পরিচ্ছেদঃ উটের গোসত খাওয়ার কারণে যে ওযূ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটা সালাতের জন্য নির্ধারিত ওযূ; ওযূ দ্বারা শুধু দুই হাত ধোয়া উদ্দেশ্য নয়- এই ব্যাপারে হাদীস
১১২৫. বারা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, “আমরা কি উট থাকার জায়গায় সালাত আদায় করতে পারবো?” জবাবে তিনি বলেন, “না।” তাঁকে বলা হলো, “আমরা কি মেষ থাকার জায়গায় সালাত আদায় করতে পারবো?” জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ।” তাঁকে বলা হলো, “আমরা কি উটের গোসত খেয়ে ওযূ করবো?” জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ।” তাঁকে আবার বলা হলো, “আমরা কি মেষের গোসত খেয়ে ওযূ করবো?” জবাবে তিনি বলেন, “না।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “উটের গোসত খেয়ে ওযূ এবং উট থাকার জায়গায় সালাত আদায় করার ব্যাপারে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন করা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উক্ত প্রশ্নের আলাদা আলাদা জবাব দানের মাঝে আমি মনে করি স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে যে, তিনি এর দ্বারা সালাতের ন্যায় ওযূ করা বুঝিয়েছেন; শুধু দুই হাত ধোয়া বুঝাননি, যদি ওযূ করা দ্বারা শুধু দুই হাত ধোয়া উদ্দেশ্য হতো, তবে এক্ষেত্রে মেষ ও উটের গোসত খাওয়া সমান হয়ে যেতো।
আগুনে পাকানো জিনিস খেলে ওযূ না করার বিধানের উপর মুসলিমগণ দীর্ঘ দিন ছিলেন তারপর সে বিধান রহিত করা হয়, উল্লেখিত নিষেধের পর যে ওযূ না করার বৈধতা দেওয়া হয়, সেই সামগ্রীক বৈধতার বিধান থেকে উটের গোসত খাওয়ার বিধানটি পৃথক করা হয়।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১৩৮।)
ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ الْأَمْرَ بِالْوُضُوءِ مِنْ أَكْلِ لُحُومِ الْإِبِلِ إِنَّمَا هُوَ الْوُضُوءُ الْمَفْرُوضُ لِلصَّلَاةِ دُونَ غَسْلِ الْيَدَيْنِ
1125 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْبَرَاءِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ: أنصلِّي فِي أَعْطَانِ الْإِبِلِ؟ قَالَ: (لَا) قِيلَ: أَنُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ؟ قَالَ: (نَعَمْ) قِيلَ: أَنَتَوَضَّأُ مِنْ لُحُومِ الْإِبِلِ؟ قَالَ: (نَعَمْ) قِيلَ: أنتوضأ من لحوم الغنم؟ قال: (لا).
الراوي : الْبَرَاء | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1125 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فِي سُؤَالِ السَّائِلِ عَنِ الْوُضُوءِ مِنْ لُحُومِ الْإِبِلِ وَعَنِ الصَّلَاةِ فِي أَعْطَانِهَا وَتَفْرِيقِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْجَوَابَيْنِ: أَرَى الْبَيَانَ أَنَّهُ أَرَادَ الْوُضُوءَ الْمَفْرُوضَ لِلصَّلَاةِ دُونَ غَسْلِ الْيَدَيْنِ وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ غَسْلَ الْيَدَيْنِ مِنَ الْغَمْرِ لَاسْتَوَى فِيهِ لُحُومُ الْإِبِلِ وَالْغَنَمِ جَمِيعًا وَقَدْ كَانَ تَرْكُ الْوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتْهُ النَّارُ وَبَقِيَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ مُدَّةً ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ وَبَقِيَ لُحُومُ الْإِبِلِ مُسْتَثْنًى مِنْ جُمْلَةِ مَا أُبيح بعد الخطر الَّذِي تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ.