৩৮৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ

৩৮৭৩-[১৩] আবূ নাজীহ আস্ সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে (কোনো শত্রুর উপর) আঘাত হানলো, তার জন্য জান্নাতে বিশেষ মর্যাদা নির্ধারিত রয়েছে। আর যে লোক আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করল (শত্রুর গায়ে বিদ্ধ হোক বা না হোক) তার জন্য একটি গোলাম মুক্তি করার সমপরিমাণ সাওয়াব রয়েছে। আর যে লোক ইসলামের কাজে নিয়োজিত থেকে বার্ধক্যে পৌঁছেছে, কিয়ামতের দিন তার জন্য তা উজ্জ্বল নূরে পরিণত হবে। (বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]

আবূ দাঊদ এ হাদীসটির শুধুমাত্র প্রথম অংশটি, নাসায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় অংশটি এবং তিরমিযী দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশটি বর্ণনা করেছেন। তবে বায়হাক্বী ও তিরমিযীর বর্ণনার মধ্যে ’’ইসলামে’’ এর স্থলে ’’আল্লাহর পথে’’ বর্ণিত হয়েছে।

وَعَن أبي نَجِيحٍ السُّلَميِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ بَلَغَ بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ لَهُ دَرَجَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ لَهُ عِدْلُ مُحَرِّرٍ وَمَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الْإِسْلَامِ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ. وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ الْفَصْلَ الْأَوَّلَ وَالنَّسَائِيُّ الْأَوَّلَ وَالثَّانِيَ وَالتِّرْمِذِيُّ الثَّانِيَ وَالثَّالِثَ وَفِي رِوَايَتِهِمَا: «مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي سَبِيلِ الله» بدَلَ «فِي الْإِسْلَام»

وعن ابي نجيح السلمي قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من بلغ بسهم في سبيل الله فهو له درجة في الجنة ومن رمى بسهم في سبيل الله فهو له عدل محرر ومن شاب شيبة في الاسلام كانت له نورا يوم القيامة رواه البيهقي في شعب الايمان وروى ابو داود الفصل الاول والنساىي الاول والثاني والترمذي الثاني والثالث وفي روايتهما من شاب شيبة في سبيل الله بدل في الاسلام

ব্যাখ্যা: (مَنْ بَلَغَ بِسَهْمٍ فِىْ سَبِيلِ اللّٰهِ) যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একটি তীর পৌঁছালো, তা তার জন্য জান্নাতের মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে কাফিরের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে এবং উক্ত তীর কাফিরের শরীরে আঘাত করে, এর বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে উক্ত তীর নিক্ষেপকারীর মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯৬০; শারহেন্ নাসায়ী ৩য় খন্ড, হাঃ ৩১৪৬)

(وَمَنْ رَمٰى بِسَهْمٍ فِىْ سَبِيلِ اللّٰهِ فَهُوَ لَه عِدْلُ مُحَرِّرٍ) আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করল তা তার জন্য একটি দাসমুক্ত করার সাওয়াবের সমান বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ- আল্লাহর পথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তীর নিক্ষেপ করার পর তা যদি কাফিরের শরীরে আঘাত করতে ব্যর্থ হয় তাহলেও আল্লাহ তা‘আলা তাকে সাওয়াব থেকে বঞ্চিত করবেন না। বরং তাকে একটি গোলাম মুক্ত করার সমান সাওয়াব দিবেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৬৩৮; শারহেন্ নাসায়ী ৩য় খন্ড, হাঃ ৩১৪৩)

(مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِى الْإِسْلَامِ كَانَتْ لَه نُوْرًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ) যে ব্যক্তি ইসলামে অটলে থেকে (বৃদ্ধ হলো) চুল ও দাড়ি শুভ্র হলো কিয়ামতের দিবসে তার এই শুভ্রতা আলোকময় হবে, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি ইসলামে অটল থেকে বার্ধক্য উপনীত হলে চাই সে জিহাদে অংশগ্রহণ করুক আর নাই করুক হাদীসৈ বর্ণিত মর্যাদা তার প্রাপ্য। এতে সাদা চুল বা দাড়ি উঠিয়ে ফেলতে নিষেধের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে এবং এ শুভ্রতাকে অপছন্দ না করে তাকে স্বাগত জানানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু আবী নাজীহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)