সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৮৩

পরিচ্ছেদঃ ১. কুরবানী বিষয়ক সুন্নাত (পদ্ধতি)

১৯৮৩. আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদা বর্ণের মধ্যে কিঞ্চিৎ কালো বর্ণ মিশ্রিত শিং ওয়ালা দুটি মেষ কুরবানী করেছেন। এ সময় তিনি বিসমিল্লাহ ও আল্লাহ আকবর বলেছেন। আমি তাঁকে নিজ হাতে সে দু’টি যবেহ করতে দেখেছি। সে সময় তিনি তাঁর পা পশু দু’টির পার্শ্বদেশে রেখেছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি তার কথা শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ।[1]

بَاب السُّنَّةِ فِي الْأُضْحِيَّةِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ ضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ وَيُسَمِّي وَيُكَبِّرُ لَقَدْ رَأَيْتُهُ يَذْبَحُهُمَا بِيَدِهِ وَاضِعًا عَلَى صِفَاحِهِمَا قَدَمَهُ قُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَهُ قَالَ نَعَمْ

اخبرنا سعيد بن عامر عن شعبة عن قتادة عن انس قال ضحى رسول الله صلى الله عليه وسلم بكبشين املحين اقرنين ويسمي ويكبر لقد رايته يذبحهما بيده واضعا على صفاحهما قدمه قلت انت سمعته قال نعم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১. কুরবানী বিষয়ক সুন্নাত (পদ্ধতি)

১৯৮৪. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন দু’টি মেষ যবেহ করেন। তিনি পশু দু’টিকে কিবলামুখী করার সময় বলেনঃ ’’ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল-আরদা হানীফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়ায়া ও মামাতী লিল্লাহি রবিবল আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা (হাযা) মিনকা ওয়া লাকা আন মুহাম্মাদিন ওয়া উম্মাতিহি।’’

’’আমি একনিষ্ঠভাবে তাঁর দিকে মুখ ফিরাচ্ছি যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই (সূরা আনআমঃ ৭৯)। আমার নামায, আমার ইবাদত (কুরবানী), আমার জীবন, আমার মৃত্যু বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন শরীক নাই এবং আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আত্মসমপর্ণকারীদের মধ্যে আমিই প্রথম। (সূরা আনআমঃ ১৬২-৩)। হে আল্লাহ! তোমার নিকট থেকেই প্রাপ্ত এবং তোমার জন্যই উৎসগির্ত। অতএব তা মুহাম্মাদ ও তাঁর উম্মাতের পক্ষ থেকে কবুল করো।”এরপর তিনি আল্লাহর নাম (বিসমিল্লাহ’) ও আল্লাহু আকবার বলে যবেহ করেন।[1]

بَاب السُّنَّةِ فِي الْأُضْحِيَّةِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي عَيَّاشٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ ضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَبْشَيْنِ فِي يَوْمِ الْعِيدِ فَقَالَ حِينَ وَجَّهَهُمَا إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنْ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا مِنْكَ وَلَكَ عَنْ مُحَمَّدٍ وَأُمَّتِهِ ثُمَّ سَمَّى اللَّهَ وَكَبَّرَ وَذَبَحَ

اخبرنا احمد بن خالد حدثنا محمد بن اسحق عن يزيد بن ابي حبيب عن ابي عياش عن جابر بن عبد الله قال ضحى رسول الله صلى الله عليه وسلم بكبشين في يوم العيد فقال حين وجههما اني وجهت وجهي للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ان صلاتي ونسكي ومحياي ومماتي لله رب العالمين لا شريك له وبذلك امرت وانا اول المسلمين اللهم ان هذا منك ولك عن محمد وامته ثم سمى الله وكبر وذبح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৮৫

পরিচ্ছেদঃ ২. নাবী (ﷺ) এর যে হাদীস হতে দলীল যে, কুরবানী করা ওয়াজিব নয়

১৯৮৫. উম্মু সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এবং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইচ্ছা রাখে, যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সে যেন তার নখ ও চুল থেকে কোনকিছুই না কাটে।”[1]

بَاب مَا يُسْتَدَلُّ مِنْ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْأُضْحِيَّةَ لَيْسَ بِوَاجِبٍ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ حَدَّثَنِي سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي هِلَالٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يُقَلِّمْ أَظْفَارَهُ وَلَا يَحْلِقْ شَيْئًا مِنْ شَعْرِهِ فِي الْعَشْرِ الْأُوَلِ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ

اخبرنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني خالد يعني ابن يزيد حدثني سعيد يعني ابن ابي هلال عن عمرو بن مسلم قال اخبرني ابن المسيب ان ام سلمة اخبرته عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال من اراد ان يضحي فلا يقلم اظفاره ولا يحلق شيىا من شعره في العشر الاول من ذي الحجة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৮৬

পরিচ্ছেদঃ ২. নাবী (ﷺ) এর যে হাদীস হতে দলীল যে, কুরবানী করা ওয়াজিব নয়

১৯৮৬. (অপর সূত্রে) উম্মু সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন (যিলহজ্জ মাসের) প্রথম দশক শুরু হয় এবং তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা রাখে, সে যেন তার চুল ও শরীরের কোন অংশ স্পর্শ না করে (না কাটে)।”[1]

بَاب مَا يُسْتَدَلُّ مِنْ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْأُضْحِيَّةَ لَيْسَ بِوَاجِبٍ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا دَخَلَتْ الْعَشْرُ وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَمَسَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلَا أَظْفَارِهِ شَيْئًا

اخبرنا محمد بن احمد حدثنا سفيان حدثني عبد الرحمن بن حميد عن سعيد بن المسيب عن ام سلمة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا دخلت العشر واراد احدكم ان يضحي فلا يمس من شعره ولا اظفاره شيىا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. কুরবানীতে যা জায়েয নয়

১৯৮৭. বারাআ ইবনু আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ধরণের পশু কোরবানী করা পরিহারযোগ্য সেই সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাস করা হলো। তিনি বললেন, (চার প্রকারের পশু কোরবানী করলে তা যথেষ্ট হবে না:) “এক চোখ অন্ধ পশু যার অন্ধত্ব সুস্পষ্ট, খোঁড়া পশু যার পঙ্গুত্ব সুস্পষ্ট, রুগ্ন পশু যার রোগ সুস্পষ্ট, এবং কৃশকায় দুর্বল পশু, যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে।”[1]

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ فَيْرُوزَ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُتَّقَى مِنْ الضَّحَايَا قَالَ الْعَوْرَاءُ الْبَيِّنُ عَوَرُهَا وَالْعَرْجَاءُ الْبَيِّنُ ظَلْعُهَا وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لَا تُنْقِي

اخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن عمرو بن الحارث عن عبيد بن فيروز عن البراء بن عازب قال سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم ما يتقى من الضحايا قال العوراء البين عورها والعرجاء البين ظلعها والمريضة البين مرضها والعجفاء التي لا تنقي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. কুরবানীতে যা জায়েয নয়

১৯৮৮. উবাইদ ইবনে ফাইরূয রাহি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ধরনের পশু কোরবানী করতে নিষেধ করেছেন, আমি বারাআ ইবনু আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে সেই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেন: “চার প্রকারের পশু কোরবানী করলে তা যথেষ্ট হবে না। অন্ধ পশু যার অন্ধত্ব সুস্পষ্ট, খোঁড়া পশু যার পঙ্গুত্ব সুস্পষ্ট, রুগ্ন পশু যার রোগ সুস্পষ্ট এবং কৃশকায় দুর্বল পশু যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে।” উবাইদ রাহি. বলেন, আমি দাঁত ভাঙা, ত্রুটিযুক্ত কানবিশিষ্ট ও শিং ভাঙা পশু কোরবানী করা অপছন্দ করি। বারাআ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ধরনের পশু তুমি নিজে অপছন্দ করো তা পরিহার করো, কিন্তু অন্যদের জন্য তা হারাম করো না।[1]

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ فَيْرُوزَ قَالَ سَأَلْتُ الْبَرَاءَ عَمَّا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْأَضَاحِيِّ فَقَالَ أَرْبَعٌ لَا يُجْزِئْنَ الْعَوْرَاءُ الْبَيِّنُ عَوَرُهَا وَالْعَرْجَاءُ الْبَيِّنُ ظَلْعُهَا وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا وَالْكَسِيرُ الَّتِي لَا تُنْقِي قَالَ قُلْتُ لِلْبَرَاءِ فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يَكُونَ فِي السِّنِّ نَقْصٌ وَفِي الْأُذُنِ نَقْصٌ وَفِي الْقَرْنِ نَقْصٌ قَالَ فَمَا كَرِهْتَ فَدَعْهُ وَلَا تُحَرِّمْهُ عَلَى أَحَدٍ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن سليمان بن عبد الرحمن عن عبيد بن فيروز قال سالت البراء عما نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم من الاضاحي فقال اربع لا يجزىن العوراء البين عورها والعرجاء البين ظلعها والمريضة البين مرضها والكسير التي لا تنقي قال قلت للبراء فاني اكره ان يكون في السن نقص وفي الاذن نقص وفي القرن نقص قال فما كرهت فدعه ولا تحرمه على احد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. কুরবানীতে যা জায়েয নয়

১৯৮৯. হুজাইয়া ইবনু আদী রাহি. বলেন, এক ব্যক্তি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে প্রশ্ন করেন। লোকটি বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! গরুর (ব্যাপারে আপনার মত কি)? তিনি বলেন, (গরু) সাতজনের পক্ষ হতে (কুরবানী করা যায়)। আমি বললাম, আর শিং (ভাঙা হলে)? আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। আমি বললাম, আর খোঁড়া বা খঞ্জ (পশু হলে)? তিনি বললেন, যদি সেটি কুরবানীর স্থানে পৌঁছে যায় (তবে কুরবানী করে দেবে)। এরপর তিনি (’আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে (কোরবানীর পশুর) চোখ ও কান উত্তমরূপে পরীক্ষা করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।[1]

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ قَالَ سَمِعْتُ حُجَيَّةَ بْنَ عَدِيٍّ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا وَسَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ الْبَقَرَةُ فَقَالَ عَنْ سَبْعَةٍ قُلْتُ الْقَرْنُ قَالَ لَا يَضُرُّكَ قَالَ قُلْتُ الْعَرَجُ قَالَ إِذَا بَلَغَتْ الْمَنْسَكَ ثُمَّ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَ وَالْأُذُنَ

اخبرنا ابو الوليد حدثنا شعبة عن سلمة بن كهيل قال سمعت حجية بن عدي قال سمعت عليا وساله رجل فقال يا امير المومنين البقرة فقال عن سبعة قلت القرن قال لا يضرك قال قلت العرج قال اذا بلغت المنسك ثم قال امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان نستشرف العين والاذن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩. কুরবানীতে যা জায়েয নয়

১৯৯০. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদেশ করেছেন, আমরা যেন (কুরবানী পশুর) চোখ ও কান ভালরূপে দেখে নেই। আর আমরা যেন এমন পশু কুরবানী না করি যা কানা, যার কানের একদিক কাটা, যার কানের গোড়া কাটা এবং ফাঁড়া কান ওয়ালা এবং কান উৎপাটিত। আর ’মুকাবালা’ হল যে পশুর (সামনের দিকে) কানের এক পাশ কাটা, ’মুদাবারা’ হল যে পশুর (পিছনের দিকে) কানের এক পাশ কাটা, ’খারকা’ হল যে পশুর কানে ছিদ্র আছে, ’শারকা’ হল যে পশুর লম্বালম্বিভাবে কান ছেঁড়া।[1]

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ شُرَيْحِ بْنِ النُّعْمَانِ الصَّائِدِيِّ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَ وَالْأُذُنَ وَأَنْ لَا نُضَحِّيَ بِمُقَابَلَةٍ وَلَا مُدَابَرَةٍ وَلَا خَرْقَاءَ وَلَا شَرْقَاءَ فَالْمُقَابَلَةُ مَا قُطِعَ طَرَفُ أُذُنِهَا وَالْمُدَابَرَةُ مَا قُطِعَ مِنْ جَانِبِ الْأُذُنِ وَالْخَرْقَاءُ الْمَثْقُوبَةُ وَالشَّرْقَاءُ الْمَشْقُوقَةُ

اخبرنا عبيد الله بن موسى عن اسراىيل عن ابي اسحق عن شريح بن النعمان الصاىدي عن علي رضي الله عنه قال امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان نستشرف العين والاذن وان لا نضحي بمقابلة ولا مدابرة ولا خرقاء ولا شرقاء فالمقابلة ما قطع طرف اذنها والمدابرة ما قطع من جانب الاذن والخرقاء المثقوبة والشرقاء المشقوقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯১

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে সকল পশু কুরবানী করা জায়িয

১৯৯১. উকবা ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের মধ্যে কয়েকটি কুরবানীর পশু বন্টন করেন। তখন আমার ভাগে একটি (সাত বা ছয় মাস বয়সী) বাচ্চা পড়লো। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার ভাগে একটি (সাত বা ছয় মাস বয়সী) বাচ্চা পড়েছে। তখন তিনি বললেন: “তুমি ওটাকে কুরবানী করে দাও।”[1]

بَاب مَا يُجْزِئُ مِنْ الضَّحَايَا

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ بَعْجَةَ الْجُهَنِيِّ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَحَايَا بَيْنَ أَصْحَابِهِ فَأَصَابَنِي جَذَعٌ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا صَارَتْ لِي جَذَعَةٌ فَقَالَ ضَحِّ بِهَا

اخبرنا يزيد بن هارون حدثنا هشام عن يحيى عن بعجة الجهني عن عقبة بن عامر الجهني قال قسم رسول الله صلى الله عليه وسلم ضحايا بين اصحابه فاصابني جذع فقلت يا رسول الله انها صارت لي جذعة فقال ضح بها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯২

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে সকল পশু কুরবানী করা জায়িয

১৯৯২. (অপর সনদে) উকবা ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের মধ্যে কুরবানীর উদ্দেশ্যে বন্টনের জন্য তাকে কিছু ছাগল দিয়েছিলেন। শেষে এগুলোর মধ্যে একটি ’আতুদ’ অবশিষ্ট রয়ে গেল। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এই কথা উল্লেখ করলে তিনি বললেন: এটিকে তুমিই কুরবানী দিয়ে দাও। [1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’আতুদ’ হলো ছাগলের (ছয়-সাত মাস বয়সী) বাচ্চা।

بَاب مَا يُجْزِئُ مِنْ الضَّحَايَا

أخبرنا أبو الوليد حدثنا الليث حدثني يزيد بن أبي حبيب عن أبي الخير عن عقبة بن عامر قال أعطاني رسول الله صلى الله عليه وسلم غنما أقسمها على أصحابه فقسمتها وبقي منها عتود فذكرت ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ضح به قال أبو محمد العتود الجذع من المعز

اخبرنا ابو الوليد حدثنا الليث حدثني يزيد بن ابي حبيب عن ابي الخير عن عقبة بن عامر قال اعطاني رسول الله صلى الله عليه وسلم غنما اقسمها على اصحابه فقسمتها وبقي منها عتود فذكرت ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ضح به قال ابو محمد العتود الجذع من المعز

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. উট সাত জনের পক্ষ হতে এবং গরুও সাতজনের পক্ষ হতে (কুরবানী করা)

