পরিচ্ছেদঃ ৫১/১. হিবা ও এর ফযীলত
২৫৬৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, হে মুসলিম নারীগণ! কোন মহিলা প্রতিবেশিনী যেন অপর মহিলা প্রতিবেশিনীর হাদিয়া তুচ্ছ মনে না করে, এমনকি তা ছাগলের সামান্য গোশ্তযুক্ত হাড় হলেও। (৬০১৭, মুসলিম ১২/২৯ হাঃ ১০৩০, আহমাদ ৮০৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৯৬)
كِتَابُ الهِبَةِ وَفَضْلِهَ
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ ذِئْبٍ عَنْ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَا نِسَاءَ الْمُسْلِمَاتِ لَا تَحْقِرَنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ فِرْسِنَ شَاةٍ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "O Muslim women! None of you should look down upon the gift sent by her female neighbor even if it were the trotters of the sheep (fleshless part of legs).
পরিচ্ছেদঃ ৫১/১. হিবা ও এর ফযীলত
২৫৬৭. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি একবার ‘উরওয়াহ (রাঃ)-’র উদ্দেশে বললেন, ভাগ্নে! আমরা নতুন চাঁদ দেখতাম, আবার নতুন চাঁদ দেখতাম। এভাবে দু’মাসে তিনটি নতুন চাঁদ দেখতাম। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কোন ঘরেই আগুন জ্বালানো হত না। [‘উরওয়াহ (রহ.) বলেন] আমি জিজ্ঞেস করলাম, খালা! আপনারা তাহলে বেঁচে থাকতেন কিভাবে? তিনি বললেন, দু’টি কালো জিনিস অর্থাৎ খেজুর আর পানিই শুধু আমাদের বাঁচিয়ে রাখত। কয়েক ঘর আনসার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতিবেশী ছিল। তাঁদের কিছু দুগ্ধবতী উটনী ও বকরী ছিল। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জন্য দুধ হাদিয়া পাঠাত। তিনি আমাদের তা পান করতে দিতেন। (৬৪৫৮, ৬৪৫৯, মুসলিম ৫৩/১ হাঃ ২৯৬২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৯৭)
كِتَابُ الهِبَةِ وَفَضْلِهَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأُوَيْسِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ يَزِيْدَ بْنِ رُوْمَانَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ لِعُرْوَةَ ابْنَ أُخْتِيْ إِنْ كُنَّا لَنَنْظُرُ إِلَى الْهِلَالِ ثُمَّ الْهِلَالِ ثَلَاثَةَ أَهِلَّةٍ فِيْ شَهْرَيْنِ وَمَا أُوْقِدَتْ فِيْ أَبْيَاتِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَارٌ فَقُلْتُ يَا خَالَةُ مَا كَانَ يُعِيْشُكُمْ قَالَتْ الأَسْوَدَانِ التَّمْرُ وَالْمَاءُ إِلَّا أَنَّهُ قَدْ كَانَ لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم جِيْرَانٌ مِنْ الأَنْصَارِ كَانَتْ لَهُمْ مَنَائِحُ وَكَانُوْا يَمْنَحُوْنَ رَسُوْلَ اللهِ مِنْ أَلْبَانِهِمْ فَيَسْقِيْنَا.
Narrated `Urwa:
Aisha said to me, "O my nephew! We used to see the crescent, and then the crescent and then the crescent in this way we saw three crescents in two months and no fire (for cooking) used to be made in the houses of Allah's Messenger (ﷺ). I said, "O my aunt! Then what use to sustain you?" `Aisha said, "The two black things: dates and water, our neighbors from Ansar had some Manarh and they used to present Allah's Messenger (ﷺ) some of their milk and he used to make us drink."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/২. অল্প পরিমাণে হিবা করা সম্পর্কে।
২৫৬৮. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যদি আমাকে হালাল পশুর পায়া বা হাতা খেতে ডাকা হয়, তবু তা আমি গ্রহণ করব আর যদি আমাকে পায়া বা হাতা হাদিয়া দেয়া হয়, আমি তা গ্রহণ করব। (৫১৭৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৯৮)
بَابُ الْقَلِيْلِ مِنْ الْهِبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ عَدِيٍّ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ دُعِيْتُ إِلَى ذِرَاعٍ أَوْ كُرَاعٍ لَأَجَبْتُ وَلَوْ أُهْدِيَ إِلَيَّ ذِرَاعٌ أَوْ كُرَاعٌ لَقَبِلْتُ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "I shall accept the invitation even if I were invited to a meal of a sheep's trotter, and I shall accept the gift even if it were an arm or a trotter of a sheep."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৩. যদি কেউ তার সঙ্গী সাথীদের নিকট কিছু চায়।
وَقَالَ أَبُوْ سَعِيْدٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اضْرِبُوْا لِيْ مَعَكُمْ سَهْمًا
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমাদের সঙ্গে আমার জন্য এক অংশ রেখ।
২৫৬৯. সাহল (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক মুহাজির১ মহিলার নিকট নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লোক পাঠালেন। তাঁর এক গোলাম ছিল কাঠ মিস্ত্রি। তিনি তাকে বললেন, তুমি তোমার গোলামকে বল, সে যেন আমাদের জন্য একটা কাঠের মিম্বার তৈরি করে। তিনি তার গোলামকে নির্দেশ দিলেন। সে গিয়ে এক রকম গাছ কেটে এনে মিম্বার তৈরী করল। কাজ শেষ হলে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট লোক পাঠিয়ে জানালেন যে, গোলাম তার কাজ শেষ করেছে। তিনি বললেন, সেটা আমার নিকট পাঠিয়ে দাও। তখন লোকেরা তা নিয়ে এল। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেটা বহন করে সেখানে রাখলেন, যেখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছ। (৩৭৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৯৯)
بَابُ مَنْ اسْتَوْهَبَ مِنْ أَصْحَابِهِ شَيْئًا
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ حَدَّثَنَا أَبُوْ غَسَّانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ حَازِمٍ عَنْ سَهْلٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَ إِلَى امْرَأَةٍ مِنْ الْمُهَاجِرِيْنَ وَكَانَ لَهَا غُلَامٌ نَجَّارٌ قَالَ لَهَا مُرِيْ عَبْدَكِ فَلْيَعْمَلْ لَنَا أَعْوَادَ الْمِنْبَرِ فَأَمَرَتْ عَبْدَهَا فَذَهَبَ فَقَطَعَ مِنْ الطَّرْفَاءِ فَصَنَعَ لَهُ مِنْبَرًا فَلَمَّا قَضَاهُ أَرْسَلَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ قَدْ قَضَاهُ قَالَ أَرْسِلِيْ بِهِ إِلَيَّ فَجَاءُوْا بِهِ فَاحْتَمَلَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعَهُ حَيْثُ تَرَوْنَ.
Narrated Sahl:
The Prophet (ﷺ) sent for a woman from the emigrants and she had a slave who was a carpenter. The Prophet said to her "Order your slave to prepare the wood (pieces) for the pulpit." So, she ordered her slave who went and cut the wood from the tamarisk and prepared the pulpit, for the Prophet. When he finished the pulpit, the woman informed the Prophet (ﷺ) that it had been finished. The Prophet (ﷺ) asked her to send that pulpit to him, so they brought it. The Prophet (ﷺ) lifted it and placed it at the place in which you see now."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৩. যদি কেউ তার সঙ্গী সাথীদের নিকট কিছু চায়।
২৫৭০. আবূ ক্বাতাদাহ সালামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মক্কার পথে কোন এক মনযিলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কয়েকজন সাহাবীর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের অগ্রবর্তী কোন স্থানে অবস্থান করছিলেন। সকলেই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। আমি শুধু ইহরাম ব্যতীত ছিলাম। তাঁরা একটি বন্য গাধা দেখতে পেলেন। আমি তখন আমার জুতা মেরামত করছিলাম। তাঁরা আমাকে সে সম্পর্কে জানাননি। অথচ সেটি আমি যেন দেখতে পাই তাঁরা তা চাচ্ছিলেন। আমি হঠাৎ সেদিকে তাকালেন, সেটা আমার নযরে পড়ল। তখন আমি উঠে ঘোড়ার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং জীন লাগিয়ে তাতে সাওয়ার হলাম। কিন্তু চাবুক ও বর্শা নিতে ভুলে গেলাম। তখন তাঁদের বললাম, চাবুক আর বর্শাটা আমাকে তুলে দাও। কিন্তু তাঁরা বললেন, আল্লাহর কসম! গাধা শিকার করার ব্যাপারে আমরা তোমাকে কোন সাহায্যই করব না। আমি তখন রাগ করে নেমে এলাম এবং সে দু’টি তুলে নিয়ে সাওয়ার হলাম। আর গাধাটা আক্রমণ করে আহত করলাম। তাতে সেটি মারা গেল। অতঃপর সেটাকে নিয়ে আসলাম। তারা সেই গাধার মাংস খেতে লাগলেন। পরে তাদের মনে ইহরাম অবস্থায় তা খাওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দিল। আমরা যাত্রা শুরু করলাম। এক ফাঁকে আমি আমার নিকট গাধার একটি হাতা লুকিয়ে রেখেছিলাম। আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাক্ষাৎ পেয়ে সেই মাংস সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তোমাদের সঙ্গে সেটার মাংসের কিছু আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ আছে। অতঃপর হাতাখানা তাঁকে দিলে তিনি ইহরাম অবস্থায় তার সবটুকু খেলেন। এ হাদীসটি যায়দ ইবনু আসলাম (রাঃ) ‘আতা’ ইবনু ইয়াসার (রহ.)-এর মাধ্যমে আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। (১৮২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০০)
بَابُ مَنْ اسْتَوْهَبَ مِنْ أَصْحَابِهِ شَيْئًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ كُنْتُ يَوْمًا جَالِسًا مَعَ رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ مَنْزِلٍ فِيْ طَرِيْقِ مَكَّةَ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَازِلٌ أَمَا مَنَا وَالْقَوْمُ مُحْرِمُوْنَ وَأَنَا غَيْرُ مُحْرِمٍ فَأَبْصَرُوْا حِمَارًا وَحْشِيًّا وَأَنَا مَشْغُوْلٌ أَخْصِفُ نَعْلِيْ فَلَمْ يُؤْذِنُوْنِيْ بِهِ وَأَحَبُّوْا لَوْ أَنِّيْ أَبْصَرْتُهُ وَالْتَفَتُّ فَأَبْصَرْتُهُ فَقُمْتُ إِلَى الْفَرَسِ فَأَسْرَجْتُهُ ثُمَّ رَكِبْتُ وَنَسِيْتُ السَّوْطَ وَالرُّمْحَ فَقُلْتُ لَهُمْ نَاوِلُوْنِي السَّوْطَ وَالرُّمْحَ فَقَالُوْا لَا وَاللهِ لَا نُعِيْنُكَ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ فَغَضِبْتُ فَنَزَلْتُ فَأَخَذْتُهُمَا ثُمَّ رَكِبْتُ فَشَدَدْتُ عَلَى الْحِمَارِ فَعَقَرْتُهُ ثُمَّ جِئْتُ بِهِ وَقَدْ مَاتَ فَوَقَعُوْا فِيْهِ يَأْكُلُوْنَهُ ثُمَّ إِنَّهُمْ شَكُّوْا فِيْ أَكْلِهِمْ إِيَّاهُ وَهُمْ حُرُمٌ فَرُحْنَا وَخَبَأْتُ الْعَضُدَ مَعِيْ فَأَدْرَكْنَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مَعَكُمْ مِنْهُ شَيْءٌ فَقُلْتُ نَعَمْ فَنَاوَلْتُهُ الْعَضُدَ فَأَكَلَهَا حَتَّى نَفِدَهَا وَهُوَ مُحْرِمٌ فَحَدَّثَنِيْ بِهِ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Abdullah bin Abu Qatada Al-Aslami:
That his father said, "One day I was sitting with some of the Prophet's companions on the way to Mecca. Allah's Messenger (ﷺ) was ahead of us. All of my companions were in the state of Ihram while I was a non-Muhrim. They saw an onager while I was busy repairing my shoes, so they did not tell me about it but they wished I had seen it. By chance I looked up and saw it. So, I turned to the horse, saddled it and rode on it, forgetting to take the spear and the whip. I asked them if they could hand over to me the whip and the spear but they said, 'No, by Allah, we shall not help you in that in any way.' I became angry and got down from the horse, picked up both the things and rode the horse again. I attacked the onager and slaughtered it, and brought it (after it had been dead). They took it (cooked some of it) and started eating it, but they doubted whether it was allowed for them to eat it or not, as they were in the state of Ihram. So, we proceeded and I hid with me one of its fore-legs. When we met Allah's Messenger (ﷺ) and asked him about the case, he asked, 'Do you have a portion of it with you?' I replied in the affirmative and gave him that fleshy foreleg which he ate completely while he was in the state of Ihram .
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৪. . কোন ব্যক্তির পানি চাওয়া সম্পর্কে।
وَقَالَ سَهْلٌ قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْقِنِي
সাহল (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন, আমাকে পান করাও।
২৫৭১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের এই ঘরে আগমন করেন এবং কিছু পান করতে চাইলেন। আমরা আমাদের একটা বকরীর দুধ দোহন করে তাতে আমাদের এই কুয়ার পানি মিশালাম। অতঃপর তা সম্মুখে পেশ করলাম। এ সময় আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন তাঁর বামে, ‘উমার (রাঃ) ছিলেন তাঁর সম্মুখে, আর এক বেদুঈন ছিলেন তাঁর ডানে। তিনি যখন পান শেষ করলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, ইনি আবূ বকর, কিন্তু রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বেদুঈনকে তার অবশিষ্ট পানি দান করলেন। অতঃপর বললেন, ডান দিকের ব্যক্তিদেরকেই (অগ্রাধিকার), ডান দিকের ব্যক্তিদের (অগ্রাধিকার) শোন! ডান দিক থেকেই শুরু করবে। আনাস (রাঃ) বলেন, এটাই সুন্নাত, এটাই সুন্নাত, এটাই সুন্নাত। (২৩৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০১)
بَابُ مَنْ اسْتَسْقٰى
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ طُوَالَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُوْلُ أَتَانَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ دَارِنَا هَذِهِ فَاسْتَسْقَى فَحَلَبْنَا لَهُ شَاةً لَنَا ثُمَّ شُبْتُهُ مِنْ مَاءِ بِئْرِنَا هَذِهِ فَأَعْطَيْتُهُ وَأَبُوْ بَكْرٍ عَنْ يَسَارِهِ وَعُمَرُ تُجَاهَهُ وَأَعْرَابِيٌّ عَنْ يَمِيْنِهِ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ عُمَرُ هَذَا أَبُوْ بَكْرٍ فَأَعْطَى الأَعْرَابِيَّ فَضْلَهُ ثُمَّ قَالَ الأَيْمَنُوْنَ الأَيْمَنُوْنَ أَلَا فَيَمِّنُوْا قَالَ أَنَسٌ فَهِيَ سُنَّةٌ فَهِيَ سُنَّةٌ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ.
Narrated Anas:
Once Allah's Messenger (ﷺ) visited us in this house of ours and asked for something to drink. We milked one of our sheep and mixed it with water from this well of ours and gave it to him. Abu Bakr was sitting on his left side and `Umar in front of him and a bedouin on his right side. When Allah's Messenger (ﷺ) finished, `Umar said to Allah's Messenger (ﷺ) "Here is Abu Bakr." But Allah's Messenger (ﷺ) gave the remaining milk to the bedouin and said twice, "The (persons on the) right side! So, start from the right side." Anas added, "It is a Sunna (the Prophet's traditions)" and repeated it thrice.
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৫. শিকারের গোশত হাদিয়া হিসেবে গ্রহণ করা সম্পর্কে।
وَقَبِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَبِيْ قَتَادَةَ عَضُدَ الصَّيْدِ.
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শিকারকৃত পশুর একটি বাহু গ্রহণ করেছিলেন।
২৫৭২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (মক্কার অদূরে) মার্রায্ যাহারান নামক স্থানে আমরা একটি খরগোশ তাড়া করলাম। লোকেরা সেটার পিছনে ধাওয়া করে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। অবশেষে আমি সেটাকে পেয়ে গেলাম এবং ধরে আবূ ত্বলহা (রাঃ)-এর নিকট নিয়ে গেলাম। তিনি সেটাকে যবেহ করে তার পাছা অথবা রাবী বলেন, দু’ উরু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর খিদমতে পাঠালেন। শু‘বা (রহ.) বলেন, দু’টি উরুই এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা গ্রহণ করেছিলেন। রাবী বলেন, আমি শু‘বা (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি তা খেয়েছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, খেয়েছিলেন। অতঃপর তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা গ্রহণ করেছিলেন। (৫৪৮৯, ৫৫৩৫ মুসলিম ৩৫/৪, হাঃ ১৯৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০২)
بَابُ قَبُوْلِ هَدِيَّةِ الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أَنْفَجْنَا أَرْنَبًا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَى الْقَوْمُ فَلَغَبُوْا فَأَدْرَكْتُهَا فَأَخَذْتُهَا فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا وَبَعَثَ بِهَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِوَرِكِهَا أَوْ فَخِذَيْهَا قَالَ فَخِذَيْهَا لَا شَكَّ فِيْهِ فَقَبِلَهُ قُلْتُ وَأَكَلَ مِنْهُ قَالَ وَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ بَعْدُ قَبِلَهُ
Narrated Anas:
We chased a rabbit at Mar-al-Zahran and the people ran after it but were exhausted. I overpowered and caught it, and gave it to Abu Talha who slaughtered it and sent its hip or two thighs to Allah's Apostle. (The narrator confirms that he sent two thighs). The Prophet (ﷺ) accepted that. (The sub-narrator asked Anas, "Did the Prophet; eat from it?" Anas replied, "He ate from it.")
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৬. হাদিয়া কবুল করা সম্পর্কে
২৫৭৩. সা‘আব ইবনু জাসসামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি (সা‘আব ইবনু জাসসামা) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জন্য একটি বন্য গাধা হাদিয়া পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন আবওয়া কিংবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে ছিলেন। তিনি হাদিয়া ফেরত পাঠালেন। পরে তার বিষণ্ণ মুখ দেখে বললেন, শুন! আমরা ইহরাম অবস্থায় না থাকলে তোমার হাদিয়া ফেরত দিতাম না। (১৮২৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০৩)
بَابُ قَبُوْلِ الْهَدِيَّة
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُوْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ أَنَّهُ أَهْدَى لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِمَارًا وَحْشِيًّا وَهُوَ بِالأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ فَرَدَّ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَأَى مَا فِيْ وَجْهِهِ قَالَ أَمَا إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلَّا أَنَّا حُرُمٌ
Narrated As-Sa'b bin Jath-thama:
An onager was presented to Allah's Messenger (ﷺ) at the place called Al-Abwa' or Waddan, but Allah's Apostle rejected it. When the Prophet (ﷺ) noticed the signs of sorrow on the giver's face he said, "We have not rejected your gift, but we are in the state of Ihram."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৭. হাদিয়া কবুল করা সম্পর্কে।
২৫৭৪. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার ব্যাপারে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। (২৫৮০, ২৫৮১, ৩৭৭৫, মুসলিম ৪৪/১৩, হাঃ ২৪৪১, ২৪৪২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০৪)
بَابُ قَبُوْلِ الْهَدِيَّة
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى حَدَّثَنَا عَبْدَةُ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ النَّاسَ كَانُوْا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ يَبْتَغُوْنَ بِهَا أَوْ يَبْتَغُوْنَ بِذَلِكَ مَرْضَاةَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
Narrated Aisha:
The people used to look forward for the days of my (`Aisha's) turn to send gifts to Allah's Messenger (ﷺ) in order to please him.
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৭. হাদিয়া কবুল করা সম্পর্কে।
২৫৭৫. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’আব্বাসের খালা উম্মু হুফায়দ (রাঃ) একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর খিদমাতে পনির, ঘি ও দব্ব (অনেকটা গুইসাপের মত দেখতে) হাদিয়া পাঠালেন। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শুধু পনির ও ঘি খেলেন আর দব্ব অরুচিকর হওয়ায় বাদ দিলেন। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দস্তরখানে (দব্ব) খাওয়া হয়েছে। তা হারাম হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দস্তরখানে খাওয়া হত না। (৫৩৮৯, ৫৪০২, ৭৩৫৮, মুসলিম ৩৪/৭ হাঃ ১৯৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০৫)
بَابُ قَبُوْلِ الْهَدِيَّة
حَدَّثَنَا اٰدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ إِيَاسٍ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيْدَ بْنَ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَهْدَتْ أُمُّ حُفَيْدٍ خَالَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَقِطًا وَسَمْنًا وَأَضُبًّا فَأَكَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ الأَقِطِ وَالسَّمْنِ وَتَرَكَ الضَّبَّ تَقَذُّرًا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلَوْ كَانَ حَرَامًا مَا أُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ رَسُوْلِ اللهِ
Narrated Sa`id bin Jubair:
Ibn `Abbas said: Um Hufaid, Ibn `Abbas's aunt sent some dried yogurt (butter free), ghee (butter) and a mastigar to the Prophet (ﷺ) as a gift. The Prophet (ﷺ) ate the dried yogurt and butter but left the mastigar because he disliked it. Ibn `Abbas said, "The mastigar was eaten at the table of Allah's Messenger (ﷺ) and if it had been illegal to eat, it could not have been eaten at the table of Allah's Messenger (ﷺ)."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৭. হাদিয়া কবুল করা সম্পর্কে।
২৫৭৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদাকা? যদি বলা হত সাদাকা, তাহলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হত হাদিয়া, তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সঙ্গে খাওয়ায় শরীক হতেন। (মুসলিম ১২/৫৩ হাঃ ১০৭৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০৬)
بَابُ قَبُوْلِ الْهَدِيَّة
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا مَعْنٌ قَالَ حَدَّثَنِيْ إِبْرَاهِيْمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيْلَ صَدَقَةٌ قَالَ لِأَصْحَابِهِ كُلُوْا وَلَمْ يَأْكُلْ وَإِنْ قِيْلَ هَدِيَّةٌ ضَرَبَ بِيَدِهِ فَأَكَلَ مَعَهُمْ
Narrated Abu Huraira:
Whenever a meal was brought to Allah's Messenger (ﷺ), he would ask whether it was a gift or Sadaqa (something given in charity). If he was told that it was Sadaqa, he would tell his companions to eat it, but if it was a gift, he would hurry to share it with them.
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৭. হাদিয়া কবুল করা সম্পর্কে।
২৫৭৭. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর খিদমতে কিছু মাংস আনা হল। তখন বলা হল যে, এট আসলে বারীরার নিকট সাদাকারূপে এসেছিল। তখন তিনি বললেন, এটা তার জন্য সাদাকা আর আমাদের জন্য হাদিয়া। (১৪৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০৭)
بَابُ قَبُوْلِ الْهَدِيَّة
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِلَحْمٍ فَقِيلَ تُصُدِّقَ عَلَى بَرِيرَةَ قَالَ " هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ، وَلَنَا هَدِيَّةٌ ".
Narrated Anas bin Malik:
Some meat was brought to the Prophet (ﷺ) and it was said that the meat had been given in charity to Buraira. He said, "It was Sadaqa for Buraira but a gift for us."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৭. হাদিয়া কবুল করা সম্পর্কে।
২৫৭৮. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বারীরাহ (রাঃ)-কে খরিদ করার ইচ্ছা করলে তার মালিক পক্ষ ওয়ালার শর্তারোপ করল। তখন বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সামনে আলোচিত হল। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তাকে খরিদ করে আযাদ করে দাও। কেননা যে আযাদ করল, সেই ওয়ালা লাভ করবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর জন্য কিছু মাংস হাদিয়া পাঠানো হল। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলা হল যে, এ মাংস বারীরাকে সাদাকা করা হয়েছিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটা তার জন্য সাদাকা আর আমাদের জন্য হাদিয়া। তাকে (স্বামী বহাল রাখা বা পরিত্যাগ করার ব্যাপারে) স্বীয় ইচ্ছামাফিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার দেয়া হল। (রাবী) ‘আবদুর রহমান (রহ.) বলেন, তার স্বামী তখন আযাদ কিংবা গোলাম ছিল। শু‘বা (রহ.) বলেন, পরে আমি ‘আবদুর রহমান (রহ.)-কে তার স্বামী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি জানি না, সে আযাদ ছিল না গোলাম ছিল। (৪৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০৮)
بَابُ قَبُوْلِ الْهَدِيَّة
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ قَالَ سَمِعْتُهُ مِنْهُ عَنْ الْقَاسِمِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيْرَةَ وَأَنَّهُمْ اشْتَرَطُوْا وَلَاءَهَا فَذُكِرَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اشْتَرِيْهَا فَأَعْتِقِيْهَا فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَأُهْدِيَ لَهَا لَحْمٌ فَقِيْلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا تُصُدِّقَ عَلَى بَرِيْرَةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ وَلَنَا هَدِيَّةٌ وَخُيِّرَتْ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ زَوْجُهَا حُرٌّ أَوْ عَبْدٌ قَالَ شُعْبَةُ سَأَلْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ عَنْ زَوْجِهَا قَالَ لَا أَدْرِيْ أَحُرٌّ أَمْ عَبْدٌ.
Narrated `Aisha:
I intended to buy Buraira but her masters stipulated that her Wala should be for them. When the Prophet was told about it, he said to me, "Buy and manumit her, as the Wala' is for the liberator." Once Buraira was given some meat, and the Prophet (ﷺ) asked, "What is this?" I said, "It has been given to Buraira in charity." He said, "It is sadaqa for her but a gift for us." Buraira was given the option (to stay with her husband or to part with him). `Abdur-Rahman (a sub-narrator) wondered, "Was her husband a slave or a free man?" Shu`ba (another sub-narrator) said, "I asked `Abdur-Rahman whether her husband was a slave or a free man. He replied that he did not know whether he was a slave or a free man."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৭. হাদিয়া কবুল করা সম্পর্কে।
২৫৭৯. উম্মু ‘আতিয়্যাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের নিকট খাবার কিছু আছে কি? তিনি বললেন, না; উম্মে আতিয়্যা প্রেরিত বকরির কিছু গোশ্ত ছাড়া, যা আপনি তাকে সাদাকা হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তিনি বললেন, সাদাকা তো যথাস্থানে পৌঁছে গেছে। (১৪৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০৯)
بَابُ قَبُوْلِ الْهَدِيَّة
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيْرِيْنَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَقَالَ عِنْدَكُمْ شَيْءٌ قَالَتْ لَا إِلَّا شَيْءٌ بَعَثَتْ بِهِ أُمُّ عَطِيَّةَ مِنْ الشَّاةِ الَّتِيْ بَعَثْتَ إِلَيْهَا مِنْ الصَّدَقَةِ قَالَ إِنَّهَا قَدْ بَلَغَتْ مَحِلَّهَا.
Narrated Um 'Atiyya:
Once the Prophet (ﷺ) went to `Aisha and asked her whether she had something (to eat). She said that she had nothing except the mutton which Um 'Atiyya had sent to (Buraira) in charity. The Prophet (ﷺ) said that it had reached its destination (i.e. it is no longer an object of charity.)
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৮. সঙ্গীকে কোন হাদিয়া দেয়ার ক্ষেত্রে তার অন্য স্ত্রী ছেড়ে কোন স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করা।
২৫৮০. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার ব্যাপারে আমার জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, আমার সতীনগণ একত্রিত হলেন। ফলে উম্মু সালামাহ (রাঃ) বিষয়টি তাঁর নিকট উত্থাপন করলেন, কিন্তু তিনি ব্যাপারটি এড়িয়ে গেলেন। (২৫৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১০)
بَابُ مَنْ أَهْدَى إِلَى صَاحِبِهِ وَتَحَرَّى بَعْضَ نِسَائِهِ دُوْنَ بَعْضٍ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمِيْ وَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ إِنَّ صَوَاحِبِيْ اجْتَمَعْنَ فَذَكَرَتْ لَهُ فَأَعْرَضَ عَنْهَا
Narrated `Aisha:
The people used to send gifts to the Prophet (ﷺ) on the day of my turn. Um Salama said: "My companions (the wives of the Prophet (ﷺ) Other than Aisha) gathered and they complained about it. So I informed the Prophet about it on their behalf, but he remained silent.
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৮. সঙ্গীকে কোন হাদিয়া দেয়ার ক্ষেত্রে তার অন্য স্ত্রী ছেড়ে কোন স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করা।
২৫৮১. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণ দু’দলে বিভক্ত ছিলেন। একদলে ছিলেন ‘আয়িশা, হাফসাহ, সাফিয়্যাহ ও সাওদা (রাযিয়াল্লাহু আনহুন্না), অপর দলে ছিলেন উম্মু সালামাহ (রাঃ) সহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অন্যান্য স্ত্রীগণ। ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর প্রতি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বিশেষ ভালোবাসার কথা সাহাবীগণ জানতেন। তাই তাদের মধ্যে কেউ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট কিছু হাদিয়া পাঠাতে চাইলে তা বিলম্বিত করতেন। যেদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে অবস্থান করতেন, সেদিন হাদিয়া দাতা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে তাঁরা পাঠিয়ে দিতেন। উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর দল তা নিয়ে আলোচনা করলেন। উম্মু সালামাহ (রাঃ)-কে তাঁরা বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে আপনি আলাপ করুন। তিনি যেন লোকদের বলে দেন যে, যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট হাদিয়া পাঠাতে চান, তারা যেন তাঁর নিকট পাঠিয়ে দেন, যে স্ত্রীর ঘরেই তিনি থাকুন না কেন। উম্মু সালামাহ (রাঃ) তাদের প্রস্তাব নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ করলেন। কিন্তু তিনি তাঁকে কোন জবাব দিলেন না। পরে সবাই তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তিনি আমাকে কোন জবাব দিলেন না। তখন তাঁরা তাকে বললেন, আপনি তার সঙ্গে আবার কথা বলুন। (‘আয়িশাহ) বলেন, যেদিন তিনি [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)] তাঁর (উম্মু সালামাহ’র) ঘরে গেলেন, সেদিন তিনি আবার তাঁর নিকট কথা তুললেন। সেদিনও তিনি তাকে কিছু বললেন না। অতঃপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তখন তিনি বললেন, আমাকে তিনি কিছুই বলেননি। তখন তাঁরা তাঁকে বললেন, তিনি কোন জবাব না দেয়া পর্যন্ত আপনি বলতে থাকুন। তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)] তার ঘরে গেলে আবার তিনি তাঁর নিকট সে প্রসঙ্গ তুললেন। এবার তিনি তাকে বললেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর ব্যাপার নিয়ে আমাকে কষ্ট দিও না। মনে রেখ, ‘আয়িশাহ (রাঃ) ব্যতীত আর কোন স্ত্রীর বস্ত্র তুলে থাকা অবস্থায় আমার উপর ওয়াহী নাযিল হয়নি। [‘আয়িশাহ (রাঃ)] বলেন, এ কথা শুনে তিনি [উম্মু সালামাহ (রাঃ)] বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে কষ্ট দেয়া হতে আমি আল্লাহর নিকট তওবা করছি। অতঃপর সকলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাঃ)-কে এনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এ কথা বলার জন্য পাঠালেন যে, আপনার স্ত্রীগণ আল্লাহর দোহাই দিয়ে আবূ বকর (রাঃ)-এর কন্যা সম্পর্কে ইনসাফের আবেদন জানালেন। [ফাতিমা (রাঃ)] তাঁর নিকট বিষয়টি তুলে ধরলেন। তখন তিনি বললেন, প্রিয় কন্যা! আমি যা ভালবাসি তুমি কি তাই ভালবাস না? তিনি বললেন, অবশ্যই করি। অতঃপর তাদের নিকট গিয়ে তাদেরকে (আদ্যোপান্ত) অবহিত করলেন। তাঁরা তাঁকে বললেন, তুমি আবার যাও। কিন্তু এবার তিনি যেতে অস্বীকার করলেন। তখন তারা যায়নাব বিনতু জাহাশ (রাঃ)-কে পাঠালেন। তিনি তাঁর নিকট গিয়ে কঠোর ভাষা ব্যবহার করলেন এবং বললেন, আপনার স্ত্রীগণ আল্লাহর দোহাই দিয়ে ইবনু আবূ কুহাফার [আবূ বকর (রাঃ) কন্যা সম্পর্কে ইনসাফের আবেদন জানাচ্ছেন। অতঃপর তিনি গলার স্বর উঁচু করলেন। এমনকি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জড়িয়েও কিছু বললেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) সেখানে বসা ছিলেন। শেষ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন। তিনি কিছু বলেন কিনা।
রাবী ‘উরওয়াহ (রাঃ)] বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) যায়নাব (রাঃ)-এর কথার প্রস্তুতি বাদে কথা বলতে শুরু করলেন এবং তাকে চুপ করে দিলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর দিকে তাকিয়ে বললেন, এ হচ্ছে আবূ বকর (রাঃ)-এর কন্যা। আবূ মারওয়ান গাস্সানী (রাঃ) হিশাম এর সূত্রে ‘উরওয়াহ (রাঃ) হতে বলেন, লোকেরা তাদের হাদিয়াসমূহ নিয়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। অন্য সনদে হিশাম (রহ.) মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু হারিস ইবনু হিশাম (রহ.) হতে বর্ণিত। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট ছিলাম, এমন সময় ফাতিমাহ (রাঃ) অনুমতি চাইলেন। (২৫৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১১)
بَابُ مَنْ أَهْدَى إِلَى صَاحِبِهِ وَتَحَرَّى بَعْضَ نِسَائِهِ دُوْنَ بَعْضٍ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَخِيْ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ نِسَاءَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم كُنَّ حِزْبَيْنِ فَحِزْبٌ فِيْهِ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ وَصَفِيَّةُ وَسَوْدَةُ وَالْحِزْبُ الْآخَرُ أُمُّ سَلَمَةَ وَسَائِرُ نِسَاءِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ الْمُسْلِمُوْنَ قَدْ عَلِمُوْا حُبَّ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَائِشَةَ فَإِذَا كَانَتْ عِنْدَ أَحَدِهِمْ هَدِيَّةٌ يُرِيْدُ أَنْ يُهْدِيَهَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخَّرَهَا حَتَّى إِذَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ بَيْتِ عَائِشَةَ بَعَثَ صَاحِبُ الْهَدِيَّةِ بِهَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ بَيْتِ عَائِشَةَ فَكَلَّمَ حِزْبُ أُمِّ سَلَمَةَ فَقُلْنَ لَهَا كَلِّمِيْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُكَلِّمُ النَّاسَ فَيَقُوْلُ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُهْدِيَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَدِيَّةً فَلْيُهْدِهِ إِلَيْهِ حَيْثُ كَانَ مِنْ بُيُوْتِ نِسَائِهِ فَكَلَّمَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ بِمَا قُلْنَ فَلَمْ يَقُلْ لَهَا شَيْئًا فَسَأَلْنَهَا فَقَالَتْ مَا قَالَ لِيْ شَيْئًا فَقُلْنَ لَهَا فَكَلِّمِيْهِ قَالَتْ فَكَلَّمَتْهُ حِيْنَ دَارَ إِلَيْهَا أَيْضًا فَلَمْ يَقُلْ لَهَا شَيْئًا فَسَأَلْنَهَا فَقَالَتْ مَا قَالَ لِيْ شَيْئًا فَقُلْنَ لَهَا كَلِّمِيْهِ حَتَّى يُكَلِّمَكِ فَدَارَ إِلَيْهَا فَكَلَّمَتْهُ فَقَالَ لَهَا لَا تُؤْذِيْنِيْ فِيْ عَائِشَةَ فَإِنَّ الْوَحْيَ لَمْ يَأْتِنِيْ وَأَنَا فِيْ ثَوْبِ امْرَأَةٍ إِلَّا عَائِشَةَ قَالَتْ فَقَالَتْ أَتُوْبُ إِلَى اللهِ مِنْ أَذَاكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ثُمَّ إِنَّهُنَّ دَعَوْنَ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَقُوْلُ إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدْنَكَ اللهَ الْعَدْلَ فِيْ بِنْتِ أَبِيْ بَكْرٍ فَكَلَّمَتْهُ فَقَالَ يَا بُنَيَّةُ أَلَا تُحِبِّيْنَ مَا أُحِبُّ قَالَتْ بَلَى فَرَجَعَتْ إِلَيْهِنَّ فَأَخْبَرَتْهُنَّ فَقُلْنَ ارْجِعِيْ إِلَيْهِ فَأَبَتْ أَنْ تَرْجِعَ فَأَرْسَلْنَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ فَأَتَتْهُ فَأَغْلَظَتْ وَقَالَتْ إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدْنَكَ اللهَ الْعَدْلَ فِيْ بِنْتِ ابْنِ أَبِيْ قُحَافَةَ فَرَفَعَتْ صَوْتَهَا حَتَّى تَنَاوَلَتْ عَائِشَةَ وَهِيَ قَاعِدَةٌ فَسَبَّتْهَا حَتَّى إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيَنْظُرُ إِلَى عَائِشَةَ هَلْ تَكَلَّمُ قَالَ فَتَكَلَّمَتْ عَائِشَةُ تَرُدُّ عَلَى زَيْنَبَ حَتَّى أَسْكَتَتْهَا قَالَتْ فَنَظَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَائِشَةَ وَقَالَ إِنَّهَا بِنْتُ أَبِيْ بَكْرٍ
قَالَ الْبُخَارِيُّ الْكَلَامُ الأَخِيْرُ قِصَّةُ فَاطِمَةَ يُذْكَرُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ رَجُلٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَقَالَ أَبُوْ مَرْوَانَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عُرْوَةَ كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ وَعَنْ هِشَامٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ وَرَجُلٍ مِنَ المَوَالِيْ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ قَالَتْ عَائِشَةُ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْذَنَتْ فَاطِمَةُ
Narrated `Urwa from `Aisha:
The wives of Allah's Messenger (ﷺ) were in two groups. One group consisted of `Aisha, Hafsa, Safiyya and Sauda; and the other group consisted of Um Salama and the other wives of Allah's Messenger (ﷺ). The Muslims knew that Allah's Messenger (ﷺ) loved `Aisha, so if any of them had a gift and wished to give to Allah's Messenger (ﷺ), he would delay it, till Allah's Messenger (ﷺ) had come to `Aisha's home and then he would send his gift to Allah's Messenger (ﷺ) in her home. The group of Um Salama discussed the matter together and decided that Um Salama should request Allah's Messenger (ﷺ) to tell the people to send their gifts to him in whatever wife's house he was. Um Salama told Allah's Messenger (ﷺ) of what they had said, but he did not reply. Then they (those wives) asked Um Salama about it. She said, "He did not say anything to me." They asked her to talk to him again. She talked to him again when she met him on her day, but he gave no reply. When they asked her, she replied that he had given no reply. They said to her, "Talk to him till he gives you a reply." When it was her turn, she talked to him again. He then said to her, "Do not hurt me regarding Aisha, as the Divine Inspirations do not come to me on any of the beds except that of Aisha." On that Um Salama said, "I repent to Allah for hurting you." Then the group of Um Salama called Fatima, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and sent her to Allah's Messenger (ﷺ) to say to him, "Your wives request to treat them and the daughter of Abu Bakr on equal terms." Then Fatima conveyed the message to him. The Prophet (ﷺ) said, "O my daughter! Don't you love whom I love?" She replied in the affirmative and returned and told them of the situation. They requested her to go to him again but she refused. They then sent Zainab bint Jahsh who went to him and used harsh words saying, "Your wives request you to treat them and the daughter of Ibn Abu Quhafa on equal terms." On that she raised her voice and abused `Aisha to her face so much so that Allah's Messenger (ﷺ) looked at `Aisha to see whether she would retort. `Aisha started replying to Zainab till she silenced her. The Prophet (ﷺ) then looked at `Aisha and said, "She is really the daughter of Abu Bakr."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৯. যে হাদিয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না।
২৫৮২. ‘আযরাহ ইবনু সাবিত আনসারী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা সুমামাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ.)-এর নিকট গেলাম, তিনি আমাকে সুগন্ধি দিলেন এবং বললেন, আনাস (রাঃ) কখনো সুগন্ধি দ্রব্য ফিরিয়ে দিতেন না। তিনি আরো বলেন, আর আনাস (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুগন্ধি ফিরিয়ে দিতেন না। (৫৯২৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১২)
بَابُ مَا لَا يُرَدُّ مِنْ الْهَدِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُوْ مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيُّ قَالَ حَدَّثَنِيْ ثُمَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ فَنَاوَلَنِيْ طِيْبًا قَالَ كَانَ أَنَسٌ لَا يَرُدُّ الطِّيبَ قَالَ وَزَعَمَ أَنَسٌ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لَا يَرُدُّ الطِّيبَ
Narrated 'Azra bin Thabit Al-Ansari:
When I went to Thumama bin `Abdullah, he gave me some perfume and said that Anas would not reject the gifts of perfume. Anas said: The Prophet (ﷺ) used not to reject the gifts of perfume.
পরিচ্ছেদঃ ৫১/১০. কাছে নেই এমন বস্তু হিবা করা যিনি জায়িয মনে করেন।
২৫৮৩-২৫৮৪. মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ ও মারওয়ান (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তারা বলেন, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল যখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আগমন করলেন। তখন তিনি লোকদের সামনে ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তা‘আলার যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন। অতঃপর বললেন, তোমার ভাইয়েরা আমাদের নিকট তওবা করে এসেছে। আমি তাদেরকে তাদের যুদ্ধবন্দীদের ফেরত দেয়া সঙ্গত মনে করছি। কাজেই তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে করতে চায় তারা যেন তা করে। আর যে নিজের অংশ রেখে দিতে চায়, এভাবে প্রথম যে ফায়* আল্লাহ আমাদের দান করবেন সেখান হতে তার হিস্সা আদায় করে দিব। তখন সকলেই বললেন, আমরা আপনার সন্তুষ্টির জন্য তা করলাম। (২৩০৮, ২৩০৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১৩)
بَابُ مَنْ رَأَى الْهِبَةَ الْغَائِبَةَ جَائِزَةً
حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ ذَكَرَ عُرْوَةُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَمَرْوَانَ أَخْبَرَاهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ قَامَ فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ جَاءُوْنَا تَائِبِيْنَ وَإِنِّيْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَكُوْنَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللهُ عَلَيْنَا فَقَالَ النَّاسُ طَيَّبْنَا لَكَ
Narrated Al-Miswar bin Makhrama and Marwan:
When the delegates of the tribe of Hawazin came to the Prophet (ﷺ) he stood up amongst the people, Glorified and Praised Allah as He deserved, and said, "Then after: Your brethren have come to you with repentance and I see it logical to return to them their captives; so whoever amongst you likes to do that as a favor, then he can do it, and whoever of you like to stick to his share till we give him his right from the very first Fai (war booty) (1) which Allah will bestow on us, then (he can do so)." The people replied, "We do that (to return the captives) willingly as a favor for your sake."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/১০. কাছে নেই এমন বস্তু হিবা করা যিনি জায়িয মনে করেন।
২৫৮৩-২৫৮৪. মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ ও মারওয়ান (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তারা বলেন, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল যখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আগমন করলেন। তখন তিনি লোকদের সামনে ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তা‘আলার যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন। অতঃপর বললেন, তোমার ভাইয়েরা আমাদের নিকট তওবা করে এসেছে। আমি তাদেরকে তাদের যুদ্ধবন্দীদের ফেরত দেয়া সঙ্গত মনে করছি। কাজেই তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে করতে চায় তারা যেন তা করে। আর যে নিজের অংশ রেখে দিতে চায়, এভাবে প্রথম যে ফায়* আল্লাহ আমাদের দান করবেন সেখান হতে তার হিস্সা আদায় করে দিব। তখন সকলেই বললেন, আমরা আপনার সন্তুষ্টির জন্য তা করলাম। (২৩০৮, ২৩০৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১৩)
بَابُ مَنْ رَأَى الْهِبَةَ الْغَائِبَةَ جَائِزَةً
حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ ذَكَرَ عُرْوَةُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَمَرْوَانَ أَخْبَرَاهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ قَامَ فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ جَاءُوْنَا تَائِبِيْنَ وَإِنِّيْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَكُوْنَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللهُ عَلَيْنَا فَقَالَ النَّاسُ طَيَّبْنَا لَكَ
Narrated Al-Miswar bin Makhrama and Marwan:
When the delegates of the tribe of Hawazin came to the Prophet (ﷺ) he stood up amongst the people, Glorified and Praised Allah as He deserved, and said, "Then after: Your brethren have come to you with repentance and I see it logical to return to them their captives; so whoever amongst you likes to do that as a favor, then he can do it, and whoever of you like to stick to his share till we give him his right from the very first Fai (war booty) (1) which Allah will bestow on us, then (he can do so)." The people replied, "We do that (to return the captives) willingly as a favor for your sake."
পরিচ্ছেদঃ ৫১/১১. হিবার প্রতিদান প্রদান করা।
২৫৮৫. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং তার প্রতিদানও দিতেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহ.) বলেন, ওয়াকী ও মুহাযির (রহ.) হিশাম তার পিতা সূত্রে ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে উল্লেখ করেননি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১৪)
بَابُ الْمُكَافَأَةِ فِي الْهِبَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عِيْسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ وَيُثِيْبُ عَلَيْهَا لَمْ يَذْكُرْ وَكِيْعٌ وَمُحَاضِرٌ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ
Narrated `Aisha:
Allah's Messenger (ﷺ) used to accept gifts and used to give something in return.