পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১. খুমুস নির্ধারণ প্রসঙ্গে।
৩০৯১. ‘আলী (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, বাদার যুদ্ধের গনীমতের মালের মধ্য হতে যে অংশ আমি পেয়েছিলাম, তাতে একটি জওয়ান উটনীও ছিল। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুমুসের মধ্য হতে আমাকে একটি জওয়ান উটনী দান করেন। আর আমি যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে বাসর যাপন করব, তখন আমি বানূ কায়নুকা গোত্রের এক স্বর্ণকারের সঙ্গে এ মর্মে চুক্তিবদ্ধ হলাম যে, সে আমার সঙ্গে যাবে এবং আমরা উভয়ে মিলে ইযখির ঘাস সংগ্রহ করে আনব। আমার ইচ্ছা ছিল তা স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রয় করে তা দিয়ে আমার বিবাহের ওয়ালীমা সম্পন্ন করব। ইতোমধ্যে আমি যখন আমার জওয়ান উটনী দু’টির জন্য আসবাবপত্র যেমন পালান, থলে ও রশি ইত্যাদি একত্রিত করছিলাম, আর আমার উটনী দু’টি এক আনসারীর ঘরের পার্শ্বে বসা ছিল। আমি আসবাবপত্র যোগাড় করে এসে দেখি উট দু’টির কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে এবং কোমরের দিকে পেট কেটে কলিজা বের করে নেয়া হয়েছে। উটনী দু’টির এ হাল দেখে আমি অশ্রু চেপে রাখতে পারলাম না। আমি বললাম, কে এমনটি করেছে? লোকেরা বলল, ‘হামযা ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব এমনটি করেছে। সে এ ঘরে আছে এবং শরাব পানকারী কতিপয় আনসারীর সঙ্গে আছে।’ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট চলে গেলাম। তখন তাঁর নিকট যায়দ ইবনু হারিসা (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার চেহারা দেখে আমার মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করতে পারলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার কী হয়েছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আজকের মত দুঃখজনক অবস্থা দেখেনি। হামযাহ আমার উট দু’টির উপর অত্যাচার করেছে। সে দু’টির কুঁজ কেটে ফেলেছে এবং পাঁজর ফেড়ে ফেলেছে। আর সে এখন অমুক ঘরে শরাব পানকারী দলের সঙ্গে আছে।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাদরখানি আনতে আদেশ করলেন এবং চাদরখানি জড়িয়ে পায়ে হেঁটে চললেন। আমি এবং যায়দ ইবনু হারিসা (রাঃ) তাঁর অনুসরণ করলাম। হামযাহ যে ঘরে ছিল সেখানে পৌঁছে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তারা অনুমতি দিল। তখন তারা শরাব পানে বিভোর ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযাহকে তার কাজের জন্য তিরস্কার করতে লাগলেন। হামযাহ তখন পূর্ণ নেশাগ্রস্ত। তার চক্ষু দু’টি ছিল রক্তলাল। হামযাহ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি তাকাল। অতঃপর সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাল এবং তাঁর হাঁটু পানে তাকাল। আবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাঁর নাভির দিকে তাকাল। আবার সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাঁর মুখমণ্ডল ের দিকে তাকাল। অতঃপর হামযাহ বলল, তোমরাই তো আমার পিতার গোলাম। এ অবস্থা দেখে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারলেন, সে এখন পূর্ণ নেশাগ্রস্ত আছে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেছনে হেঁটে সরে আসলেন। আর আমরাও তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে আসলাম। (২০৮৯) (মুসলিম ৩৬/১ হাঃ ১৯৭৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭১)
بابُ فَرْضِ الخُمُسِ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَام أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ كَانَتْ لِيْ شَارِفٌ مِنْ نَصِيْبِيْ مِنْ الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِيْ شَارِفًا مِنْ الْخُمُسِ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْتَنِيَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاعَدْتُ رَجُلًا صَوَّاغًا مِنْ بَنِيْ قَيْنُقَاعَ أَنْ يَرْتَحِلَ مَعِيَ فَنَأْتِيَ بِإِذْخِرٍ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيْعَهُ الصَّوَّاغِيْنَ وَأَسْتَعِيْنَ بِهِ فِيْ وَلِيْمَةِ عُرْسِيْ فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَيَّ مَتَاعًا مِنْ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ وَشَارِفَايَ مُنَاخَتَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنْ الأَنْصَارِ رَجَعْتُ حِيْنَ جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ فَإِذَا شَارِفَايَ قَدْ اجْتُبَّ أَسْنِمَتُهُمَا وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَيَّ حِيْنَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الْمَنْظَرَ مِنْهُمَا فَقُلْتُ مَنْ فَعَلَ هَذَا فَقَالُوْا فَعَلَ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ فِيْ هَذَا الْبَيْتِ فِيْ شَرْبٍ مِنْ الأَنْصَارِ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فَعَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ وَجْهِي الَّذِيْ لَقِيْتُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا لَكَ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَيَّ فَأَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَهَا هُوَ ذَا فِيْ بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرِدَائِهِ فَارْتَدَى ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِيْ وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ الَّذِيْ فِيْهِ حَمْزَةُ فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنُوْا لَهُمْ فَإِذَا هُمْ شَرْبٌ فَطَفِقَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَلُومُ حَمْزَةَ فِيْمَا فَعَلَ فَإِذَا حَمْزَةُ قَدْ ثَمِلَ مُحْمَرَّةً عَيْنَاهُ فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى رُكْبَتِهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى سُرَّتِهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ هَلْ أَنْتُمْ إِلَّا عَبِيْدٌ لأََبِيْ فَعَرَفَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَدْ ثَمِلَ فَنَكَصَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى وَخَرَجْنَا مَعَهُ
Narrated `Ali:
I got a she-camel in my share of the war booty on the day (of the battle) of Badr, and the Prophet (ﷺ) had given me a she-camel from the Khumus. When I intended to marry Fatima, the daughter of Allah's Apostle, I had an appointment with a goldsmith from the tribe of Bani Qainuqa' to go with me to bring Idhkhir (i.e. grass of pleasant smell) and sell it to the goldsmiths and spend its price on my wedding party. I was collecting for my she-camels equipment of saddles, sacks and ropes while my two shecamels were kneeling down beside the room of an Ansari man. I returned after collecting whatever I collected, to see the humps of my two she-camels cut off and their flanks cut open and some portion of their livers was taken out. When I saw that state of my two she-camels, I could not help weeping. I asked, "Who has done this?" The people replied, "Hamza bin `Abdul Muttalib who is staying with some Ansari drunks in this house." I went away till I reached the Prophet (ﷺ) and Zaid bin Haritha was with him. The Prophet (ﷺ) noticed on my face the effect of what I had suffered, so the Prophet (ﷺ) asked. "What is wrong with you." I replied, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have never seen such a day as today. Hamza attacked my two she-camels, cut off their humps, and ripped open their flanks, and he is sitting there in a house in the company of some drunks." The Prophet (ﷺ) then asked for his covering sheet, put it on, and set out walking followed by me and Zaid bin Haritha till he came to the house where Hamza was. He asked permission to enter, and they allowed him, and they were drunk. Allah's Messenger (ﷺ) started rebuking Hamza for what he had done, but Hamza was drunk and his eyes were red. Hamza looked at Allah's Messenger (ﷺ) and then he raised his eyes, looking at his knees, then he raised up his eyes looking at his umbilicus, and again he raised up his eyes look in at his face. Hamza then said, "Aren't you but the slaves of my father?" Allah's Messenger (ﷺ) realized that he was drunk, so Allah's Messenger (ﷺ) retreated, and we went out with him.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১. খুমুস নির্ধারণ প্রসঙ্গে।
৩০৯২. উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পর তাঁর মিরাস বণ্টনের দাবী করেন। যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায় হিসেবে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাঁকে প্রদত্ত সম্পদ হতে রেখে গেছেন। (মুসলিম ৩২/১৬ হাঃ ১৭৫৯) (৩৭১১, ৪০৩৫, ৪২৪০, ৬৭২৫) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭১ প্রথমাংশ)
بابُ فَرْضِ الخُمُسِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِيْنَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام ابْنَةَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلَتْ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُوْلِ اللهِ أَنْ يَقْسِمَ لَهَا مِيْرَاثَهَا مِمَّا تَرَكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا أَفَاءَ اللهُ عَلَيْهِ
Narrated `Aisha:
(mother of the believers) After the death of Allah 's Apostle Fatima the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) asked Abu Bakr As-Siddiq to give her, her share of inheritance from what Allah's Messenger (ﷺ) had left of the Fai (i.e. booty gained without fighting) which Allah had given him.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১. খুমুস নির্ধারণ প্রসঙ্গে।
৩০৯৩. অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের পরিত্যক্ত সম্পদ বণ্টিত হবে না, আমরা যা ছেড়ে যাই, তা সাদাকাহ রূপে গণ্য হয়।’ এতে আল্লাহর রাসূলের কন্যা ফাতিমাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হলেন এবং আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর সঙ্গে কথাবার্তা বলা ছেড়ে দিলেন। এ অবস্থা তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত বহাল ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর ফাতিমাহ (রাঃ) ছয় মাস জীবিত ছিলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, ফাতিমাহ (রাঃ) আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক ত্যাজ্য খায়বার ও ফাদাকের ভূমি এবং মদিনার সাদাকাতে তাঁর অংশ দাবী করেছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানান এবং তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ‘আমল করতেন, আমি তাই ‘আমল করব। আমি তার কোন কিছুই ছেড়ে দিতে পারি না। কেননা আমি আশংকা করি যে, তাঁর কোন কথা ছেড়ে দিয়ে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে না যাই। অবশ্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদিনার সাদাকা্কে ‘উমার (রাঃ) ‘আলী ও ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট হস্তান্তর করেন। আর খায়বার ও ফাদাকের ভূমিকে আগের মত রেখে দেন। ‘উমার (রাঃ) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ সম্পত্তি দু’টিকে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জরুরী প্রয়োজন পূরণ ও বিপদকালীন সময়ে ব্যয়ের জন্য রেখেছিলেন। সুতরাং এ সম্পত্তি দু’টি তাঁরই দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে, যিনি মুসলিমদের শাসক খলীফা হবেন।’ যুহরী (রহ.) বলেন, এ সম্পত্তি দু’টির ব্যবস্থাপনা আজ পর্যন্ত ও রকমই আছে। (৩৭১২, ৪০৩৬, ৪২৪১, ৬৭২৬) (মুসলিম ৩২/১৬ হাঃ ১৭৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬০ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭১)
بابُ فَرْضِ الخُمُسِ
فَقَالَ لَهَا أَبُوْ بَكْرٍ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ لَا نُوْرَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ فَغَضِبَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ فَهَجَرَتْ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ تَزَلْ مُهَاجِرَتَهُ حَتَّى تُوُفِّيَتْ وَعَاشَتْ بَعْدَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سِتَّةَ أَشْهُرٍ قَالَتْ وَكَانَتْ فَاطِمَةُ تَسْأَلُ أَبَا بَكْرٍ نَصِيْبَهَا مِمَّا تَرَكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْبَرَ وَفَدَكٍ وَصَدَقَتَهُ بِالْمَدِيْنَةِ فَأَبَى أَبُوْ بَكْرٍ عَلَيْهَا ذَلِكَ وَقَالَ لَسْتُ تَارِكًا شَيْئًا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَعْمَلُ بِهِ إِلَّا عَمِلْتُ بِهِ فَإِنِّيْ أَخْشَى إِنْ تَرَكْتُ شَيْئًا مِنْ أَمْرِهِ أَنْ أَزِيْغَ فَأَمَّا صَدَقَتُهُ بِالْمَدِيْنَةِ فَدَفَعَهَا عُمَرُ إِلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ وَأَمَّا خَيْبَرُ وَفَدَكٌ فَأَمْسَكَهَا عُمَرُ وَقَالَ هُمَا صَدَقَةُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتَا لِحُقُوقِهِ الَّتِيْ تَعْرُوْهُ وَنَوَائِبِهِ وَأَمْرُهُمَا إِلَى مَنْ وَلِيَ الأَمْرَ قَالَ فَهُمَا عَلَى ذَلِكَ إِلَى الْيَوْمِ قَالَ أَبُوْ عَبْد اللهِ اعْتَرَاكَ افْتَعَلْتَ مِنْ عَرَوْتُهُ فَأَصَبْتُهُ وَمِنْهُ يَعْرُوْهُ وَاعْتَرَانِي
Abu Bakr said to her, "Allah's Apostle said, 'Our property will not be inherited, whatever we (i.e. prophets) leave is Sadaqa (to be used for charity)." Fatima, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) got angry and stopped speaking to Abu Bakr, and continued assuming that attitude till she died. Fatima remained alive for six months after the death of Allah's Messenger (ﷺ). She used to ask Abu Bakr for her share from the property of Allah's Messenger (ﷺ) which he left at Khaibar, and Fadak, and his property at Medina (devoted for charity). Abu Bakr refused to give her that property and said, "I will not leave anything Allah's Messenger (ﷺ) used to do, because I am afraid that if I left something from the Prophet's tradition, then I would go astray." (Later on) `Umar gave the Prophet's property (of Sadaqa) at Medina to `Ali and `Abbas, but he withheld the properties of Khaibar and Fadak in his custody and said, "These two properties are the Sadaqa which Allah's Apostle used to use for his expenditures and urgent needs. Now their management is to be entrusted to the ruler." (Az-Zuhri said, "They have been managed in this way till today.")
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১. খুমুস নির্ধারণ প্রসঙ্গে।
৩০৯৪. মালিক ইবনু আউস ইবনু হাদাসান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি আমার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে বসা ছিলাম, যখন রোদ প্রখর হল তখন ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর দূত আমার নিকট এসে বলল, আমীরুল মু’মিনীন আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। আমি তার সঙ্গে রওয়ানা হয়ে ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট পৌঁছলাম। দেখতে পেলাম, তিনি একটি চাটাইয়ের উপর উপবিষ্ট ছিলেন। যাতে কোন বিছানা ছিল না। আর তিনি চামড়ার একটি বালিশে হেলান দিয়ে উপবিষ্ট ছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করে বসে পড়লাম। তিনি বললেন, হে মালিক! তোমার গোত্রের কতিপয় লোক আমার নিকট এসেছেন। আমি তাদের জন্য সামান্য পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার আদেশ দিয়েছি। তুমি তা বুঝে নিয়ে তাদের মধ্যে বণ্টন করে দাও। আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ কাজটির জন্য আমাকে ব্যতীত যদি অন্য কাউকে নির্দেশ দিতেন। তিনি বললেন, ওহে তুমি তা গ্রহণ কর। আমি তাঁর কাছেই বসা ছিলাম। এমন সময় তাঁর দারোয়ান ইয়ারফা এসে বলল, ‘উসমান ইবনু আফফান, ‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আউফ, যুবাইর (ইবনু আওয়াম) ও সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) আপনার নিকট প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, তাঁদের আসতে দাও। তাঁরা এসে সালাম করে বসে পড়লেন। ইয়ারফা ক্ষণিক সময় পরে এসে বলল, ‘আলী ও ‘আব্বাস (রাঃ) আপনার সাক্ষাতের জন্য অনুমতির অপেক্ষায় আছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, তাঁদেরকে আসতে দাও। অতঃপর তাঁরা উভয়ে প্রবেশ করে সালাম করলেন এবং বসে পড়লেন।
‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার ও এ ব্যক্তির মধ্যে মীমাংসা করে দিন। বানূ নাযীরের সম্পদ হতে আল্লাহ তা‘আলা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যা দান করেছিলেন, তা নিয়ে তাঁরা উভয়ে বিরোধ করেছিলেন। ‘উসমান (রাঃ) এবং তাঁর সাথীগণ বললেন, হ্যাঁ, আমীরুল মু’মিনীন! এদের মধ্যে মীমাংসা করে দিন এবং তাঁদের একজনকে অপরজন হতে নিশ্চিত করে দিন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, একটু থামুন। আমি আপনাদেরকে সে মহান সত্তার শপথ দিয়ে বলছি, যাঁর আদেশে আসমান ও যমীন স্থির রয়েছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের (নবীগণের) মীরাস বণ্টিত হয় না। আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকারূপে গণ্য হয়? এর দ্বারা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকেই উদ্দেশ্য করেছেন। ‘উসমান (রাঃ) ও তাঁর সাথীগণ বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন বলেছেন।
অতঃপর ‘উমার (রাঃ) ‘আলী এবং ‘আব্বাস (রাঃ)-এর প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি। আপনারা কি জানেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন বলেছেন? তাঁরা উভয়ে বললেন, হ্যাঁ, তিনি এমন বলেছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, এখন এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের বুঝিয়ে বলছি। ব্যাপার হলো এই যে, আল্লাহ তা‘আলা ফায়-এর সম্পদ হতে স্বীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিশেষভাবে দান করেছেন যা তিনি ব্যতীত কাউকেই দান করেননি।
অতঃপর ‘উমার (রাঃ) নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ
وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُوْلِهِ مِنْهُمْ ..... إِلَى قَوْلِهِ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ( الحشر : 6)
আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাদের অর্থাৎ ইয়াহূদীদের নিকট হতে যে ফায় দিয়েছেন, তজ্জন্য তোমরা ঘোড়া কিংবা উটে আরোহণ করে যুদ্ধ করনি। আল্লাহ্ তা‘আলাই তো যাদের উপর ইচ্ছা তাঁর রাসূলগণকে কর্তৃত্ব দান করেন। আল্লাহ তা‘আলা সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান- (হাশর ৬)। সুতরাং এ সকল সম্পত্তি নির্দিষ্টরূপে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সকল সম্পত্তি নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখেননি এবং আপনাদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দেননি। বরং আপনাদেরকেও দিয়েছেন এবং আপনাদের কাজেই ব্যয় করেছেন। এ সম্পত্তি হতে যা উদ্বৃত্ত রয়েছে, তা হতে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ পরিবার-পরিজনের বাৎসরিক খরচ নির্বাহ করতেন। অতঃপর যা অবশিষ্ট থাকতো, তা আল্লাহর সম্পদে জমা করে দিতেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজীবন এরূপই করেছেন। আপনাদেরকে আল্লাহর কসম দিচ্ছি, আপনারা কি তা জানেন? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ, আমরা অবগত আছি। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) ‘আলী ও ‘আব্বাস (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে আল্লাহর কসম দিচ্ছি, আপনারা কি এ বিষয় অবগত আছেন? অতঃপর ‘উমার (রাঃ) বললেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ওফাত দিলেন তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ হতে দায়িত্ব প্রাপ্ত একথা বলে তিনি এ সকল সম্পত্তি নিজ দায়িত্বে নিয়ে নেন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সবের আয়-উৎপাদন যে সব কাজে ব্যয় করতেন, সে সকল কাজে ব্যয় করেন। আল্লাহ তা‘আলা জানেন যে, তিনি এক্ষেত্রে সত্যবাদী, পুণ্যবান, সুপথপ্রাপ্ত ও সত্যাশ্রয়ী ছিলেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আবূ বকর (রাঃ)-কে ওফাত দেন। এখন আমি আবূ বকর (রাঃ)-এর পক্ষ হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত। আমি আমার খিলাফতকালের প্রথম দু’বছর এ সম্পত্তি আমার দায়িত্বে রেখেছি এবং এর দ্বারা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বুকর (রাঃ) যা যা করতেন, তা করেছি। আল্লাহ তা‘আলাই জানেন যে, আমি এক্ষেত্রে সত্যবাদী, পুণ্যবান, সুপথপ্রাপ্ত ও সত্যাশ্রয়ী রয়েছি।
অতঃপর এখন আপনারা উভয়ে আমার নিকট এসেছেন। আর আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন এবং আপনাদের উভয়ের কথা একই। আর আপনাদের ব্যাপার একই। হে ‘আব্বাস (রাঃ)! আপনি আমার নিকট আপনার ভ্রাতুষ্পুত্রের সম্পত্তির অংশের দাবী নিয়ে এসেছেন আর ‘আলী (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, ইনি আমার নিকট তাঁর স্ত্রী কর্তৃক পিতার সম্পত্তিতে প্রাপ্য অংশ নিতে এসেছেন। আমি আপনাদের উভয়কেই বলছি যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমরা নবীগণের সম্পদ বণ্টিত হয় না, আমরা যা ছেড়ে যাই তা সাদাকারূপে গণ্য হয়।’ অতঃপর আমি সঙ্গত মনে করেছি যে, এ সম্পত্তিকে আপনাদের দায়িত্বে ছেড়ে দিব। এখন আমি আপনাদের বলছি যে, আপনারা যদি চান, তবে আমি এ সম্পত্তি আপনাদের নিকট সমর্পণ করে দিব। এ শর্তে যে, আপনাদের উপর আল্লাহ তা‘আলার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার থাকবে, আপনারা এ সম্পত্তির আয় আমদানী সে সকল কাজে ব্যয় করবেন, যে সকল কাজে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর (রাঃ) ও আমি আমার খিলাফতকালে এ যাবৎ ব্যয় করে এসেছি। তদুত্তরে আপনারা বলছেন, এ সম্পত্তিকে আমাদের নিকট দিয়ে দিন। আমি উক্ত শর্তের উপর আপনাদের প্রতি সমর্পণ করেছি। আপনাদেরকে (উসমান (রাঃ) ও তাঁর সাথীগণকে) উদ্দেশ্য করে আমি আল্লাহর কসম দিচ্ছি যে, বলুন তো আমি কি তাঁদেরকে এ শর্তে এ সম্পত্তি সমর্পণ করেছি? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) ‘আলী ও ‘আব্বাস (রাঃ)-এর প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে আল্লাহর নামে কসম দিচ্ছি, বলুন তো আমি কি এ শর্তে আপনাদের প্রতি এ সম্পত্তি সমর্পণ করেছি? তাঁরা উভয়ে বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) বললেন, আপনারা কি আমার নিকট এ ছাড়া অন্য কোন মীমাংসা চান? আল্লাহর কসম! যাঁর আদেশে আকাশ ও পৃথিবী আপন স্থানে প্রতিষ্ঠিত আছে, আমি এ ব্যাপারে এর বিপরীত কোন মীমাংসা করব না। যদি আপনারা এ শর্ত পালনে অক্ষম হন, তবে এ সম্পত্তি আমার দায়িত্বে ছেড়ে দিন। আপনাদের উভয়ের পক্ষ হতে এ সম্পত্তির দেখাশুনা করার জন্য আমিই যথেষ্ট। (২৯০৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭২)
بابُ فَرْضِ الخُمُسِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَرْوِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ،، وَكَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرٍ ذَكَرَ لِي ذِكْرًا مِنْ حَدِيثِهِ ذَلِكَ، فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ، فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ الْحَدِيثِ فَقَالَ مَالِكٌ بَيْنَا أَنَا جَالِسٌ فِي أَهْلِي حِينَ مَتَعَ النَّهَارُ، إِذَا رَسُولُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَأْتِينِي فَقَالَ أَجِبْ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى عُمَرَ، فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ عَلَى رِمَالِ سَرِيرٍ، لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ فِرَاشٌ مُتَّكِئٌ عَلَى وِسَادَةٍ مِنْ أَدَمٍ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ ثُمَّ جَلَسْتُ فَقَالَ يَا مَالِ، إِنَّهُ قَدِمَ عَلَيْنَا مِنْ قَوْمِكَ أَهْلُ أَبْيَاتٍ، وَقَدْ أَمَرْتُ فِيهِمْ بِرَضْخٍ فَاقْبِضْهُ فَاقْسِمْهُ بَيْنَهُمْ. فَقُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَوْ أَمَرْتَ بِهِ غَيْرِي. قَالَ اقْبِضْهُ أَيُّهَا الْمَرْءُ. فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ عِنْدَهُ أَتَاهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ يَسْتَأْذِنُونَ قَالَ نَعَمْ. فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا فَسَلَّمُوا وَجَلَسُوا، ثُمَّ جَلَسَ يَرْفَا يَسِيرًا ثُمَّ قَالَ هَلْ لَكَ فِي عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ قَالَ نَعَمْ. فَأَذِنَ لَهُمَا، فَدَخَلاَ فَسَلَّمَا فَجَلَسَا، فَقَالَ عَبَّاسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا. وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ فِيمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي النَّضِيرِ. فَقَالَ الرَّهْطُ عُثْمَانُ وَأَصْحَابُهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنَهُمَا وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا مِنَ الآخَرِ. قَالَ عُمَرُ تَيْدَكُمْ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ". يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفْسَهُ. قَالَ الرَّهْطُ قَدْ قَالَ ذَلِكَ. فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا اللَّهَ، أَتَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ قَالَ ذَلِكَ قَالاَ قَدْ قَالَ ذَلِكَ. قَالَ عُمَرُ فَإِنِّي أُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْفَىْءِ بِشَىْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ ـ ثُمَّ قَرَأَ (وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ) إِلَى قَوْلِهِ (قَدِيرٌ) ـ فَكَانَتْ هَذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. وَاللَّهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ، وَلاَ اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ قَدْ أَعْطَاكُمُوهُ، وَبَثَّهَا فِيكُمْ حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا الْمَالِ، ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، فَعَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ حَيَاتَهُ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ. ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالَ عُمَرُ ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. فَقَبَضَهَا أَبُو بَكْرٍ، فَعَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ فِيهَا لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ، فَكُنْتُ أَنَا وَلِيَّ أَبِي بَكْرٍ، فَقَبَضْتُهَا سَنَتَيْنِ مِنْ إِمَارَتِي، أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَا عَمِلَ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنِّي فِيهَا لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي تُكَلِّمَانِي وَكَلِمَتُكُمَا وَاحِدَةٌ، وَأَمْرُكُمَا وَاحِدٌ، جِئْتَنِي يَا عَبَّاسُ تَسْأَلُنِي نَصِيبَكَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ، وَجَاءَنِي هَذَا ـ يُرِيدُ عَلِيًّا ـ يُرِيدُ نَصِيبَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا، فَقُلْتُ لَكُمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ". فَلَمَّا بَدَا لِي أَنْ أَدْفَعَهُ إِلَيْكُمَا قُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ لَتَعْمَلاَنِ فِيهَا بِمَا عَمِلَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَبِمَا عَمِلَ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ، وَبِمَا عَمِلْتُ فِيهَا مُنْذُ وَلِيتُهَا، فَقُلْتُمَا ادْفَعْهَا إِلَيْنَا. فَبِذَلِكَ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا، فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ، هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا بِذَلِكَ قَالَ الرَّهْطُ نَعَمْ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ. قَالَ فَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ فَوَاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، لاَ أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَادْفَعَاهَا إِلَىَّ، فَإِنِّي أَكْفِيكُمَاهَا.
Narrated Malik bin Aus:
While I was at home, the sun rose high and it got hot. Suddenly the messenger of `Umar bin Al- Khattab came to me and said, "The chief of the believers has sent for you." So, I went along with him till I entered the place where `Umar was sitting on a bedstead made of date-palm leaves and covered with no mattress, and he was leaning over a leather pillow. I greeted him and sat down. He said, "O Mali! Some persons of your people who have families came to me and I have ordered that a gift should be given to them, so take it and distribute it among them." I said, "O chief of the believers! I wish that you order someone else to do it." He said, "O man! Take it." While I was sitting there with him, his doorman Yarfa' came saying, "`Uthman, `Abdur-Rahman bin `Auf, Az-Zubair and Sa`d bin Abi Waqqas are asking your permission (to see you); may I admit them?" `Umar said, "Yes", So they were admitted and they came in, greeted him, and sat down. After a while Yarfa' came again and said, "May I admit `Ali and `Abbas?" `Umar said, "yes." So, they were admitted and they came in and greeted (him) and sat down. Then `Abbas said, "O chief of the believers! Judge between me and this (i.e. `Ali)." They had a dispute regarding the property of Bani An-Nadir which Allah had given to His Apostle as Fai. The group (i.e. `Uthman and his companions) said, "O chief of the believers! Judge between them and relieve both of them front each other." `Umar said, "Be patient! I beseech you by Allah by Whose Permission the Heaven and the Earth exist, do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Our (i.e. prophets') property will not be inherited, and whatever we leave, is Sadaqa (to be used for charity),' and Allah's Messenger (ﷺ) meant himself (by saying "we'')?" The group said, "He said so." `Umar then turned to `Ali and `Abbas and said, "I beseech you by Allah, do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said so?" They replied, " He said so." `Umar then said, "So, I will talk to you about this matter. Allah bestowed on His Apostle with a special favor of something of this Fai (booty) which he gave to nobody else." `Umar then recited the Holy Verses: "What Allah bestowed as (Fai) Booty on his Apostle (Muhammad) from them --- for this you made no expedition with either cavalry or camelry: But Allah gives power to His Apostles over whomever He will 'And Allah is able to do all things." 9:6) `Umar added "So this property was especially given to Allah's Messenger (ﷺ), but, by Allah, neither did he take possession of it and leave your, nor did he favor himself with it to your exclusion, but he gave it to all of you and distributed it amongst you till this property remained out of it. Allah's Messenger (ﷺ) used to spend the yearly expenses of his family out of this property and used to keep the rest of its revenue to be spent on Allah 's Cause. Allah 's Apostle kept on doing this during all his lifetime. I ask you by Allah do you know this?" They replies in the affirmative. `Umar then said to `Ali and `Abbas. "I ask you by Allah, do you know this?" `Umar added, "When Allah had taken His Prophet unto Him, 'Abu Bakr said, 'I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ) so, Abu Bakr took over that property and managed it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) used to do, and Allah knows that he was true, pious and rightlyguided, and he was a follower of what was right. Then Allah took Abu Bakr unto Him and I became Abu Bakr's successor, and I kept that property in my possession for the first two years of my Caliphate, managing it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) used to do and as Abu Bakr used to do, and Allah knows that I have been true, pious, rightly guided, and a follower of what is right. Now you both (i.e. 'Ah and `Abbas) came to talk to me, bearing the same claim and presenting the same case; you, `Abbas, came to me asking for your share from your nephew's property, and this man, i.e. `Ali, came to me asking for his wife's share from her father's property. I told you both that Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Our (prophets') properties are not to be inherited, but what we leave is Sadaqa (to be used for charity).' When I thought it right that I should hand over this property to you, I said to you, 'I am ready to hand over this property to you if you wish, on the condition that you would take Allah's Pledge and Convention that you would manage it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) used to, and as Abu Bakr used to do, and as I have done since I was in charge of it.' So, both of you said (to me), 'Hand it over to us,' and on that condition I handed it over to you. So, I ask you by Allah, did I hand it over to them on this condition?" The group aid, "Yes." Then `Umar faced `Ali and `Abbas saying, "I ask you by Allah, did I hand it over to you on this condition?" They said, "Yes. " He said, " Do you want now to give a different decision? By Allah, by Whose Leave both the Heaven and the Earth exist, I will never give any decision other than that (I have already given). And if you are unable to manage it, then return it to me, and I will do the job on your behalf."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/২. খুমুস আদায় করা দ্বীনের অন্তর্গত।
৩০৯৫. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা রাবী‘আ গোত্রের একটি উপদল। আপনার ও আমাদের মাঝে মুযার (কাফির) গোত্রের বসবাস। তাই আমরা আপনার নিকট নিষিদ্ধ মাসসমূহ ব্যতীত অন্য সময় আসতে পারি না। কাজেই আপনি আমাদের এমন কাজে আদেশ করুন, যার উপর আমরা ‘আমল করব এবং আমাদের পশ্চাতে যারা রয়ে গেছে, তাদেরকেও তা ‘আমল করতে আহবান জানাব। তিনি (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি তোমাদেরকে চারটি কাজের আদেশ করছি এবং চারটি কাজ হতে নিষেধ করছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতের অঙ্গুলিতে তা গণনা করে বলেন, আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আন। আর তা হচ্ছে এ সাক্ষ্যদান করা যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই আর সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত দান করা, রমাযান মাসে সিয়াম পালন করা এবং আল্লাহর জন্য গনীমাত লদ্ধ সম্পদের এক পঞ্চমাংশ আদায় করা১। আর আমি তোমাদের শুকনো লাউয়ের খোলে তৈরি পাত্র, খেজুর গাছের মূল দ্বারা তৈরি পাত্র, সবুজ মটকা, আলকাতরার প্রলেপ দেয়া মটকা ব্যবহার করতে নিষেধ করছি। (৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭৩)
بَابُ أَدَاءُ الْخُمُسِ مِنْ الدِّينِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ أَبِيْ جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُوْلُ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّا هَذَا الْحَيَّ مِنْ رَبِيْعَةَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ كُفَّارُ مُضَرَ فَلَسْنَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلَّا فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ نَأْخُذُ بِهِ وَنَدْعُوْ إِلَيْهِ مَنْ وَرَاءَنَا قَالَ آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ الْإِيْمَانِ بِاللهِ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَعَقَدَ بِيَدِهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيْتَاءِ الزَّكَاةِ وَصِيَامِ رَمَضَانَ وَأَنْ تُؤَدُّوْا لِلهِ خُمُسَ مَا غَنِمْتُمْ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيْرِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ
Narrated Ibn `Abbas:
The delegates of the tribe of `Abdul-Qais came and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We are from the tribe of Rabi`a, and there is the infidels of the tribe of Mudar intervening between you and us, so we cannot come to you except in the Sacred Months. So please order us some instructions that we may apply it to ourselves and also invite our people whom we left behind us to observe as well." The Prophet (ﷺ) said, "I order you (to do) four (things) and forbid you (to do) four: I order you to believe in Allah, that is, to testify that None has the right to be worshipped but Allah (the Prophet (ﷺ) pointed with his hand); to offer prayers perfectly; to pay Zakat; to fast the month of Ramadan, and to pay the Khumus (i.e. one-fifth) of the war booty to Allah and I forbid you to use Ad-dubba', An-Naqir, Al-Hantam and Al-Muzaffat (i.e. utensils used for preparing alcoholic drinks)."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর স্ত্রীগণের ব্যয় নির্বাহ।
৩০৯৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উত্তরাধিকারীগণ একটি দ্বীনারও ভাগ বণ্টন করে নিবে না। আমি যা রেখে যাব, তা হতে আমার স্ত্রীগণের খরচাদি ও আমার কর্মচারীদের ব্যয় নির্বাহের পর বাকী যা থাকবে, তা সাদাকারূপে গণ্য হবে।’ (২৭৭৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭৪)
بَابُ نَفَقَةِ نِسَاءِ النَّبِيِّ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا يَقْتَسِمُ وَرَثَتِيْ دِيْنَارًا مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِيْ وَمَئُوْنَةِ عَامِلِيْ فَهُوَ صَدَقَةٌ
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "My heirs should not take even a single Dinar (i.e. anything from my property), and whatever I leave, excluding the expenditure of my wives and my laborers, will be Sadaqa (i.e. be used for charity)."'
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর স্ত্রীগণের ব্যয় নির্বাহ।
৩০৯৭. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত হল, তখন আমার ঘরে এমন কোন বস্তু ছিল না, যা খেয়ে কোন প্রাণী বাঁচতে পারে। শুধুমাত্র তাকের উপর আধা ওয়াসাক আটা পড়ে ছিল। আমি তা হতে খেতে থাকলাম এবং বেশ কিছুকাল কেটে গেল। অতঃপর আমি তা মেপে দেখলাম, ফলে তা শেষ হয়ে গেল।’ (৬৪৫১) (মুসলিম ৫৩ হাঃ ২৯৭৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭৫)
بَابُ نَفَقَةِ نِسَاءِ النَّبِيِّ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ تُوُفِّيَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَا فِيْ بَيْتِيْ مِنْ شَيْءٍ يَأْكُلُهُ ذُوْ كَبِدٍ إِلَّا شَطْرُ شَعِيْرٍ فِيْ رَفٍّ لِيْ فَأَكَلْتُ مِنْهُ حَتَّى طَالَ عَلَيَّ فَكِلْتُهُ فَفَنِيَ
Narrated Aisha:
Allah's Messenger (ﷺ) died, and there was nothing in my house that a living being could eat, except some barley Lying on a shelf. So, I ate of it for a long period and measured it, and (after a short period) it was consumed.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর স্ত্রীগণের ব্যয় নির্বাহ।
৩০৯৮. ‘আমর ইবনু হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর যুদ্ধাস্ত্র, সাদা খচ্চর ও কিছু যমীন ছাড়া কিছুই রেখে যাননি এবং তাও তিনি সাদাকা হিসেবে রেখে গেছেন।’ (২৭৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭৬)
بَابُ نَفَقَةِ نِسَاءِ النَّبِيِّ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ الْحَارِثِ قَالَ مَا تَرَكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَّا سِلَاحَهُ وَبَغْلَتَهُ الْبَيْضَاءَ وَأَرْضًا تَرَكَهَا صَدَقَةً
Narrated `Amr bin Al-Harith:
The Prophet (ﷺ) did not leave anything (after his death) except his arms, a white mule, and a (piece of) land which he had given as Sadaqa.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى (وَقَرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ) (وَ لَا تَدْخُلُوْا بُيُوْتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُّؤْذَنَ لَكُمْ)
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান কর- (আহযাব ৩৩)। (হে মুসলিমগণ) তোমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করবে না। (আহযাব ৫৩)
৩০৯৯. ’উবায়দুল্লাহ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু উতবা ইবনু মাস’ঊদ হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, ’রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ যখন অতি মাত্রায় বেড়ে গেল তখন তিনি আমার ঘরে অবস্থান করে রোগের সেবা শুশ্রুষার ব্যাপারে তাঁর অপর স্ত্রীগণের নিকট অনুমতি চান। তাঁকে অনুমতি হয়।’ (১৯৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭৭)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ
حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى وَمُحَمَّدٌ قَالَا أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ وَيُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُوْدٍ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِيْ بَيْتِيْ فَأَذِنَّ لَهُ
Narrated `Aisha:
(the wife of the Prophet) When the sickness of Allah's Messenger (ﷺ) got aggravated, he asked the permission of his wives that he should be treated in my house, and they permitted him.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।
৩১০০. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ঘরে আমার পালার দিন আমার কন্ঠ ও বুকের মধ্য বরাবর মাথা রাখা অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যু হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ও আমার মুখের লালাকে একত্রিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) একটি মিস্ওয়াক নিয়ে প্রবেশ করেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা চিবাতে অক্ষম হন। তখন আমি সে মিসওয়াকটি নিয়ে চিবিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাঁত মেজে দেই। (৮৯০) (মুসলিম ৪৪/১৫ হাঃ ২৪৪৯, আহমাদ ১৮৯৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭৮)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ حَدَّثَنَا نَافِعٌ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِيْ مُلَيْكَةَ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ بَيْتِيْ وَفِيْ نَوْبَتِيْ وَبَيْن سَحْرِيْ وَنَحْرِيْ وَجَمَعَ اللهُ بَيْنَ رِيْقِيْ وَرِيْقِهِ قَالَتْ دَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بِسِوَاكٍ فَضَعُفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْهُ فَأَخَذْتُهُ فَمَضَغْتُهُ ثُمَّ سَنَنْتُهُ بِهِ
Narrated Ibn Abu Mulaika:
`Aisha said, "The Prophet (ﷺ) died in my house on the day of my turn while he was leaning on my chest closer to my neck, and Allah made my saliva mix with his Saliva." `Aisha added, "`AbdurRahman came with a Siwak and the Prophet (ﷺ) was too weak to use it so I took it, chewed it and then (gave it to him and he) cleaned his teeth with it."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।
৩১০১. ‘আলী ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী সাফিয়্যা (রাঃ) তাঁকে জানিয়েছেন যে, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আসেন। তখন তিনি রমাযানের শেষ দশকে মসজিদে ই‘তিকাফ অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর যখন তিনি ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ান, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও তাঁর সঙ্গে উঠে দাঁড়ালেন। যখন তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অপর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর দরজার নিকটবর্তী মসজিদের দরজার নিকট পৌঁছলেন তখন দু’জন আনসার তাঁদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, একটু থাম, (এ মহিলা আমার স্ত্রী তারা বলল, সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ রকম বলাটা তাদের নিকট কষ্টদায়ক মনে হল। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘শয়তান মানুষের রক্ত কণিকার মত সর্বত্র বিচরণ করে। আমি আশঙ্কা করেছিলাম, না জানি সে তোমাদের মনে কোন সন্দেহ জাগ্রত করে দেয়।’ (২০৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭৯)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ
حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَنَّ صَفِيَّةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُوْلَ اللهِ تَزُوْرُهُ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ فَقَامَ مَعَهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا بَلَغَ قَرِيْبًا مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ عِنْدَ بَابِ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِمَا رَجُلَانِ مِنْ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُوْلِ اللهِ ثُمَّ نَفَذَا فَقَالَ لَهُمَا رَسُوْلُ اللهِ عَلَى رِسْلِكُمَا قَالَا سُبْحَانَ اللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا ذَلِكَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنْ الْإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ وَإِنِّيْ خَشِيْتُ أَنْ يَقْذِفَ فِيْ قُلُوْبِكُمَا شَيْئًا
Narrated Safiya:
(the wife of the Prophet) That she came to visit Allah's Messenger (ﷺ) while he was in I`tikaf (i.e. seclusion in the Mosque during the last ten days of Ramadan). When she got up to return, Allah's Messenger (ﷺ) got up with her and accompanied her, and when he reached near the gate of the Mosque close to the door (of the house) of Um Salama, the wife of the Prophet, two Ansari men passed by them and greeted Allah's Apostle and then went away. Allah's Messenger (ﷺ) addressed them saying, "Don't hurry! (She is my wife)," They said, "Glorified be Allah! O Allah's Messenger (ﷺ) (You are far away from any suspicion)," and his saying was hard on them. Allah's Messenger (ﷺ) said, "Satan circulates in the mind of a person as blood does (in his body). I was afraid that Satan might put some (evil) thoughts in your minds."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।
৩১০২. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাফসাহ (রাঃ)-এর ঘরের উপর আরোহণ করি। তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কিবলাকে পেছন দিকে রেখে সিরিয়া মুখী হয়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে নিতে দেখলাম। (১৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮০)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ ارْتَقَيْتُ فَوْقَ بَيْتِ حَفْصَةَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْضِيْ حَاجَتَهُ مُسْتَدْبِرَ الْقِبْلَةِ مُسْتَقْبِلَ الشَّأْمِ
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Once I went upstairs in Hafsa's house and saw the Prophet (ﷺ) answering the call of nature with his back towards the Qibla and facing Sham.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।
৩১০৩. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসরের সালাত তখন আদায় করতেন, যখন সূর্যের আলো তার আঙ্গিণা থেকে বাহির হয়ে যায়নি। (৫২২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮১)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ لَمْ تَخْرُجْ مِنْ حُجْرَتِهَا
Narrated Aisha:
That Allah's Messenger (ﷺ) used to offer the `Asr prayer while the sun was still shining in her Hujra (i.e. her dwelling place).
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।
৩১০৪. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুত্বা দিতে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরের দিকে ইশারা করে তিনবার বললেন, এ দিক থেকেই ফিতনা, যে দিক হতে সূর্য উদয়ের কালে শয়তান দাঁড়িয়ে থাকে। (৩২৭৯, ৩৫১১, ৫২৯৬, ৭০৯২, ৭০৯৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮২)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطِيْبًا فَأَشَارَ نَحْوَ مَسْكَنِ عَائِشَةَ فَقَالَ هُنَا الْفِتْنَةُ ثَلَاثًا مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ
Narrated `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) stood up and delivered a sermon, and pointing to `Aisha's house (i.e. eastwards), he said thrice, "Affliction (will appear from) here," and, "from where the side of the Satan's head comes out (i.e. from the East).
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।
৩১০৫. ‘আমরাহ বিনতু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর নিকট ছিলেন। তখন ‘আয়িশাহ (রাঃ) আওয়াজ শুনতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি হাফসাহ (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ ব্যক্তি আপনার ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার মনে হয়, সে অমুক, হাফসাহ (রাঃ)-এর দুধ চাচা। দুধপান তা-ই হারাম করে, যা জন্মগত সম্পর্ক হারাম করে। (২৬৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮৩)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ ابْنَةِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَهَا وَأَنَّهَا سَمِعَتْ صَوْتَ إِنْسَانٍ يَسْتَأْذِنُ فِيْ بَيْتِ حَفْصَةَ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِيْ بَيْتِكَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُرَاهُ فُلَانًا لِّعَمِّ حَفْصَةَ مِنْ الرَّضَاعَةِ الرَّضَاعَةُ تُحَرِّمُ مَا تُحَرِّمُ الْوِلَادَةُ
Narrated `Amra bint `Abdur-Rahman:
`Aisha, the wife of the Prophet (ﷺ) told her that once Allah's Messenger (ﷺ) was with her and she heard somebody asking permission to enter Hafsa's house. She said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This man is asking permission to enter your house." Allah's Messenger (ﷺ) replied, "I think he is so-and-so (meaning the foster uncle of Hafsa). What is rendered illegal because of blood relations, is also rendered illegal because of the corresponding foster-relations."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মুহর এবং তাঁর পরের খলীফাগণ সে সব দ্রব্য হতে যা ব্যবহার করেছেন, আর যেগুলোর বণ্টনের কথা অনুল্লেখিত রয়েছে এবং তাঁর চুল, পাদুকা ও পাত্র নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর সাহাবীগণ ও অন্যরা যাতে শরীক ছিলেন।
৩১০৬. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। যখন আবূ বকর (রাঃ) খলীফা হন, তখন তিনি তাঁকে বাহরাইনে প্রেরণ করেন এবং তাঁর এ বিষয়ে একটি নিয়োগপত্র লিখে দেন। আর তাতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মোহর দ্বারা সীলমোহর করে দেন। উক্ত মোহরে তিনটি লাইন খোদিত ছিল। এক লাইনে মুহাম্মদ, এক লাইনে রাসূল ও এক লাইনে আল্লাহ। (১৪৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮৪)
بَابُ مَا ذُكِرَ مِنْ دِرْعِ النَّبِيِّ وَعَصَاهُ وَسَيْفِهِ وَقَدَحِهِ وَخَاتَمِهِ وَمَا اسْتَعْمَلَ الْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُذْكَرْ قِسْمَتُهُ وَمِنْ شَعَرِهِ وَنَعْلِهِ وَآنِيَتِهِ مِمَّا يَتَبَرَّكُ أَصْحَابُهُ وَغَيْرُهُمْ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأَنْصَارِيُّ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ عَنْ ثُمَامَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ لَمَّا اسْتُخْلِفَ بَعَثَهُ إِلَى الْبَحْرَيْنِ وَكَتَبَ لَهُ هَذَا الْكِتَابَ وَخَتَمَهُ بِخَاتَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ نَقْشُ الْخَاتَمِ ثَلَاثَةَ أَسْطُرٍ مُحَمَّدٌ سَطْرٌ وَرَسُوْلُ سَطْرٌ وَاللهِ سَطْرٌ
Narrated Anas:
That when Abu Bakr became the Caliph, he sent him to Bahrain and wrote this letter for him, and stamped it with the Ring of the Prophet. Three lines were engraved on the Ring, (the word) 'Muhammad' was in a line, 'Apostle' was in another line, and 'Allah' in a third.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মুহর এবং তাঁর পরের খলীফাগণ সে সব দ্রব্য হতে যা ব্যবহার করেছেন, আর যেগুলোর বণ্টনের কথা অনুল্লেখিত রয়েছে এবং তাঁর চুল, পাদুকা ও পাত্র নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর সাহাবীগণ ও অন্যরা যাতে শরীক ছিলেন।
৩১০৭. ‘ঈসা ইবনু তাহমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) দু’টি পশমবিহীন পুরনো চপ্পল বের করলেন, যাতে দু’টি ফিতা লাগানো ছিল। সাবিত বুনানী (রহ.) পরে আনাস (রাঃ) হতে এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, এ দু’টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাদুকা ছিল। (৫৮৫৭, ৫৮৫৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮৫)
بَابُ مَا ذُكِرَ مِنْ دِرْعِ النَّبِيِّ وَعَصَاهُ وَسَيْفِهِ وَقَدَحِهِ وَخَاتَمِهِ وَمَا اسْتَعْمَلَ الْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُذْكَرْ قِسْمَتُهُ وَمِنْ شَعَرِهِ وَنَعْلِهِ وَآنِيَتِهِ مِمَّا يَتَبَرَّكُ أَصْحَابُهُ وَغَيْرُهُمْ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأَسَدِيُّ حَدَّثَنَا عِيْسَى بْنُ طَهْمَانَ قَالَ أَخْرَجَ إِلَيْنَا أَنَسٌ نَعْلَيْنِ جَرْدَاوَيْنِ لَهُمَا قِبَالَانِ فَحَدَّثَنِيْ ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ بَعْدُ عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُمَا نَعْلَا النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Isa bin Tahman:
Anas brought out to us two worn out leather shoes without hair and with pieces of leather straps. Later on Thabit Al-Banani told me that Anas said that they were the shoes of the Prophet.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মুহর এবং তাঁর পরের খলীফাগণ সে সব দ্রব্য হতে যা ব্যবহার করেছেন, আর যেগুলোর বণ্টনের কথা অনুল্লেখিত রয়েছে এবং তাঁর চুল, পাদুকা ও পাত্র নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর সাহাবীগণ ও অন্যরা যাতে শরীক ছিলেন।
৩১০৮. আবূ বুরদাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) একটি মোটা তালি বিশিষ্ট কম্বল বের করলেন আর বললেন, এ কম্বল জড়ানো অবস্থায়ই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত হয়েছে। আর সুলাইমান (রহ.) হুমাইদ (রহ.) সূত্রে আবূ বুরদাহ (রাঃ) হতে বাড়িয়ে বর্ণনা করেছেন যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) ইয়ামানে তৈরি একটি মোটা তহবন্দ এবং একটি কম্বল যাকে তোমরা জোড়া লাগানো বলে থাক, আমাদের নিকট বের করলেন। (৫৮১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮৬)
بَابُ مَا ذُكِرَ مِنْ دِرْعِ النَّبِيِّ وَعَصَاهُ وَسَيْفِهِ وَقَدَحِهِ وَخَاتَمِهِ وَمَا اسْتَعْمَلَ الْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُذْكَرْ قِسْمَتُهُ وَمِنْ شَعَرِهِ وَنَعْلِهِ وَآنِيَتِهِ مِمَّا يَتَبَرَّكُ أَصْحَابُهُ وَغَيْرُهُمْ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ أَبِيْ بُرْدَةَ قَالَ أَخْرَجَتْ إِلَيْنَا عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كِسَاءً مُلَبَّدًا وَقَالَتْ فِيْ هَذَا نُزِعَ رُوْحُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَزَادَ سُلَيْمَانُ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَبِيْ بُرْدَةَ قَالَ أَخْرَجَتْ إِلَيْنَا عَائِشَةُ إِزَارًا غَلِيْظًا مِمَّا يُصْنَعُ بِالْيَمَنِ وَكِسَاءً مِنْ هَذِهِ الَّتِيْ يَدْعُوْنَهَا الْمُلَبَّدَةَ
Narrated Abu Burda:
`Aisha brought out to us a patched wool Len garment, and she said, "(It chanced that) the soul of Allah's Messenger (ﷺ) was taken away while he was wearing this." Abu-Burda added, "Aisha brought out to us a thick waist sheet like the ones made by the Yemenites, and also a garment of the type called Al- Mulabbada."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মুহর এবং তাঁর পরের খলীফাগণ সে সব দ্রব্য হতে যা ব্যবহার করেছেন, আর যেগুলোর বণ্টনের কথা অনুল্লেখিত রয়েছে এবং তাঁর চুল, পাদুকা ও পাত্র নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর সাহাবীগণ ও অন্যরা যাতে শরীক ছিলেন।
৩১০৯. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেয়ালা ভেঙ্গে যায়। তখন তিনি ভাঙ্গা জায়গায় রূপার পাত দিয়ে জোড়া লাগান। আসিম (রহ.) বলেন, আমি সে পেয়ালাটি দেখেছি এবং তাতে আমি পান করেছি। (৫৬৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮৭)
بَابُ مَا ذُكِرَ مِنْ دِرْعِ النَّبِيِّ وَعَصَاهُ وَسَيْفِهِ وَقَدَحِهِ وَخَاتَمِهِ وَمَا اسْتَعْمَلَ الْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُذْكَرْ قِسْمَتُهُ وَمِنْ شَعَرِهِ وَنَعْلِهِ وَآنِيَتِهِ مِمَّا يَتَبَرَّكُ أَصْحَابُهُ وَغَيْرُهُمْ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ عَنْ أَبِيْ حَمْزَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ سِيْرِيْنَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ قَدَحَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم انْكَسَرَ فَاتَّخَذَ مَكَانَ الشَّعْبِ سِلْسِلَةً مِنْ فِضَّةٍ قَالَ عَاصِمٌ رَأَيْتُ الْقَدَحَ وَشَرِبْتُ فِيْهِ
Narrated Anas bin Malik:
When the cup of Allah's Messenger (ﷺ) got broken, he fixed it with a silver wire at the crack. (The subnarrator, `Asim said, "I saw the cup and drank (water) in it.")
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মুহর এবং তাঁর পরের খলীফাগণ সে সব দ্রব্য হতে যা ব্যবহার করেছেন, আর যেগুলোর বণ্টনের কথা অনুল্লেখিত রয়েছে এবং তাঁর চুল, পাদুকা ও পাত্র নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর সাহাবীগণ ও অন্যরা যাতে শরীক ছিলেন।
৩১১০. ‘আলী ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তাঁরা ইয়াযীদ ইবনু মু'আবিয়াহর নিকট হতে হুসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর মদিনা্য় আসলেন, তখন তাঁর সঙ্গে মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) মিলিত হলেন এবং বললেন, আপনার কি আমার নিকট কোন প্রয়োজন আছে? থাকলে বলুন। তখন আমি তাঁকে বললাম, না। তখন মিসওয়ার (রাঃ) বললেন, আপনি কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারীটি দিবেন? আমার আশঙ্কা হয়, লোকেরা আপনাকে কাবু করে তা ছিনিয়ে নিবে। আল্লাহর কসম! আপনি যদি আমাকে এটি দেন, তবে আমার জীবন থাকা অবধি কেউ আমার নিকট হতে তা নিতে পারবে না। একবার ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ফাতিমাহ (রাঃ) থাকা অবস্থায় আবূ জাহল কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। আমি তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর মিম্বারে দাঁড়িয়ে লোকদের এ খুত্বা দিতে শুনেছি, আর তখন আমি সাবালক। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘ফাতিমা আমার হতেই। আমি আশঙ্কা করছি সে দ্বীনের ব্যাপারে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে পড়ে।’ অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানূ আবদে শামস গোত্রের এক জামাতার ব্যাপারে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর জামাতা সম্পর্কে প্রশংসা করেন এবং বলেন, সে আমার সঙ্গে যা বলেছে, তা সত্য বলেছে, আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছে, তা পূরণ করেছে। আমি হালালকে হারামকারী নই এবং হারামকে হালালকারী নই। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর দুশমনের মেয়ে একত্র হতে পারে না। (মুসলিম ৪৪/১৫ হাঃ ২৪৪৯, আহমাদ ১৮৯৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮৮)
بَابُ مَا ذُكِرَ مِنْ دِرْعِ النَّبِيِّ وَعَصَاهُ وَسَيْفِهِ وَقَدَحِهِ وَخَاتَمِهِ وَمَا اسْتَعْمَلَ الْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُذْكَرْ قِسْمَتُهُ وَمِنْ شَعَرِهِ وَنَعْلِهِ وَآنِيَتِهِ مِمَّا يَتَبَرَّكُ أَصْحَابُهُ وَغَيْرُهُمْ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا أَبِيْ أَنَّ الْوَلِيْدَ بْنَ كَثِيْرٍ حَدَّثَهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيِّ حَدَّثَهُ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ حُسَيْنٍ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ حِيْنَ قَدِمُوْا الْمَدِيْنَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيْدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَيَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِيْ بِهَا فَقُلْتُ لَهُ لَا فَقَالَ لَهُ فَهَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّيْ أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيْهِ لَا يُخْلَصُ إِلَيْهِمْ أَبَدًا حَتَّى تُبْلَغَ نَفْسِيْ إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِيْ طَالِبٍ خَطَبَ ابْنَةَ أَبِيْ جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام فَسَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ فِيْ ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّيْ وَأَنَا أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِيْ دِيْنِهَا ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِيْ عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِيْ مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ قَالَ حَدَّثَنِيْ فَصَدَقَنِيْ وَوَعَدَنِيْ فَوَفَى لِيْ وَإِنِّيْ لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلَالًا وَلَا أُحِلُّ حَرَامًا وَلَكِنْ وَاللهِ لَا تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَبِنْتُ عَدُوِّ اللهِ أَبَدًا
Narrated `Ali bin Al-Husain:
That when they reached Medina after returning from Yazid bin Mu'awaiya after the martyrdom of Husain bin `Ali (may Allah bestow His Mercy upon him), Al-Miswar bin Makhrama met him and said to him, "Do you have any need you may order me to satisfy?" `Ali said, "No." Al-Miswar said, Will you give me the sword of Allah's Messenger (ﷺ) for I am afraid that people may take it from you by force? By Allah, if you give it to me, they will never be able to take it till I die." When `Ali bin Abu Talib demanded the hand of the daughter of Abi Jahal to be his wife besides Fatima, I heard Allah's Messenger (ﷺ) on his pulpit delivering a sermon in this connection before the people, and I had then attained my age of puberty. Allah's Messenger (ﷺ) said, "Fatima is from me, and I am afraid she will be subjected to trials in her religion (because of jealousy)." The Prophet (ﷺ) then mentioned one of his son-in-law who was from the tribe of 'Abu Shams, and he praised him as a good son-in-law, saying, "Whatever he said was the truth, and he promised me and fulfilled his promise. I do not make a legal thing illegal, nor do I make an illegal thing legal, but by Allah, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and the daughter of the enemy of Allah, (i.e. Abu Jahl) can never get together (as the wives of one man).