৪৪৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪৫৯-[৪১] কা’ব ইবনু মুররাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে থেকে বৃদ্ধ হয়েছে, তার এ বার্ধক্য কিয়ামতের দিন তার জন্য নূর হবে। (তিরমিযী ও নাসায়ী)[1]

وَعَنْ كَعْبِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الْإِسْلَامِ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ القيامةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ

وعن كعب بن مرة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من شاب شيبة في الاسلام كانت له نورا يوم القيامة رواه الترمذي والنساىي

ব্যাখ্যাঃ হাদীসে চুলের শুভ্রতার আরেকটি ফাযীলাত বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ কিয়ামতের কঠিন অন্ধকারে এই চুল তার জন্য আলো হবে এবং সেই অন্ধকার থেকে মুক্তি দিবে। হাদীস বিশারদ ‘আল্লামা মানবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ চুল নিজেই তার জন্য আলো হবে এবং সে এর দ্বারা পথ প্রদর্শিত হবে। চুলের এই শুভ্রতা যদিও বান্দার নিজের কামাই বা উপার্জনের বিষয় নয় তবুও যখন তার এই শুভ্রের আধিক্য জিহাদ, আল্লাহর ভয় ইত্যাদির কারণে হবে তখন তার নিজের চেষ্টার ফসল বলেই গণ্য হবে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৬৩৪)

শুভ্রতার ফাযীলাতের কারণ এও হতে পারে যে, চুলের শুভ্রতার বয়স পর্যন্ত দীর্ঘকাল সে আল্লাহ তা‘আলার ‘ইবাদাতে লিপ্ত রয়েছে দেখে আল্লাহ তা‘আলা তাকে বোনাস স্বরূপ এ মর্যাদা দান করছেন।

চুলের শুভ্রতার ফাযীলাতের আলোকে সহাবা ও তাবি‘ঈনদের একদল খিযাব পরিহার করতেন। অপরদিকে কালো ছাড়া অন্য খিযাব ব্যবহারের প্রতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎসাহ প্রদানের দিকে লক্ষ্য করে অন্যরা তা ব্যবহার করতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )