১০১১

পরিচ্ছেদঃ ১০. জিবরীল (আ.) এর ইমামতি

১০১১(২৮). আবু আবদুল্লাহ আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল আলা (রহঃ) ... আবু মূসা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলেন, এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। তিনি তার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি এমন সময় ইকামত দিলেন এবং তিনি নামায পড়ালেন যখন সবেমাত্র সুবহে সাদেক হয়েছে এবং লোকজন পরস্পরকে চিনতে পারছিল না। তিনি পুনরায় বিলাল (রাঃ)-কে ইকামত দেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং সূর্য কেবল ঢলে পড়লে তিনি যুহরের নামায পড়েন। তাতে কারো সন্দেহ হতে পারে যে, এখন দ্বিপ্রহর হয়েছে কিনা, অথচ তিনি তাদের তুলনায় অধিক জ্ঞাত ছিলেন। অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দেন এবং আসরের নামায পড়েন যখন সূর্য অনেক উপরে ছিল।

অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দেন এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে মাগরিবের নামায পড়েন। অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দেন এবং শাফাক অদৃশ্য হওয়ার পরপরই এশার নামায পড়েন। পরদিন তিনি ফজরের নামায এতটা বিলম্বে পড়েন যে, নামাযশেষে কোন ব্যক্তি বলতে পারতো, হয়ত সূর্য উঠছে অথবা এই বুঝি উদিত হচ্ছে। অতঃপর তিনি যুহরের নামায আসরের নিকটবর্তী সময়ে আদায় করেন। অতঃপর তিনি আসরের নামায এতটা বিলম্বে পড়েন যে, নামাযশেষে কোন ব্যক্তি বলতে পারতো, সূর্য রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। অতঃপর তিনি শাফাক প্রায় অন্তর্হিত হওয়ার কাছাকাছি সময়ে মাগরিবের নামায পড়েন। অতঃপর তিনি রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে এশার নামায পড়েন। ভােরবেলা তিনি প্রশ্নকারীকে ডেকে বলেনঃ এই দুই সময়সীমার মাঝখানে নামাযের ওয়াক্ত।

بَابُ إِمَامَةِ جِبْرِيلَ

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، نَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى ، نَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ ، ثَنَا بَدْرُ بْنُ عُثْمَانَ ، نَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : أَتَاهُ سَائِلٌ ، فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ ؟ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا ، فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَقَامَ بِالْفَجْرِ حِينَ انْشَقَّ الْفَجْرُ ، وَالنَّاسُ لَا يَكَادُ يَعْرِفُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالظُّهْرِ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَالْقَائِلُ يَقُولُ : انْتَصَفَ النَّهَارُ أَوْ لَمْ ، وَكَانَ أَعْلَمَ مِنْهُمْ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَقَعَتِ الشَّمْسُ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعِشَاءِ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ، ثُمَّ أَخَّرَ الْفَجْرَ مِنَ الْغَدِ حَتَّى انْصَرَفَ مِنْهَا ، وَالْقَائِلُ يَقُولُ : طَلَعَتِ الشَّمْسُ أَوْ كَادَتْ ، ثُمَّ أَخَّرَ الظُّهْرَ حَتَّى كَانَ قَرِيبًا مِنَ الْعَصْرِ ، ثُمَّ أَخَّرَ الْعَصْرَ حَتَّى انْصَرَفَ مِنْهَا ، وَالْقَائِلُ يَقُولُ احْمَرَّتِ الشَّمْسُ ، ثُمَّ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ حَتَّى كَانَ عِنْدَ سُقُوطِ الشَّفَقِ ، ثُمَّ أَخَّرَ الْعِشَاءَ حَتَّى كَانَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الْأَوَّلُ ، ثُمَّ أَصْبَحَ فَبَعَثَ ، فَدَعَا السَّائِلَ ، فَقَالَ : " الْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