পরিচ্ছেদঃ ৩/১. লুঙ্গির উপর হায়িযওয়ালী নারীর সাথে শরীর মেশানো
১৬৮. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাদের কেউ হায়য অবস্থায় থাকলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে মিশামিশি করতে চাইলে তাকে প্রবল হায়যে ইযার পরার নির্দেশ দিতেন। তারপর তার সাথে মিশামিশি করতেন। তিনি [’আয়িশাহ (রাঃ)] বলেনঃ তোমাদের মধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মত কাম-প্রবৃত্তি দমন করার শক্তি রাখে কে?
مباشرة الحائض فوق الإِزار
حَدِيْثُ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَتْ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا فَأَرَادَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُبَاشِرَهَا أَمَرَهَا أَنْ تَتَّزِرَ فِي فَوْرِ حَيْضَتِهَا ثُمَّ يُبَاشِرُهَا قَالَتْ وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৩/১. লুঙ্গির উপর হায়িযওয়ালী নারীর সাথে শরীর মেশানো
১৬৯. মায়মূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন স্ত্রীর সাথে হায়য অবস্থায় মিশামিশি করতে চাইলে তাকে ইযার পরতে বলতেন।
مباشرة الحائض فوق الإِزار
حَدِيْثُ مَيْمُونَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يُبَاشِرَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ أَمَرَهَا فَاتَّزَرَتْ وَهِيَ حَائِضٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩/২. একই লেপের তলে হায়িযওয়ালী নারীর সাথে শয়ন
১৭০. উম্মু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে একই চাদরের নীচে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমার হায়য দেখা দিলে আমি চুপি চুপি বেরিয়ে গিয়ে হায়যের কাপড় পরে নিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার কি নিফাস দেখা দিয়েছে? আমি বললাম, ’হ্যাঁ’। তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর সঙ্গে চাদরের ভেতর শুয়ে পড়লাম।
الاضطجاع مع الحائض في لحاف واحد
حَدِيْثُ أُمِّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ بَيْنَا أَنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُضْطَجِعَةٌ فِي خَمِيصَةٍ إِذْ حِضْتُ فَانْسَلَلْتُ فَأَخَذْتُ ثِيَابَ حِيضَتِي قَالَ أَنُفِسْتِ قُلْتُ نَعَمْ فَدَعَانِي فَاضْطَجَعْتُ مَعَهُ فِي الْخَمِيلَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩/২. একই লেপের তলে হায়িযওয়ালী নারীর সাথে শয়ন
১৭১. উম্মু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ... আমি ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্র হতে পানি নিয়ে জানাবাতের গোসল করতাম।
الاضطجاع مع الحائض في لحاف واحد
حَدِيْثُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ قَالَتْ ..... وَكُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ مِنَ الْجَنَابَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. হায়িযওয়ালী নারী তার স্বামীর মাথা ধুয়ে দিতে এবং মাথার চুল আঁচড়ে দিতে পারবে
১৭২. নবী সহধর্মিণী ’আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে থাকাবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ই’তিকাফে থাকতেন তখন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করতেন না।
جواز غسل الحائض رأس روجها وترجيله
حَدِيْثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيُدْخِلُ عَلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلاَّ لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. হায়িযওয়ালী নারী তার স্বামীর মাথা ধুয়ে দিতে এবং মাথার চুল আঁচড়ে দিতে পারবে
১৭৩. ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হায়য অবস্থায় আমার সাথে মিশামিশি করতেন। আর তিনি ই’তিকাফরত অবস্থায় মাসজিদ হতে তাঁর মাথা বের করে দিতেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় তা ধুয়ে দিতাম।
جواز غسل الحائض رأس روجها وترجيله
حَدِيْثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُبَاشِرُنِي وَأَنَا حَائِضٌ وَكَانَ يُخْرِجُ رَأْسَهُ مِنَ الْمَسْجِدِ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فَأَغْسِلُهُ وَأَنَا حَائِضٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. হায়িযওয়ালী নারী তার স্বামীর মাথা ধুয়ে দিতে এবং মাথার চুল আঁচড়ে দিতে পারবে
১৭৪. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি ঋতুবতী ছিলাম।
جواز غسل الحائض رأس روجها وترجيله
حَدِيْثُ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَّكِئُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৪. মযী প্রসঙ্গে
১৭৫. মুহাম্মদ ইবনুল হানফিয়্যাহ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ’আলী (রাযি.) বলেছেন, আমার অধিক পরিমাণে মযী বের হতো। কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছিলাম। তাই আমি মিকদাদ ইবনু আসওয়াদ (রাযি.)-কে অনুরোধ করলাম, তিনি যেন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞেস করেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেনঃ এতে শুধু উযূ করতে হয়।
المذي
حَدِيْثُ عَلِيٌّ قَالَ كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً فَاسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَسْأَلَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرْتُ الْمِقْدَادَ بْنَ الْأَسْوَدِ فَسَأَلَهُ فَقَالَ فِيهِ الْوُضُوءُ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৬. জুনুবী ব্যক্তির ঘুমিয়ে থাকা বৈধ তবে তার জন্য উযূ করা মুস্তাহাব
১৭৬. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতে ইচ্ছে করতেন তখন তিনি লজ্জাস্থান ধুয়ে সালাতের উযূর মত উযূ করতেন।
جواز نوم الجنب واستحباب الوضوء له
حَدِيْثُ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَهُوَ جُنُبٌ غَسَلَ فَرْجَهُ وَتَوَضَّأَ للصَّلاَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৬. জুনুবী ব্যক্তির ঘুমিয়ে থাকা বৈধ তবে তার জন্য উযূ করা মুস্তাহাব
১৭৭. ’উমার ইবনু’ল-খাত্তাব (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমাদের কেউ জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, উযূ করে নিয়ে জানাবাতের অবস্থায়ও ঘুমাতে পারে।
جواز نوم الجنب واستحباب الوضوء له
حَدِيْثُ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيَرْقُدُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ قَالَ نَعَمْ إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرْقُدْ وَهُوَ جُنُبٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৬. জুনুবী ব্যক্তির ঘুমিয়ে থাকা বৈধ তবে তার জন্য উযূ করা মুস্তাহাব
১৭৮. ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযি.) আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, রাতে কোন সময় তাঁর গোসল ফারয (ফরয) হয় (তখন কী করতে হবে?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, উযূ করবে, লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবে, তারপর ঘুমাবে।
جواز نوم الجنب واستحباب الوضوء له
حَدِيْثُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ تُصِيبُهُ الْجَنَابَةُ مِنْ اللَّيْلِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ ثُمَّ نَمْ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৬. জুনুবী ব্যক্তির ঘুমিয়ে থাকা বৈধ তবে তার জন্য উযূ করা মুস্তাহাব
১৭৯. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই রাতে পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তখন তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন।
جواز نوم الجنب واستحباب الوضوء له
حَدِيْثُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ فِي اللَّيْلَةِ الْوَاحِدَةِ وَلَهُ يَوْمَئِذٍ تِسْعُ نِسْوَةٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৭. মনী নির্গত হওয়ার দরুন নারীর উপর গোসল করা ওয়াজিব
১৮০. উম্মু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উম্মু সুলায়ম (রাযি.) এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ্ হক কথা প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। মহিলাদের স্বপ্নদোষ হলে কি গোসল করতে হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’হ্যাঁ, যখন সে বীর্য দেখতে পাবে।’ তখন উম্মু সালমা (লজ্জায়) তার মুখ ঢেকে নিয়ে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! মহিলাদেরও স্বপ্নদোষ হয় কি?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ, তোমার ডান হাতে মাটি পড়ুক! (তা না হলে) তাদের সন্তান তাদের আকৃতি পায় কিভাবে?
وجوب الغسل على المرأة بخروج المني منها
حَدِيْثُ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ اللهَ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا احْتَلَمَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ فَغَطَّتْ أُمُّ سَلَمَةَ تَعْنِي وَجْهَهَا وَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ أَوَتَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ قَالَ نَعَمْ تَرِبَتْ يَمِينُكِ فَبِمَ يُشْبِهُهَا وَلَدُهَا
পরিচ্ছেদঃ ৩/৯. ফরয গোসলের বর্ণনা
১৮১. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন প্রথমে তাঁর হাত দু’টো ধুয়ে নিতেন। অতঃপর সালাতের উযূর মত উযূ করতেন। অতঃপর তাঁর আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া খিলাল করতেন। অতঃপর তাঁর উভয় হাতের তিন আঁজলা পানি মাথায় ঢালতেন। তারপর তাঁর সারা দেহের উপর পানি ঢেলে দিতেন।
صفة غسل الجنابة
حَدِيْثُ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ بَدَأَ فَغَسَلَ يَدَيْهِ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ كَمَا يَتَوَضَّأُ للصَّلاَةِ ثُمَّ يُدْخِلُ أَصَابِعَهُ فِي الْمَاءِ فَيُخَلِّلُ بِهَا أُصُولَ شَعَرِهِ ثُمَّ يَصُبُّ عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثَ غُرَفٍ بِيَدَيْهِ ثُمَّ يُفِيضُ الْمَاءَ عَلَى جِلْدِهِ كُلِّهِ
পরিচ্ছেদঃ ৩/৯. ফরয গোসলের বর্ণনা
১৮২. মায়মূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য গোসলের পানি ঢেলে রাখলাম। তিনি তাঁর ডান হাত দিয়ে বাঁ হাতে পানি ঢাললেন এবং উভয় হাত ধুলেন। অতঃপর তাঁর লজ্জাস্থান ধৌত করলেন এবং মাটিতে তাঁর হাত ঘষলেন। পরে তা ধুয়ে কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তারপর তাঁর চেহারা ধুলেন এবং মাথার উপর পানি ঢাললেন। পরে ঐ স্থান হতে সরে গিয়ে দু’ পা ধুলেন। অবশেষে তাঁকে একটি রুমাল দেয়া হল, কিন্তু তিনি তা দিয়ে শরীর মুছলেন না।
صفة غسل الجنابة
حَدِيْثُ مَيْمُونَةُ قَالَتْ صَبَبْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غُسْلًا فَأَفْرَغَ بِيَمِينِهِ عَلَى يَسَارِهِ فَغَسَلَهُمَا ثُمَّ غَسَلَ فَرْجَهُ ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ الْأَرْضَ فَمَسَحَهَا بِالتُّرَابِ ثُمَّ غَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ وَأَفَاضَ عَلَى رَأْسِهِ ثُمَّ تَنَحَّى فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ ثُمَّ أُتِيَ بِمِنْدِيلٍ فَلَمْ يَنْفُضْ بِهَا
পরিচ্ছেদঃ ৩/৯. ফরয গোসলের বর্ণনা
১৮৩. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন হিলাবের অনুরূপ পাত্র চেয়ে নিতেন। তারপর এক আঁজলা পানি নিয়ে প্রথমে মাথার ডান পাশ এবং পরে বাম পাশ ধুয়ে ফেলতেন। দু’হাতে মাথায় পানি ঢালতেন।
صفة غسل الجنابة
حَدِيْثُ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ دَعَا بِشَيْءٍ نَحْوَ الْحِلَابِ فَأَخَذَ بِكَفِّهِ فَبَدَأَ بِشِقِّ رَأْسِهِ الْأَيْمَنِ ثُمَّ الْأَيْسَرِ فَقَالَ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৩/১০. ফরয গোসলে কী পরিমাণ পানি ব্যবহার করা মুস্তাহাব
১৮৪. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্র (কাদাহ) হতে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো।
القدر المستحب من الماء في غسل الجنابة
حَدِيْثُ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ مِنْ قَدَحٍ يُقَالُ لَهُ الْفَرَقُ
পরিচ্ছেদঃ ৩/১০. ফরয গোসলে কী পরিমাণ পানি ব্যবহার করা মুস্তাহাব
১৮৫. আবূ সালামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ও ’আয়িশাহ (রাযি.)-এর ভাই ’আয়িশাহ (রাযি.)-এর নিকট গমন করলাম। তাঁর ভাই তাঁকে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি প্রায় এক সা’আ এর সমপরিমাণ এক পাত্র আনালেন। তারপর তিনি গোসল করলেন এবং স্বীয় মাথার উপর পানি ঢাললেন। তখন আমাদের ও তাঁর মাঝে পর্দা ছিল।
القدر المستحب من الماء في غسل الجنابة
حَدِيْثُ عَائِشَةَ سَأَلَهَا أَخُوهَا عَنْ غُسْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَتْ بِإِنَاءٍ نَحْوًا مِنْ صَاعٍ فَاغْتَسَلَتْ وَأَفَاضَتْ عَلَى رَأْسِهَا وَبَيْنَنَا وَبَيْنَهَا حِجَابٌ (قَوْلَ أَبِيْ سَلَمَةَ)
পরিচ্ছেদঃ ৩/১০. ফরয গোসলে কী পরিমাণ পানি ব্যবহার করা মুস্তাহাব
১৮৬. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা’ (৪ মুদ) হতে পাঁচ মুদ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং উযু করতেন এক মুদ দিয়ে।
القدر المستحب من الماء في غسل الجنابة
حَدِيْثُ أَنَسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَغْسِلُ أَوْ كَانَ يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ
পরিচ্ছেদঃ ৩/১১. মাথায় এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে তিনবার পানি বইয়ে দেয়া মুস্তাহাব
১৮৭. জুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তিনবার আমার মাথায় পানি ঢালি। এই বলে তিনি উভয় হাতের দ্বারা ইঙ্গিত করেন।
استحباب إِفاضة الماء على الرأس وغيره ثلاثا
حَدِيْثُ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّا أَنَا فَأُفِيضُ عَلَى رَأْسِي ثَلَاثًا وَأَشَارَ بِيَدَيْهِ كِلْتَيْهِمَا