৩৮৯৮

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা

৩৮৯৮-[৭] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা কোনো এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি একটি দুর্বল উষ্ট্রীতে সওয়ারী হয়ে সেখানে উপস্থিত হলো এবং তাকে ডানে-বামে ঘুরাতে লাগল। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত সঙ্গীদেরকে উদ্দেশে বললেন, তোমাদের যার কাছেই একটি অতিরিক্ত সওয়ারী আছে, সে যেন যার কাছে সওয়ারী নেই তাকে দান করে দেয়। আর যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য-সামগ্রী আছে, সেও যেন তা ঐ ব্যক্তিকে দিয়ে দেয় যার কাছে কোনো আহার্য নেই। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাপারে এমনভাবে বর্ণনা করতে লাগলেন যে, আমরা মনে করলাম প্রয়োজনাতিরিক্ত জিনিসের উপর আমাদের কারো কোনো প্রকার অধিকার নেই। (মুসলিম)[1]

بَابُ اٰدَابِ السَّفَرِ

وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ فِي سَفَرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذ جَاءَهُ رَجُلٌ عَلَى رَاحِلَةٍ فَجَعَلَ يَضْرِبُ يَمِينًا وَشِمَالًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ فَضْلُ ظَهْرٌ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لَا ظَهْرَ لَهُ وَمَنْ كَانَ لَهُ فَضْلُ زَادٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لَا زَادَ لَهُ» قَالَ: فَذَكَرَ مِنْ أَصْنَافِ الْمَالِ حَتَّى رَأَيْنَا أَنَّهُ لَا حَقَّ لأحدٍ منا فِي فضل. رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي سعيد الخدري قال بينما نحن في سفر مع رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ جاءه رجل على راحلة فجعل يضرب يمينا وشمالا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم من كان معه فضل ظهر فليعد به على من لا ظهر له ومن كان له فضل زاد فليعد به على من لا زاد له قال فذكر من اصناف المال حتى راينا انه لا حق لاحد منا في فضل رواه مسلم

ব্যাখ্যা: (مَنْ كَانَ مَعَه فَضْلُ ظَهْرٍ فَلْيَعُدْ بِه عَلٰى مَنْ لَا ظَهْرَ لَه) যার অতিরিক্ত বাহন আছে, সে তার অতিরিক্ত বাহনটি তাকে দিয়ে দেয় যার বাহন নেই।

(فَذَكَرَ مِنْ أَصْنَافِ الْمَالِ حَتّٰى رَأَيْنَا أَنَّه لَا حَقَّ لِأَحَدٍ مِنَّا فِىْ فَضْلٍ) তিনি বিভিন্ন মালের কথা উল্লেখ করে অতিরিক্ত মাল দান করতে বললেন এতে আমাদের ধারণা হলো যে, অতিরিক্ত মালে আমাদের কোনো অধিকার নেই। অর্থাৎ তিনি বিভিন্ন প্রকারে মালের নাম উল্লেখপূর্বক সকল প্রকার মালের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ দান করার আদেশ করলেন। তাতে আমাদের মনে ধারণা জন্মালো যে, আমাদের কারো জন্যই প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাল রাখার কোনো অধিকার নেই। অত্র হাদীসে মুখাপেক্ষী ব্যক্তিকে সাহায্য সহযোগিতার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি সফরের অবস্থায় মালের মুখাপেক্ষী হলে তাকে তার প্রয়োজন মিটানোর জন্য দান করা জরুরী যদিও সে স্বদেশে ধনী হোক না কেন। এমতাবস্থায় তাকে যাকাতের মাল দেয়াও বৈধ এবং তার জন্য তা গ্রহণ করাও বৈধ। (মিরকাতুল মাফাতীহ; শারহে মুসলিম ১২ খন্ড, হাঃ ১৭২৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)