আল-লুলু ওয়াল মারজান ১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯১৬

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১. দুগ্ধপান দ্বারা তা হারাম হয় যা জন্মসূত্র দ্বারা হারাম হয়।

৯১৬. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট অবস্থান করছিলেন। এমন সময় তিনি এক ব্যক্তির আওয়াজ শুনতে পেলেন। সে হাফসাহ (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করছে। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ এক ব্যক্তি আপনার ঘরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করছে। তিনি বলেন, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে হাফসার অমুক দুধ চাচা বলে মনে হচ্ছে। তখন আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আচ্ছা আমার অমুক দুধ চাচা যদি জীবিত থাকত তাহলে সে কি আমার ঘরে প্রবেশ করতে পারত? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, পারত। কেননা, জন্মসূত্রে যা হারাম, দুধপানও তাকে হারাম করে।

يحرم من الرضاعة ما يحرم من الولادة

حديث عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عِنْدَهَا، وَأَنَّهَا سَمِعَتْ صَوْتَ رَجُلٍ يَسْتَأْذِنَ فِي بَيْتِ حَفْصَةَ قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أُرَاهُ فُلاَنًا (لِعَمِّ حَفْصَةَ مِنَ الرَّضَاعَةِ) فَقَالَتْ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللهِ هذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِكَ، قَالَتْ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُرَاهُ فُلاَنًا (لِعَمِّ حَفْصَةَ مِنَ الرَّضَاعَةِ) فَقَالَتْ عَائِشَةُ؛ لَوْ كَانَ فُلاَنٌ حَيًّا (لِعَمِّهَا مِنَ الرَّضَاعَةِ) دَخَلَ عَلَيَّ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ، إِنَّ الرَّضَاعَةَ تُحَرِّمُ مَا يَحْرُمُ مِنَ الْوِلاَدَةِ

حديث عاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان عندها، وانها سمعت صوت رجل يستاذن في بيت حفصة قالت عاىشة: فقلت يا رسول الله اراه فلانا (لعم حفصة من الرضاعة) فقالت عاىشة: يا رسول الله هذا رجل يستاذن في بيتك، قالت: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اراه فلانا (لعم حفصة من الرضاعة) فقالت عاىشة؛ لو كان فلان حيا (لعمها من الرضاعة) دخل علي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم نعم، ان الرضاعة تحرم ما يحرم من الولادة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯১৭

পরিচ্ছেদঃ ১৭/২. কারো স্ত্রীর দুধপান তার সন্তানাদির সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ করে।

৯১৭. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর, আবুল কু’আয়ুস এর ভাই আফলাহ আমার কাছে প্রবেশ করার অনুমতি চায়। আমি বললাম, এ ব্যাপারে যতক্ষণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি না দিবেন, ততক্ষণ আমি অনুমতি দিতে পারি না। কেননা তার ভাই আবু কু’আয়স তো নিজে আমাকে দুধ পান করাননি। কিন্তু আবুল কু’আয়সের স্ত্রী আমাকে দুধ পান করিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন। আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আবুল কু’আয়সের ভাই আফলাহ আমার সাথে দেখা করার অনুমতি চাইছিল। আমি এ বলে অস্বীকার করেছি যে, যতক্ষণ আপনি এ ব্যাপারে অনুমতি না দেবেন, ততক্ষণ আমি অনুমতি দেব না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার চাচাকে (তোমার সাথে দেখা করার) অনুমতি দিতে কিসে বাধা দিয়েছে? আমি বললাম, সে ব্যক্তি তো আমাকে দুধ পান করাননি; কিন্তু আবুল কু’আয়াসের স্ত্রী আমাকে দুধ পান করিয়েছে। এরপর তিনি [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, তোমার হাত ধূলি ধূসরিত হোক, তাকে অনুমতি দাও, কেননা, সে তোমার চাচা।

تحريم الرضاعة من ماء الفحل

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: اسْتَأْذَنَ عَلَيَّ أَفْلَحُ أَخُو أَبِي الْقُعَيْسِ بَعْدَمَا أُنْزِلَ الْحِجَابُ، فَقُلْتُ: لاَ آذَنُ لَهُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ فِيهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّ أَخَاهُ أَبَا الْقُعَيْسِ لَيْسَ هُوَ أَرْضَعَنِي، وَلكِنْ أَرْضَعَتْنِي امْرَأَةُ أَبِي الْقُعَيْسِ فَدَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أَفْلَحَ أَخَا أَبِي الْقُعَيْسِ اسْتَأْذَنَ فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ حَتَّى أَسْتَأْذِنَكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَمَا مَنَعَكِ أَنْ تَأْذَنِينَ عَمُّكِ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ الرَّجُلَ لَيْسَ هُوَ أَرْضَعَنِي، وَلكِنْ أَرْضَعَتْنِي امْرَأَةُ أَبِي الْقُعَيْسِ فَقَالَ: ائْذَنِي لَهُ، فَإِنَّهُ عَمُّكِ، تَرِبَتْ يَمِينُكِ