১৯৯৩. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা হুদাইবিয়ার (সন্ধির) বছর সত্তরটি উট কুরবানী করেছি। একটি উট সাতজনের পক্ষ হতে। তখন রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: তোমরা কুরবানীর পশুতে শরীক হও।[1]

بَاب الْبَدَنَةُ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ نَحَرْنَا يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ سَبْعِينَ بَدَنَةً الْبَدَنَةُ عَنْ سَبْعَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَرِكُوا فِي الْهَدْيِ

اخبرنا يعلى حدثنا سفيان عن ابي الزبير عن جابر قال نحرنا يوم الحديبية سبعين بدنة البدنة عن سبعة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اشتركوا في الهدي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. উট সাত জনের পক্ষ হতে এবং গরুও সাতজনের পক্ষ হতে (কুরবানী করা)

১৯৯৪. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাতজনের পক্ষ হতে একটি গরু কুরবানী করেছি।[1]

بَاب الْبَدَنَةُ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ نَحَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ

اخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن ابي الزبير عن جابر بن عبد الله قال نحرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم البقرة عن سبعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. কুরবানীর গোশত সম্পর্কে

১৯৯৫. ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কুরবানীর) তিনদিনের পরে কুরবানীর মাংস খেতে নিষেধ করেছেন অথবা, তিনি বলেছেন: তোমরা তিন দিনের পরে কুরবানীর মাংস খেও না।[1]

بَاب فِي لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ أَوْ قَالَ لَا تَأْكُلُوا لُحُومَ الْأَضَاحِيِّ بَعْدَ ثَلَاثٍ

اخبرنا ابو عاصم عن ابن جريج عن نافع عن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن لحوم الاضاحي او قال لا تاكلوا لحوم الاضاحي بعد ثلاث

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. কুরবানীর গোশত সম্পর্কে

১৯৯৬. নূবায়শা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ “আমি তিনদিনের বেশী কুরবানীর মাংস খেতে নিষেধ করেছিলাম যাতে তোমাদের (রিযিকে) প্রশস্ততা লাভ করতে পারো। কিন্তু এখন তো আল্লাহ প্রশস্ততা দান করেছেন। অতএব এখন তোমরা খাও, জমা করে রাখ এবং দান কর।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’ওয়াত্তাজিরূ’ তথা ’(আল্লাহর উদ্দেশ্যে দানের মাধ্যমে) ব্যবসা কর’ অর্থ: ’এর মাধ্যমে তোমরা সাওয়াব অনুসন্ধান করো।’

بَاب فِي لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ عَنْ خَالِدٍ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ الطَّحَّانُ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ عَنْ نُبَيْشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّا كُنَّا نَهَيْنَاكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ أَنْ تَأْكُلُوهَا فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ كَيْ تَسَعَكُمْ فَقَدْ جَاءَ اللَّهُ بِالسَّعَةِ فَكُلُوا وَادَّخِرُوا وَاتَّجِرُوا قَالَ أَبُو مُحَمَّد اتَّجِرُوا اطْلُبُوا فِيهِ الْأَجْرَ

اخبرنا عمرو بن عون عن خالد هو ابن عبد الله الطحان عن خالد الحذاء عن ابي قلابة عن ابي المليح عن نبيشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال انا كنا نهيناكم عن لحوم الاضاحي ان تاكلوها فوق ثلاثة ايام كي تسعكم فقد جاء الله بالسعة فكلوا وادخروا واتجروا قال ابو محمد اتجروا اطلبوا فيه الاجر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নুবায়শাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. কুরবানীর গোশত সম্পর্কে

