পরিচ্ছেদঃ ১. নযর বা মানত পূরণ করা
২৩৭১. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, এক মহিলা হাজ্জের মানত করেছিল। কিন্তু সে মারা গেলো। তখন তার ভাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তার ওপর কোন ঋণ থাকলে তবে কি তুমি তা আদায় করতে না? লোকটি বলল, হাঁ। তিনি বললেনঃ “কাজেই আল্লাহর হককে আদায় করে দাও। কেননা, আল্লাহর হক আদায় করা আরো বড় কর্তব্য।”[1]
بَاب الْوَفَاءِ بِالنَّذْرِ
أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ امْرَأَةً نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ فَمَاتَتْ فَجَاءَ أَخُوهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ كَانَ عَلَيْهَا دَيْنٌ كُنْتَ قَاضِيَهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَاقْضُوا اللَّهَ فَاللَّهُ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ
তাখরীজ: এটি ১৮০৯ নং এ গত হয়েছে। এছাড়াও, ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৫০১, ৯৪২। ((বুখারী, আইমান ওয়ান নুযূর ৬৬৯৯; মুসলিম, সিয়াম ১১৪৮))
পরিচ্ছেদঃ ১. নযর বা মানত পূরণ করা
২৩৭২. ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে রাসূলুল্লাহ! আমি জাহেলিয়্যাতের যুগে একটি মানত করেছিলাম। এরপর ইসলাম এসে পড়লো (আমি মুসলিম হয়ে গেলাম)। তিনি বললেনঃ “তুমি তোমার মানত পূর্ণ কর।”[1]
بَاب الْوَفَاءِ بِالنَّذْرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا حَفْصٌ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي نَذَرْتُ نَذْرًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ ثُمَّ جَاءَ الْإِسْلَامُ قَالَ فِ بِنَذْرِكَ
তাখরীজ: বুখারী, ই’তিকাফ ২০৩২, আইমান ওয়ান নুযূর ৬৬৯৭; মুসলিম, আইমান ১৬৫৬।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৭৯, ৪৩৮০ তে।
পরিচ্ছেদঃ ২. মানতের কাফ্ফারা সম্পর্কে
২৩৭৩. উকবা ইবন আমির রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, আমার বোন পায়ে হেঁটে এবং ওড়না না পরে আল্লাহ’র (ঘরের) উদ্দেশ্যে হাজ্জ পালনের মানত করেছে। বিষয়টি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানালাম। তখন তিনি বললেন, তোমার বোনকে বলো, সে যেন খিমার বা ওড়না পরে, সওয়ারীতে আরোহণ করে যায় এবং (মানতের কাফফারা স্বরূপ) তিন দিন সওম পালন করে।”[1]
بَاب فِي كَفَّارَةِ النَّذْرِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الرُّعَيْنِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَحُجَّ لِلَّهِ مَاشِيَةً غَيْرَ مُخْتَمِرَةٍ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مُرْ أُخْتَكَ فَلْتَخْتَمِرْ وَلْتَرْكَبْ وَلْتَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ
তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইয়্যিদ ১৮৬৬; মুসলিম, নযর ১৬৪৪।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ১৭৫৩ তে। আর আমি ইতিপূর্বে সেখানে (ভূল করে) বলেছি: এর সনদ সহীহ’। তবে আমার রবের প্রশংসা যিনি বিভ্রান্ত হন না এবং ভুলেও যান না।
পরিচ্ছেদঃ ২. মানতের কাফ্ফারা সম্পর্কে
২৩৭৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। উকবা ইবনু আমির-এর বোন পায়ে হেঁটে বাইতুল্লাহ’য় (হাজ্জে) যাওয়ার মানত করল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা তোমার বোনের এ মানতের মুখাপেক্ষী নন। সে যেন বাহনে সওয়ার হয়ে হজ্জ করতে যায় এবং একটি পশু কুরবানী করে।”[1]
بَاب فِي كَفَّارَةِ النَّذْرِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ أَخْبَرَنِي قَتَادَةُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أُخْتَ عُقْبَةَ نَذَرَتْ أَنْ تَمْشِيَ إِلَى الْبَيْتِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ لَغَنِيٌّ عَنْ نَذْرِ أُخْتِكَ لِتَرْكَبْ وَلْتُهْدِ هَدْيًا
তাখরীজ: আবূ দাউদ, আইমান ওয়ান নুযূর ৩২৯৬, ৩২৯৭; আহমাদ ১/২৩৯, ২৫৩, ৩১১; তাবারাণী, কাবীর ১১/৩০৮ নং ১১৮২৮, ১১৮২৯; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা, ৯৩৬; বাইহাকী, নুযুর ১০/৭৯; আবী ইয়া’লা নং ২৭৩৭; হাকিম ৪/৩০২ তে একে সহীহ বলেছেন; মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ, আল গাইলানির্য়্যাহ নং৭০৭, ৭০৮।
পরিচ্ছেদঃ ২. মানতের কাফ্ফারা সম্পর্কে
২৩৭৫. আনাস ইবন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতে পান যে, জনৈক বয়স্ক ব্যক্তি তার দু’ছেলের মাঝে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিল । তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন: “এ লোকটির কী হয়েছে?” তখন তার দু’ছেলে বললো: লোকটি পায়ে হেঁটে চলার জন্য মানত করেছে। তখন তিনি বলেনঃ “তুমি সাওয়ার হয়ে চলো। কেননা, আল্লাহ্ তা’আলা তোমার ও তোমার মানতের মুখাপেক্ষী নন।”[1]
بَاب فِي كَفَّارَةِ النَّذْرِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَدْرَكَ شَيْخًا يَمْشِي بَيْنَ ابْنَيْهِ فَقَالَ مَا شَأْنُ هَذَا الشَّيْخِ فَقَالَ ابْنَاهُ نَذَرَ أَنْ يَمْشِيَ فَقَالَ ارْكَبْ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنْكَ وَعَنْ نَذْرِكَ
তাখরীজ: মুসলিম, নযর ১৬৪৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ২৫৪ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. আল্লাহর অবাধ্যতামূলক বিষয়ে কোনো মানত মানা যাবে না
২৩৭৬. ইমরান ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “এমন মানত পূরণ করার প্রয়োজন নেই, যা আল্লাহর নাফরমানীমূলক কাজে করা হয় এবং বনূ আদম যার মালিক নয়।”[1]
بَاب لَا نَذْرَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلَا فِيمَا لَا يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ
তাখরীজ: মুসলিম, নযর ১৬৪১।
আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৯১, ৪৩৯২, ৪৮৫৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৫১ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. আল্লাহর অবাধ্যতামূলক বিষয়ে কোনো মানত মানা যাবে না
২৩৭৭. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি মানত করলো যে, সে আল্লাহর আনুগত্য করবে, তবে সে যেন তাঁর আনুগত্য করে; আর যে ব্যক্তি মানত করলো যে, সে আল্লাহর অবাধ্যতা করবে, সে যেন তাঁর অবাধ্যতা না করে।”[1]
بَاب لَا نَذْرَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْأَيْلِيِّ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ نَذَرَ أَنْ يَطِيعَ اللَّهَ فَلْيُطِعْهُ وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَ اللَّهَ فَلَا يَعْصِهِ
তাখরীজ: মালিক, নুযুর ৮ সহীহ সনদে; বুখারী, আইমান ওয়ান নুযূর ৬৭০০;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ৪৮৬৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৮৭, ৪৩৮৮, ৪৩৮৯, ৪৩৯০ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ব্যক্তি মানত করলো যে, সে বায়তুল মাকদিসে সালাত আদায় করবে, সে যদি মক্কায় (বায়তুল্লাহয়) সালাত আদায় করে, তবে তা কি তার জন্য যথেষ্ট হবে
২৩৭৮. জাবির ইবন আবদিল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি (মক্কা বিজয়ের বছর) বললো: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি এরূপ মানত করেছি যে, যদি আল্লাহ্ আপনাকে মক্কা বিজয় করিয়ে দেন, তবে আমি বায়তুল মাকদিসে গিয়ে দু’রাকআত সালাত আদায় করব। তখন তিনি বললেনঃ “তুমি এখানেই দু’রাকআত সালাত আদায় করে নাও। সে ব্যক্তি তিনবার কথাটির পুনরাবৃত্তি করলে তিনি বলেনঃ “তাহলে এ ব্যাপারে তোমার যা ইচ্ছা কর।”[1]
بَاب مَنْ نَذَرَ أَنْ يُصَلِّيَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ أَيُجْزِئُهُ أَنْ يُصَلِّيَ بِمَكَّةَ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي بَقِيَّةَ الْمُعَلِّمِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَجُلًا قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي نَذَرْتُ إِنْ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ أَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَقَالَ صَلِّ هَا هُنَا فَأَعَادَ عَلَيْهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَأْنُكَ إِذَنْ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ২১১৬, ২২২৪ তে। এছাড়াও, হাকিম ৪/৩০৪-৩০৫; বাইহাকী, আল মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার ১৯৭০৭; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৯৪৫। ((আবূ দাউদ, আইমান ওয়ান নুযূর নং ৩৩০৫- অনুবাদক।))
পরিচ্ছেদঃ ৫. মানত করার নিষেধাজ্ঞা
২৩৭৯. আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মানত করাতে (তাকদীরের) কোন কিছু পরিবর্তন হয় না। তবে, মানতের দ্বারা কৃপণ বা লোভীর কাছ থেকে (কিছু মাল) বের করা হয়।”[1]
بَاب النَّهْيِ عَنْ النَّذْرِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ إِنَّ النَّذْرَ لَا يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنْ الشَّحِيحِ
তাখরীজ: বুখারী, আইমান ওয়ান নুযূর ৬৬০৮; মুসলিম, নযর ১৬৫৬।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৭৫, ৪৩৭৫, ৪৩৭৮ তে। আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী ১১/২৩৭।
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম করা