حديث عاىشة، قالت: استاذن علي افلح اخو ابي القعيس بعدما انزل الحجاب، فقلت: لا اذن له حتى استاذن فيه النبي صلى الله عليه وسلم، فان اخاه ابا القعيس ليس هو ارضعني، ولكن ارضعتني امراة ابي القعيس فدخل علي النبي صلى الله عليه وسلم، فقلت له: يا رسول الله ان افلح اخا ابي القعيس استاذن فابيت ان اذن حتى استاذنك فقال النبي صلى الله عليه وسلم: وما منعك ان تاذنين عمك قلت: يا رسول الله ان الرجل ليس هو ارضعني، ولكن ارضعتني امراة ابي القعيس فقال: اىذني له، فانه عمك، تربت يمينك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯১৮

পরিচ্ছেদঃ ১৭/২. কারো স্ত্রীর দুধপান তার সন্তানাদির সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ করে।

৯১৮. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আফলাহ (রাঃ) আমার সাক্ষাতের অনুমতি চাইলেন। আমি অনুমতি না দেয়ায় তিনি বললেন, আমি তোমার চাচা, অথচ তুমি আমার সঙ্গে পর্দা করছ? আমি বললাম, তা কিভাবে? তিনি বললেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রী, আমার ভাইয়ের মিলনজাত দুধ তোমাকে পান করিয়েছে। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আফলাহ ঠিক কথাই বলেছে। তাকে অনুমতি দাও।

تحريم الرضاعة من ماء الفحل

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: اسْتَأْذَنَ عَلَيَّ أَفْلَحُ فَلَمْ آذَنْ لَهُ فَقَالَ: أَتَحْتَجِبِينَ مِنِّي وَأَنَا عَمُّكِ فَقُلْتُ: وَكَيْفَ ذلِكَ قَالَ: أَرْضَعَتْكِ امْرَأَةُ أَخِي بِلَبَنِ أَخِي فَقَالَتْ: سَأَلْتُ عَنْ ذلِكَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: صَدَقَ أَفْلَحُ، ائْذَنِي لَهُ

حديث عاىشة، قالت: استاذن علي افلح فلم اذن له فقال: اتحتجبين مني وانا عمك فقلت: وكيف ذلك قال: ارضعتك امراة اخي بلبن اخي فقالت: سالت عن ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: صدق افلح، اىذني له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯১৯

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৩. দুগ্ধ ভাতিজির সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ।

৯১৯. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযার মেয়ে সম্পর্কে বলেছেন, সে আমার জন্য হালাল নয়। কেননা বংশ কারণে যা হারাম হয়, দুধ পানের সম্পর্কের কারণেও তা হারাম হয়, আর সে আমার দুধ ভাইয়ের মেয়ে।

تحريم ابنة الأخ من الرضاعة

حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي بِنْتِ حَمْزَةَ: لاَ تَحِلُّ لِي، يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ، هِيَ بِنْتُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ

حديث ابن عباس، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم، في بنت حمزة: لا تحل لي، يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب، هي بنت اخي من الرضاعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২০

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৪. পালিতা কন্যা ও স্ত্রীর বোন হারাম।

৯২০. উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আবৃ সুফিয়ানের কন্যার ব্যাপারে আগ্রহী? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, তাকে দিয়ে আমার কি হবে? আমি বললাম, তাকে আপনি বিয়ে করবেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি তা পছন্দ করবে? আমি বললাম, হ্যাঁ। এখন তো আমি একাই আপনার স্ত্রী নই। সুতরাং আমি চাই, আমার বোনও আমার সাথে কল্যাণে অংশীদার হোক। তিনি বললেন, তাকে বিয়ে করা আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আমরা শুনেছি যে, আপনি আবু সালামার কন্যা দুররাকে বিয়ে করার জন্য পয়গাম পাঠিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, উম্ম সালামার কন্যা? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সে যদি আমার প্রতিপালিতা সৎ কন্যা নাও হতো তবুও তাকে বিয়ে করা আমার জন্য হালাল হতো না। কেননা সুয়াইবিয়া আমাকে ও তার পিতাকে দুধ পান করিয়েছিল। সুতরাং শাদীর জন্য আমাদের কন্যা বা বোন কাউকে পেশ করো না।

تحريم الربيبة وأخت المرأة

حديث أُمِّ حَبِيبَةَ قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ هَلْ لَكَ فِي بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ: فَأَفْعَلُ مَاذَا قُلْتُ: تَنْكِحُ؛ قَالَ: أَتُحِبِّينَ قُلْتُ: لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ، وَأَحَبُّ مَنْ شَرَكَنِي فِيكَ أُخْتِي قَالَ: إِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِي قُلْتُ: بَلَغَنِي أَنَّكَ تَخْطُبُ قَالَ: ابْنَةَ أُمِّ سَلَمَةَ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: لَوْ لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي مَا حَلَّتْ لِي، أَرْضَعَتْنِي وَأَبَاهَا ثُوَيْبَةُ، فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَيَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ

حديث ام حبيبة قالت: قلت يا رسول الله هل لك في بنت ابي سفيان قال: فافعل ماذا قلت: تنكح؛ قال: اتحبين قلت: لست لك بمخلية، واحب من شركني فيك اختي قال: انها لا تحل لي قلت: بلغني انك تخطب قال: ابنة ام سلمة قلت: نعم قال: لو لم تكن ربيبتي ما حلت لي، ارضعتني واباها ثويبة، فلا تعرضن علي بناتكن ولا اخواتكن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২১

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৮. মাজায়াত’ দ্বারা রাজাঈ সাব্যস্ত হওয়া (শিশুর দু’বছর বয়সের মধ্যে ক্ষুধায় দুগ্ধপান ‘দুগ্ধদান’ সাব্যস্ত করে)।

৯২১. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আসলেন, তখন আমার নিকট এক ব্যক্তি ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে ’আয়িশাহ! এ কে? আমি বললাম, আমার দুধ ভাই। তিনি বললেন, হে ’আয়িশাহ! কে তোমার সত্যিকার দুধ ভাই তা যাচাই করে দেখে নিও। কেননা, ক্ষুধার কারণে দুধ পানের ফলেই শুধু দুধ সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

إِنما الرضاعة من المجاعة

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدِي رَجُلٌ، قَالَ: يَا عَائِشَةُ مَنْ هذَا قُلْتُ: أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ قَالَ: يَا عَائِشَةُ انْظُرْنَ مَنْ إِخْوَانُكُنَّ، فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ مِنَ المَجَاعَةِ

حديث عاىشة، قالت: دخل علي النبي صلى الله عليه وسلم، وعندي رجل، قال: يا عاىشة من هذا قلت: اخي من الرضاعة قال: يا عاىشة انظرن من اخوانكن، فانما الرضاعة من المجاعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২২

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১০. বিছানা যার সন্তান তার এবং সন্দেহ থেকে বেঁচে থাকা।

৯২২. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস ও ’আব্‌দ ইবনু যাম’আ উভয়ে এক বালকের ব্যাপারে বিতর্ক করেন। সা’দ (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এতো আমার ভাই উতবা ইবনু আবী ওয়াক্কাসের পুত্র। সে তার পুত্র হিসাবে আমাকে ওয়াসিয়্যত করে গেছে। আপনি ওর সাদশ্যের প্রতি লক্ষ্য করুন। ’আবদ ইবন যাম’আ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ আমার ভাই, আমার পিতার দাসীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন যে, উতবার সাথে তার পরিষ্কার সাদৃশ্য রয়েছে। তিনি বললেন, এ ছেলেটি তুমি পাবে, হে আব্‌দ ইবনু যাম’আ! বিছানা যার, সন্তান তার। ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে বঞ্চনা। হে সাওদাহ বিনতু যাম’আ! তুমি এর হতে পর্দা কর। ফলে সাওদাহ (রাঃ) কখনও তাকে দেখেননি।

الولد للفراش وتوقي الشبهات

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: اخْتَصَمَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ فِي غُلاَمٍ؛ فَقَالَ سَعْدٌ: هذَا، يَا رَسُولَ اللهِ ابْنُ أَخِي عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَهِدَ إِلَيَّ أَنَّهُ ابْنُهُ، انْظُرْ إِلَى شَبَهِهِ، وَقَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ: هذَا أَخِي، يَا رَسُولَ اللهِ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِ أَبِي مِنْ وَلِيدَتِهِ فَنَظَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شَبَهِهِ فَرَأَى شَبَهًا بَيِّنًا بِعُتْبَةَ، فَقَالَ: هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ، الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ، وَاحْتَجِبِي مِنْهُ يَا سَوْدَة بِنْتَ زَمْعَةَ فَلَمْ تَرَهُ سَوْدَةُ قَطُّ

حديث عاىشة، قالت: اختصم سعد بن ابي وقاص وعبد بن زمعة في غلام؛ فقال سعد: هذا، يا رسول الله ابن اخي عتبة بن ابي وقاص، عهد الي انه ابنه، انظر الى شبهه، وقال عبد بن زمعة: هذا اخي، يا رسول الله ولد على فراش ابي من وليدته فنظر رسول الله صلى الله عليه وسلم الى شبهه فراى شبها بينا بعتبة، فقال: هو لك يا عبد، الولد للفراش وللعاهر الحجر، واحتجبي منه يا سودة بنت زمعة فلم تره سودة قط

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২৩

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১০. বিছানা যার সন্তান তার এবং সন্দেহ থেকে বেঁচে থাকা।

৯২৩. আবু হুরায়রাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সন্তান হল শয্যাধিপতির।

الولد للفراش وتوقي الشبهات

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: الْوَلَدُ لِصَاحِبِ الْفِرَاشِ

حديث ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: الولد لصاحب الفراش

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২৪

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১১. বাহ্যিক আকৃতি দ্বারা বংশ পরিচয় মেলানো।

৯২৪. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে প্রফুল্ল অবস্থায় এলেন এবং বললেনঃ হে ’আয়িশাহ! (চিহ্ন ধরে বংশ উদ্‌ঘাটনকারী) মুদলিজী এসেছে তা কি তুমি দেখনি? এসেই সে উসামাহ এবং যায়দ-এর দিকে নযর করেছে। তারা উভয়ে চাদর পরিহিত অবস্থায় ছিল। তাদের মাথা ঢেকে রাখা ছিল। তবে তাদের পাগুলো দেখা যাচ্ছিল। তখন সে বলল, এদের পাগুলো একে অপর থেকে।

العمل بإِلحاق القائف الولد

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ وَهُوَ مَسْرُورٌ، فَقَالَ: يَا عَائِشَةُ أَلَمْ تَرَىْ أَنَّ مُجَزِّزًا الْمُدْلِجِيَّ دَخَلَ فَرَأَى أُسَامَةَ وَزَيْدًا، وَعَلَيْهِمَا قَطِيفَةٌ قَدْ غَطَّيَا رُؤوسَهُمَا، وَبَدَتْ أَقْدَامُهُمَا، فَقَالَ: إِنَّ هذِهِ الأَقْدَامَ بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ

حديث عاىشة، قالت: دخل علي رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم وهو مسرور، فقال: يا عاىشة الم ترى ان مجززا المدلجي دخل فراى اسامة وزيدا، وعليهما قطيفة قد غطيا رووسهما، وبدت اقدامهما، فقال: ان هذه الاقدام بعضها من بعض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২৫

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১২. বিবাহের পর কুমারী ও পূর্ণ বিবাহিতা স্ত্রীর নিকট অবস্থানের পরিমাণ।

৯২৫. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত হচ্ছে, যদি কেউ বিধবা স্ত্রী থাকা অবস্থায় কুমারী শাদী করে তবে সে যেন তার সঙ্গে সাত দিন অতিবাহিত করে এবং এরপর পালা অনুসারে এবং কেউ যদি কোন বিধবাকে শাদী করে এবং তার ঘরে পূর্ব থেকেই কুমারী স্ত্রী থাকে তবে সে যেন তার সাথে তিন দিন কাটায় এবং অতঃপর পালাক্রমে।

قدر ما تستحقه البكر والثيب من إِقامة الزوج عندها عقب الزفاف

حديث أَنَسٍ، قَالَ: مِنَ السُّنَّةِ، إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ الْبِكْرَ عَلَى الثَّيِّبِ، أَقَامَ عِنْدَهَا سَبْعًا، وَقَسَمَ؛ وَإِذَا تَزَوَّجَ الثَّيِّبَ عَلَى الْبِكْرِ، أَقَامَ عِنْدَهَا ثَلاَثًا، ثُمَّ قَسَمَ

حديث انس، قال: من السنة، اذا تزوج الرجل البكر على الثيب، اقام عندها سبعا، وقسم؛ واذا تزوج الثيب على البكر، اقام عندها ثلاثا، ثم قسم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২৬

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৩. স্ত্রীদের মধ্যে সময় বা পালা বণ্টন এবং এর সুন্নাতী বিধান হচ্ছে প্রত্যেকের নিকট দিবারাত্রি কাটান।

৯২৬. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেসব মহিলা নিজেকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হেবাস্বরূপ ন্যস্ত করে দেন, তাদের আমি ঘৃণা করতাম। আমি (মনে মনে) বলতাম, মহিলারা কি নিজেকে অর্পণ করতে পারে? এরপর যখন আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ "আপনি তাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছে আপনার নিকট স্থান দিতে পারেন। আর আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে আপনার কোন অপরাধ নেই।"

তখন আমি বললাম, আমি দেখছি যে, আপনার রব আপনি যা ইচ্ছে করেন, তা-ই দ্রুত পূরণ করেন।

القسم بين الزوجات وبيان أن السنة أن تكون لكل واحدة ليلة مع يومها

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: كُنْتُ أَغَارُ عَلى اللاَّتِي وَهَبْنَ أَنْفُسَهُنَّ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقُولُ: أَتَهَبُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا فَلَمَّا أَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى (تُرْجِى مَنْ تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوى إِلَيْكَ مَنْ تَشَاءُ وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكَ) قُلْتُ: مَا أُرَى رَبَّكَ إِلاَّ يُسَارِعُ فِي هَوَاكَ

حديث عاىشة، قالت: كنت اغار على اللاتي وهبن انفسهن لرسول الله صلى الله عليه وسلم، واقول: اتهب المراة نفسها فلما انزل الله تعالى (ترجى من تشاء منهن وتووى اليك من تشاء ومن ابتغيت ممن عزلت فلا جناح عليك) قلت: ما ارى ربك الا يسارع في هواك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২৭

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৪. কোন মহিলার তার পালা অন্য সতিনকে হেবা করা জায়িয।

৯২৭. আত্বা (রহঃ) বলেন, আমরা ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর সঙ্গে ’সারিফ’ নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী মাইমূনাহ (রাঃ) এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী। সুতরাং যখন তোমরা তাঁর জানাযা উঠাবে তখন ধাক্কা-ধাক্কি এবং জোরে নাড়াচাড়া করো না; বরং ধীরে ধীরে নিয়ে চলবে। কেননা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নয়জন বিবি ছিলেন। তিনি আট জনের সাথে পালাক্রমে রাত্রি যাপন করতেন। কিন্তু একজনের সাথে রাত্রি যাপনের পালা ছিল না।

جواز هبتها نوبتها لضرتها

حديث ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: حَضَرْنَا مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ جَنَازَةَ مَيْمُونَةَ بِسَرِفَ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: هذِهِ زَوْجَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِذَا رَفَعْتُمْ نَعْشَهَا فَلاَ تُزَعْزِعُوهَا وَلاَ تُزَلْزِلُوهَا، وَارْفُقُوا، فَإِنَّهُ كَانَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعٌ، كَانَ يَقْسِمُ لِثَمَانٍ، وَلاَ يَقْسِمُ لِوَاحِدَةٍ

حديث ابن عباس عن عطاء، قال: حضرنا مع ابن عباس جنازة ميمونة بسرف، فقال ابن عباس: هذه زوجة النبي صلى الله عليه وسلم، فاذا رفعتم نعشها فلا تزعزعوها ولا تزلزلوها، وارفقوا، فانه كان عند النبي صلى الله عليه وسلم تسع، كان يقسم لثمان، ولا يقسم لواحدة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২৮

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৫. ধার্মিক মহিলাকে বিবাহ করা মুস্তাহাব।

৯২৮. আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে শাদী করা যায়। তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দীনদারী। সুতরাং তুমি দীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে। অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

استحباب نكاح ذات الدين

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ َلأرْبَعٍ: لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ، تَرِبَتْ يَدَاكَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: تنكح المراة لاربع: لمالها ولحسبها وجمالها ولدينها، فاظفر بذات الدين، تربت يداك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯২৯

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৬. কুমারী মহিলাকে বিবাহ করা মুস্তাহাব।

৯২৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শাদী করলে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেমন মেয়ে শাদী করেছ? আমি বললাম, পূর্ব বিবাহিতা রমণীকে বিয়ে করেছি। তিনি বললেন, কুমারী মেয়ে এবং তাদের কৌতুকের প্রতি তোমার আগ্রহ নেই? (রাবী বলেন) আমি এ ঘটনা ’আমর ইবনু দীনার (রহঃ)-কে অবগত করালে তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, তুমি কেন কুমারী মেয়েকে শাদী করলে না, যাতে তুমি তার সাথে এবং সে তোমার সাথে ক্রীড়া-কৌতুক করতে পারত?

استحباب نكاح البكر

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: تَزَوَّجْتُ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا تَزَوَّجْتَ فَقُلْتُ: تَزَوَّجْتُ ثَيبًا فَقَالَ: مَا لَكَ وَلِلْعَذَارَى وَلِعَابِهَا
قَالَ مُحَارِبٌ (أَحَدُ رِجَالِ السَّنَدِ) : فَذَكَرْتُ ذلِكَ لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، فَقَالَ عَمْرٌو: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ

حديث جابر بن عبد الله، قال: تزوجت، فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما تزوجت فقلت: تزوجت ثيبا فقال: ما لك وللعذارى ولعابها قال محارب (احد رجال السند) : فذكرت ذلك لعمرو بن دينار، فقال عمرو: سمعت جابر بن عبد الله يقول: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: هلا جارية تلاعبها وتلاعبك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯৩০

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৬. কুমারী মহিলাকে বিবাহ করা মুস্তাহাব।

৯৩০. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাতটি বা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ)। নয়টি মেয়ে রেখে আমার পিতা ইনতিকাল করেন। অতঃপর আমি এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ জাবির! তুমি বিয়ে করেছ? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি অতঃপর জিজ্ঞেস করলেনঃ কুমারী বিয়ে করেছ বা বিধবা? আমি বললাম বিধবা। তিনি বললেনঃ কুমারী করলে না কেন? তুমি তার সাথে প্রমোদ করতে, সেও তোমার সাথে প্রমোদ করত। তুমিও তাকে হাসাতে, সেও তোমাকে হাসাত। জাবির (রাঃ) বলেনঃ আমি তাকে বললাম, অনেকগুলো কন্যা সন্তান রেখে ’আবদুল্লাহ (তার পিতা) মারা গেছেন, তাই আমি ওদেরই মত কুমারী মেয়ে বিয়ে করা পছন্দ করিনি। আমি এমন মেয়েকে বিয়ে করলাম, যে তাদের দেখাশােনা করতে পারে। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তোমাকে বরকত দিন অথবা বললেনঃ কল্যাণ দান করুন।

استحباب نكاح البكر

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: هَلَكَ أَبِي وَتَرَكَ سَبْعَ بَنَاتٍ أَوْ تِسْعَ بَنَاتٍ، فَتَزَوَّجْتُ امْرَأَةً ثَيِّبًا، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَزَوَّجْتَ يَا جَابِرُ فَقُلْتُ: نَعَمْ فَقَالَ: بِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا قُلْتُ: بَلْ ثَيِّبًا قَالَ: فَهَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ وَتُضَاحِكُهَا وَتُضَاحِكُكَ قَالَ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّ عَبْدَ اللهِ هَلَكَ وَتَرَكَ بَنَاتٍ، وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَجِيئَهُنَّ بِمِثْلِهِنَّ، فَتَزَوَّجْتُ امْرَأَةً تَقُومُ عَلَيْهِنَّ وَتُصْلِحُهُنَّ، فَقَالَ: بَارَكَ اللهُ أَوْ خَيْرًا

حديث جابر بن عبد الله، قال: هلك ابي وترك سبع بنات او تسع بنات، فتزوجت امراة ثيبا، فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: تزوجت يا جابر فقلت: نعم فقال: بكرا ام ثيبا قلت: بل ثيبا قال: فهلا جارية تلاعبها وتلاعبك وتضاحكها وتضاحكك قال، فقلت له: ان عبد الله هلك وترك بنات، واني كرهت ان اجيىهن بمثلهن، فتزوجت امراة تقوم عليهن وتصلحهن، فقال: بارك الله او خيرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯৩১

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৬. কুমারী মহিলাকে বিবাহ করা মুস্তাহাব।

৯৩১, জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক যুদ্ধে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। যখন আমরা ফিরে আসছিলাম, আমি আমার মন্থর গতি উটের পিঠে ত্বরা করতে লাগলাম। তখন আমার পিছনে একজন আরোহী এসে মিলিত হলেন। তাকিয়ে দেখলাম যে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বললেন, তোমার এ ব্যস্ততার কারণ কী? আমি বললাম, আমি সদ্য শাদী করেছি। তিনি বললেন, কুমারী, না পূর্ব-বিবাহিতা বিয়ে করেছ? আমি বললাম, পূর্ব বিবাহিতা। তিনি বললেন, কুমারী করলে না কেন? তুমি তার সাথে আমোদ-প্রমোদ করতে, আর সেও তোমার সাথে আমোদপ্রমোদ করত।

(রাবী) বলেন, আমরা মদীনায় পৌঁছে নিজ নিজ বাড়িতে যেতে চাইলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা অপেক্ষা কর। পরে রাতে অর্থাৎ এশা নাগাদ ঘরে যাবে, যাতে এলোকেশী নারী তার চুল আঁচড়িয়ে নিতে পারে এবং প্রবাসী স্বামীর স্ত্রী ক্ষুর ব্যবহার করতে পারে।

হাদীসে এও আছে, হে জাবির। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দাও, বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দাও। (কোন রাবী বলেন) অর্থাৎ সন্তান কামনা কর, সন্তান কামনা কর।

استحباب نكاح البكر

حديث جَابِرٍ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ، فَلَمَّا قَفَلْنَا تَعَجَّلْتُ عَلَى بَعِيرٍ قَطُوفٍ، فَلَحِقَنِي رَاكِبٌ مِنْ خَلْفِي، فَالْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ قَالَ: مَا يُعْجِلُكَ قُلْتُ: إِنِّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ قَالَ: فَبِكْرًا تَزَوَّجْتَ أَمْ ثَيِّبًا قُلْتُ: بَلْ ثَيِّبًا قَالَ: فَهَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ
قَالَ: فَلَمَّا قَدِمْنَا ذَهَبْنَا لِنَدْخُلَ، فَقَالَ: أَمْهِلُوا حَتَّى تَدْخُلُوا لَيْلاً أَيْ عِشَاءً لِكَيْ تَمْتَشِطَ الشَّعِثَةُ وَتَسْتَحِدَّ الْمُغِيبَةُ
وَفِي هذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ قَالَ: الْكَيْسَ الْكَيْسَ يَا جَابِرُ يَعْنِي الْوَلَدَ

حديث جابر، قال: كنت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزوة، فلما قفلنا تعجلت على بعير قطوف، فلحقني راكب من خلفي، فالتفت فاذا انا برسول الله صلى الله عليه وسلم؛ قال: ما يعجلك قلت: اني حديث عهد بعرس قال: فبكرا تزوجت ام ثيبا قلت: بل ثيبا قال: فهلا جارية تلاعبها وتلاعبك قال: فلما قدمنا ذهبنا لندخل، فقال: امهلوا حتى تدخلوا ليلا اي عشاء لكي تمتشط الشعثة وتستحد المغيبة وفي هذا الحديث انه قال: الكيس الكيس يا جابر يعني الولد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯৩২

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৬. কুমারী মহিলাকে বিবাহ করা মুস্তাহাব।

৯৩২. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। আমার উটটি অত্যন্ত ধীরে চলছিল বরং চলতে অক্ষম হয়ে পড়েছিল। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন এবং বললেন, জাবির! আমি বললাম, জী। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার অবস্থা কী? আমি বললাম, আমার উট আমাকে নিয়ে অত্যন্ত ধীরে চলছে এবং অক্ষম হয়ে পড়ছে। ফলে আমি পিছনে পড়ে গেছি। তখন তিনি নেমে চাবুক দিয়ে উটটিকে আঘাত করতে লাগলেন। তারপর বললেন, এবার আরোহণ কর। আমি আরোহণ করলাম। এরপর অবশ্য আমি উটটিকে এমন পেলাম যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অগ্রসর হওয়ায় বাধা দিতে হয়েছিল।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি বিবাহ করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিবাহিতা? আমি বললাম, বিবাহিতা। তিনি বললেন, তরুণী বিবাহ করলে না কেন? তুমি তার সাথে হাসি-তামাসা এবং সে তোমার সাথে পূর্ণভাবে হাসি-তামাসা করত। আমি বললাম, আমার কয়েকটি বোন রয়েছে, ফলে আমি এমন এক মহিলাকে বিবাহ করতে পছন্দ করলাম, যে তাদেরকে মিল-মহব্বতে রাখতে, তাদের পরিচর্যা করতে এবং তাদের উপর উত্তমরূপে কর্তৃত্ব করতে সক্ষম হয়।

তিনি বললেন, শােন। তুমি তো বাড়ীতে পৌছবে; যখন তুমি পৌছবে তখন তুমি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবে। তিনি বললেন, তোমার উটটি বিক্রি করবে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি তা এক উকীয়ার বিনিময়ে আমার নিকট হতে কিনে নিলেন। তারপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার আগে (মদীনায়) পৌছলেন এবং আমি (পরের দিন) ভােরে পৌছলাম। আমি মসজিদে নাবাবীতে গিয়ে তাঁকে দরজার সামনে পেলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এখন এলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমার উটটি রাখ এবং মসজিদে প্রবেশ করে দুরাকাআত সালাত আদায় কর।

আমি মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করলাম। তারপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে উকীয়া ওজন করে আমাকে দিতে বললেন। বিলাল (রাঃ) ওজন করে দিলেন এবং আমার পক্ষে ঝুঁকিয়ে দিলেন। আমি রওয়ানা হলাম। যখন আমি পিছনে ফিরেছি তখন তিনি বললেন, জাবিরকে আমার কাছে ডাক। আমি ভাবলাম, এখন হয়তো উটটি আমাকে ফিরিয়ে দেবেন। আর আমার নিকট এর চেয়ে অপছন্দনীয় আর কিছুই ছিল না। তিনি বললেন, তোমার উটটি নিয়ে নাও এবং তার দামও তোমার।

استحباب نكاح البكر

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةٍ فَأَبْطَأَ بِي جَمَلِي وَأَعْيَا، فَأَتَى علَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: جَابِرٌ فَقُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: مَا شَأْنُكَ قُلْتُ: أَبْطَأَ عَلَيَّ جَمَلِي وَأَعْيَا فَتَخَلَّفْتُ؛ فَنَزَلَ يَحْجُنُهُ بِمِحْجَنِهِ ثُمَّ قَالَ: ارْكَبْ فَرَكِبْتُ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ أَكُفُّهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: تَزَوَّجْتَ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: بِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا قُلْتُ: بَلْ ثَيِّبًا قَالَ: أَفَلاَ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ قُلْتُ: إِنَّ لِي أَخَوَاتٍ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَتَزَوَّجَ امْرَأَةً تَجْمَعُهُنَّ وَتَمْشُطُهُنَّ وَتَقُومُ عَلَيْهِنَّ؛ قَالَ: أَمَّا إِنَّكَ قَادِمٌ، فَإِذَا قَدِمْتَ فَالْكَيْسَ الْكَيْسَ ثُمَّ قَالَ: أَتَبِيعُ جَمَلَكَ قُلْتُ: نَعَمْ فَاشْتَرَاهُ مِنِّي بِأُوقِيَّةٍ، ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلِي، وَقَدِمْتُ بِالْغَدَاةِ، فَجِئْنَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَجَدْتُهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ قَالَ: آلانَ قَدِمْتَ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: فَدَعْ جَمَلَكَ فَادْخُلْ فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ فَدَخَلْتُ فَصَلَّيْتُ؛ فَأَمَرَ بِلاَلاً أَنْ يَزِنَ لَهُ أُوقِيَّةً، فَوَزَنَ لِي بِلاَلٌ فَأَرْجَحَ فِي الْمِيزَانِ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى وَلَّيْتُ، فَقَالَ: ادْعُ لِي جَابِرًا قُلْتُ الآنَ يَرُدُّ عَلَيَّ الْجَمَلَ، وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْهُ قَالَ: خُذْ جَمَلَكَ، وَلَكَ ثَمَنُهُ

حديث جابر بن عبد الله، قال: كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم في غزاة فابطا بي جملي واعيا، فاتى علي النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: جابر فقلت: نعم قال: ما شانك قلت: ابطا علي جملي واعيا فتخلفت؛ فنزل يحجنه بمحجنه ثم قال: اركب فركبت فلقد رايته اكفه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: تزوجت قلت: نعم، قال: بكرا ام ثيبا قلت: بل ثيبا قال: افلا جارية تلاعبها وتلاعبك قلت: ان لي اخوات، فاحببت ان اتزوج امراة تجمعهن وتمشطهن وتقوم عليهن؛ قال: اما انك قادم، فاذا قدمت فالكيس الكيس ثم قال: اتبيع جملك قلت: نعم فاشتراه مني باوقية، ثم قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم قبلي، وقدمت بالغداة، فجىنا الى المسجد فوجدته على باب المسجد قال: الان قدمت قلت: نعم قال: فدع جملك فادخل فصل ركعتين فدخلت فصليت؛ فامر بلالا ان يزن له اوقية، فوزن لي بلال فارجح في الميزان فانطلقت حتى وليت، فقال: ادع لي جابرا قلت الان يرد علي الجمل، ولم يكن شيء ابغض الي منه قال: خذ جملك، ولك ثمنه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯৩৩

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৮. স্ত্রীদের ব্যাপারে উপদেশ।

৯৩৩. আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নারীরা হচ্ছে পাঁজরের হাড়ের ন্যায়। যদি তোমরা তাকে একেবারে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং যদি তোমরা তাদের থেকে লাভবান হতে চাও, তাহলে ঐ বাঁকা অবস্থাতেই লাভবান হতে হবে।

الوصية بالنساء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: الْمَرْأَةُ كَالضِّلَعِ، إِنْ أَقَمْتَهَا كَسَرْتَهَا، وَإِنِ اسْتَمْتَعْتَ بِهَا اسْتَمْتَعْتَ بِهَا وَفِيها عِوَجٌ

حديث ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: المراة كالضلع، ان اقمتها كسرتها، وان استمتعت بها استمتعت بها وفيها عوج

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৮. স্ত্রীদের ব্যাপারে উপদেশ।

৯৩৪. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহ্‌ এবং পরকালে বিশ্বাস করে সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। কেননা, তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের ওপরের হাড়। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। আর যদি তুমি তা যেভাবে আছে সেভাবে রেখে দাও তাহলে বাকাই থাকবে। অতএব, তোমাদেরকে ওসীয়ত করা হলো নারীদের সঙ্গে সদ্যবহার করার।

الوصية بالنساء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُؤْذِي جَارَهُ، وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّهُنَّ خُلِقْنَ مِنْ ضِلَعٍ، وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلَعِ أَعْلاَهُ، فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسَرْتَهُ، وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ، فَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا

حديث ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: من كان يومن بالله واليوم الاخر فلا يوذي جاره، واستوصوا بالنساء خيرا فانهن خلقن من ضلع، وان اعوج شيء في الضلع اعلاه، فان ذهبت تقيمه كسرته، وان تركته لم يزل اعوج، فاستوصوا بالنساء خيرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
৯৩৫

পরিচ্ছেদঃ ১৭/১৮. স্ত্রীদের ব্যাপারে উপদেশ।

৯৩৫. আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একইভাবে বর্ণিত আছে। অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাঈল যদি না হত তবে মাংস দুৰ্গন্ধময় হতো না। আর যদি হাওয়া (আঃ) না হতেন তাহলে কোন নারীই স্বামীর খিয়ানত করত না।

الوصية بالنساء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَوْلاَ بَنُو إِسْرَائِيلَ لَمْ يَخْنَزِ اللَّحْمُ، وَلَوْلاَ حَوَّاءُ لَمْ تَخُنْ أُنْثَى زَوْجَهَا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: لولا بنو اسراىيل لم يخنز اللحم، ولولا حواء لم تخن انثى زوجها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দুধপান (كتاب الرضاع)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে