২৯. গুনাহ্ গুনাহ্গারকে ইহ্সানের পর্যায় থেকে বঞ্চিত করে। ইহ্সানের পর্যায় হলো সর্বোচ্চ পর্যায়। আর তা হচ্ছে, আল্লাহ্ তা‘আলার ইবাদাত এমনভাবে করা যে, যেন আপনি আল্লাহ্ তা‘আলাকে দেখতে পাচ্ছেন। আর তা না হলে এমন যেন হয় যে, আল্লাহ্ তা‘আলা আপনাকে দেখতে পাচ্ছেন। ফলে সে মুহসিনীনদের জন্য নির্ধারিত সুযোগ-সুবিধা ও বিশেষ সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়। কখনো কখনো এমনো হয় যে, সে ঈমানের পর্যায় থেকেও বঞ্চিত হয়। ফলে ঈমানের সকল কল্যাণও তার হাতছাড়া হয়ে যায়। ঈমানের প্রায় একশতটি কল্যাণ রয়েছে। তম্মধ্যে মু’মিনদের জন্য মহা পুণ্য, দুনিয়া ও আখিরাতের সকল বালা-মুসীবত থেকে উদ্ধার, তাদের জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট আর্শবাহী ফিরিশ্তাদের মাগফিরাত কামনা, আল্লাহ্ তা‘আলার বিশেষ বন্ধুত্ব, তাদেরকে ফিরিশ্তাদের মাধ্যমে শরীয়তের উপর দৃঢ়পদ করণ, তাদের জন্য স্পেশাল সম্মান, তাদের জন্য সর্বদা আল্লাহ্ তা‘আলার সহযোগিতা, দুনিয়া ও আখিরাতের সুউচ্চ সম্মান, গুনাহ্ মাফ ও সম্মান জনক উপজীবিকা, পরকালে আল্লাহ্ তা‘আলার বিশেষ রহমত ও দীর্ঘ অন্ধকার পথ পাড়ি দেয়ার জন্য নূরের সুব্যবস্থা, ফিরিশ্তা, নবী ও নেক্কারদের ভালোবাসা, আখিরাতের নিরাপত্তা এবং তারাই পরকালে আল্লাহ্ তা‘আলার একমাত্র নি’য়ামতপ্রাপ্ত ও তাদের জন্যই কুর‘আনের হিদায়াত ও সুচিকিৎসা ইত্যাদি অন্যতম। কখনো কখনো এমন হয় যে, বার বার গুনাহ্’র কারণে আল্লাহ্ তা‘আলা তার অন্তরের উপর কুফরির মোহর মেরে দেন এবং সে ব্যক্তি ইসলামের গন্ডি থেকেই সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যায়। তারপরও আল্লাহ্ চায় তো তাওবা’র দরোজা সর্বদা তার জন্য খোলা রয়েছে।