পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১. পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করার ফাযীলত।
وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنْفِقُونَ قُلِ الْعَفْوَ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ).
وَقَالَ الْحَسَنُ الْعَفْوُ الْفَضْلُ
(মহান আল্লাহর বাণীঃ) লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে তারা কী খরচ করবে? বলঃ যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত। এভাবে আল্লাহ তাঁর বিধানসমূহ সুস্পষ্টভাবে তোমাদের নিকট বর্ণনা করেন, যেন তোমরা ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে চিন্তা কর।দুনিয়া ও পরকালে। (সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২১৯-২২০)।
وَقَالَ الْحَسَنُ الْعَفْوُ الْفَضْلُ.
হাসান (রহ.) বলেন, الْعَفْوُ অর্থ অতিরিক্ত।
৫৩৫১. আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাবী বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলামঃ এটা কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে? তিনি বললেন, (হাঁ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সওয়াবের আশায় কোন মুসলিম যখন তার পরিবার-পরিজনের প্রতি ব্যয় করে, তা তার সাদাকা হিসাবে গণ্য হয়। [1] [মুসলিম ১২/১৪, হাঃ ১০০২, আহমাদ ১৭০৮১] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৭)
بَاب فَضْلِ النَّفَقَةِ عَلٰى الأَهْلِ
آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ يَزِيدَ الأَنْصَارِيَّ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ فَقُلْتُ عَنْ النَّبِيِّ فَقَالَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَنْفَقَ الْمُسْلِمُ نَفَقَةً عَلٰى أَهْلِه„ وَهُوَ يَحْتَسِبُهَا كَانَتْ لَه“ صَدَقَةً.
Narrated Abu Mas`ud Al-Ansari:
The Prophet (ﷺ) said, "When a Muslim spends something on his family intending to receive Allah's reward it is regarded as Sadaqa for him."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১. পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করার ফাযীলত।
৫৩৫২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, তুমি ব্যয় কর, হে আদম সন্তান! আমিও তোমার প্রতি ব্যয় করব। [৩৬৮৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৮)
بَاب فَضْلِ النَّفَقَةِ عَلٰى الأَهْلِ
إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ اللهُ أَنْفِقْ يَا ابْنَ آدَمَ أُنْفِقْ عَلَيْكَ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah said, 'O son of Adam! Spend, and I shall spend on you."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১. পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করার ফাযীলত।
৫৩৫৩. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিধবা ও মিসকীন-এর জন্য খাদ্যজোগাড় করতে চেষ্টারত ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের মত অথবা রাতে সালাতে দন্ডয়মান ও দিনে সিয়ামকারীর মত। [৬০০৬৯, ৬০০৭; মুসলিম ৫৩/২, হাঃ ২৯৮২, আহমাদ ৮৭৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৯)
بَاب فَضْلِ النَّفَقَةِ عَلٰى الأَهْلِ
يَحْيٰى بْنُ قَزَعَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَبِي الْغَيْثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السَّاعِي عَلٰى الأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللهِ أَوِ الْقَائِمِ اللَّيْلَ الصَّائِمِ النَّهَارَ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "The one who looks after a widow or a poor person is like a Mujahid (warrior) who fights for Allah's Cause, or like him who performs prayers all the night and fasts all the day."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১. পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করার ফাযীলত।
৫৩৫৪. সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মক্কায় রোগগ্রস্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার শুশ্রূষার জন্য আসেন। আমি বললাম, আমার তো মাল আছে। সেগুলো আমি ওয়াসিয়্যাত করে যাই? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ তবে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেনঃ এক-তৃতীয়াংশ করতে পার। আর এক-তৃতীয়াংশই তো বেশী। মানুষের কাছে হাত পেতে পেতে ফিরবে ওয়ারিশদের এমন ফকীর অবস্থায় ছেড়ে যাওয়ার চেয়ে তাদেরকে বিত্তবান অবস্থায় রেখে যাওয়া উত্তম। আর যা-ই তুমি খরচ করবে, তা-ই তোমার জন্য সাদকাহ হবে। এমনকি যে লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে, সেটাও। সম্ভবতঃ আল্লাহ তোমাকে দীর্ঘজীবী করবেন। তোমার দ্বারা অনেক লোক উপকৃত হবে, আবার অন্যেরা কাফির সম্প্রদায়) ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫০)
بَاب فَضْلِ النَّفَقَةِ عَلٰى الأَهْلِ
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعْدٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي وَأَنَا مَرِيضٌ بِمَكَّةَ فَقُلْتُ لِي مَالٌ أُوصِي بِمَالِي كُلِّه„ قَالَ لاَ قُلْتُ فَالشَّطْرِ قَالَ لاَ قُلْتُ فَالثُّلُثِ قَالَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ أَنْ تَدَعَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ فِي أَيْدِيهِمْ وَمَهْمَا أَنْفَقْتَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ حَتّٰى اللُّقْمَةَ تَرْفَعُهَا فِي فِي امْرَأَتِكَ وَلَعَلَّ اللهَ يَرْفَعُكَ يَنْتَفِعُ بِكَ نَاسٌ وَيُضَرُّ بِكَ آخَرُونَ.
Narrated Sa`d:
The Prophet (ﷺ) visited me at Mecca while I was ill. I said (to him), "I have property; May I bequeath all my property in Allah's Cause?" He said, "No." I said, "Half of it?" He said, "No." I said, "One third of it?" He said, "One-third (is alright), yet it is still too much, for you'd better leave your inheritors wealthy than leave them poor, begging of others. Whatever you spend will be considered a Sadaqa for you, even the mouthful of food you put in the mouth of your wife. Anyhow Allah may let you recover, so that some people may benefit by you and others be harmed by you."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/২. পরিবার-পরিজনের উপর ব্যয় করা ওয়াজিব।
৫৩৫৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম সাদাকা হলো যা দান করার পরে মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে। উপরের হাত নীচের হাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে আছে তাদের আগে দাও। (কেননা) স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নইলে তালাক দাও। গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও। ছেলে বলবে, আমাকে খাবার দাও, আমাকে তুমি কার কাছে ছেড়ে যাচ্ছ? লোকেরা জিজ্ঞেস করলঃ হে আবূ হুরাইরা! আপনি কি এ হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন? তিনি উত্তরে বললেন, এটি আবূ হুরাইরার থলে থেকে (পাওয়া) নয় (বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে)। [১৪২৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫১)
بَاب وُجُوبِ النَّفَقَةِ عَلٰى الأَهْلِ وَالْعِيَالِ
عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ مَا تَرَكَ غِنًى وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلٰى وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ تَقُولُ الْمَرْأَةُ إِمَّا أَنْ تُطْعِمَنِي وَإِمَّا أَنْ تُطَلِّقَنِي وَيَقُوْلُ الْعَبْدُ أَطْعِمْنِي وَاسْتَعْمِلْنِي وَيَقُوْلُ الِابْنُ أَطْعِمْنِي إِلٰى مَنْ تَدَعُنِي فَقَالُوا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ سَمِعْتَ هٰذَا مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ هٰذَا مِنْ كِيسِ أَبِي هُرَيْرَةَ.
Narrated Abu Huraira:
"The Prophet (ﷺ) said, 'The best alms is that which is given when one is rich, and a giving hand is better than a taking one, and you should start first to support your dependents.' A wife says, 'You should either provide me with food or divorce me.' A slave says, 'Give me food and enjoy my service." A son says, "Give me food; to whom do you leave me?" The people said, "O Abu Huraira! Did you hear that from Allah's Messenger (ﷺ) ?" He said, "No, it is from my own self."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/২. পরিবার-পরিজনের উপর ব্যয় করা ওয়াজিব।
৫৩৫৬. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম দান তা-ই, যা দিয়ে মানুষ অভাবমুক্ত থাকে। যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে তাদের থেকে শুরু কর। [১৪২৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫২)
بَاب وُجُوبِ النَّفَقَةِ عَلٰى الأَهْلِ وَالْعِيَالِ
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ مُسَافِرٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَيْرُ الصَّدَقَةِ مَا كَانَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The best alms is that which you give when you are rich, and you should start first to support your dependants."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৩. পরিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখা এবং তাদের জন্য কেমনভাবে খরচ করতে হবে।
৫৩৫৭. মা’মার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাওরী (রহ.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কেউ তার পরিবারের জন্য বছরের বা বছরের কিছু অংশের খাদ্য জোগাড় করে রাখলে এ সম্পর্কে আপনি কোন হাদীস শুনেছেন কি? মা’মার বলেনঃ তখন আমার কোন হাদীস স্মরণ হলো না। পরে একটি হাদীসের কথা আমার মনে হল, যা ইবনু শিহাব যুহরী (রহ.) মালিক ইবনু আওসের সূত্রে ’উমার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ নাযীরের খেজুর বিক্রি করতেন এবং পরিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য জোগাড় করে রাখতেন। [২৯০৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫৩)
بَاب حَبْسِ نَفَقَةِ الرَّجُلِ قُوتَ سَنَةٍ عَلٰى أَهْلِه„ وَكَيْفَ نَفَقَاتُ الْعِيَالِ
مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ عَنْ ابْنِ عُيَيْنَةَ قَالَ قَالَ لِي مَعْمَرٌ قَالَ لِي الثَّوْرِيُّ هَلْ سَمِعْتَ فِي الرَّجُلِ يَجْمَعُ لأهْلِه„ قُوتَ سَنَتِهِمْ أَوْ بَعْضِ السَّنَةِ قَالَ مَعْمَرٌ فَلَمْ يَحْضُرْنِي ثُمَّ ذَكَرْتُ حَدِيثًا حَدَّثَنَاهُ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ عَنْ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَبِيعُ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَيَحْبِسُ لأهْلِه„ قُوتَ سَنَتِهِمْ.
Narrated `Umar:
The Prophet (ﷺ) used to sell the dates of the garden of Bani An-Nadir and store for his family so much food as would cover their needs for a whole year.
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৩. পরিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখা এবং তাদের জন্য কেমনভাবে খরচ করতে হবে।
৫৩৫৮. মালিক ইবনু আওস ইবনু হাদাসান হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ’উমার (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হলাম; এমন সময় তাঁর দারোয়ান ইয়ারফা এসে বলল, ’উসমান, ’আবদুর রহমান, যুবায়র ও সা’দ ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইছেন। আপনার অনুমতি আছে কি? তিনি তাঁদের অনুমতি দিলেন।
মালিক (রহ.) বলেনঃ তারা প্রবেশ করলেন এবং সালাম দিয়ে বসলেন। এর কিছুক্ষণ পর ইয়ারফা এসে বললঃ ’আলীও ’আব্বাস (রাঃ) অনুমতি চাইছেন; আপনার অনুমতি আছে কি? তিনি হাঁ বলে এদের উভয়কেও অনুমতি দিলেন। তাঁরা প্রবেশ করে সালাম দিয়ে বসলেন। তারপর ’আব্বাস বললেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার ও ’আলীর মধ্যে ফয়সালা করে দিন। উপস্থিত ’উসমান ও তাঁর সঙ্গীরাও বললেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! এদের দু’জনের মধ্যে মীমাংসা করে দিন এবং একজন থেকে অপরজনকে শান্তি দিন। ’উমার বললেনঃ থাম! আমি তোমাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, যার আদেশে আসমান ও যমীন ঠিক আছে। তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের কেউ ওয়ারিশ হয় না। আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা। এ কথা দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকে (এবং অন্যান্য নবীগণকে) বুঝাতে চেয়েছেন।
সে দলের লোকেরা বললেনঃ নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা বলেছেন। তারপর ’উমার (রাঃ) ’আলীও ’আব্বাস (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেনঃ আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তোমরা দু’জন কি জান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেছেন। তাঁরা বললেনঃ অবশ্যই তা বলেছেন। ’উমার (রাঃ) বললেন, এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হলোঃ এ মালে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে একটি বিশেষ অধিকার দিয়েছেন, যা তিনি ব্যতীত আর কাউকে দেননি।
আল্লাহ বলেছেনঃ ’’আল্লাহ তাঁর রাসূলকে ইয়াহূদীদের কাছ থেকে যে ফায় বিনা যুদ্ধে লাভ করা সম্পদ) দিয়েছেন তার জন্য তোমরা ঘোড়াও দৌড়াওনি, আর উটেও চড়নি, বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলগণকে যার উপর ইচ্ছে আধিপত্য দান করেন; আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান’’ পর্যন্ত- সূরাহ হাশর ৫৯/৬)। এগুলো একমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নির্ধারিত ছিল। আল্লাহর কসম! তিনি তোমাদের বাদ দিয়ে একাকী ভোগ করেননি এবং কাউকে তোমাদের উপর প্রাধান্য দেননি। এ থেকে তিনি তোমাদের দিয়েছেন এবং কিছু তোমাদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। শেষ পর্যন্ত এ মালটুকু অবশিষ্ট থেকে যায়। এ মাল থেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিবারের সারা বছরের খরচ দিতেন। আর যা উদ্বৃত্ত থাকত, তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যবহার্য মালের সঙ্গে ব্যয় করতেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনভর এরূপই করেছেন। আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাদের জিজ্ঞেস করছি, তোমরা কি এ বিষয় জান? তারা বললেনঃ হাঁ। এরপর তিনি ’আলীও ’আব্বাস (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেনঃ আমি আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাদের জিজ্ঞেস করছি, তোমরা কি এ বিষয় জান? তাঁরা উভয়ে বললেনঃ হাঁ। এরপর আল্লাহ তাঁর নবীকে ওফাত দিলেন। তখন আবূ বকর বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্থলাভিষিক্ত। আবূ বকর এ মাল নিজ কব্জায় রাখলেন এবং এ মাল খরচের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসৃত নীতিই অবলম্বন করলেন। ’আলী ও আব্বাসের দিকে ফিরে ’উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমরা তখন মনে করতে আবূ বকর এমন, এমন। অথচ আল্লাহ জানেন এ ব্যাপারে তিনি সত্যের কল্যাণকামী, সঠিক নীতির অনুসারী।
আল্লাহ আবূ বকরকে ওফাত দিলেন। আমি বললামঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ)-এর স্থলাভিষিক্ত, এরপর আমি দু’বছর এ মাল নিজ কব্জায় রাখি। আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকরের অনুসৃত নীতির-ই অনুসরণ করতে থাকি। তারপর তোমরা দু’জন আসলে; তখন তোমরা উভয়ে, একমত ছিলে এবং তোমাদের বিষয়ে সমন্বয় ছিল। তুমি আসলে ভ্রাতুষ্পুত্রের সম্পত্তিতে তোমার অংশ চাইতে। আর এ আসলো শ্বশুরের সম্পত্তিতে স্ত্রীর অংশ চাইতে। আমি বলেছিলামঃ তোমরা যদি চাও, তবে আমি এ শর্তে তোমাদেরকে তা দিয়ে দিতে পারি, তোমরা আল্লাহর সাথে ওয়াদা ও অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর এবং এর কর্তৃত্ব হাতে পাওয়ার পর আমিও যে নীতির অনুসরণ করে এসেছি, সে নীতিরই তোমরা অনুসরণ করবে। অন্যথায় এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোন কথা বলবে না।
তখন তোমরা বলেছিলেঃ এ শর্ত সাপেক্ষেই আমাদের কাছে দিয়ে দিন। তাই আমি এ শর্তেই তোমাদের তা দিয়েছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের সকলকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আমি কি এ শর্তে এটি তাদের কাছে দেইনি? তাঁরা বললেনঃ হাঁ। তারপর তিনি ’আলীও ’আব্বাস (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেনঃ আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাদের জিজ্ঞেস করছি, আমি কি এ শর্তেই এটি তোমাদের কাছে দেইনি? তারা বললেনঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ তবে এখন কি তোমরা আমার কাছে এ ব্যতীত অন্য কোন ফয়সালা চাইছ? সেই সত্তার কসম! যাঁর আদেশে আসমান-যমীন টিকে আছে, আমি ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত এ ব্যতীত অন্য কোন ফয়সালা দিতে প্রস্তুত নই। তোমরা যদি উল্লেখিত শর্ত পালন করতে অক্ষম হও, তাহলে তা আমার জিম্মায় ফিরিয়ে দাও তোমাদের পক্ষ থেকে আমিই এর পরিচালনা করব। [২৯০৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫৪)
بَاب حَبْسِ نَفَقَةِ الرَّجُلِ قُوتَ سَنَةٍ عَلٰى أَهْلِه„ وَكَيْفَ نَفَقَاتُ الْعِيَالِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، وَكَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ذَكَرَ لِي ذِكْرًا مِنْ حَدِيثِهِ، فَانْطَلَقْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ مَالِكٌ انْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى عُمَرَ، إِذْ أَتَاهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ يَسْتَأْذِنُونَ قَالَ نَعَمْ. فَأَذِنَ لَهُمْ ـ قَالَ ـ فَدَخَلُوا وَسَلَّمُوا فَجَلَسُوا، ثُمَّ لَبِثَ يَرْفَا قَلِيلاً فَقَالَ لِعُمَرَ هَلْ لَكَ فِي عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ قَالَ نَعَمْ. فَأَذِنَ لَهُمَا، فَلَمَّا دَخَلاَ سَلَّمَا وَجَلَسَا، فَقَالَ عَبَّاسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا. فَقَالَ الرَّهْطُ عُثْمَانُ وَأَصْحَابُهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا، وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا مِنَ الآخَرِ. فَقَالَ عُمَرُ اتَّئِدُوا أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ". يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفْسَهُ. قَالَ الرَّهْطُ قَدْ قَالَ ذَلِكَ. فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَلِكَ قَالاَ قَدْ قَالَ ذَلِكَ. قَالَ عُمَرُ فَإِنِّي أُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ، إِنَّ اللَّهَ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْمَالِ بِشَىْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ، قَالَ اللَّهُ (مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ) إِلَى قَوْلِهِ (قَدِيرٌ). فَكَانَتْ هَذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ وَلاَ اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ، لَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَبَثَّهَا فِيكُمْ، حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا الْمَالِ، ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ، فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، فَعَمِلَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَيَاتَهُ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ، هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ. قَالَ لِعَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ. ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَبَضَهَا أَبُو بَكْرٍ يَعْمَلُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْتُمَا حِينَئِذٍ ـ وَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ ـ تَزْعُمَانِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَذَا وَكَذَا، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّهُ فِيهَا صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ، فَقَبَضْتُهَا سَنَتَيْنِ أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي وَكَلِمَتُكُمَا وَاحِدَةٌ وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ، جِئْتَنِي تَسْأَلُنِي نَصِيبَكَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ، وَأَتَى هَذَا يَسْأَلُنِي نَصِيبَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا، فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهُ إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ لَتَعْمَلاَنِ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبِمَا عَمِلَ بِهِ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ، وَبِمَا عَمِلْتُ بِهِ فِيهَا، مُنْذُ وُلِّيتُهَا، وَإِلاَّ فَلاَ تُكَلِّمَانِي فِيهَا فَقُلْتُمَا ادْفَعْهَا إِلَيْنَا بِذَلِكَ. فَدَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا بِذَلِكَ فَقَالَ الرَّهْطُ نَعَمْ. قَالَ فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ. قَالَ أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ، فَوَالَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ لاَ أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ، حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَادْفَعَاهَا فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهَا.
Narrated Malik bin Aus bin Al-Hadathan:
Once I set out to visit `Umar (bin Al-Khattab). (While I was sitting there with him his gate-keeper, Yarfa, came and said, "Uthman `AbdurRahman (bin `Auf), Az-Zubair and Sa`d (bin Abi Waqqas) are seeking permission (to meet you)." `Umar said, "Yes. So he admitted them and they entered, greeted, and sat down. After a short while Yarfa came again and said to `Umar 'Shall I admit `Ali and `Abbas?" `Umar said, "Yes." He admitted them and when they entered, they greeted and sat down. `Abbas said, "O Chief of the Believers! Judge between me and this (`Ali)." The group, `Uthman and his companions Sa`d, 'O Chief of the Believers! Judge between them and relieve one from the other." `Umar said. Wait! I beseech you by Allah, by Whose permission both the Heaven and the Earth stand fast ! Do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said. 'We (Apostles) do not bequeath anything to our heirs, but whatever we leave is to be given in charity.' And by that Allah's Messenger (ﷺ)s meant himself?" The group said, "He did say so." `Umar then turned towards 'All and `Abbas and said. "I beseech you both by Allah, do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said that?" They said, 'Yes " `Umar said, "Now, let me talk to you about this matter. Allah favored His Apostle with something of this property (war booty) which He did not give to anybody else. And Allah said:-- 'And what Allah has bestowed on His Apostle (as Fai Booty) from them for which you made no expedition with either cavalry or camelry . . . Allah is Able to do all things.' (59.6) So this property was especially granted to Allah's Messenger (ﷺ). But by Allah he neither withheld it from you, nor did he keep it for himself and deprive you of it, but he gave it all to you and distributed it among you till only this remained out of it. And out of this property Allah's Messenger (ﷺ) used to provide his family with their yearly needs, and whatever remained, he would spend where Allah's Property (the revenues of Zakat) used to be spent. Allah's Messenger (ﷺ) kept on acting like this throughout his lifetime. Now I beseech you by Allah, do you know that?" They said, "Yes." Then `Umar said to `Ali and `Abbas, "I beseech you by Allah, do you both know that?" They said, "Yes." `Umar added, "When Allah had taken His Apostle unto Him, Abu Bakr said, 'I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ). So he took charge of that property and did with it the same what Allah's Messenger (ﷺ) used to do, and both of you knew all about it then." Then `Umar turned towards `Ali and `Abbas and said, "You both claim that Abu- Bakr was so-and-so! But Allah knows that he was honest, sincere, pious and right (in that matter). Then Allah caused Abu Bakr to die, and I said, 'I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr.' So I kept this property in my possession for the first two years of my rule, and I used to do the same with it as Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr used to do. Later both of you (`Ali and `Abbas) came to me with the same claim and the same problem. (O `Abbas!) You came to me demanding your share from (the inheritance of) the son of your brother, and he (`Ali) came to me demanding his wives share from (the inheritance of) her father. So I said to you, 'If you wish I will hand over this property to you, on condition that you both promise me before Allah that you will manage it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr did, and as I have done since the beginning of my rule; otherwise you should not speak to me about it.' So you both said, 'Hand over this property to us on this condition.' And on this condition I handed it over to you. I beseech you by Allah, did I hand it over to them on that condition?" The group said, "Yes." `Umar then faced `Ali and `Abbas and said, "I beseech you both by Allah, did I hand it over to you both on that condition?" They both said, "Yes." `Umar added, "Do you want me now to give a decision other than that? By Him with Whose permission (order) both the Heaven and the Earth stand fast, I will never give any decision other than that till the Hour is established! But if you are unable to manage it (that property), then return it to me and I will be sufficient for it on your behalf . "
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৪. স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী ও সন্তানের খোরপোষ।
৫৩৫৯. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হিন্দা বিনত উতবা এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুফ্ইয়ান শক্ত হৃদয়ের লোক। আমি যদি তার মাল থেকে আমাদের পরিবারের খাওয়াই তাহলে আমার গুনাহ হবে কি? তিনি বললেন, না; তবে ন্যায় সঙ্গতভাবে ব্যয় করবে। [২২১১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫৫)
بَاب نَفَقَةِ الْمَرْأَةِ إِذَا غَابَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَنَفَقَةِ الْوَلَدِ
حَدَّثَنَا ابْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ جَاءَتْ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ مِسِّيكٌ، فَهَلْ عَلَىَّ حَرَجٌ أَنْ أُطْعِمَ مِنَ الَّذِي لَهُ عِيَالَنَا قَالَ " لاَ إِلاَّ بِالْمَعْرُوفِ ".
Narrated `Aisha:
Hind bint `Utba came and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Abu Sufyan is a miser so is it sinful of me to feed our children from his property?" Allah's Messenger (ﷺ) said, "No except if you take for your needs what is just and reasonable. "
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৪. স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী ও সন্তানের খোরপোষ।
৫৩৬০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন মহিলা স্বামীর উপার্জন থেকে তার নির্দেশ ব্যতীত দান করে, তবে সে তার অর্ধেক সাওয়াব পাবে। [২০৬৬; মুসলিম ১২/২৬, হাঃ ১০২৬, আহমাদ ৮১৯৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫৬)
بَاب نَفَقَةِ الْمَرْأَةِ إِذَا غَابَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَنَفَقَةِ الْوَلَدِ
يَحْيٰى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَنْفَقَتْ الْمَرْأَةُ مِنْ كَسْبِ زَوْجِهَا عَنْ غَيْرِ أَمْرِه„ فَلَه“ نِصْفُ أَجْرِهِ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "If the wife gives of her husband's property (something in charity) without his permission, he will get half the reward."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৬. স্বামীর গৃহে স্ত্রীর কাজকর্ম করা।
69/5. بَاب وَقَالَ اللهُ تَعَالٰى :
৬৯/৫. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ
وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: (وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ) إِلَى قَوْلِهِ: (بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ) وَقَالَ: (وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلاَثُونَ شَهْرًا) وَقَالَ: (وَإِنْ تَعَاسَرْتُمْ فَسَتُرْضِعُ لَهُ أُخْرَى لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ) إِلَى قَوْلِهِ: (بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا).
’’মায়েরা যেন তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করায়, সেই পিতার জন্য যে পূর্ণ সময়কাল পর্যন্ত দুধ পান করাতে চায়;......... তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন।’’ সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ২৩৩)
তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ ’’তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধ ছাড়ানোর সময় ত্রিশ মাস।’’ সূরাহ আল-আহক্ব-ফঃ ১৫)
তিনি আরও বলেনঃ ’’যদি তোমরা অসুবিধা বোধ কর, তাহলে অপর কোন মহিলা তাকে দুধ পান করাতে পারে। সচ্ছল ব্যক্তি স্বীয় সাধ্য অনুসারে খরচ করবে......... প্রাচুর্য দান করলেন।’’ সূরাহ আত-তালাকঃ ৬-৭)
وَقَالَ يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ نَهٰى اللهُ أَنْ تُضَارَّ وَالِدَةٌ بِوَلَدِهَا وَذ’لِكَ أَنْ تَقُولَ الْوَالِدَةُ لَسْتُ مُرْضِعَتَه“ وَهِيَ أَمْثَلُ لَه“ غِذَاءً وَأَشْفَقُ عَلَيْهِ وَأَرْفَقُ بِه„ مِنْ غَيْرِهَا فَلَيْسَ لَهَا أَنْ تَأْبٰى بَعْدَ أَنْ يُعْطِيَهَا مِنْ نَفْسِه„ مَا جَعَلَ اللهُ عَلَيْهِ وَلَيْسَ لِلْمَوْلُودِ لَه“ أَنْ يُضَارَّ بِوَلَدِه„ وَالِدَتَه“ فَيَمْنَعَهَا أَنْ تُرْضِعَه“ ضِرَارًا لَهَا إِلٰى غَيْرِهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يَسْتَرْضِعَا عَنْ طِيبِ نَفْسِ الْوَالِدِ وَالْوَالِدَةِ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالاً عَنْ تَرَاضٍ مِنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا بَعْدَ أَنْ يَكُونَ ذ’لِكَ عَنْ تَرَاضٍ مِنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فِصَالُه“ فِطَامُهُ.
ইউনুস, যুহরী থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ নিষেধ করেছেন কোন মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না। আর তা হলো এরূপ যে, মাতা এ কথা বলে বসল, আমি একে দুধ পান করাব না। অথচ মায়ের দুধ শিশুর জন্য উৎকৃষ্ট খাদ্য এবং অন্যান্য মহিলার তুলনায় মাতা সন্তানের জন্য অধিক স্নেহশীলা ও কোমল। কাজেই আল্লাহ পিতার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন পিতা তা পালনার্থে যথাসাধ্য নিজের পক্ষ থেকে কিছু দেয়ার পরও মাতার জন্য দুধ পান করাতে অস্বীকার করা উচিত হবে না। এমনিভাবে সন্তানের পিতার জন্যও উচিত নয় সে সন্তানের কারণে তার মাতাকে কষ্ট দেয়া অর্থাৎ কষ্টে ফেলার উদ্দেশে শিশুর মাকে দুধ পান করাতে না দিয়ে অন্য মহিলাকে দুধ পান করাতে দেয়া। হাঁ, মাতাপিতা খুশী হয়ে যদি কাউকে ধাত্রী নিযুক্ত করে, তবে তাতে কোন দোষ নেই। তেমনি যদি তারা উভয়ে দুধ ছাড়াতে চায়, তবে তাতেও তাদের কোন দোষ নেই, যদি তা পারস্পরিক সম্মতি ও পরামর্শের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। فِصَالُه দুধ ছড়ানো।
৫৩৬১. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, একদা ফাতিমাহ (রাঃ) যাঁতা ব্যবহারে তাঁর হাতে যে কষ্ট পেতেন তার অভিযোগ নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন। তাঁর কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট দাস আসার খবর পৌঁছে ছিল। কিন্তু তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পেলেন না। তখন তিনি তাঁর অভিযোগ ’আয়িশাহর কাছে বললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে আসলে ’আয়িশাহ (রাঃ) তাঁকে জানালেন। ’আলী (রাঃ) বলেনঃ রাতে আমরা যখন শুয়ে পড়েছিলাম, তখন তিনি আমাদের কাছে আসলেন। আমরা উঠতে চাইলাম, কিন্তু তিনি বললেনঃ তোমরা উভয়ে নিজ স্থানে থাক। তিনি এসে আমার ও ফাতিমার মাঝখানে বসলেন। এমনকি আমি আমার পেটে তাঁর দুপায়ের শীতলতা উপলব্ধি করলাম। তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা যা চেয়েছ তার চেয়ে কল্যাণকর বিষয় সম্পর্কে তোমাদের কি জানাবো না? তোমরা যখন তোমাদের শয্যাস্থানে যাবে, অথবা বললেনঃ তোমরা যখন তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তেত্রিশবার ’সুবহানাল্লাহ’, তেত্রিশবার ’আল্ হাম্দুলিল্লাহ’ এবং চৌত্রিশবার ’আল্লাহু আকবার’ বলবে। এটা খাদিম অপেক্ষা তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণদায়ক। [1] [৩১১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫৭)
بَاب عَمَلِ الْمَرْأَةِ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ شُعْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِي الْحَكَمُ عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلٰى حَدَّثَنَا عَلِيٌّ أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهِمَا السَّلاَم أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَشْكُو إِلَيْهِ مَا تَلْقٰى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحٰى وَبَلَغَهَا أَنَّه“ جَاءَه“ رَقِيقٌ فَلَمْ تُصَادِفْه“ فَذَكَرَتْ ذ‘لِكَ لِعَائِشَةَ فَلَمَّا جَاءَ أَخْبَرَتْه“ عَائِشَةُ قَالَ فَجَاءَنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا نَقُومُ فَقَالَ عَلٰى مَكَانِكُمَا فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا حَتّٰى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلٰى بَطْنِي فَقَالَ أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلٰى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا أَوْ أَوَيْتُمَا إِلٰى فِرَاشِكُمَا فَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ.
Narrated `Ali:
Fatima went to the Prophet (ﷺ) complaining about the bad effect of the stone hand-mill on her hand. She heard that the Prophet (ﷺ) had received a few slave girls. But (when she came there) she did not find him, so she mentioned her problem to `Aisha. When the Prophet (ﷺ) came, `Aisha informed him about that. `Ali added, "So the Prophet (ﷺ) came to us when we had gone to bed. We wanted to get up (on his arrival) but he said, 'Stay where you are." Then he came and sat between me and her and I felt the coldness of his feet on my `Abdomen. He said, "Shall I direct you to something better than what you have requested? When you go to bed say 'Subhan Allah' thirty-three times, 'Al hamduli l-lah' thirty three times, and Allahu Akbar' thirty four times, for that is better for you than a servant."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৭. স্ত্রীর জন্য খাদিম।
৫৩৬২. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ফাতিমাহ (রাঃ) একটি খাদিম চাইতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়ে অধিক কল্যাণদায়ক বিষয়ে খবর দিব না? তুমি শয়নকালে তেত্রিশবার ’সুবহানাল্লাহ্’, তেত্রিশবার ’আল্ হামদুলিল্লাহ’ এবং চৌত্রিশবার ’আল্লাহু আকবার’ বলবে। পরে সুফ্ইয়ান বলেনঃ এর মধ্যে যে কোন একটি চৌত্রিশবার। ’আলী বলেনঃ অতঃপর কখনোও আমি এগুলো ছাড়িনি। জিজ্ঞেস করা হলো সিফ্ফীনের রাতেও না? তিনি বললেনঃ সিফফীনের রাতেও না। [৩১১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫৮)
بَاب خَادِمِ الْمَرْأَةِ
الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ سَمِعَ مُجَاهِدًا سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ أَبِي لَيْلٰى يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَم أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَسْأَلُه“ خَادِمًا فَقَالَ أَلاَ أُخْبِرُكِ مَا هُوَ خَيْرٌ لَكِ مِنْه“ تُسَبِّحِينَ اللهَ عِنْدَ مَنَامِكِ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدِينَ اللهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتُكَبِّرِينَ اللهَ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ ثُمَّ قَالَ سُفْيَانُ إِحْدَاهُنَّ أَرْبَعٌ وَثَلاَثُونَ فَمَا تَرَكْتُهَا بَعْدُ قِيلَ وَلاَ لَيْلَةَ صِفِّينَ قَالَ وَلاَ لَيْلَةَ صِفِّينَ.
Narrated `Ali bin Abi Talib:
Fatima came to the Prophet (ﷺ) asking for a servant. He said, "May I inform you of something better than that? When you go to bed, recite "Subhan Allah' thirty three times, 'Al hamduli l-lah' thirty three times, and 'Allahu Akbar' thirty four times. `Ali added, 'I have never failed to recite it ever since." Somebody asked, "Even on the night of the battle of Siffin?" He said, "Even on the night of the battle of Siffin."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৮. নিজ পরিবারে গৃহকর্তার কাজকর্ম।
৫৩৬৩. আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহে কি কাজ করতেন? তিনি বললেনঃ তিনি ঘরের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন, যখন আযান শুনতেন, তখন বেরিয়ে পড়তেন। [1][৬৭৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫৯)
بَاب خِدْمَةِ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، سَأَلْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ فِي الْبَيْتِ قَالَتْ كَانَ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ، فَإِذَا سَمِعَ الأَذَانَ خَرَجَ.
Narrated Al-Aswad bin Yazid:
I asked `Aisha "What did the Prophet (ﷺ) use to do at home?" She said, "He used to work for his family, and when he heard the Adhan (call for the prayer), he would go out."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৯. স্বামী যদি যথাযথ) খরচ না করে, তাহলে তার অজ্ঞাতে স্ত্রী তার ও সন্তানের প্রয়োজন অনুসারে ন্যায়সঙ্গতভাবে খরচ করতে পারে।
৫৩৬৪. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, হিন্দা বিনত উতবা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুফ্ইয়ান একজন কৃপণ লোক। আমাকে এত পরিমাণ খরচ দেন না, যা আমার ও আমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হতে পারে যতক্ষণ না আমি তার অজান্তে মাল থেকে কিছু নিই। তখন তিনি বললেনঃ তোমার ও তোমার সন্তানের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে যা যথেষ্ট হয় তা তুমি নিতে পার। [২২১১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৬০)
بَاب إِذَا لَمْ يُنْفِقْ الرَّجُلُ فَلِلْمَرْأَةِ أَنْ تَأْخُذَ بِغَيْرِ عِلْمِه„ مَا يَكْفِيهَا وَوَلَدَهَا بِالْمَعْرُوفِ
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنّٰى حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ هِشَامٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ هِنْدَ بِنْتَ عُتْبَةَ قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ وَلَيْسَ يُعْطِينِي مَا يَكْفِينِي وَوَلَدِي إِلاَّ مَا أَخَذْتُ مِنْه“ وَهُوَ لاَ يَعْلَمُ فَقَالَ خُذِي مَا يَكْفِيكِ وَوَلَدَكِ بِالْمَعْرُوفِ.
Narrated `Aisha:
Hind bint `Utba said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Abu Sufyan is a miser and he does not give me what is sufficient for me and my children. Can I take of his property without his knowledge?" The Prophet (ﷺ) said, "Take what is sufficient for you and your children, and the amount should be just and reasonable.
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১০. স্বামীর সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও তার ব্যয় নির্বাহ করা।
৫৩৬৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উটে আরোহিনী নারীদের মধ্যে কুরাইশ গোত্রের নারীরা সর্বোত্তম। অপরজন বলেনঃ কুরাইশ গোত্রের নারীগণ সৎ, তারা সন্তানের প্রতি শৈশবে খুব স্নেহশীলা এবং স্বামীর প্রতি বড়ই অনুকম্পাশীলা তার সম্পদের ক্ষেত্রে। মু'আবিয়াহ ও ইবনু আব্বাসের সূত্রেও উক্ত হাদীসটি বর্ণিত আছে। [৩৪৩৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৬১)
بَاب حِفْظِ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا فِي ذَاتِ يَدِه„ وَالنَّفَقَةِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ وَأَبُو الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الإِبِلَ نِسَاءُ قُرَيْشٍ وَقَالَ الآخَرُ صَالِحُ نِسَاءِ قُرَيْشٍ أَحْنَاه“ عَلٰى وَلَدٍ فِي صِغَرِه„ وَأَرْعَاه“ عَلٰى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِه„ وَيُذْكَرُ عَنْ مُعَاوِيَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The best women among the camel riders, are the women of Quraish." (Another narrator said) The Prophet (ﷺ) said, "The righteous among the women of Quraish are those who are kind to their young ones and who look after their husband's property . "
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১১. মহিলাদের যথাযোগ্য পরিচ্ছদ দান।
৫৩৬৬. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে রেশমী পোশাক আসলে আমি তা পরিধান করলাম। তাঁর চেহারায় গোস্বার চিহ্ন লক্ষ্য করলাম। তাই আমি এটাকে টুকরা করে আপন মহিলাদের মধ্যে বন্টন করলাম। [২৬১৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৬২)
بَاب كِسْوَةِ الْمَرْأَةِ بِالْمَعْرُوفِ
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَيْسَرَةَ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ وَهْبٍ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ آتٰى إِلَيَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حُلَّةً سِيَرَاءَ فَلَبِسْتُهَا فَرَأَيْتُ الْغَضَبَ فِي وَجْهِه„ فَشَقَّقْتُهَا بَيْنَ نِسَائِي.
Narrated `Ali:
The Prophet (ﷺ) gave me a silk suit and I wore it, but when I noticed anger on his face, I cut it and distributed it among my women-folk.
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১২. সন্তান লালন-পালনের ব্যাপারে স্বামীকে সাহায্য করা।
৫৩৬৭. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাতটি বা বর্ণনাকারীর সন্দেহ) নয়টি মেয়ে রেখে আমার পিতা ইন্তিকাল করেন। তারপর আমি এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ জাবির! তুমি বিয়ে করেছ? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি তারপর জিজ্ঞেস করলেনঃ কুমারী বিয়ে করেছ বা বিধবা? আমি বললামঃ বিধবা। তিনি বললেনঃ কুমারী করলে না কেন? তুমি তার সাথে খেলতে, সেও তোমার সাথে খেলত। তুমিও তাকে হাসাতে, সেও তোমাকে হাসাতো। জাবির বলেনঃ আমি তাঁকে বললাম, অনেকগুলো কন্যা সন্তান রেখে ’আবদুল্লাহ আমার পিতা) মারা গেছেন, তাই আমি ওদের-ই মত কুমারী মেয়ে বিয়ে করা পছন্দ করিনি। আমি এমন মেয়েকে বিয়ে করলাম, যে তাদের দেখাশোনা করতে পারে তাদের ভুলত্রুটি শুধরাতে পারে। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তোমাকে বারাকাত দিন অথবা বললেনঃ কল্যাণ দান করুন। [৪৪৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৬৩)
بَاب عَوْنِ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا فِي وَلَدِهِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ هَلَكَ أَبِي وَتَرَكَ سَبْعَ بَنَاتٍ أَوْ تِسْعَ بَنَاتٍ فَتَزَوَّجْتُ امْرَأَةً ثَيِّبًا فَقَالَ لِي رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجْتَ يَا جَابِرُ فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ بِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا قُلْتُ بَلْ ثَيِّبًا قَالَ فَهَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ وَتُضَاحِكُهَا وَتُضَاحِكُكَ قَالَ فَقُلْتُ لَه“ إِنَّ عَبْدَ اللهِ هَلَكَ وَتَرَكَ بَنَاتٍ وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَجِيئَهُنَّ بِمِثْلِهِنَّ فَتَزَوَّجْتُ امْرَأَةً تَقُومُ عَلَيْهِنَّ وَتُصْلِحُهُنَّ فَقَالَ بَارَكَ اللهُ لَكَ أَوْ قَالَ خَيْرًا.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
My father died and left seven or nine girls and I married a matron. Allah's Messenger (ﷺ) said to me, "O Jabir! Have you married?" I said, "Yes." He said, "A virgin or a matron?" I replied, "A matron." he said, "Why not a virgin, so that you might play with her and she with you, and you might amuse her and she amuse you." I said, " `Abdullah (my father) died and left girls, and I dislike to marry a girl like them, so I married a lady (matron) so that she may look after them." On that he said, "May Allah bless you," or "That is good."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১৩. নিজ পরিবারের জন্য অসচ্ছল ব্যক্তির ব্যয় করা।
৫৩৬৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক লোক এলো এবং বলল আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ কেন? সে বললঃ রামাযান মাসে আমি (দিবসে) স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ একটি দাস মুক্ত করে দাও। সে বললঃ আমার কাছে কিছুই নেই। তিনি বললেনঃ তাহলে একনাগাড়ে দু’মাস সওম পালন কর। সে বললঃ সে ক্ষমতাও আমার নেই। তিনি বলেনঃ তাহলে ষাটজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াও। সে বললঃ সে সামর্থ্যও আমার নেই।
এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক বস্তা খেজুর এল। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি বললঃ আমি এখানে। রাসূল বললেনঃ এগুলো সাদাকাহ কর। সে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমারচেয়ে অভাবগ্রস্তকে দিব। সেই সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন, মদিনা্র প্রস্তরময় দু’পার্শ্বের মধ্যে আমাদের চেয়ে অভাবগ্রস্ত কোন পরিবার নেই। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁসলেন এমন কি তাঁর চোয়ালের দাঁত পর্যন্ত দেখা গেল এবং বললেনঃ তবে তোমরাই তা নিয়ে যাও। [১৯৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৬৪)
بَاب نَفَقَةِ الْمُعْسِرِ عَلٰى أَهْلِهِ.
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتٰى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ هَلَكْتُ قَالَ وَلِمَ قَالَ وَقَعْتُ عَلٰى أَهْلِي فِي رَمَضَانَ قَالَ فَأَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ لَيْسَ عِنْدِي قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لاَ أَسْتَطِيعُ قَالَ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ لاَ أَجِدُ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ فَقَالَ أَيْنَ السَّائِلُ قَالَ هَا أَنَا ذَا قَالَ تَصَدَّقْ بِهٰذَا قَالَ عَلٰى أَحْوَجَ مِنَّا يَا رَسُوْلَ اللهِ فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ مِنَّا فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتّٰى بَدَتْ أَنْيَابُه“ قَالَ فَأَنْتُمْ إِذًا.
Narrated Abu Huraira:
A man came to the Prophet (ﷺ) and said, "I am ruined!" The Prophet (ﷺ) said, "Why?" He said, "I had sexual intercourse with my wife while fasting (in the month of Ramadan)." The Prophet (ﷺ) said to him, "Manumit a slave (as expiation)." He replied, "I cannot afford that." The Prophet (ﷺ) said, "Then fast for two successive months." He said, "I cannot." The Prophet (ﷺ) said, "Then feed sixty poor persons." He said, "I have nothing to do that." In the meantime a basket full of dates was brought to the Prophet (ﷺ) . He said, "Where is the questioner." The man said, "I am here." The Prophet (ﷺ) said (to him), "Give this (basket of dates) in charity (as expiation)." He said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Shall I give it to poorer people than us? By Him Who sent you with the Truth, there is no family between Medina's two mountains poorer than us." The Prophet (ﷺ) smiled till his pre-molar teeth became visible. He then said, "Then take it."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১৪. পরিচ্ছেদ নাই।
(وَعَلَى الْوَارِثِ مِثْلُ ذَلِكَ)وَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْهُ شَيْءٌ؟
(وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلاً رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا أَبْكَمُ) إِلَى قَوْلِهِ: (صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ)
আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ ওয়ারিশের উপরেও অনুরূপ দায়িত্ব আছে’’-সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২৩৩)। মহিলার উপরেও কি এমন কোন দায়িত্ব আছে? ’’আল্লাহ আরো দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন দু’ব্যক্তির তাদের একজন হল বোবা, কোন কিছুই করতে সক্ষম নয়। তার মনিবের উপর সে একটা বোঝা, তাকে যেখানেই পাঠানো হোক না কেন, কোন কল্যাণই সে নিয়ে আসবে না। সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে ইনসাফের নির্দেশ দেয় আর সরল সুদৃঢ় পথে প্রতিষ্ঠিত?’’সূরাহ নাহলঃ১৬/৭৬)
৫৩৬৯. উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সালামাহর সন্তানদের জন্য ব্যয় করলে তাতে আমার কোন সাওয়াব হবে কি? আমি তাদের এ (অভাবী) অবস্থায় ত্যাগ করতে পারি না। তারা তো আমারই সন্তান। তিনি বললেনঃ হাঁ, তুমি তাদের জন্য যা খরচ করবে তাতে তোমার সাওয়াব আছে। [১৪৬৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৬৫)
بَاب
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ ابْنَةِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ لِي مِنْ أَجْرٍ فِي بَنِي أَبِي سَلَمَةَ أَنْ أُنْفِقَ عَلَيْهِمْ، وَلَسْتُ بِتَارِكَتِهِمْ هَكَذَا وَهَكَذَا، إِنَّمَا هُمْ بَنِيَّ. قَالَ " نَعَمْ لَكِ أَجْرُ مَا أَنْفَقْتِ عَلَيْهِمْ ".
Narrated Um Salama:
I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Shall I get a reward (in the Hereafter) if I spend on the children of Abu Salama and do not leave them like this and like this (i.e., poor) but treat them like my children?" The Prophet said, "Yes, you will be rewarded for that which you will spend on them."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/১৪. পরিচ্ছেদ নাই।
৫৩৭০. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হিন্দা এসে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুফ্ইয়ান কৃপণ লোক। আমার ও সন্তানের জন্য যথেষ্ট হয় এমন কিছু যদি তার মাল থেকে গ্রহণ করি, তবে কি আমার গুনাহ হবে? তিনি বললেনঃ ন্যায়সঙ্গতভাবে নিতে পার। [২২১১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৬৬)
بَاب
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ هِنْدُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ فَهَلْ عَلَىَّ جُنَاحٌ أَنْ آخُذَ مِنْ مَالِهِ مَا يَكْفِينِي وَبَنِيَّ قَالَ " خُذِي بِالْمَعْرُوفِ ".
Narrated `Aisha:
Hind (bint `Utba) said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Abu Sufyan is a miser. Is there any harm if I take of his property what will cover me and my children's needs?" The Prophet (ﷺ) said, "Take (according to your needs) in a reasonable manner."