১০১৬

পরিচ্ছেদঃ ৬৯২. যাঁরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা তিলাওয়াতের সিজদা ওয়াজিব করেন নি।

وَقِيلَ لِعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ الرَّجُلُ يَسْمَعُ السَّجْدَةَ وَلَمْ يَجْلِسْ لَهَا قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ قَعَدَ لَهَا كَأَنَّهُ لاَ يُوجِبُهُ عَلَيْهِ. وَقَالَ سَلْمَانُ مَا لِهَذَا غَدَوْنَا. وَقَالَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِنَّمَا السَّجْدَةُ عَلَى مَنِ اسْتَمَعَهَا. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ لاَ يَسْجُدُ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ طَاهِرًا، فَإِذَا سَجَدْتَ وَأَنْتَ فِي حَضَرٍ فَاسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، فَإِنْ كُنْتَ رَاكِبًا فَلاَ عَلَيْكَ حَيْثُ كَانَ وَجْهُكَ. وَكَانَ السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ لاَ يَسْجُدُ لِسُجُودِ الْقَاصِّ

ইমরান ইবন হুসাইন (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যে ব্যক্তি সিজদার আয়াত শুনল কিন্তু এর জন্য সে বসেনি (তার কি সিজদা দিতে হবে?) তিনি বললেন, তুমি কি মনে কর সে যদি তা শোনার জন্য বসতো (তা হলে কি) তাকে সিজদা করতে হত? (বুখারী (রহঃ) বলেন) যেন তিনি তার জন্য সিজদা ওয়াজিব মনে করেন না। সালমান (ফারিসী (রাঃ) বলেছেন আমরা এর জন্য (সিজদার আয়াত শোনার জন্য) আসিনি। উসমান (ইবন আফফান) (রাঃ) বলেছেন, যে মনোযাগসহ সিজদার আয়াত শোনে শুধু তার উপর সিজদা ওয়াজিব। যুহরী (রহঃ) বলেছেন, পবিত্র অবস্থা ছাড়া সিজদা করবে না। যদি তুমি আবাসে থেকে সিজদা কর, তবে কিবলামুখী হবে। যদি তুমি সাওয়ার অবস্থায় হও, তবে যে দিকেই তোমার মুখ হোক না কেন, তাতে তোমার কোন দোষ নাই। আর সায়িব ইবন্ ইয়াযীদ (রহঃ) বক্তার বক্তৃতায় সিজদার আয়াত শোনে সিজদা করতেন না।


১০১৬। ইব্রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এক জুমু্’আর দিন মিম্বরে দাঁড়িয়ে সূরা নাহল তিলাওয়াত করেন। এতে যখন সিজ্‌দার আয়াত এল, তখন তিনি মিম্বর থেকে নেমে সিজ্‌দা করলেন এবং লোকেরাও সিজ্‌দা করল। এভাবে যখন পরবর্তী জুমু’আ এল, তখন তিনি সে সূরা পাঠ করেন। এতে যখন সিজ্‌দার আয়াত এল, তখন তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমরা যখন সিজ্‌দার আয়াত তিলাওয়াত করি, তখন যে সিজ্‌দা করবে সে ঠিকই করবে, যে সিজ্‌দা করবে না তার কোন গুনাহ নেই। তার বর্ণনায় (বর্ণনাকারী বলেন) আর উমর (রাঃ) সিজ্‌দা করেন নি।

নাফি’ (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে আরো বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা সিজ্‌দা ফরয করেন নি, তবে আমরা ইচ্ছা করলে সিজ্‌দা করতে পারি।

باب مَنْ رَأَى أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يُوجِبِ السُّجُودَ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهُدَيْرِ التَّيْمِيِّ ـ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ رَبِيعَةُ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ عَمَّا حَضَرَ رَبِيعَةُ مِنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ قَرَأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى الْمِنْبَرِ بِسُورَةِ النَّحْلِ حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ نَزَلَ فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ، حَتَّى إِذَا كَانَتِ الْجُمُعَةُ الْقَابِلَةُ قَرَأَ بِهَا حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا نَمُرُّ بِالسُّجُودِ فَمَنْ سَجَدَ فَقَدْ أَصَابَ، وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ‏.‏ وَلَمْ يَسْجُدْ عُمَرُ ـ رضى الله عنه‏.‏ وَزَادَ نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضِ السُّجُودَ إِلاَّ أَنْ نَشَاءَ‏.‏

حدثنا ابراهيم بن موسى قال اخبرنا هشام بن يوسف ان ابن جريج اخبرهم قال اخبرني ابو بكر بن ابي مليكة عن عثمان بن عبد الرحمن التيمي عن ربيعة بن عبد الله بن الهدير التيمي قال ابو بكر وكان ربيعة من خيار الناس عما حضر ربيعة من عمر بن الخطاب رضى الله عنه قرا يوم الجمعة على المنبر بسورة النحل حتى اذا جاء السجدة نزل فسجد وسجد الناس حتى اذا كانت الجمعة القابلة قرا بها حتى اذا جاء السجدة قال يا ايها الناس انا نمر بالسجود فمن سجد فقد اصاب ومن لم يسجد فلا اثم عليه ولم يسجد عمر رضى الله عنه وزاد نافع عن ابن عمر رضى الله عنهما ان الله لم يفرض السجود الا ان نشاء


Narrated Rabi`a:

`Umar bin Al-Khattab recited Surat-an-Nahl on a Friday on the pulpit and when he reached the verse of Sajda he got down from the pulpit and prostrated and the people also prostrated. The next Friday `Umar bin Al-Khattab recited the same Sura and when he reached the verse of Sajda he said, "O people! When we recite the verses of Sajda (during the sermon) whoever prostrates does the right thing, yet it is no sin for the one who does not prostrate." And `Umar did not prostrate (that day). Added Ibn `Umar "Allah has not made the prostration of recitation compulsory but if we wish we can do it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৭/ কুরআন তিলওয়াতে সিজদা (كتاب سجود القرآن)