৪৪১৪

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ "তুমি যাকে ভালবাস ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না, তবে আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন"

সুরা নম্‌ল

الْخَبْءُ যা তুমি গোপন কর। لَا قِبَلَ لَهُمْ তাদের কোন শক্তি নেই। الصَّرْحُ কাঁচ মিশ্রিত গারা এবং الصَّرْحُ প্রাসাদকেও বলা হয়। এর বহুবচন صُرُوْحٌ। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, وَلَهَا عَرْشٌ তার সিংহাসন অতি সম্মানিত, শিল্প কর্মে উত্তম এবং বহু মূল্যবান। يَأْتُوْنِيْ مُسْلِمِيْنَ অনুগত হয়ে আমার নিকট আসবে। رَدِفَ নিকটবর্তী হয়েছে। جَامِدَةً স্থির। أَوْزِعْنِيْ আমাকে বানিয়ে দাও। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, نَكِّرُوْا পরিবর্তন করে দাও। وَأُوْتِيْنَا (আমাদের জ্ঞান দেয়া হয়েছে) এ কথা সুলাইমান (আঃ) বলেন, الصَّرْحُ পানির একটি হাউয। সুলাইমান (আঃ) সেটি কাঁচ দ্বারা আবৃত করে দিয়েছিলেন।


সুরা কাসাস

বলা হয় إِلَّا وَجْهَه তার রাজত্ব ব্যতীত এবং এ-ও বলা হয়, যে কার্যাবলী দ্বারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন উদ্দেশ্য, তা ব্যতীত (সবই ধ্বংস হবে) মুজাহিদ (রহঃ) বলেন الْأَنْبَاءُ অর্থ প্রমানাদি।


৪৪১৪। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... সাঈদ ইবনুল মূসাইয়্যাব (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আবূ তালিবের মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছিল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাছে আসলেন। তিনি সেখানে আবূ জাহল এবং আবদুল্লাহ ইবনু আবূ উমাইয়া ইবনু মুগীরাকে উপস্থিত পেলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে চাচা! আপনি বলুন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। ” এ ’কালেমা’ দ্বারা আমি আপনার জন্য (কিয়ামতে) আল্লাহর কাছে (আপনার মুক্তির) দাবি করতে পারব। আবূ জাহল এবং আবদুল্লাহ ইবনু আবূ উমাইয়া বলল, তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম ছেড়ে দেবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারবার তার কাছে এ ’কালেমা’ পেশ করতে লাগলেন। আর তারা সে উক্তি বারবার করতে থাকল। অবশেষে আবূ তালিব তাঁদের সঙ্গে সর্বশেষ এ কথা বললেন, আমি ’আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের উপর আছি, এবং কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” পাঠ করতে অস্বীকার করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম। আমাকে নিষেধ না করা পর্যন্ত আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেই থাকব। তারপর আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেন, নবী ও মু’মিনদের জন্য এটা শোভনীয় নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর আল্লাহ্ তা’আলা আবূ তালিব সম্পর্কে নাযিল করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্বোধন করে আল্লাহ্ তা’আলা বললেন, “তুমি যাকে ভালবাস (ইচ্ছা করলেই) তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন।”

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন أُوْلِي الْقُوَّة লোকের একটি দল সে চাবিগুলো বহন করতে সক্ষম ছিল না। لَتَنُوْءُ বহন করা কষ্টসাধ্য ছিল। فَارِغًا মূসা (আঃ)-এর স্মরণ ব্যতীত সব কিছু থেকে খালি ছিল। الْفَرِحِيْنَ দম্ভকারীরা! قُصِّيْهِ তার চিহ্ন অনুসরণ কর। কথার বর্ণনা অর্থেও প্রয়োগ হয়। نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَعَنْ جُنُبٍ এখানে جُنُبٍ অর্থ দূর থেকে। عَنْ جَنَابَةٍ، عَنْ اجْتِنَابٍ এর একই অর্থবোধক।يَبْطِشُـــيَبْطُشُ উভয়ই পড়া হয়। يَأْتَمِرُوْنَ পরস্পর পরামর্শ করছে।وَالْعَدَاءُ وَالتَّعَدِّيْ واعدوان (শব্দ তিনটির) অর্থ একই; সীমা অতিক্রম করা। آنَسَ দেখা الْجِذْوَةُ কাঠের মোটা টুকরা যাতে শিখা নেই। الشِّهَابُ যাতে শিখা আছে। الْحَيَّاتُ বহু প্রকার সাপ; যেমন, চিকন জাতি, অজগর, কালনাগ (ইত্যাদি) رِدْءًا সাহায্যকারী। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, يُصَدِّقُنِيْ (তিনি قاف কে পেশ দিয়ে পড়েন। অন্য হতে বর্ণিত سَنَشُدُّ আমরা শীঘ্র তোমাকে সাহায্য করব। যখন তুমি কোন জিনিসকে শক্তিশালী করলে, তখন তুমি যেন তার জন্য বাহুবল প্রদান করলে। যখন আরবগণ কাউকে সাহায্য করেন তখন বলে থাকেন جَعَلْتَ لَهُ عَضُدًا (বাহুবল প্রদান করলে) مَقْبُوْحِيْنَ ধ্বংসপ্রাপ্ত। وَصَّلْنَا আমি বর্ণনা করেছি; আমি তা পূর্ণ করেছি। يُجْبَى আমদানি করা হয়। بَطِرَتْ দম্ভ করল। فِيْ أُمِّهَا رَسُوْلًا মক্কা এবং তার চতুষ্পার্শকে বলা হয়। تُكِنُّ গোপন করছ। আরবগণ বলে থাকেন أَكْنَنْتُ الشَّيْءَ আমি তা গোপন করেছি। كَنَنْتُهُ আমি তা লুকিয়েছি; আমি প্রকাশ করেছি। وَيْكَأَنَّ اللهَ আর أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّ اللهَ সমার্থক (তারা কি দেখেনি?) يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِر আল্লাহ্ যার জন্য চান খাদ্য প্রসারিত করে দেন, আর যার থেকে চান সংকুচিত করে দেন।

باب قوله إنك لا تهدي من أحببت ولكن الله يهدي من يشاء

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا حَضَرَتْ أَبَا طَالِبٍ الْوَفَاةُ جَاءَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ عِنْدَهِ أَبَا جَهْلٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، فَقَالَ ‏"‏ أَىْ عَمِّ قُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، كَلِمَةً أُحَاجُّ لَكَ بِهَا عِنْدَ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ أَتَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْرِضُهَا عَلَيْهِ، وَيُعِيدَانِهِ بِتِلْكَ الْمَقَالَةِ حَتَّى قَالَ أَبُو طَالِبٍ آخِرَ مَا كَلَّمَهُمْ عَلَى مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَبَى أَنْ يَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَاللَّهِ لأَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ مَا لَمْ أُنْهَ عَنْكَ ‏"‏‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ‏)‏ وَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏(‏إِنَّكَ لاَ تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ‏)‏‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ‏(‏أُولِي الْقُوَّةِ‏)‏ لاَ يَرْفَعُهَا الْعُصْبَةُ مِنَ الرِّجَالِ‏.‏ ‏(‏لَتَنُوءُ‏)‏ لَتُثْقِلُ‏.‏ ‏(‏فَارِغًا‏)‏ إِلاَّ مِنْ ذِكْرِ مُوسَى‏.‏ ‏(‏الْفَرِحِينَ‏)‏ الْمَرِحِينَ‏.‏ ‏(‏قُصِّيهِ‏)‏ اتَّبِعِي أَثَرَهُ، وَقَدْ يَكُونُ أَنْ يَقُصَّ الْكَلاَمَ ‏(‏نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ‏)‏‏.‏ ‏(‏عَنْ جُنُبٍ‏)‏ عَنْ بُعْدٍ عَنْ جَنَابَةٍ وَاحِدٌ، وَعَنِ اجْتِنَابٍ أَيْضًا، يَبْطِشُ وَيَبْطُشُ‏.‏ ‏(‏يَأْتَمِرُونَ‏)‏ يَتَشَاوَرُونَ‏.‏ الْعُدْوَانُ وَالْعَدَاءُ وَالتَّعَدِّي وَاحِدٌ‏.‏ ‏(‏آنَسَ‏)‏ أَبْصَرَ‏.‏ الْجِذْوَةُ قِطْعَةٌ غَلِيظَةٌ مِنَ الْخَشَبِ، لَيْسَ فِيهَا لَهَبٌ، وَالشِّهَابُ فِيهِ لَهَبٌ‏.‏ وَالْحَيَّاتُ أَجْنَاسٌ الْجَانُّ وَالأَفَاعِي وَالأَسَاوِدُ‏.‏ ‏(‏رِدْءًا‏)‏ مُعِينًا‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ‏(‏يُصَدِّقُنِي‏)‏ وَقَالَ غَيْرُهُ ‏(‏سَنَشُدُّ‏)‏ سَنُعِينُكَ كُلَّمَا عَزَّزْتَ شَيْئًا فَقَدْ جَعَلْتَ لَهُ عَضُدًا‏.‏ مَقْبُوحِينَ مُهْلَكِينَ‏.‏ ‏(‏وَصَّلْنَا‏)‏ بَيَّنَّاهُ وَأَتْمَمْنَاهُ‏.‏ ‏(‏يُجْبَى‏)‏ يُجْلَبُ ‏.‏‏(‏بَطِرَتْ‏)‏ أَشِرَتْ‏.‏ ‏(‏فِي أُمِّهَا رَسُولاً‏)‏ أُمُّ الْقُرَى مَكَّةُ وَمَا حَوْلَهَا‏.‏ ‏(‏تُكِنُّ‏)‏ تُخْفِي‏.‏ أَكْنَنْتُ الشَّىْءَ أَخْفَيْتُهُ، وَكَنَنْتُهُ أَخْفَيْتُهُ وَأَظْهَرْتُهُ‏.‏ ‏(‏وَيْكَأَنَّ اللَّهَ‏)‏ مِثْلُ أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ ‏(‏يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِرُ‏)‏ يُوَسِّعُ عَلَيْهِ وَيُضَيِّقُ عَلَيْهِ‏.‏

حدثنا ابو اليمان اخبرنا شعيب عن الزهري قال اخبرني سعيد بن المسيب عن ابيه قال لما حضرت ابا طالب الوفاة جاءه رسول الله صلى الله عليه وسلم فوجد عنده ابا جهل وعبد الله بن ابي امية بن المغيرة فقال اى عم قل لا اله الا الله كلمة احاج لك بها عند الله فقال ابو جهل وعبد الله بن ابي امية اترغب عن ملة عبد المطلب فلم يزل رسول الله صلى الله عليه وسلم يعرضها عليه ويعيدانه بتلك المقالة حتى قال ابو طالب اخر ما كلمهم على ملة عبد المطلب وابى ان يقول لا اله الا الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والله لاستغفرن لك ما لم انه عنك فانزل الله ما كان للنبي والذين امنوا ان يستغفروا للمشركين وانزل الله في ابي طالب فقال لرسول الله صلى الله عليه وسلم انك لا تهدي من احببت ولكن الله يهدي من يشاء قال ابن عباس اولي القوة لا يرفعها العصبة من الرجال لتنوء لتثقل فارغا الا من ذكر موسى الفرحين المرحين قصيه اتبعي اثره وقد يكون ان يقص الكلام نحن نقص عليك عن جنب عن بعد عن جنابة واحد وعن اجتناب ايضا يبطش ويبطش ياتمرون يتشاورون العدوان والعداء والتعدي واحد انس ابصر الجذوة قطعة غليظة من الخشب ليس فيها لهب والشهاب فيه لهب والحيات اجناس الجان والافاعي والاساود ردءا معينا قال ابن عباس يصدقني وقال غيره سنشد سنعينك كلما عززت شيىا فقد جعلت له عضدا مقبوحين مهلكين وصلنا بيناه واتممناه يجبى يجلب بطرت اشرت في امها رسولا ام القرى مكة وما حولها تكن تخفي اكننت الشىء اخفيته وكننته اخفيته واظهرته ويكان الله مثل الم تر ان الله يبسط الرزق لمن يشاء ويقدر يوسع عليه ويضيق عليه


Narrated Al-Musaiyab:

When Abu Talib was on his death bed, Allah's Messenger (ﷺ) came to him and found with him, Abu Jahl and `Abdullah bin Abi Umaiya bin Al-Mughira. Allah's Messenger (ﷺ) said, "O uncle! Say: None has the right to be worshipped except Allah, a sentence with which I will defend you before Allah." On that Abu Jahl and `Abdullah bin Abi Umaiya said to Abu Talib, "Will you now leave the religion of `Abdul Muttalib?" Allah's Messenger (ﷺ) kept on inviting him to say that sentence while the other two kept on repeating their sentence before him till Abu Talib said as the last thing he said to them, "I am on the religion of `Abdul Muttalib," and refused to say: None has the right to be worshipped except Allah. On that Allah's Messenger (ﷺ) said, "By Allah, I will keep on asking Allah's forgiveness for you unless I am forbidden (by Allah) to do so." So Allah revealed:-- 'It is not fitting for the Prophet (ﷺ) and those who believe that they should invoke (Allah) for forgiveness for pagans.' (9.113) And then Allah revealed especially about Abu Talib:--'Verily! You (O, Muhammad) guide not whom you like, but Allah guides whom He will.' (28.56)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير)