিনের জন্য ইমারত তুল্য, যার এক অংশ আর এক অংশকে সুদৃঢ় করে। আর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এক হাতের আঙ্গুল আর এক হাতের আঙ্গুলে প্রবেশ করিয়ে দেখালেন। (৪৮১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৪)
بَاب نَصْرِ الْمَظْلُومِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটি মহাহাদীস, এই হাদীসটি মুসলমানদেরকে ভাই ভাই হয়ে, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল হয়ে, ভালোবাসা ও প্রেম-প্রীতির সহিত সমব্যথী হয়ে জীবনযাপন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। সুতরাং তাদের মধ্যে থেকে প্রতিটি ব্যক্তি নিজের জন্য যে জিনিসটি পছন্দ করবে, তার অন্য ভাই এর জন্য সেই জিনিসটিই পছন্দ করবে। আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এই ভাবেই মুসলমানদের বিবরণ পেশ করেছেন।
২। এই হাদীসটির দ্বারা এই বিষয়টি সাব্যস্ত হয়ে যায় যে, মুসলমানরা যেন একে অপরকে অনুগ্রহ করে এবং তারা সবাই যেন মিলিত হয়ে, ঐক্য বজায় রেখে বা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করে, একটি অট্টালিকার ন্যায়, যার একটি অংশ অন্য অংশটিকে মজবুত করে ধরে রাখে।
৩। এই হাদীসটি মুসলমানদেরকে উপদেশ প্রদান করে যে, তারা সবাই যেন নিজেদের মধ্যে একতা ও সহযোগিতা, ইসলাম ধর্মের কাজে সাহায্য, পবিত্র কুরআনের আলোকে ঐক্যের প্রতীক মজবুত করে রাখে। এবং তারা যেন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে ছত্রভঙ্গ না হয়ে যায়।
Narrated Abu Musa:
The Prophet (ﷺ) said, "A believer to another believer is like a building whose different parts enforce each other." The Prophet (ﷺ) then clasped his hands with the fingers interlaced (while saying that).
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৮. জুলুম কিয়ামতের দিন গাঢ় অন্ধকার রূপ ধারণ করবে।
46/6. بَاب الِانْتِصَارِ مِنْ الظَّالِمِ لِقَوْلِهِ جَلَّ ذِكْرُهُ
৪৬/৬. অত্যাচারী হতে প্রতিশোধ নেয়া।
( لاَ يُحِبُّ اللهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ مِنْ الْقَوْلِ إِلاَّ مَنْ ظُلِمَ وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا عَلِيمًا ) ( وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمْ الْبَغْيُ هُمْ يَنْتَصِرُونَ ) قَالَ إِبْرَاهِيمُ كَانُوا يَكْرَهُونَ أَنْ يُسْتَذَلُّوا فَإِذَا قَدَرُوا عَفَوْا
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ’’মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ পছন্দ করেন না, তবে যার উপর যুলুম করা হয়েছে। আর আল্লাহ শ্রবণকারী, জ্ঞানী’’- (আন-নিসাঃ ১৪৮)। ’’এবং যারা অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে’’- (শূরাঃ ৩৯)। ইবরাহীম (রহ.) বলেন, সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) অপমানিত হওয়াকে পছন্দ করতেন না, তবে ক্ষমতা লাভ করলে মাফ করে দিতেন।
46/7. بَاب عَفْوِ الْمَظْلُومِ
৪৬/৭. অধ্যায় : নির্যাতিতকে ক্ষমা করা।
لِقَوْلِهِ تَعَالَى ( إِنْ تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَنْ سُوءٍ فَإِنَّ اللهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا ) ( وَجَزَاءُ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِثْلُهَا فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُ عَلَى اللهِ إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ وَلَمَنْ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُولَئِكَ مَا عَلَيْهِمْ مِنْ سَبِيلٍ إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ وَلَمَنْ صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَلِكَ لَمِنْ عَزْمِ الأُمُورِ) (وَتَرَى الظَّالِمِينَ لَمَّا رَأَوْا الْعَذَابَ يَقُولُونَ هَلْ إِلَى مَرَدٍّ مِنْ سَبِيلٍ)
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ’’তোমরা সৎকর্ম প্রকাশ্যে করলে অথবা গোপনে করলে অথবা দোষ ক্ষমা করলে আল্লাহও দোষ মোচনকারী, শক্তিমান’’- (আন-নিসাঃ ১৪৯)। ’’মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ, কিন্তু যে মাফ করে দেয় এবং আপোষে নিষ্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর নিকটই রয়েছে। তিনি যালিমদের পছন্দ করেন না। তবে অত্যাচারিত হওয়ার পর যারা প্রতিবিধান করে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। কেবল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে, যারা মানুষের উপর জুলুম করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহাচরণ করে বেড়ায়। এদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। অবশ্য যে ধৈর্য ধারণ করে এবং মাফ করে দেয়, এতো হবে দৃঢ়সংকল্পের কাজ। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন অভিভাবক নেই। যালিমরা (কিয়ামতের দিন) যখন শাস্তি দেখবে, তখন আপনি তাদের বলতে শুনবেন প্রত্যাবর্তনের কোন পথ আছে কি?’’ (শূরা (৪২) : ৪০-৪৪)
২৪৪৭. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুলুম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকারের রূপ ধারণ করবে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৫)
بَاب الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الْمَاجِشُونُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "Oppression will be a darkness on the Day of Resurrection."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৯. মাযলুমের বদ-দোয়াকে ভয় করা এবং তা হতে বেঁচে থাকা।
২৪৪৮. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মু‘আয (রাঃ)-কে ইয়ামানে পাঠান এবং তাকে বলেন, মাযলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা, তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না। (১৩৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৬)
بَاب الِاتِّقَاءِ وَالْحَذَرِ مِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمَكِّيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) sent Mu`adh to Yemen and said, "Be afraid, from the curse of the oppressed as there is no screen between his invocation and Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১০. কেউ কারো উপর যুলুম করে এবং মাযলুম ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করে দেয় এর পরও সে অত্যাচারের কথা প্রকাশ করতে পারবে কি?
২৪৪৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেন, ইসমাঈল ইবনু উয়াইস (রহ.) বলেছেন, সাঈদ আল-মাকবুরী (রহ.) কবরস্থানের পার্শ্বে অবস্থান করতেন বলে আল-মাকবুরী বলা হত। আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহ.) এও বলেছেন, সাঈদ আল-মাকবুরী হলেন, বনূ লাইসের আযাদকৃত গোলাম। ইনি হলেন সাঈদ ইবনু আবূ সাঈদ। আর আবূ সাঈদের নাম হলো কায়সান। (৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
بَاب مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ عِنْدَ الرَّجُلِ فَحَلَّلَهَا لَهُ هَلْ يُبَيِّنُ مَظْلَمَتَهُ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ قَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ إِنَّمَا سُمِّيَ الْمَقْبُرِيَّ لأَنَّهُ كَانَ نَزَلَ نَاحِيَةَ الْمَقَابِرِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَسَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ هُوَ مَوْلَى بَنِي لَيْثٍ وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ وَاسْمُ أَبِي سَعِيدٍ كَيْسَانُ
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever has oppressed another person concerning his reputation or anything else, he should beg him to forgive him before the Day of Resurrection when there will be no money (to compensate for wrong deeds), but if he has good deeds, those good deeds will be taken from him according to his oppression which he has done, and if he has no good deeds, the sins of the oppressed person will be loaded on him."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১১. যদি কেউ কারো জুলুম বা অন্যায় মাফ করে দেয়, তবে সে জুলুমের জন্য পুনরায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা চলবে না।
২৪৫০. ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, ‘‘কোন স্ত্রী যদি স্বামীর অবজ্ঞা ও উপেক্ষার ভয় করে’’- (আন-নিসাঃ ১২৮) আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে তিনি (‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর কাছে বেশী যাওয়া-আসা করত না বরং তাকে পরিত্যাগ অর্থাৎ তালাক দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করত। [1] এ অবস্থায় স্ত্রী বলল, আমি তোমাকে আমার ব্যাপারে দায়মুক্ত করে দিলাম। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (২৬৯৪, ৪৬০১, ৫২০৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৮)
بَاب إِذَا حَلَّلَهُ مِنْ ظُلْمِهِ فَلاَ رُجُوعَ فِيهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ فِي هَذِهِ الآيَةِ ( وَإِنْ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِنْ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا ) قَالَتْ الرَّجُلُ تَكُونُ عِنْدَهُ الْمَرْأَةُ لَيْسَ بِمُسْتَكْثِرٍ مِنْهَا يُرِيدُ أَنْ يُفَارِقَهَا فَتَقُولُ أَجْعَلُكَ مِنْ شَأْنِي فِي حِلٍّ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي ذَلِكَ
Narrated Aisha:
Regarding the explanation of the following verse:-- "If a wife fears Cruelty or desertion On her husband's part." (4.128) A man may dislike his wife and intend to divorce her, so she says to him, "I give up my rights, so do not divorce me." The above verse was revealed concerning such a case.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১২. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে, তাকে মাফ করে, কিন্তু কী পরিমাণ ক্ষমা করল কিংবা কতটুকুর জন্য অনুমতি প্রদান করল তা উল্লেখ না করে।
২৪৫১. সাহল ইবনু সা‘দ সায়াদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে কিছু পানীয় দ্রব্য আনা হল। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা হতে কিছুটা পান করলেন। তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান দিকে বসা ছিল একটি বালক, আর বাম দিকে ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠরা। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বালকটিকে বললেন, এ বয়োজ্যেষ্ঠদেরকে দেয়ার জন্য তুমি আমাকে অনুমতি দিবে কি? তখন বালকটি বলল, না, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! আমি আপনার কাছ হতে প্রাপ্য আমার অংশে কাউকে অগ্রাধিকার দিব না। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানির পেয়ালাটা তার হাতে ঠেলে দিলেন। (২৩৫১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৯)
بَاب إِذَا أَذِنَ لَهُ أَوْ أَحَلَّهُ وَلَمْ يُبَيِّنْ كَمْ هُوَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِشَرَابٍ فَشَرِبَ مِنْهُ وَعَنْ يَمِينِهِ غُلاَمٌ وَعَنْ يَسَارِهِ الأَشْيَاخُ فَقَالَ لِلْغُلاَمِ أَتَأْذَنُ لِي أَنْ أُعْطِيَ هَؤُلاَءِ فَقَالَ الْغُلاَمُ لاَ وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ أُوثِرُ بِنَصِيبِي مِنْكَ أَحَدًا قَالَ فَتَلَّهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَدِهِ
Narrated Sahl bin Sa`d As-Sa`idi:
A drink (milk mixed with water) was brought to Allah's Messenger (ﷺ) who drank some of it. A boy was sitting to his right, and some old men to his left. Allah's Messenger (ﷺ) said to the boy, "Do you allow me to give the rest of the drink to these people?" The boy said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I will not give preference to anyone over me to drink the rest of it from which you have drunk." Allah's Messenger (ﷺ) then handed the bowl (of drink) to the boy.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৩. কোন ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ ছিনিয়ে নেয় অথবা জুলুম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ।
২৪৫২. সাঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কারো জমির অংশ জুলুম করে কেড়ে নেয়, কিয়ামতের দিন এর সাত তবক জমিন তার গলায় লটকিয়ে দেয়া হবে। (৩১৯৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯০)
بَاب إِثْمِ مَنْ ظَلَمَ شَيْئًا مِنْ الأَرْضِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي طَلْحَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ عَمْرِو بْنِ سَهْلٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ ظَلَمَ مِنْ الأَرْضِ شَيْئًا طُوِّقَهُ مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম সমস্ত প্রকারের অধিকার ও সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য সুব্যবস্থা নেওয়ার প্রতি আহ্বান জানায়। এবং বলপূর্বক পদ্ধতিতে অন্য লোকের ভূমি ও সম্পত্তি দখল করা কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করে।
২। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যে ব্যক্তি কোনো জমির মালিক হবে, সে ব্যক্তি জমির ভিতরে বা নীচে যা কিছু বস্তু থাকবে তারও সে মালিক হবে। সুতরাং জমির ভিতরে বা নীচে যে সমস্ত পাথর, ভবন এবং মূল্যবান ধাতু প্রভৃতি থাকবে, সে সমস্ত জিনিসের প্রকৃত মালিক হবে সেই ব্যাক্তি, যে ব্যক্তি হবে জমির মালিক। এবং জমির মালিক তার জমি খনন করে তার ইচ্ছা মত জমির নীচে যেতে পারবে, যদি তাতে তার প্রতিবেশীর ক্ষতি না হয়।
৩। মুসলিম ব্যক্তির প্রতি প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মেনে চলা অপরিহার্য। তাই তার জন্য অন্য কোনো লোকের সম্পত্তি চুরি করে বা বলপ্রয়োগ করে অথবা জালিয়াতি করে কিংবা প্রতারণা করে অথবা ঘুষ দিয়ে নেওয়া জায়েজ নয়।
৪। এই হাদীসটির সারাংশ হলো এই যে, যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তির জমির কোনো অংশ জুলুম জবরদস্তি করে দাবিয়ে নিবে, তাকে পরকালে কেয়ামতের দিন দায়িত্ব দেওয়া হবে যে, সে যেন জমির ওই অংশটি পুনরুত্থিত হওয়ার স্থানে হাশরের ময়দানে বহন করে নিয়ে যায়, যে অংশটি সে দুনিয়াতে অন্য লোকের কাছ থেকে জুলুম জবরদস্তি করে দাবিয়ে নিবে। তাই উক্ত জমির অংশটি তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে গলা বন্ধের ফিতা বা দড়ির মত। সুতরাং এখানে এটাও বলা যেতে পারে যে, উক্ত জমির অংশটি তার গলায় তাকে ঝুলিয়ে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হবে কিন্তু সে তা করতে পারবে না। অতএব তাকে এই দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে মহা শাস্তি প্রদান করা হবে। আর এটাও অর্থ হতে পারে যে, কোনো ব্যক্তির জমির কোনো অংশ জুলুম জবরদস্তি করে যে ব্যক্তি দাবিয়ে নিবে, তার গলায় তার পাপকে দড়ির মত করে ঝুলিয়ে রাখা হবে। সুতরাং তার পাপ তার গলায় ঝুলতে থাকবে। আবার এটাও অর্থ বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি কোনো জমির অংশ জুলুম জবরদস্তি করে দাবিয়ে নিবে, সেই জমিসহ তাকে ভূমিতে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে, এবং সেই জমি তার গলায় হারের মত হয়ে থাকবে। এবং তার গলাকে এতই লম্বা চওড়া করা হবে যে, সেই জমি যেন তার গলায় সঠিকভাবে স্থাপিত হয়ে যায়।
Narrated Sa`id bin Zaid:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever usurps the land of somebody unjustly, his neck will be encircled with it down the seven earths (on the Day of Resurrection). "
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৩. কোন ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ ছিনিয়ে নেয় অথবা জুলুম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ।
২৪৫৩. আবূ সালামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, তাঁর এবং কয়েকজন লোকের মধ্যে একটি বিবাদ ছিল। ‘আয়িশাহ (রাযি.)-এর কাছে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, হে আবূ সালামাহ! জমির ব্যাপারে সতর্ক থাক। কেননা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এক বিঘত জমি অন্যায়ভাবে নিয়ে নেয়, (কিয়ামতের দিন) এর সাত তবক জমি তার গলায় লটকিয়ে দেয়া হবে। (৩১৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯১)
بَاب إِثْمِ مَنْ ظَلَمَ شَيْئًا مِنْ الأَرْضِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أُنَاسٍ خُصُومَةٌ فَذَكَرَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ يَا أَبَا سَلَمَةَ اجْتَنِبْ الأَرْضَ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ ظَلَمَ قِيدَ شِبْرٍ مِنْ الأَرْضِ طُوِّقَهُ مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ
Narrated Abu Salama:
That there was a dispute between him and some people (about a piece of land). When he told `Aisha about it, she said, "O Abu Salama! Avoid taking the land unjustly, for the Prophet (ﷺ) said, 'Whoever usurps even one span of the land of somebody, his neck will be encircled with it down the seven earths."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৩. কোন ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ ছিনিয়ে নেয় অথবা জুলুম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ।
২৪৫৪. সালিম (রহ.)-এর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সামান্য পরিমাণ জমিও নিয়ে নিবে, কিয়ামতের দিন তাকে সাত তবক জমিনের নীচ পর্যন্ত ধসিয়ে দেয়া হবে। আবূ ‘আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহ.)] বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহ.) কর্তৃক খুরাসানে রচিত হাদীসগ্রন্থে এ হাদীসটি নেই। এ হাদীসটি বসরায় লোকজনকে শুনানো হয়েছে। (৩১৯৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯২)
بَاب إِثْمِ مَنْ ظَلَمَ شَيْئًا مِنْ الأَرْضِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَخَذَ مِنْ الأَرْضِ شَيْئًا بِغَيْرِ حَقِّهِ خُسِفَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَى سَبْعِ أَرَضِينَ
Narrated Salim's father (i.e. `Abdullah):
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever takes a piece of the land of others unjustly, he will sink down the seven earths on the Day of Resurrection."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৪. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তবে তা বৈধ।
২৪৫৫. জাবালাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মাদ্বীনায় কিছু সংখ্যক ইরাকী লোকের সাথে ছিলাম। একবার আমরা দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত হই, তখন ইবনু যুবাইর (রাঃ) আমাদেরকে খেজুর খেতে দিতেন। ইবনু উমার (রাঃ) আমাদের নিকট দিয়ে যেতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে তার ভাইয়ের অনুমতি ব্যতীত এক সাথে দু’টো করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (২৪৮৯, ২৪৯০, ৫৪৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯৩)
بَاب إِذَا أَذِنَ إِنْسَانٌ لآِخَرَ شَيْئًا جَازَ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ جَبَلَةَ كُنَّا بِالْمَدِينَةِ فِي بَعْضِ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَأَصَابَنَا سَنَةٌ فَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَرْزُقُنَا التَّمْرَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَمُرُّ بِنَا فَيَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ الإِقْرَانِ إِلاَّ أَنْ يَسْتَأْذِنَ الرَّجُلُ مِنْكُمْ أَخَاهُ
Narrated Jabala:
"We were in Medina with some of the Iraqi people, and we were struck with famine and Ibn Az- Zubair used to give us dates. Ibn `Umar used to pass by and say, "The Prophet (ﷺ) forbade us to eat two dates at a time, unless one takes the permission of one's companions."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৪. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তবে তা বৈধ।
২৪৫৬. আবূ মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আবূ শুয়াইব (রাঃ) নামক এক আনসারীর মাংস বিক্রেতা একজন গোলাম ছিল। একদিন আবূ শুয়াইব (রাঃ) তাকে বললেন, আমার জন্য পাঁচজন লোকের খাবার তৈরী কর। আমি আশা করছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দাওয়াত করব। আর তিনি উক্ত পাঁচজনের একজন। উক্ত আনসারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর চেহারায় ক্ষুধার ছাপ লক্ষ্য করেছিলেন। কাজেই তিনি তাঁকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাওয়াত করলেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আরেকজন লোক আসলেন, যাকে দাওয়াত করা হয়নি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আনসারীকে) বললেন, এ আমাদের পিছে পিছে চলে এসেছে। তুমি কি তাকে অনুমতি দিচ্ছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (২০৮১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯৪)
بَاب إِذَا أَذِنَ إِنْسَانٌ لآِخَرَ شَيْئًا جَازَ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ أَنَّ رَجُلاً مِنْ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ أَبُو شُعَيْبٍ كَانَ لَهُ غُلاَمٌ لَحَّامٌ فَقَالَ لَهُ أَبُو شُعَيْبٍ اصْنَعْ لِي طَعَامَ خَمْسَةٍ لَعَلِّي أَدْعُو النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَامِسَ خَمْسَةٍ وَأَبْصَرَ فِي وَجْهِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْجُوعَ فَدَعَاهُ فَتَبِعَهُمْ رَجُلٌ لَمْ يُدْعَ فَقَالَ النَّبِيُّ إِنَّ هَذَا قَدْ اتَّبَعَنَا أَتَأْذَنُ لَهُ قَالَ نَعَمْ
Narrated Abu Mas`ud:
There was an Ansari man called Abu Shu'aib who had a slave butcher. Abu Shu'aib said to him, "Prepare a meal sufficient for five persons so that I might invite the Prophet (ﷺ) besides other four persons." Abu Shu'aib had seen the signs of hunger on the face of the Prophet (ﷺ) and so he invited him. Another man who was not invited, followed the Prophet. The Prophet (ﷺ) said to Abu Shu'aib, "This man has followed us. Do you allow him to share the meal?" Abu Shu'aib said, "Yes."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ প্রকৃতপক্ষে সে ঘোর বিরোধী। (আল-বাকারাঃ ২০৪)
২৪৫৭. ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নিকট সেই লোক সবচেয়ে বেশী ঘৃণিত, যে অতি ঝগড়াটে। (৪০২৩, ৭১৮৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯৫)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى { وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ }
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ أَبْغَضَ الرِّجَالِ إِلَى اللهِ الأَلَدُّ الْخَصِمُ
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) said, "The most hated person in the sight of Allah is the most quarrelsome person."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৬. যে ব্যক্তি জেনে শুনে অন্যায় বিষয়ে বিবাদ করে, তার গুনাহ।
২৪৫৮. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী উম্মু সালামাহ (রাযি.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরের দরজার নিকটে ঝগড়ার শব্দ শুনতে পেয়ে তাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন। [তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে বিচার চাওয়া হল] তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তো একজন মানুষ। আমার কাছে (কোন কোন সময়) ঝগড়াকারীরা আসে। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যের চেয়ে অধিক বাকপটু। তখন আমি মনে করি যে, সে সত্য বলেছে। তাই আমি তার পক্ষে রায় দেই। বিচারে যদি আমি ভুলবশত অন্য কোন মুসলিমের হক তাকে দিয়ে থাকি, তবে তা দোযখের টুকরা। এখন সে তা গ্রহণ করুক বা ত্যাগ করুক। (২৬৮০, ৬৯৬৭, ৭১৬৯, ৮১৮১, ৭১৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯৬)
بَاب إِثْمِ مَنْ خَاصَمَ فِي بَاطِلٍ وَهُوَ يَعْلَمُهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّهَا أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ خُصُومَةً بِبَابِ حُجْرَتِهِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَإِنَّهُ يَأْتِينِي الْخَصْمُ فَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَبْلَغَ مِنْ بَعْضٍ فَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَدَقَ فَأَقْضِيَ لَهُ بِذَلِكَ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِحَقِّ مُسْلِمٍ فَإِنَّمَا هِيَ قِطْعَةٌ مِنْ النَّارِ فَلْيَأْخُذْهَا أَوْ فَلْيَتْرُكْهَا
Narrated Um Salama:
(the wife of the Prophet) Allah's Messenger (ﷺ) heard some people quarreling at the door of his dwelling. He came out and said, "I am only a human being, and opponents come to me (to settle their problems); maybe someone amongst you can present his case more eloquently than the other, whereby I may consider him true and give a verdict in his favor. So, If I give the right of a Muslim to another by mistake, then it is really a portion of (Hell) Fire, he has the option to take or give up (before the Day of Resurrection).
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৭. ঝগড়া বিবাদ করার সময় অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ।
২৪৫৯. ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে, সে মুনাফিক অথবা যার মধ্যে এ চারটি স্বভাবের কোন একটা থাকে, তার মধ্যেও মুনাফিকীর একটি স্বভাব থাকে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে।
(১) সে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে
(২) যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে
(৩) যখন চুক্তি করে তা লঙ্ঘন করে
(৪) যখন ঝগড়া করে অশ্লীল বাক্যালাপ করে। (৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯৭)
بَاب إِذَا خَاصَمَ فَجَرَ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا أَوْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْ أَرْبَعَةٍ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ
Narrated `Abdullah bin `Amr:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever has (the following) four characters will be a hypocrite, and whoever has one of the following four characteristics will have one characteristic of hypocrisy until he gives it up. These are: (1 ) Whenever he talks, he tells a lie; (2) whenever he makes a promise, he breaks it; (3) whenever he makes a covenant he proves treacherous; (4) and whenever he quarrels, he behaves impudently in an evil insulting manner."