১৯৯৭. ’আইশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর মাংস তিন দিনের অধিক সময় (খেতে বা সঞ্চিত রাখতে) নিষেধ করেছিলেন। ’আইশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেনঃ এরপর পরবর্তী বছর এলে লোকেরা কুরবানী করতে লাগলো। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! এ কুরবানীর (মাংসের) ব্যাপারে লোকদের সাথে যদি একটু কোমল আচরণ করা যেতো, তবে তারা এর মাংস এর মাংস ও চর্বি দ্বারা জমা করে রাখতে পারতো। তখন রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আজকে কোন্ জিনিস তাদেরকে এ কাজ থেকে বিরত রাখছে? আমি বললামঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ! প্রথম বছরে কি আপনি তাদেরকে তিনদিনের বেশী কুরবানীর মাংস খেতে নিষেধ করেন নি? তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ অমি তো বেদুঈনদের দুরবস্হা দেখে তোমাদেরকে নিষেধ করেছিলাম, যাতে এর মাংস তাদের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়। কিন্তু এখন তোমরা খেতে পার, আবার জমাও করে রাখতে পার।”[1]

بَاب فِي لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ بَعْدَ ثَلَاثٍ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْقَابِلُ وَضَحَّى النَّاسُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ كَانَتْ هَذِهِ الْأَضَاحِيُّ لَتَرْفُقُ بِالنَّاسِ كَانُوا يَدَّخِرُونَ مِنْ لُحُومِهَا وَوَدَكِهَا قَالَ فَمَا يَمْنَعُهُمْ مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَوَ لَمْ تَنْهَهُمْ عَامَ أَوَّلَ عَنْ أَنْ يَأْكُلُوا لُحُومَهَا فَوْقَ ثَلَاثٍ فَقَالَ إِنَّمَا نَهَيْتُ عَنْ ذَلِكَ لِلْحَاضِرَةِ الَّتِي حَضَرَتْهُمْ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ لِيَنُثُّوا لُحُومَهَا فِيهِمْ فَأَمَّا الْآنَ فَلْيَأْكُلُوا وَلْيَدَّخِرُوا

اخبرنا محمد بن عبد الله الرقاشي حدثنا يزيد بن زريع حدثنا محمد بن اسحق حدثني عبد الله بن ابي بكر عن عمرة بنت عبد الرحمن عن عاىشة رضي الله عنها قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم قد نهى عن لحوم الاضاحي بعد ثلاث فلما كان العام القابل وضحى الناس قلت يا رسول الله ان كانت هذه الاضاحي لترفق بالناس كانوا يدخرون من لحومها وودكها قال فما يمنعهم من ذلك اليوم قلت يا نبي الله او لم تنههم عام اول عن ان ياكلوا لحومها فوق ثلاث فقال انما نهيت عن ذلك للحاضرة التي حضرتهم من اهل البادية لينثوا لحومها فيهم فاما الان فلياكلوا وليدخروا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. কুরবানীর গোশত সম্পর্কে

১৯৯৮. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুক্তদাস সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিনায় থাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ এ মাংস ভালভাবে সংরক্ষণ করে রাখো।” আমি তাঁর জন্য তা ভাল করে রেখে দিলাম। আমরা মদীনায় পৌছা পর্যন্ত তিনি এ মাংস খেতে থাকেন।[1]

بَاب فِي لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الزَّبِيدِيُّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ سَمِعَ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ بِمِنًى أَصْلِحْ لَنَا مِنْ هَذَا اللَّحْمِ فَأَصْلَحْتُ لَهُ مِنْهُ فَلَمْ يَزَلْ يَأْكُلُ مِنْهُ حَتَّى بَلَغْنَا الْمَدِينَةَ

اخبرنا مروان بن محمد حدثنا يحيى بن حمزة حدثني محمد بن الوليد الزبيدي عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير حدثني ابي انه سمع ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن بمنى اصلح لنا من هذا اللحم فاصلحت له منه فلم يزل ياكل منه حتى بلغنا المدينة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
১৯৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. কুরবানীর গোশত সম্পর্কে

১৯৯৯. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ, আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে মক্কা হতে মদীনায় সফরে (কুরবানীর গোশত) পাথেয় হিসাবে ব্যবহার করতাম। আবূ মুহাম্মদ বলেন, এর অর্থ: কুরবানীর মাংস।[1]

بَاب فِي لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُولُ إِنْ كُنَّا لَنَتَزَوَّدُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي لُحُومَ الْأَضَاحِيِّ

اخبرنا سعيد بن الربيع حدثنا شعبة عن عمرو بن دينار قال سمعت عطاء قال سمعت جابرا يقول ان كنا لنتزود من مكة الى المدينة على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ابو محمد يعني لحوم الاضاحي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
২০০০

পরিচ্ছেদঃ ৭. ইমামের পূর্বে যবেহ করা সম্পর্কে

২০০০. বারা’ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বুরদাহ ইবনু নিয়ার নামীয় সালাত আদায়ের আগেই কুরবানী করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত আদায় শেষে তাঁকে ডাকলেন, অতঃপর সে যা করেছে, সে সম্পর্কে তাঁকে জানালো। তখন তিনি বললেনঃ “তোমার ছাগল কেবল মাংস (খাওয়া)’এর ছাগল হল।” তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছে একটি ঘরে পোষা ছাগলের বাচ্চা রয়েছে। সেটি আমার নিকট দু’টি ছাগলের চেয়েও প্রিয়। তখন তিনি বললেনঃ “সেটাকে কুরবানী করে নাও। তবে তা তোমার পরে তুমি ছাড়া অন্য কারো জন্য জায়িয হবে না।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন, সুফিয়ান হতে মুহাম্মদের নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ইমামের সালাত শেষ হওয়ার পরে ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় কুরবানী যবেহ করলো, তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’

بَاب فِي الذَّبْحِ قَبْلَ الْإِمَامِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ وَزُبَيْدٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ أَبَا بُرْدَةَ بْنَ نِيَارٍ ضَحَّى قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلَمَّا صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَاهُ فَذَكَرَ لَهُ مَا فَعَلَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا شَاتُكَ شَاةُ لَحْمٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عِنْدِي عَنَاقٌ لِي جَذَعَةٌ مِنْ الْمَعْزِ هِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ شَاتَيْنِ قَالَ فَضَحِّ بِهَا وَلَا تُجْزِئُ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد قُرِئَ عَلَى مُحَمَّدٍ عَنْ سُفْيَانَ وَمَنْ ذَبَحَ بَعْدَ الصَّلَاةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ أَجْزَأَهُ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن منصور وزبيد عن الشعبي عن البراء بن عازب ان ابا بردة بن نيار ضحى قبل ان يصلي فلما صلى النبي صلى الله عليه وسلم دعاه فذكر له ما فعل فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم انما شاتك شاة لحم فقال يا رسول الله عندي عناق لي جذعة من المعز هي احب الي من شاتين قال فضح بها ولا تجزى عن احد بعدك قال ابو محمد قرى على محمد عن سفيان ومن ذبح بعد الصلاة والامام يخطب اجزاه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
২০০১

পরিচ্ছেদঃ ৭. ইমামের পূর্বে যবেহ করা সম্পর্কে

২০০১. আবূ বুরদাহ ইবনু নিয়ার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত শেষ করার আগেই এক ব্যক্তি কুরবানী করেছিলেন। তখন তিনি তাকে পুণরায় কুরবানী করার আদেশ দিলেন।

بَاب فِي الذَّبْحِ قَبْلَ الْإِمَامِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ نِيَارٍ أَنَّ رَجُلًا ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ

حدثنا ابو علي الحنفي حدثنا مالك عن يحيى بن سعيد عن بشير بن يسار عن ابي بردة بن نيار ان رجلا ذبح قبل ان ينصرف النبي صلى الله عليه وسلم فامره ان يعيد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
২০০২

পরিচ্ছেদঃ ৮. 'ফারাআ' বা 'আতীরা'

২০০২. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(ইসলামে) ’ফারাআ’ বা ’আতীরা’ নেই।”[1]

بَاب فِي الْفَرَعِ وَالْعَتِيرَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا فَرَعَ وَلَا عَتِيرَةَ

اخبرنا محمد بن عيسى حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا فرع ولا عتيرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »