পরিচ্ছেদঃ বিতর সালাত ফরয নয় মর্মে দশম হাদীস
২৪১০. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়ামানে পাঠান, তখন তাঁকে বলেন: ‘নিশ্চয়ই তুমি আহলে কিতাবদের একটি সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছো, অতএব তাদের প্রতি তোমার প্রথম দা‘ওয়াত যেন হয় আল্লাহর ইবাদত করা। যখন তারা আল্লাহকে চিনবে, তখন তুমি তাদের জানাবে যে, আল্লাহ তাদের উপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যখন তারা এটা পালন করবে, তখন তাদেরকে জানাবে যে, আল্লাহ তাদের উপর যাকাত ফরয করেছেন; যা তাদের সম্পদ থেকে গ্রহণ করা হবে অতঃপর তাদের গরীবদের মাঝে তা বন্টন করা হবে। যখন তারা তা মেনে নিবে, তখন তাদের থেকে তা গ্রহন করবে। আর মানুষের উত্তম সম্পদ গ্রহণ করা থেকে বেঁচে থাকবে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “বিতর সালাত ফরয নয় মর্মে এই ধরণের হাদীসের সংখ্যা অনেক। তবে এক্ষেত্রে আমরা যতটুকু উল্লেখ করেছি, সেটাই যথেষ্ট ঐ ব্যক্তির জন্য, যাকে মহান আল্লাহ সঠিকতার তাওফীক দিয়েছেন এবং সঠিক পথ অবলম্বনের হিদায়াত দান করেছেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুনিয়া ত্যাগের মাত্র কিছুদিন আগে মুয়ায বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়ামানে পাঠিয়েছিলেন। তিনি তাকে আদেশ করেছিলেন যে, তিনি তাদেরকে এটা জানিয়ে দেন যে, মহান আল্লাহ তাদের উপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যদি বিতর সালাত ফরয হতো অথবা পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু হতো, যেমনটা ধারণা করে ঐ ব্যক্তি যিনি ইলমে হাদীসে অজ্ঞ এবং যিনি যয়ীফ হাদীস থেকে সহীহ হাদীস আলাদা করতে পারেন না- তবে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়ায বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে নির্দেশ দিতেন এটা জানিয়ে দেওয়ার জন্য যে, মহান আল্লাহ তাদের উপর ছয় ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন; পাঁচ ওয়াক্তের কথা বলতেন না।
কাজেই আমরা যা বর্ণনা করলাম, তাতে সবচেয়ে বড় দলীল রয়েছে যে, বিতর সালাত ফরয-ওয়াজিব নয়। আর আল্লাহর কাছেই তাওফীক চাই।”
ذِكْرُ خَبَرٍ عَاشِرٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْوِتْرَ غَيْرُ فَرْضٍ عَلَى أَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ
2410 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ قَالَ: (إِنَّكَ تَقَدُمُ عَلَى قَوْمٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ عِبَادَةُ اللَّهِ فَإِذَا عَرَفُوا اللَّهَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ فَإِذَا فَعَلُوهُ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً تُؤْخَذُ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِذَا أَطَاعُوا بِهَذَا فَخُذْ مِنْهُمْ وَتَوقَّ كرائم أموال الناس)
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2410 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: الِاسْتِدْلَالُ بِمِثْلِ هَذِهِ الْأَخْبَارِ عَلَى أَنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِفَرْضٍ تَكْثُرُ فِيمَا ذَكَرْنَا مِنْهَا غُنية لِمَنْ وَفَقَّهُ اللَّهُ لِلسَّدَادِ وَهَدَاهُ لِسُلُوكِ الرَّشَادِ أَنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِفَرْضٍ وَكَانَ بَعْثُ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ خُرُوجِهِ مِنَ الدُّنْيَا بِأَيَّامٍ يَسِيرَةٍ وأمَرَه صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُخْبِرَهم أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ وَلَوْ كَانَ الْوِتْرُ فَرْضًا أَوْ شَيْئًا زَادَهُ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا لِلنَّاسِ عَلَى صَلَوَاتِهِمْ كَمَا زعم من جهل صناعة الحديث ومن لم يُمَيِّزْ بَيْنَ صَحِيحِهَا وَسَقِيمِهَا لأَمَرَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ أَنْ يُخْبِرَهُمْ أَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا فَرَضَ عَلَيْهِمْ سِتَّ صَلَوَاتٍ لَا خَمْسًا فَفِيمَا وَصَفْنَا أَبْيَنُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِفَرْضٍ وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবু দাউদ: ১৪১২)