৬০২৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) -এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬০২৫-[৭] ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) -এর যামানায় আমরা কাউকেও আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) -এর সমতুল্য মনে করতাম না। তারপর ’উমার (রাঃ)-কে এবং তারপর ’উসমান (রাঃ)-কে মর্যাদা দিতাম। অতঃপর নবী (সা.) -এর অন্যান্য সাহাবীদের সম্মান সম্পর্কিত আলোচনা পরিহার করতাম। তাদের মাঝে একের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিতাম না। (বুখারী)

আর আবূ দাউদ-এর এক বর্ণনাতে আছে, ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন: নবী (সা.) -এর জীবদ্দশায় আমরা বলতাম, নবী (সা.) -এর উম্মতের মধ্যে তাঁর পরে সর্বোচ্চ মর্যাদাবান লোক হলেন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) তারপর ’উমার, তারপর ’উসমান।

الفصل الاول ( بَاب مَنَاقِب أبي بكر)

وَعَن ابْن عمرٍ قَالَ: كُنَّا فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَعْدِلُ بِأَبِي بَكْرٍ أَحَدًا ثُمَّ عُمَرَ ثُمَّ عُثْمَانَ ثُمَّ نَتْرُكُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نُفَاضِلُ بَيْنَهُمْ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَفِي رِوَايَةٍ لِأَبِي دَاوُدَ قَالَ: كُنَّا نَقُولُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيٌّ: أَفْضَلُ أُمَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عمر ثمَّ عُثْمَان رَضِي الله عَنْهُم

رواہ البخاری (3697) و ابوداؤد (4628) ۔
(صَحِيح)

وعن ابن عمر قال كنا في زمن النبي صلى الله عليه وسلم لا نعدل بابي بكر احدا ثم عمر ثم عثمان ثم نترك اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم لا نفاضل بينهم رواه البخاري وفي رواية لابي داود قال كنا نقول ورسول الله صلى الله عليه وسلم حي افضل امة النبي صلى الله عليه وسلم بعده ابو بكر ثم عمر ثم عثمان رضي الله عنهمرواہ البخاری 3697 و ابوداود 4628 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: (ثُمَّ نَتْرُكُ أَصْحَابَ) ইমাম খত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, হাদীসে ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) ‘আলী (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ করেননি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এখানে ইবনু উমার (রাঃ) বয়সের দিকে থেকে ঐসব প্রবীণ এবং মান্যবর সিনিয়র সাহাবীদের নামের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যাদের নিয়ে রাসূল (সা.) বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতেন। তাছাড়া ‘আলী (রাঃ) নবী (সা.) -এর যুগে বয়সে ছোট ছিলেন। তিনি খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) আরো বলেন: ইবনু উমার (রাঃ)-এর দ্বারা তাঁকে অবজ্ঞা করতে চাননি এবং উসমান (রাঃ)-এর পরে-ই যে তার মর্যাদা এতেও তিনি কোন তারতম্য করেননি। (ফাতহুল বারী হা. ৩৬৯৭, মিরক্বাতুল মাফাতীহ হা. ৬০২৫)

এখানে সুস্পষ্ট যে, ইবনু উমার (রাঃ) এই নাফী দ্বারা এটা উদ্দেশ্য নিয়েছেন যে, তারা মর্যাদার ক্ষেত্রে ইজতিহাদ করতেন। অতএব তাদের কাছে তিনজনের মর্যাদা বেশি স্পষ্ট হত, তাই তারা এই তিনজনের মর্যাদা দঢ়তার সাথে বলতেন কিন্তু তখন তারা অন্য কোন দলীলের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করতেন না। ইমাম বাযযার “উমার (রাঃ), একটি বর্ণনা উক্ত কথাকে আরো শক্তিশারী করে ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করতাম মদীনাবাসীর সর্বোত্তম ব্যক্তি হলেন ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ)।
(كنانترك) ইমাম কারমানী বলেন, এমনটি হতে পারে যে, ইবনু উমার (রাঃ) উদ্দেশ্য নিয়েছেন। উক্ত ঘটনা নবী (সা.) -এর যুগে কিছু সময়ের জন্য ছিল পরবর্তীতে যখন সব কিছু স্পষ্ট হয়ে গেল তখন আর এমনটি ঘটেনি। (ফাতহুল বারী হা. ৩৬৯৭)
(أَفْضَلُ أُمَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) অর্থাৎ যারা হলেন নবীগণের পর উম্মতের সর্বোত্তম ব্যক্তি অথবা নবী (সা.) জীবিত থাকা অবস্থায় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)