৪১৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৪৯-[১] সালমান ইবনু ’আমির আয্ দব্বী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, শিশুর জন্মের সাথে ’আক্বীকাহ্ (অঙ্গাঅঙ্গিভাবে) জড়িত। সুতরাং তার পক্ষ হতে তোমরা রক্ত প্রবাহিত (যাবাহ) করো। আর তার শরীর হতে কষ্ট দূর করে দাও (মাথার চুল কামিয়ে দাও)। (বুখারী)[1]

بَابُ الْعَقِيْقَةِ

عَن سلمانَ بن عامرٍ الضَّبي قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَعَ الْغُلَامِ عَقِيقَةٌ فَأَهْرِيقُوا عَنْهُ دَمًا وأمِيطوا عَنهُ الْأَذَى» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

عن سلمان بن عامر الضبي قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول مع الغلام عقيقة فاهريقوا عنه دما واميطوا عنه الاذى رواه البخاري

ব্যাখ্যাঃ হাফিয শাসসুদ্দীন ইবনুল কইয়্যূম (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যারা বলেন, ‘আক্বীকার ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে উভয়ই সমান। একে অপরের ওপর কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। আর ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য একটি করে দুম্বা বা ছাগল দ্বারা ‘আক্বীকাহ্ দিতে হবে। তারা আলোচ্য হাদীস থেকে দলীল গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে অধিকাংশ ‘উলামা উম্মু কুরয (রাঃ) বর্ণিত হাদীস ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। তাদের বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে ছেলে সন্তানের জন্য দু’টি এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি করে দুম্বা বা ছাগল যাবাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তিরমিযী এবং তিনি হাদীসকে হাসান সহীহ বলেছেন। আহমাদে অনুরূপ শব্দে বর্ণিত রয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে কন্যা শিশুর জন্য একটি ও ছেলে শিশুর জন্য দু’টি ছাগল দ্বারা ‘আক্বীকাহ্ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর অনুরূপ শব্দে ইবনু মাজাহতে বর্ণিত রয়েছে।

জামহূর ‘উলামা বলেছেন, আমরা শারী‘আতে দেখতে পাই যে, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ, সাক্ষী, দীন ও গোলাম আযাদের ব্যাপারে পুরুষের তুলনায় নারীরা অর্ধেক পেয়ে থাকে যেমন আহমাদ ও আবূ দাঊদে বর্ণিত রয়েছে, আবূ উমামাহ্ (রাঃ)-সহ অন্যান্য সাহাবীগণ বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, কোন পুরুষ যদি কোন মুসলিম পুরুষকে মুক্ত করে তবে সেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। প্রতিটি অঙ্গের বিনিময়ে প্রতিটি অঙ্গ মুক্ত হবে জাহান্নাম থেকে। অন্যদিকে কোন মুসলিম দু’জন মহিলাকে মুক্ত করলে সেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে প্রতি দু’টি অঙ্গের বিনিময়ে একটি করে অঙ্গ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। সুতরাং ‘আক্বীকার হুকুমটাও অনুরূপ হবে এবং নাস বা শার‘ঈ পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য এটারই চাহিদা রাখে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৩৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح)