পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৩৭। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: এক মুসলিমের উপর অন্য মুসলিমের ৬টি হাক্ব রয়েছে- ১. কারো সাথে সাক্ষাৎ হলে সালাম দেবে; ২, আমন্ত্রণ করলে তা কুবুল করবে; ৩, পরামর্শ চাইলে সৎ পরামর্শ দেবে; ৪. হাঁচি দিয়ে আল-হামদু লিল্লাহ পড়লে তার জবাব দেবে (ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে)।[1] ৫. পীড়িত হলে তার কাছে গিয়ে তার খবরাখরব নেবে; ৬. সে ইন্তিকাল করলে তার জানাযা সালাতে অংশগ্রহণ করবে।[2]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ: إِذَا لَقِيتَهُ فَسَلِّمْ عَلَيْهِ, وَإِذَا دَعَاكَ فَأَجِبْهُ, وَإِذَا اسْتَنْصَحَكَ فَانْصَحْهُ, وَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ فَسَمِّتْهُ وَإِذَا مَرِضَ فَعُدْهُ, وَإِذَا مَاتَ فَاتْبَعْهُ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2162) (5)، و «التسميت» بالسين المهملة، وأيضا بالمعجمة لغتان مشهورتان، وهو أن يقول للعاطس: يرحمك الله. يعني: بعد قول العاطس: الحمد لله
[2] মুসলিম ২১৬২, বুখারী ১২৪০, তিরমিযী ২৭৩৭, নাসায়ী ১৯৩৮, আবূ দাউদ ৫০৩০, ইবনু মাজাহ ১৪৩৫, আহমাদ ২৭১৫৫।
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“A Muslim has six duties towards other Muslims: When you meet him, you should salute him; when he invites you, accept his invitation; when he asks for your advice, give it to him; when he sneezes and praises Allah, say May Allah have mercy on you; when he is ill, visit him; and when he dies follow his funeral.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৩৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: (পার্থিব ব্যাপারে) তুমি তোমার চেয়ে দুর্বলের উপর দৃষ্টি রাখবে, কিন্তু যে ব্যক্তি তোমার চেয়ে উঁচু তার উপর দৃষ্টি রাখবে না। এরূপ করলে তুমি আল্লাহ প্রদত্ত তোমার নি’আমাতের প্রতি অবহেলা ও তাচ্ছিল্য প্রকাশ করার অপরাধ হতে বেঁচে যাবে।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «انْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْكُمْ, وَلَا تَنْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ فَوْقَكُمْ, فَهُوَ أَجْدَرُ أَنْ لَا تَزْدَرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. وهذا اللفظ رواية لمسلم (2963) (9)، وأما اللفظ المتفق عليه، فهو قوله -صلى الله عليه وسلم-: «إذا نظر أحدكم إلى من فضل عليه في المال والخلق، فلينظر إلى من هو أسفل منه ممن فضل عليه». رواه البخاري (6490)، ومسلم (2963) (8) ولشرح الحديث انظر كتابي» ذم الدنيا» ص (17 - 18)
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Look at those who are lower than you (financially) but do not look at those who are higher than you, lest you belittle the favors Allah conferred upon you.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৩৯। নাওওয়াস ইবনু সাম’আন (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নেকি ও পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, নেকি হচ্ছে সুন্দর ব্যবহার, আর পাপ হচ্ছে যা তোমার অন্তরে খটকা জাগায়, আর মানুষ তা জেনে যাক এটা তুমি পছন্দ কর না।[1]
وَعَنِ النَوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ - رضي الله عنه - قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَنِ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ? فَقَالَ: «الْبِرُّ: حُسْنُ الْخُلُقِ, وَالْإِثْمُ: مَا حَاكَ فِي صَدْرِكَ, وَكَرِهْتَ أَنْ يَطَّلِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2553)
An-Nawwas bin Sam'an (RAA) narrated, ‘I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about virtue and sin and he replied, “The essence of virtue is (manifested in) good morals (Akhlaq) whereas sinful conduct is that which turns in your heart (making you feel uncomfortable) and you dislike that it would be disclosed to other people.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪০। ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোথাও তোমরা তিনজনে থাকলে একজনকে বাদ দিয়ে দু’জনে কানে-কানে কথা বলবে না যতক্ষণ না জনগণের সাথে মিশে যাও। এতে তার মনে দুঃখ হবে।[1]
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا كُنْتُمْ ثَلَاثَةً, فَلَا يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ الْآخَرِ, حَتَّى تَخْتَلِطُوا بِالنَّاسِ; مِنْ أَجْلِ أَنَّ ذَلِكَ يُحْزِنُهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, وَاللَّفْظُ لِمُسْلِمٍ
-
صحيح. رواه البخاري (6290)، ومسلم (2184)، وليس عند مسلم لفظ ذلك
Ibn Mas’ud (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When three of you get together in company, two of you must not talk privately while isolating the third, so as not to make him feel sad (that he is left out) till you mingle with other people (i.e. you are joined by others).” Agreed upon and the wording is from Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪১। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন লোক যেন কোন লোককে তার বসার স্থান হতে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে না বসে। বরং তোমরা বসার ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত ও সম্প্রসারিত কর।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا يُقِيمُ الرَّجُلُ الرَّجُلَ مِنْ مَجْلِسِهِ, ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ, وَلَكِنْ تَفَسَّحُوا, وَتَوَسَّعُوا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6270)، ومسلم (2177) (28) واللفظ لمسلم
Ibn Umar (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“A man should not ask another man to get up from his place in order to take his seat. But you should make room for each other and spread out.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪২। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন আহার করে সে যেন তার হাত না মোছে, যতক্ষণ না সে তা চেটে খায় কিংবা অন্যের দ্বারা চাটিয়ে নেয়।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا, فَلَا يَمْسَحْ يَدَهُ, حَتَّى يَلْعَقَهَا, أَوْ يُلْعِقَهَا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (5456)، ومسلم (2031)، وهو عند البخاري بدون لفظ: «طعاما» وفي رواية أخرى لمسلم: «من الطعام
Ibn Abbas (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When one of you eats, he must not wipe his hand till he licks it, or gives it to someone else to lick (such as a wife, husband, etc.).” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪৩। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বয়োকনিষ্ঠ বয়োজ্যেষ্ঠকে, পদচারী উপবিষ্টকে এবং অল্প সংখ্যক অধিক সংখ্যককে সালাম দিবে।
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, আরোহী পদব্ৰজে যাওয়া ব্যক্তিকে সালাম দিবে।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: [قَالَ] رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لِيُسَلِّمِ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ, وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ, وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: «وَالرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي
-
صحيح. رواه البخاري (6231 و 6234)، واللفظ الذي عزاه الحافظ للمتفق عليه إنما هو للبخاري، إذ ليس عند مسلم تسليم الصغير على الكبير، وانظر التعليق التالي
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The young should salute the old, the one who is passing by should salute the one who is sitting, and the small group of people should salute the larger one.” Agreed upon. In a version by Muslim, “And the one who is riding should salute the one who is walking.”
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪৪। ’আলী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যাত্রীদের মধ্যে থেকে একজনের সালামের উত্তর দেয়া সকলের পক্ষ হতে যথেষ্ট হবে। এর সমার্থক হাদীস থাকায় এটি হাসান।[1]
وَعَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «يُجْزِئُ عَنِ الْجَمَاعَةِ إِذَا مَرُّوا أَنْ يُسَلِّمَ أَحَدُهُمْ, وَيُجْزِئُ عَنِ الْجَمَاعَةِ أَنْ يَرُدَّ أَحَدُهُمْ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَالْبَيْهَقِيُّ
-
حسن بشواهده رواه أبو داود (5210)، والبيهقي (9/ 49)
Ali (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When a group of people passes by, it is sufficient if one of them gives a salutation, and it is sufficient for those who are sitting that one of them replies.” Related by Ahmad and Al-Baihaqi.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪৫। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকে আগে সালাম দিবে না। আর যখন তোমরা তাদের সাথে রাস্তায় মিলবে তখন তাদেরকে রাস্তার সংকীর্ণতম দিকে যেতে বাধ্য করবে।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا تَبْدَؤُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى بِالسَّلَامِ, وَإِذَا لَقَيْتُمُوهُمْ فِي طَرِيقٍ, فَاضْطَرُّوهُمْ إِلَى أَضْيَقِهِ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Do not initiate the saluting of Jews and Christians (when you meet them), and if you meet any of them on the road, force him to go to the narrowest part of the road (i.e. do not give way for them to pass, but keep going). Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪৬। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি হাঁচি দেয়, তখন সে যেন الْحَمْدُ لِلَّهِ বলে। আর তার মুসলিম ভাই যেন এর জবাবে يَرْحَمُكَ اللَّهُ বলে। আর যখন সে يَرْحَمُكَ اللَّهُ বলবে, তখন হাঁচিদাতা তাকে বলবে يَهْدِيكُمُ اللَّهُ, وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ।[1]
عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: الْحَمْدُ لِلَّهِ, وَلْيَقُلْ لَهُ أَخُوهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ, فَإِذَا قَالَ لَهُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ, فَلْيَقُلْ: يَهْدِيكُمُ اللَّهُ, وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ». أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (6224)
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When one of you sneezes, he should say, ‘Alhamdulillah (Praise is to Allah) and his (Muslim) brother should say to him, ‘Yarhamuka Allah (May Allah have mercy on you). When he says this to him (the last phrase), he should reply, ‘Yahdikum Allah (May Allah guide you) and grant you well being.” Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪৭। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমাদের কেউ যেন কখনও দাঁড়িয়ে (পানি) পান না করে।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا يَشْرَبَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ قَائِمًا». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2026) وتمامه -وهي زيادة منكرة: «فمن نسي فليستقىء» وانظر «الضعيفة» (926)
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“None of you should drink while standing.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ জুতা পরে তখন সে যেন ডান দিক থেকে শুরু করে, আর যখন খোলে তখন সে যেন বাম দিকে শুরু করে, যাতে পরার সময় উভয় পায়ের মধ্যে ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় শেষে হয়।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا انْتَعَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيَمِينِ, وَإِذَا نَزَعَ فَلْيَبْدَأْ بِالشِّمَالِ, وَلْتَكُنْ الْيُمْنَى أَوَّلَهُمَا تُنْعَلُ, وَآخِرَهُمَا تُنْزَعُ
-
صحيح. رواه البخاري (5856)، ومسلم (2097) واللفظ للبخاري
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When one of you puts on his shoes, he should put on the right one first and when he takes them off, he should take off the left one first, so that the right one should be the first to be put on and the last to be taken off.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৪৯। এই নাম্বারর হাদিস বইতে পাওয়া যায় নি।
-
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৫০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন এক পায়ে জুতা পরে না হাঁটে। হয় দু’পা-ই খোলা রাখবে অথবা দু’ পায়ে পরবে।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا يَمْشِ أَحَدُكُمْ فِي نَعْلٍ وَاحِدَةٍ, وَلْيُنْعِلْهُمَا جَمِيعًا, أَوْ لِيَخْلَعْهُمَا جَمِيعًا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِمَا
-
صحيح. رواه البخاري (5855)، ومسلم (2097) (68)
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“None of you should walk with one shoe, but should either wear them both or take them both off” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৫১। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ সে লোকের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) দেখবেন না, যে অহঙ্কারের সাথে তার (পরিধেয়) পোশাক টেনে চলে।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلَاءَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (5783)، ومسلم (2085) (42)
Ibn Umar (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah will not look on the Day of Judgment at him who lets his garment drag on the ground out of pride and arrogance.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৫২। ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন খাবে তখন সে যেন ডান হাতে খায় আর যখন পান করবে তখন ডান হাতে পাত্র ধরে পান করবে। কেননা, শাইত্বান বাম হাতে খায় ও বাম হাতে পান করে।[1]
وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِينِهِ, وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ, فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ, وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2020)
Ibn Umar narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When one of you eats he should eat with his right hand, and when he drinks he should drink with his right hand, for the devil eats and drinks with his left hand.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. আদব
১৪৫৩। ’আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ব্যয়বাহুল্য ও অহংকার হতে দূরে থেকে- খাও, পান কর, পর এবং সাদাক্বাহ কর।[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ, عَنْ أَبِيهِ, عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «كُلْ, وَاشْرَبْ, وَالْبَسْ, وَتَصَدَّقْ فِي غَيْرِ سَرَفٍ, وَلَا مَخِيلَةٍ». أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ, وَأَحْمَدُ, وَعَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ
-
حسن. رواه الطيالسي (2261)، وأحمد (6695 و 6708)، وعلَّقه البخاري (10/ 252 / فتح)، ولكنه عندهما بلفظ الجمع. وعند أحمد زيادة: «إن الله يحب أن تُرى نعمته على عبده»، وهي -أيضا- للطيالسي إلا أن عنده: «يُرى أثر»، والباقي مثله، ولكن الحديث عنده دون الاستثناء، وروى الترمذي الزيادة فقط (2819)، وقال: «حديث حسن»، ورواه النسائي (5/ 79)، وابن ماجه (3605) بدون الزيادة، وأخيرا: من هذا التخريج يعلم أن عزوه لأبي داود وَهْمٌ من الحافظ -رحمه الله-، إلا أن يكون الحافظ أراد أبا داود الطيالسي، فإني رأيته في «الفتح» عزاه للطيالسي دون السجستاني، وأيضا الحديث عندهم جميعا بصيغة الجمع لا المفرد كما قال الحافظ
Amro bin Shu’aib narrated on the authority of his father, on the authority of his grandfather (RAA), that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Eat, drink, wear clothes and give sadaqah but with neither extravagance nor pride.” Related by Abu Dawud and Ahmad.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক তার জীবিকা প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ عَلَيْهِ فِي رِزْقِهِ, وَأَنْ يُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ, فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ». أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (5985) وعنده: «من سره أن يبسط له» بدلا من أحب أن يبسط عليه
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“He who wishes to have his earnings grow (and be blessed) and his term of life prolonged, he should keep ties with his kin” Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৫। যুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।[1]
وَعَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ». يَعْنِي: قَاطِعَ رَحِمٍ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (5984)، ومسلم (2556) والتفسير من سفيان بن عيينة، وهو لمسلم دون البخاري
Jubair bin Mut'am (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The one who severs the ties of kinship will not enter Paradise.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৬। মুগীরাহ বিন সাঈদ সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মা-বাপের নাফরমানী করা, কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দেয়া, সৎ পথে দান বন্ধ করা এবং দাও দাও বলাকে (বেশি বেশি চাওয়া)। আর তিনি তোমাদের জন্য অপছন্দ করেছেন যে, বলা হয়েছে, বলেছে, (এইরূপ বলা) এবং অতিরিক্ত প্রশ্ন করা ও সম্পদ অপচয় করা।[1]
وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ سَعِيدٍ - رضي الله عنه - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الْأُمَّهَاتِ, وَوَأْدَ الْبَنَاتِ, وَمَنْعًا وَهَاتِ, وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ, وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةَ الْمَالِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (5975)، ومسلم (ج 3 / ص 1341 / رقم 593)
Al-Mughirah bin Shu'bah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah has made it prohibited for you to be disrespectful (showing undutiful behavior) to your mothers, to bury your daughters alive, to refuse others (their dues), and to demand things from others (which are not worth demanding), and He hates that you engage in gossip, asking many questions about people’s affairs and wasting wealth.” Agreed upon.