১৭১৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. যার জন্য সাদাকা নেয়া হালাল (বৈধ)

১৭১৫. কাবীসা ইবনু মুখারিক আল হিলালী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একজনের পাওনা আদায় করে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম এবং তাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এ ব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলাম। তখন তিনি বললেন: “হে ক্বাবীসা! আমার নিকট সাদাকার কোন মাল আসা পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা কর; তবে (আসলেই) আমি তোমাকে দিয়ে দেয়ার আদেশ দেব।” এরপর বললেন, “হে ক্বাবীসা! সাদাকা তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য বৈধ নয়: যে কারো পাওনা আদায় করে দেয়ার যামিন হয় (দায়িত্ব নেয়), তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ। এমতাবস্থায় তা (পাওনা) পরিশোধ হওয়ার মতো না পাওয়া পর্যন্ত সে চাইতে পারে। এরপর (পাওনা পরিশোধ পরিমাণ যোগাড় হলে) সে (চাওয়া হতে) বিরত থাকবে। এরপর সেই ব্যক্তি যার উপর কোন বিপদ নিপতিত হয় এবং তার ধন –সম্পত্তি সমূলে শেষ করে দেয়- তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ না তা তার জীবন ধারনের জন্য যথেষ্ট -কিংবা তিনি বলেছেন,- জীবন ধারণের উপযোগী হয়ে যায়। এরপর এমন (ধনাঢ্য) ব্যক্তি যার উপর দারিদ্র চেপে বসেছে, যার সম্পর্কে তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, ’অমুকের উপর দারিদ্র চেপে বসেছে।’ তাহলে তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ না তা তার জীবন ধারনের জন্য যথেষ্ট (প্রয়োজন পরিমাণ) -কিংবা তিনি বলেছেন,- জীবন ধারণের উপযোগী হয়ে যায়। এরপর (যথেষ্ট হয়ে গেলে) সে (চাওয়া হতে) বিরত হয়ে যাবে। হে কাবীসা! এ তিন প্রকার ব্যক্তি ব্যতীত আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া হারাম। যার আহরণকারী তা হারাম রূপে ভক্ষণ করে।”[1]

بَاب مَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ وَأَبُو نُعَيْمٍ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هَارُونَ بْنِ رِيَابٍ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلَالِيِّ قَالَ تَحَمَّلْتُ بِحَمَالَةٍ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ أَقِمْ يَا قَبِيصَةُ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا ثُمَّ قَالَ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكَ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَى مِنْ قَوْمِهِ قَدْ أَصَابَ فُلَانًا الْفَاقَةُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ثُمَّ يُمْسِكَ وَمَا سِوَاهُنَّ مِنْ الْمَسْأَلَةِ سُحْتٌ يَا قَبِيصَةُ يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا

حدثنا مسدد وابو نعيم قالا حدثنا حماد بن زيد عن هارون بن رياب حدثني كنانة بن نعيم عن قبيصة بن مخارق الهلالي قال تحملت بحمالة فاتيت النبي صلى الله عليه وسلم اساله فيها فقال اقم يا قبيصة حتى تاتينا الصدقة فنامر لك بها ثم قال يا قبيصة ان المسالة لا تحل الا لاحد ثلاثة رجل تحمل حمالة فحلت له المسالة فسال حتى يصيبها ثم يمسك ورجل اصابته جاىحة فاجتاحت ماله فحلت له المسالة فسال حتى يصيب قواما من عيش او قال سدادا من عيش ورجل اصابته فاقة حتى يقول ثلاثة من ذوي الحجى من قومه قد اصاب فلانا الفاقة فحلت له المسالة فسال حتى يصيب قواما من عيش او سدادا من عيش ثم يمسك وما سواهن من المسالة سحت يا قبيصة ياكلها صاحبها سحتا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)