২৩৮০. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে এমন অবস্থায় পেলেন, যখন তিনি সাওয়ারীতে আরোহী অবস্থায় যাত্রা করছিলেন এবং তিনি তাঁর পিতার নামে কসম খাচ্ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “আল্লাহ্ তোমাদের বাপ-দাদার নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। কাজেই যে কেউ শপথ করতে চায়, সে যেন কেবল আল্লাহর নামেই শপথ করে, নতুবা সে যেন চুপ থাকে।”[1]
بَاب النَّهْيِ أَنْ يُحْلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَدْرَكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَهُوَ يَسِيرُ فِي رَكْبٍ وَهُوَ يَحْلِفُ بِأَبِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ فَمَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللَّهِ أَوْ لِيَصْمُتْ
তাখরীজ: বুখারী, শাহাদাত ২৬৭৯; মুসলিম, আইমান ১৬৪৬।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ৫৪৩০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৫৯, ৪৩৬০, ৪৩৬১, ৪৩৬২ এবং মুসনাদুল হুমাইদী ন্ং ৭০৭ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৭. শপথের সময় ইনশা আল্লাহ বলা
২৩৮১. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি শপথ করে ইনশাআল্লাহ বললো, সে তো (তার শপথের) ব্যতিক্রম করলো।”[1]
بَاب فِي الِاسْتِثْنَاءِ فِي الْيَمِينِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ ثُمَّ قَالَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَقَدْ اسْتَثْنَى
তাখরীজ: আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৩৯, ৪৩৪০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১১৮৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭০৭ তে। ((ইবনু মাজাহ, কাফ্ফারাত, নং ২১০৫-২১০৬; নাসাঈ, আইমান ৭/১২; মালিক, মুয়াত্তা, আইমান হা/১০।))
পরিচ্ছেদঃ ৭. শপথের সময় ইনশা আল্লাহ বলা
২৩৮২. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার শপথের সাথে ইনশাআল্লাহ যুক্ত করলো, তার জন্য ইখতিয়ার (অবকাশ) রয়েছে, সে চাইলে (শপথকৃত কাজটি) করতেও পারে আবার ইচ্ছা করলে তা নাও করতে পারে।”[1]
بَاب فِي الِاسْتِثْنَاءِ فِي الْيَمِينِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ ثُمَّ قَالَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَهُوَ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ فَعَلَ وَإِنْ شَاءَ لَمْ يَفْعَلْ
তাখরীজ: আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৪২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১১৮৪ তে। আগের টীকাটিও দেখুন।
পরিচ্ছেদঃ ৮. কসমই শপথ
২৩৮৩. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলেন: “তুমি কসম করো না।”[1] আবূ মুহাম্মদ (দারিমী) বলেন, এ সম্পর্কে দীর্ঘ হাদীস রয়েছে।
بَاب الْقَسَمُ يَمِينٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ لَا تُقْسِمْ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْحَدِيثُ فِيهِ طُولٌ
তাখরীজ: এটি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে বিগত ২২০২ নং এ। ((মুসলিম, আইমান ১৬৫১; নাসাঈ, আইমান ৭/১০-১১; আহমাদ, ২/১৮৫, ২০৪, ৩৬১ ও ৩/৭৬ ও ৪/২৫৬; ইবনু মাজাহ, কাফফারাত ২১০৮।–ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/২৩৪৪ এর টীকা হতে। -অনুবাদক))
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয়ে শপথ করার পর অন্য বিষয়কে এরচেয়ে উত্তম দেখতে পায়
২৩৮৪. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর নামক মাথায় পক্ষাক্ষাতগ্রস্ত এক ব্যক্তি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোক আদী ইবনু হাতিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট কিছু চাইল। তখন তিনি শপথ করলেন যে, তিনি তাকে কিছুই দেবেন না। অতঃপর তিনি বললেন, আমি যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একথা বলতে না শুনতাম, তিনি বলেছেন: “কোন ব্যক্তি শপথ করার পর অপর কোনো বিষয়ে কল্যাণ দেখতে পেলে সে যেন ঐ কল্যাণকর কাজটি করে এবং তার শপথের কাফফারা আদায় করে।”[1]
بَاب مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو هُوَ ابْنُ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو زَمَنَ الْجَمَاجِمِ يُحَدِّثُ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ فَحَلَفَ أَنْ لَا يُعْطِيَهُ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ لَوْلَا أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ
তাখরীজ: মুসলিম, আইমান ১৬৫১; আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৪৬ তে।
এছাড়াও, বুখারী ৫/১৫১।
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয়ে শপথ করার পর অন্য বিষয়কে এরচেয়ে উত্তম দেখতে পায়
২৩৮৫. আবদুর রহমান ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে আবদুর রহমান ইবনু সামুরা, শাসন ক্ষমতা বা নেতৃত্ব চেয়ে নেবে না। কেননা যদি চাওয়ার কারণে তা তোমাকে তা দেয়া হয়, তবে এর (ভাল মন্দের) দায়-দায়িত্ব তোমার প্রতিই সোপর্দ করা হবে। আর যদি চাওয়া ছাড়াই তা তোমাকে তা দেয়া হয়, তবে এই বিষয়ে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) তুমি সাহায্য প্রাপ্ত হবে। আবার কোন বিষয়ে কসম করার পরে অন্য একটি বিষয়কে যদি তা থেকে উত্তম দেখতে পাও, তবে তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিবে এবং ঐ ভাল কাজটি করবে।”[1]
بَاب مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لَا تَسْأَلْ الْإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا فَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ وَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ
তাখরীজ: বুখারী, আহকাম ৭১৪৭; মুসলিম, আইমান ১৬৫২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৪৮ তে। এছাড়াও, ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৯২৯; ইবনুল কানি’, মুজামুস সাহাবাহ, তারজমাহ ৬৪৫।
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয়ে শপথ করার পর অন্য বিষয়কে এরচেয়ে উত্তম দেখতে পায়
২৩৮৬. (অপর সূত্রে) আবদুর রহমান ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: … এ বলে তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।[1]
بَاب مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ نَحْوَ الْحَدِيثِ
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তির উপর একটি মু’মিন দাসী মুক্ত করার দায়িত্ব রয়েছে
২৩৮৭. শারিদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললাম: আমার মায়ের উপর একটি দাসমুক্তি ওয়াজিব ছিল। এখন আমার একটি ’নুয়াইবী (সুদান অঞ্চলের) কালো দাসী রয়েছে। (আমি যদি তাকে মুক্ত করি,) তবে তা আমার মায়ের পক্ষ হতে যথেষ্ট হবে কি? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। (তাকে নিয়ে আসলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি এ কথার সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই? সে বলেঃ হাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাকে আযাদ করে দাও; সে মুমিন।”[1]
بَاب إِذَا كَانَ عَلَى الرَّجُلِ رَقَبَةٌ مُؤْمِنَةٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ الشَّرِيدِ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ إِنَّ عَلَى أُمِّي رَقَبَةً وَإِنَّ عِنْدِي جَارِيَةً سَوْدَاءَ نُوبِيَّةً أَفَتُجْزِئُ عَنْهَا قَالَ ادْعُ بِهَا فَقَالَ أَتَشْهَدِينَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ
তাখরীজ: আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৪২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১১৮৪ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১১. কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয়ে শপথ করে সে শপথের বিপরীত উদ্দেশ্য গ্রহণ করলো
২৩৮৮. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমার কসম তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন তোমার সাথী তা সত্য বলে মনে করে।”[1]
بَاب الرَّجُلِ يَحْلِفُ عَلَى الشَّيْءِ وَهُوَ يُوَرِّكُ عَلَى يَمِينِهِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمِينُكَ عَلَى مَا صَدَّقَكَ بِهِ صَاحِبُكَ
তাখরীজ: আহমাদ ২/২২৮ ; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৯/২২৫; মুসলিম, আইমান ১৬৫৩; আবূ দাউদ, আইমান ওয়ান নুযূর ৩২৫৫; তিরমিযী, আহকাম ১৩৫৪; ইবনু মাজাহ, কাফ্ফারাত ২১২১; ইবনু আদী, কামিল ৪/১৬৫০; উকাইলী, আদ দু’আফা ২/২৫১; দারুকুতনী ৪/৩০৩; বাইহাকী, নুযুর ১০/৬৫; হাকিম ৪/৩০৩ খতীব, মাওদহ ১/২৫৫-২৫৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, নং ২৫১৫।
পরিচ্ছেদঃ ১২. আল্লাহর যে নামে শপথ কর, তা (পূরণ করা) তোমার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়
২৩৮৯. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলে কসম করতেন, তা ছিল: “না, কসম অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারীর।”[1]
بَاب بِأَيِّ أَسْمَاءِ اللَّهِ حَلَفْتَ لَزِمَكَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَتْ يَمِينُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي يَحْلِفُ بِهَا لَا وَمُقَلِّبِ الْقُلُوبِ
তাখরীজ: বুখারী, ক্বদর ৬৬১৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ন্ং ৫৪৪২, ৫৪৭২, ৫৫২০, ৫২২১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৪২ তে।