পরিচ্ছেদঃ
১৭৪৮। তোমরা মেসওয়াক কর, আমার নিকট ময়লাযুক্ত লাল বর্ণ দাত নিয়ে আসবে না। আমি যদি আমার উম্মাতের উপর মুশকিল মনে না করতাম তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে প্রতিটি সালাতের সময় মেসওয়াক করার নির্দেশ প্রদান করতাম।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে খাতীব বাগদাদী “আল-জামে” গ্রন্থে (কাফ ২/১৯) ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল হামীদ হতে, তিনি কাইস ইবনুর রাবী হতে, তিনি ’ঈসা যাররাদ হতে, তিনি তাম্মাম ইবনু মা’বাদ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল হামীদ হচ্ছেন হুমানী, তিনি এবং কাইস ইবনুর রাবী’ তারা উভয়েই তাদের হেফযের দিক থেকে দুর্বল। আর ঈসা যাররাদ এবং তাম্মাম ইবনু মা’বাদের জীবনী আমি পাচ্ছি না।
হাদিসটিকে সুফিয়ান আবূ আলী যাররাদ হতে, তিনি জা’ফার ইবনু তাম্মাম ইবনু আব্বাস হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে আসলে তিনি তাদেরকে বললেনঃ আমি তোমাদেরকে এমতাবস্থায় কেন দেখছি যে, তোমরা আমার নিকট ময়লাযুক্ত লাল বর্ণ দাত নিয়ে এসেছে? তোমরা মেসওয়াক কর, ...।
এটিকে ইমাম আহমাদ (১/২১৪) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি মুরসাল। তাম্মাম ইবনুল আব্বাসকে ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য তাবেঈনদের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। আর হাফিয ইবনু হাজার "আত-তা’জীল" গ্রন্থে আবূ আলী যাররাদের জীবনী উল্লেখ করে বলেছেনঃ আবু আলী ইবনুস সাকান বলেনঃ তিনি মাজহুল।
হাদীসটিকে আহমাদ শাকের সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু আমি (আলবানী) তার সহীহ আখ্যা প্রদানকে গ্রহণ করছি না। কারণ সকলের ঐক্যমত্যে হাদীসটি বর্ণনার ক্ষেত্রে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। আর শাইখ আহমাদ শাকের এমন কোন প্রমাণ উল্লেখ করেননি যে, তার দ্বারা বিভিন্নভাবে সংঘটিত ইযতিরাবের কোন একটিকে প্রাধান্য বা অগ্রাধিকার দেয়া সম্ভব।
হ্যাঁ, আমি একটি শাহেদ পেয়েছি, যেটিকে আবূ নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/১৪৮) ’আলী ইবনু আবুল আলা হতে, তিনি মারদাস হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ আলাকে আমি চিনি না। আর মারদাস সম্ভবত তিনিই যাকে “আলমীযান এবং “আললিসান” গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছেঃ মারদাস ইবনু আদইয়াহ আবু বিলাল। তিনি তাবেঈ, তাকে বড় খারেজীদের মধ্যে গণ্য করা হয়।
হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউল কাবীর” গ্রন্থে (১/৯৬/১) দারাকুতনীর "আলআফরাদ" গ্রন্থের বর্ণনায় আব্বাস ইবনু আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) হতে উল্লেখ করেছেন। আর "আলফাতহুল কাবীর" গ্রন্থে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্ভবত বিকৃত করা হয়েছে। আর হাকীমের বর্ণনায় তাম্মাম ইবনুল আব্বাস হতে হয়েছে। আর "আলফাতহ" গ্রন্থে হাকীম ও ইবনু আসাকির কর্তৃক তাম্মামের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ বেশী ভাল জানেন।
এতোসব কথা ও আলোচনা শুধুমাত্র হাদীসটির প্রথম অংশ নিয়েঃ (তোমরা মেসওয়াক কর, আমার নিকট ময়লাযুক্ত লাল বর্ণ দাত নিয়ে আসবে না।) কারণ দ্বিতীয় অংশ সহীহ। বরং দ্বিতীয় অংশ মুতাওয়াতির সূত্রে বুখারী ও মুসলিম প্রমুখ গ্রন্থে একদল সাহাবী হতে বর্ণিত হয়েছে। যার কিছুকে আমি "আলইরওয়া" গ্রন্থে (৭০) এবং “সহীহ আবী দাউদ” গ্রন্থে (৩৬, ৩৭) তাখরীজ করেছি।
استاكوا، لا تأتوني قلحا، لولا أن أشق على أمتي لأمرتهم بالسواك عند كل صلاة
ضعيف
-
أخرجه الخطيب في " الجامع " (ق 19 / 2 من المنتقى منه) عن يحيى بن عبد الحميد: حدثنا قيس بن الربيع عن عيسى الزراد عن تمام بن معبد عن ابن عباس. قلت: وهذا إسناد ضعيف، يحيى بن عبد الحميد وهو الحماني، وقيس بن
الربيع ضعيفان من قبل حفظهما. وعيسى الزراد وتمام بن معبد لم أجد لهما ترجمة. والحديث رواه سفيان عن أبي علي الزراد قال: حدثني جعفر بن تمام بن عباس عن أبيه قال: أتوا النبي صلى الله عليه وسلم، أوأتي، فقال: " ما لي أراكم تأتوني قلحا؟! استاكوا، لولا أن أشق.... ". أخرجه أحمد (1 / 214)
قلت: وهذا إسناد ضعيف مرسل، تمام بن العباس ذكره ابن حبان في " التابعين " من " الثقات ". وأبو علي الزراد ترجمه الحافظ في " التعجيل " وقال: " قال أبو علي بن السكن: مجهول ". قلت: وقد اختلف الرواة عليه في إسناده اختلافا
كثيرا، كما بينه الحافظ في ترجمة تمام بن العباس من " التعجيل "، وزاده بيانا الشيخ أحمد شاكر في تعليقه على المسند (3 / 246 - 248) ، وانتهى إلى القول: " ومجموع هذه الروايات عندي يدل على صحة هذا الحديث
قلت: ومدارها كلها على الزراد هذا، وقد علمت قول ابن السكن فيه، لكن الشيخ شاكر رحمه الله تعالى قال عقبه: " وينبغي أن يحكم بتوثيقه، فقد نقل في " التهذيب " (10 / 313) في ترجمة منصور بن المعتمر عن الآجري عن أبي داود: " كان منصور لا يروي إلا عن ثقة ". ورواية منصور عنه ثابتة في أسانيد سنذكرها
ومن وجوه الاختلاف المشار إليها ما رواه أحمد (3 / 442) : حدثنا معاوية بن هشام قال: حدثنا سفيان عن أبي علي الصيقل عن قثم بن تمام أوتمام بن قثم عن أبيه قال: " أتينا النبي صلى الله عليه وسلم فقال: ما بالكم تأتوني قلحا لا تسوكون؟! لولا ... ". قال الهيثمي في " المجمع " (1 / 221) : " رواه أحمد، وفيه أبو علي الصيقل، قيل فيه: إنه مجهول ". وذكر الحافظ أن هذه الرواية شاذة، وأن المحفوظ الرواية المتقدمة عن سفيان ... عن جعفر بن تمام بن عباس عن أبيه مرسلا. قلت: ولست أميل إلى الأخذ بما ذهب إليه الشيخ أحمد من صحة الحديث، لأن الحديث مضطرب اتفاقا، ولم يذكر الشيخ دليلا يمكن به ترجيح وجه من وجوه الاضطراب ثم تصحيحه بخصوصه! نعم وجدت له شاهدا، أخرجه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 148) من طريق العلاء بن أبي العلاء: حدثني مرداس عن أنس مرفوعا به نحوه. لكن العلاء هذا لم أعرفه، ومرداس لعله الذي في " الميزان " و" اللسان ": " مرداس بن أدية أبو بلال، تابعي يعد من كبار الخوارج
والحديث أورده في " الجامع الكبير " (1 / 96 / 1) من رواية الدارقطني في " الأفراد " عن العباس بن عبد المطلب. ووقع في " الفتح الكبير " عن ابن عباس، وكأنه تحريف. ومن رواية الحكيم عن تمام بن عباس. ووقع في " الفتح " الحكيم وابن عساكر عن تمام. فالله أعلم. وهذا كله في الشطر الأول من الحديث
وأما الشطر الآخر، فهو صحيح، بل متواتر، جاء عن جمع من الصحابة في " الصحيحين " وغيرهما، وقد خرجت بعضها في " الإرواء " (70) و" صحيح أبي داود " (36 و37)