পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬৪৮-[৩৭] আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: নিম্নমানের জান্নাতবাসীর জন্য আশি হাজার সেবক এবং বাহাত্তর জন স্ত্রী হবে, তার জন্য গম্বুজ আকৃতির ছাউনি স্থাপন করা হবে, যা মণি-মুক্তা, হীরা ও ইয়াকুত দ্বারা তৈরি। উক্ত ছাউনির প্রশস্ততা হবে জাবিয়াহ্ থেকে সন্’আ পর্যন্ত মধ্যবর্তী দূরত্বের পরিমাণ। উক্ত সূত্রে আরো বর্ণিত হয়েছে, তিনি (সা.) বলেছেন: ছোট বয়সে কিংবা বৃদ্ধ বয়সে যে কোন জান্নাতী লোক (দুনিয়াতে) মারা যাবে, সে জান্নাতে ত্রিশ বছর বয়সী (যুবক) হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং বয়স (-এর আকৃতি) কখনো বৃদ্ধি পাবে না। জাহান্নামবাসীরাও ঐ রকম (৩০ বছর বয়সী) হবে।
উক্ত সূত্রে অপর এক বর্ণনায় আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, জান্নাতবাসীদের মাথায় এমন মুকুট রাখা হবে, যার সাধারণ মুক্তা দুনিয়ার পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত আলোকিত করবে।
অত্র সনদে অপর এক বর্ণনায় আছে (সহীহ লিগায়রিহী), জান্নাতে সন্তান কামনা করবে, তখন গর্ভ, প্রসব এবং তার বয়স চাহিদা অনুযায়ী মুহুর্তের মধ্যে সংঘটিত হয়। জান্নাতে যখনই সন্তানের আকাঙ্ক্ষা করবে, তখনই সে সন্তান পাবে, তবে কেউই আশা করবে না। (এ কথাটি ইসহাক-এর)
ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি আরো বলেছেন, হাদীসটি গরীব; ইবনু মাজাহ চতুর্থটি আর দারিমী কেবলমাত্র শেষাংশটি বর্ণনা করেছেন।
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب صفةالجنة وَأَهْلهَا)
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ الَّذِي لَهُ ثَمَانُونَ أَلْفَ خَادِمٍ وَاثْنَتَانِ وَسَبْعُونَ زَوْجَةً وَتُنْصَبُ لَهُ قُبَّةٌ مِنْ لُؤْلُؤٍ وَزَبَرْجَدٍ وَيَاقُوتٍ كَمَا بَيْنَ الْجَابِيَةِ إِلَى صَنْعَاءَ» وَبِهَذَا الْإِسْنَاد قَالَ (ضَعِيف) : «وَمَنْ مَاتَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنْ صَغِيرٍ أَوْ كَبِيرٍ يُرَدُّونَ بَنِي ثَلَاثِينَ فِي الْجَنَّةِ لَا يَزِيدُونَ عَلَيْهَا أَبَدًا وَكَذَلِكَ أَهْلُ النَّارِ» وَبِهَذَا الْإِسْنَاد قَالَ (ضَعِيف) : «إِنَّ عليهمُ التيجانَ أَدْنَى لُؤْلُؤَةٍ مِنْهَا لَتُضِيءُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ والمغربِ» وَبِهَذَا الإِسناد قَالَ (صَحِيح لغيره) : «الْمُؤْمِنُ إِذَا اشْتَهَى الْوَلَدَ فِي الْجَنَّةِ كَانَ حَمْلُهُ وَوَضْعُهُ وَسِنُّهُ فِي سَاعَةٍ كَمَا يُشْتَهَى» وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ: إِذَا اشْتَهَى الْمُؤْمِنُ فِي الْجَنَّةِ الْوَلَدَ كَانَ فِي سَاعَة وَلَكِن لَا يَشْتَهِي (قَول اسحاق لَيْسَ من الحَدِيث) رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب. روى ابْن مَاجَه الرَّابِعَة والدارمي الْأَخِيرَة
حسن ، رواہ الترمذی (1 / 2562) * قلت : و رواہ عبداللہ بن وھب : اخبرنی عمرو بن الحارث بہ (ابن حبان ، الاحسان : 7358 / 7401) و سندہ حسن ۔ ۔ ۔ حسن ، رواہ الترمذی (2 / 2562)و ابن ابی داود کما فی النھایۃ فی الفتن و الملاحم (2 / 132 ح 1203 و سندہ حسن) * قلت : رواہ ابن وھب : اخبرنا عمرو بن الحارث بہ ۔۔۔ حسن ، رواہ الترمذی (3 / 2563) و ابن حبان (الاحسان : 7354 / 7397 و سندہ حسن) * قلت : رواہ ابن وھب : أخبرنی عمرو بن الحارث بہ ۔ 0 حدیث ’’ المومن اذا اشتھی ‘‘ الخ سندہ حسن ، رواہ الترمذی (2563 وقال : حسن غریب) و ابن ماجہ (4328) والدارمی (2 / 337 ح 2837) ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে সর্বনিম্ন জান্নাতী ব্যক্তির জন্য আশি হাজার খাদেম ও বাহাত্তরজন স্ত্রী হবে হুরদের মধ্য থেকে এবং তাদের জন্য মণিমুক্তা, হীরা ও ইয়াকুত পাথরের গোলাকৃতির ছাউনি স্থাপন করা হবে। তাতে তারা বসে আনন্দ প্রকাশ করবে। অনেকে বলেছেন, উপরোক্ত সংখ্যা দ্বারা আধিক্যতা বুঝানো হয়েছে।
(مَنْ مَاتَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنْ صَغِيرٍ) অর্থাৎ জান্নাতবাসী কেউ দুনিয়াতে ছোট অবস্থায় মারা গেলে সে জান্নাতে ত্রিশ বছর বয়সী যুবক হয়ে প্রবেশ করবে। উক্ত বয়স কখনো দুনিয়ার মতো বৃদ্ধি পাবে না। মোটকথা জান্নাতবাসীরা চিরকাল উক্ত বয়সেই থাকবে, বার্ধক্য কখনো তাদেরকে স্পর্শ করবে না।
(كَذَلِكَ أَهْلُ النَّارِ) জাহান্নামবাসীরাও অনুরূপ ত্রিশ বছর বয়সী হবে অর্থাৎ যেভাবে জান্নাতবাসীরা ত্রিশ বছর বয়সী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে দুনিয়াতে তারা যেই বয়সেই মৃত্যুবরণ করুক না কেন? অনুরূপভাবে জাহান্নামবাসীরাও ত্রিশ বছর বয়সী হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং তারা চিরকাল সেখানে বসবাস করবে।
ত্রিশ বছর নির্ধারণের কারণ: যাতে করে জান্নাতবাসীরা পরিপূর্ণরূপে আরাম-আয়েশ ভোগ করতে পারে এবং জাহান্নামবাসীরা পরিপূর্ণরূপে ‘আযাব ভোগ করতে পারে। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৫৬৪৮)