সহীহ শামায়েলে তিরমিযী ৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ)
২৫৪

পরিচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন:

২৫৪. উমার ইবনে খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা আমার সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করো না। যেমন খ্রিষ্টানরা ঈসা ইবনে মারইয়াম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করে থাকে। আমি আল্লাহর বান্দা। তাই আমাকে আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূলই বলো।[1]

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لا تُطْرُونِي كَمَا أَطْرَتِ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ , إِنَّمَا أَنَا عَبْدٌ , فَقُولُوا : عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ " .

حدثنا احمد بن منيع ، وسعيد بن عبد الرحمن المخزومي ، وغير واحد ، قالوا : حدثنا سفيان بن عيينة ، عن الزهري ، عن عبيد الله ، عن ابن عباس ، عن عمر بن الخطاب ، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " لا تطروني كما اطرت النصارى ابن مريم , انما انا عبد , فقولوا : عبد الله ورسوله " .


'Umar Radiyallahu 'Anhu says: ''Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam said: 'Do not exceed in praising me as the Christians over-praised 'Esa 'Alayhis Salaam. (That they made him the son of God.) I am a bondsman of Allah, therefore, call me the bondsman of Allah and His Rasul'''.

ইসলাম সর্বদা আক্বীদাসহ সকল ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করেছে। বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা উভয়টিই বর্জনের নির্দেশ দিয়েছে। ইয়াহুদিরা নবীদের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করেছে। তাদেরকে যথাযথ মর্যাদা দেয়নি। এমনকি তাঁদেরকে হত্যাও করেছে। অন্যদিকে নাসারারা ঈসা (আঃ)-কে আল্লাহর স্থানে বসিয়েছে। এভাবে উভয় জাতি চরম গোমরাহীর শিকার হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এদিকে ইঙ্গিত করে তাঁর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করার জন্য উম্মাতকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন এবং বলেছেন, আমার পরিচয় হলো, আমি আল্লাহর প্রকৃত বান্দা, তাঁর মনোনীত সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। আমি আল্লাহ নই। আল্লাহর অংশীদারও নই। আমার ব্যাপারে এমন কোন উক্তি করবে না, যা দাসত্ব ও রিসালাতের পরিপন্থী হয়।


Do not praise me in such a manner which is contrary to the bondsmanship of Allah where shirk (partnership) is created with Allah. A bondsman is a bondsman. Do not praise in such a manner that does not befit, and is contrary to the mission of a Rasul and Messenger of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৫৫

পরিচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামান্য খাবারে দাওয়াত দিলেও অংশগ্রহণ করতেন:

২৫৫. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যবের রুটি এবং কয়েক দিনের পুরনো চর্বির তরকারী খাওয়ার দাওয়াত করলেও তা গ্রহণ করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি বর্ম এক ইয়াহুদির নিকট বন্ধক ছিল। শেষ জীবন পর্যন্ত তা ছাড়ানোর মতো পয়সা তাঁর হাতে ছিল না।[1]

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ ، عَنِ الأَعْمَشِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يُدْعَى إِلَى خُبْزِ الشَّعِيرِ , وَالإِهَالَةِ السَّنِخَةِ , فَيُجِيبُ . وَلَقَدْ كَانَ لَهُ دِرْعٌ عِنْدَ يَهُودِيٍّ , فَمَا وَجَدَ مَا يَفُكُّهَا حَتَّى مَاتَ " .

حدثنا واصل بن عبد الاعلى الكوفي ، قال : حدثنا محمد بن فضيل ، عن الاعمش ، عن انس بن مالك ، قال : " كان النبي صلى الله عليه وسلم , يدعى الى خبز الشعير , والاهالة السنخة , فيجيب . ولقد كان له درع عند يهودي , فما وجد ما يفكها حتى مات " .


Anas Radiyallahu 'Anhu reports: ''Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam accepted and attended invitations where bread made of barley, and stale fat a few days old was served (Without hesitation he accepted these invitations). Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam had pawned his armour to a Jew. Till the end of his life Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam did not possess a
sufficient amount to release that armour''.

দাওয়াত ও হাদিয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্য থাকে ভালোবাসা প্রকাশ করা। তাই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাদিয়ার বস্তুর দিকে বিবেচনা না করে দাতার ভালোবাসা বিবেচনা করতেন। এজন্য ক্ষুদ্র জিনিষও আগ্রহের সাথে গ্রহণ করতেন, ফেরত দিতেন না।


In some narrations it is stated that this woman was a bit mentally retarded. Despite this, Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam gave her a hearing. Some 'ulama say the reason for saying 'Sit in any street', is because he will not be alone with a strange woman. Some have written, because she was a bit mentally retarded, it is apparent that she may be walking around in the alleys, therefore Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam said, he would go into the street and listen to her. According to this humble servant, it is possible that if he had called her at the women's quarters of his house, the womenfolk would have been inconvenienced, as is witnessed many a time. For this reason, Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam listened to her request on the street.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৫৬

পরিচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পুরনো আসনে বসে হজ্জ পালন করেন:

২৫৬. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পুরনো আসনে বসে হজ্জ পালন করেন। তাঁর আসনের উপর একটি কাপড় ছিল, যার মূল্য চার দিরহামও ছিল না। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তুমি এ হজ্জকে লৌকিকতা ও প্রচার বিলাস হতে মুক্ত করো।[1]

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ , وَعَلَيْهِ قَطِيفَةٌ , لا تُسَاوِي أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ , فَقَالَ : " اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ حَجًّا , لا رِيَاءَ فِيهِ , وَلا سُمْعَةَ " .

حدثنا محمود بن غيلان ، قال : حدثنا ابو داود الحفري ، عن سفيان ، عن الربيع بن صبيح ، عن يزيد بن ابان ، عن انس بن مالك ، قال : حج رسول الله صلى الله عليه وسلم , على رحل رث , وعليه قطيفة , لا تساوي اربعة دراهم , فقال : " اللهم اجعله حجا , لا رياء فيه , ولا سمعة " .


Anas Radiyallahu 'Anhu reports : ''Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam performed haj on an old pack saddle. On it was a piece of cloth, the value of which was less than four Dirhams. Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam was reciting this du'aa: 'Allah make this haj one that has no show or fame'''.

This was recited to educate the ummah, or shows the complete humbleness and utmost devotion of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. Although there can be no question of show and fame in any act of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam, then too Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam made this d'uaa and beseeched Allah to keep this haj free from show and fame. The sheet that was on the mubaarak body or on the pack saddle of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam was of such an ordinary quality that its value was less than a rupee (about twenty cents). This was the result of his complete humbleness, which was his usual habit. Although due to some considerations Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam at time's wore expensive clothing, but normally did not do so.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৫৭

পরিচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য কারো দাঁড়ানোকে পছন্দ করতেন না:

২৫৭. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণের কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে প্রিয় কোন ব্যক্তিত্ব এ পৃথিবীতে ছিল না। তা সত্ত্বেও তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখে দাঁড়াতেন না। কারণ, তারা জানতেন যে, তাকে দেখে দাঁড়ানোটা তিনি পছন্দ করতেন না।[1]

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَفَّانُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " لَمْ يَكُنْ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " ، قَالَ : " وَكَانُوا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَقُومُوا ، لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ كَرَاهَتِهِ لِذَلِكَ " .

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن ، قال : حدثنا عفان ، قال : حدثنا حماد بن سلمة ، عن حميد ، عن انس بن مالك ، قال : " لم يكن شخص احب اليهم من رسول الله صلى الله عليه وسلم " ، قال : " وكانوا اذا راوه لم يقوموا ، لما يعلمون من كراهته لذلك " .


Anas bin Maalik Radiyallahu 'Anhu reports: "No one was more beloved to the Sahaabah than Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. When they saw him they did not stand up, knowing that he did not approve of it".

কারো সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে থাকা নবী (সাঃ) পছন্দ করতেন না। এজন্য সাহাবায়ে কেরাম নবী (সাঃ) কে দেখে দাঁড়াতেন না। তাই এটাই সুন্নাত যে, কারো আগমনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। তবে যদি কাউকে এগিয়ে আনা বা কাউকে সহযোগিতা করার প্রয়োজন দেখা দেয় তবে তাঁর জন্য দাড়ানো জায়েয আছে। যেমন সাহাবায়ে কেরাম সাদ ইবনে মুয়ায (রাঃ) কে এগিয়ে আনার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন।


This was also the result of the complete humbleness of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. Despite his high status and being the leader of both worlds, Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam did not approve this. For this reason the Sahaabah, although possessing a great love for him, and knowing that he disapproved of it, did not stand up for him as is the requirement from this hadith. Rarely, due to their intense love, they stood up. A hadith has been mentioned in the Abu Daawud that Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam was sitting with us in the masjid and talking. When he stood up, we all stood up till he went into the house. In this manner many ahaadith are narrated on this subject in the books of hadith, to the extent that in some ahaadith it has been strongly prohibited to stand up, and in some ahaadith it has been commanded to stand up for a few visitors. The 'ulama differ in the permissibility of standing or not standing. The majority of the researchers say there is no contradiction, as there are many reasons for standing up, therefore different commands are mentioned in the ahaadith. Abul Walid bin Rashid says there are four ways and reasons for standing up. (a). Not permissible: This is standing up for such a person who likes this due to pride, that when he enters, people should stand up. (b). Makruh: To stand up for a person who has no pride, but it is feared if one is treated in this manner, pride will enter in that person. (c). Permissible: This is for that person this fear does not exist. (d). Mustahab: To stand up for a person who returns from a journey. To stand in happiness on one's return. Imam Nawawi says: ''It is mustahab to stand for the Ahlul-Ilm, Ahlul-Fadl and Ahlul-Sharaf''. Qaadi 'Iyaad says the prohibition is for that standing, where a great person remains seated and the people continue standing in his presence. In the ahaadith where standing has been prohibited it is stated that: ''One should not stand in the manner that the 'ajami people stand for their leaders''. The research of Maulana Gangohi, which has been mentioned in the Badh-lul-Majhud through my late father, is that standing in itself is permissible, till such an obstacle does not appear which prohibits it. For example, a person will fall into mischief if one stands up for a certain person. Pride etc. will form in one, which will be detrimental to that person's religious well-being. In the same manner, to stand up hypocritically, where there does not exist in the heart any feeling or respect, but for the sake of show and hypocsrisy one stands up. Both these are not permissible, but, if one fears that by doing so, one will have to bear financial and physical consequences, then in this case it will be permissible to stand up to deter oppression.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৫৮

পরিচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনধারার আরো কিছু বিবরণ:

২৫৮. হাসান ইবনে আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার মামা হিন্দ ইবনে আবু হালা (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবস্থা জানার জন্য জিজ্ঞেস করলাম, যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবস্থা অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে বর্ণনা করতেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহাকৃতি ছিল উচ্চ ও মর্যাদাসম্পন্ন। তাঁর চেহারা ছিল পূর্ণিমা রাতের চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল। অতঃপর পূর্ণ বিবরণ পেশ করেন। হাসান (রাঃ) বলেন, এ হাদীস হুসাইন (রাঃ) এর কাছে বেশ কিছু কাল বর্ণনা করিনি। পরে বলা হলে জানা গেল যে, তিনি আমার আগেই এ হাদীসটি শুনেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এ হাদীসটি কেবল মামার কাছ থেকে শুনেননি; উপরন্তু পিতা আলী (রাঃ) এর কাছ হতেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরে প্রবেশ করা, বাইরে যাওয়া ও অন্যান্য রীতিনীতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এ সম্পর্কে কোন কিছুই তিনি ছাড়েননি।

হুসাইন (রাঃ) বলেন, আমি আমার পিতা আলী (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গৃহে প্রবেশ করার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন গৃহে প্রবেশ করতেন, তখন তাঁর গৃহের অবস্থানকে তিনটি ভাগে ভাগ করতেন। এক ভাগ আল্লাহর ইবাদাতের জন্য, এক ভাগ পরিবার-পরিজনের জন্য এবং এক ভাগ নিজের কাজকর্মের জন্য। এ কাজকর্মের সময়কেও তিনি ২ ভাগে বিভক্ত করেন। এক ভাগে নেহায়তই নিজের জন্য এবং এক ভাগ অন্যান্য লোকের জন্য। এ সময়ে বিশেষ বিশেষ সাহাবীগণ তাঁর নিকট আসতেন। তাদের কাছে কোন কিছুর অব্যক্ত থাকত না। এ সকল লোকের মধ্যে আলেমগণ প্রথমে আসার অনুমতি পেতেন। তাদের ধর্মীয় মর্যাদার বিচারে তাদেরকে সময় দিতেন। কেউ এক, কেউ দুই, আবার কেউ ততোধিক প্রয়োজন নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলের প্রয়োজন মিটিয়ে দিতেন এবং তাদেরকে এমন কাজের নির্দেশ দিতেন, যা তাদের নিজেদের এবং পুরো উম্মতের উপকারে আসে।

এ সময় তিনি সমবেতদের লক্ষ্য করে বলতেন, তোমরা যারা এখানে উপস্থিত আছ, তারা আমার বাণী অনুপস্থিতদের কাছে পৌছে দেবে। যারা কোন কারণে আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারনি, তোমরা তাদের জিজ্ঞাসা আমার কাছ থেকে জেনে নিয়ে তাদেরকে জানিয়ে দেবে। কারণ, যে ব্যক্তি এমন কোন নিবেদন বাদশাহের কাছে পৌছায় যে বাদশা পর্যন্ত পৌছতে পারে না, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তাঁর কদমকে অটল রাখবেন। তোমরা এ ব্যাপারে সতর্ক হও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মজলিসে কেবল এসব আলোচনাই চলত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের থেকে এসব আলাপ-আলোচনাই শুনতেন। সেখানে কোন প্রকার বাহুল্য কথাবার্তা হতো না। সাহাবীরা ধমীয় জ্ঞান আহরণের আগ্রহ নিয়ে আসতেন এবং দ্বীনের স্বাদ গ্রহণ করতেন এবং তারা কল্যাণের দিশারী হয়ে ফিরে যেতেন।

হুসাইন (রাঃ) বলেন, আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইরে যাওয়ার সময় কীরূপ করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অহেতুক কথাবার্তা হতে স্বীয় জবানকে সংযত রাখতেন। মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতেন। তাদেরকে কোনভাবেই নিরুৎসাহিত করতেন না। সকল গোত্রের সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান করতেন এবং তাদের মধ্য হতে তাদের নেতা মনোনীত করতেন। লোকদের আল্লাহর শাস্তির ভয় দেখাতেন। স্বীয় সঙ্গীদের খোজ-খবর রাখতেন এবং লোকদের পারস্পরিক সম্পর্ক অনুসন্ধান করে (কোন প্রকার জটিলতা থাকলে) তা সংশোধন করে দিতেন। ভালোকে সমর্থন করে তাকে শক্তিশালী করতেন এবং খারাপকে খারাপ বলে প্রতিহত করতেন। কোন প্রকার মতবিরোধ সৃষ্টি না করে সবকিছুতেই মধ্যমপস্থা অনুসরণ করতেন। লোকদের সংশোধন করতে কোন প্রকার অলসতা করতেন না। নসীহত ও উপদেশ দানের সময় লোকেরা যেন উদাসীন ও বিরক্ত হয়ে না পড়ে, তিনি সে দিকেও খেয়াল রাখতেন। প্রত্যেক কাজের জন্য তাঁর কাছে বিশেষ ব্যবস্থা থাকত। সত্যের ব্যাপারে কোন প্রকার সংকীর্ণতা ছিল না, সীমা অতিক্রম হতো না। যেসব লোক তাঁর কাছে আসত, তারা উৎকৃষ্ট লোকে পরিণত হতো। যেই ব্যক্তি অপরের মঙ্গল কামনা করত, সে-ই তাঁর নিকট উত্তম ব্যক্তিরূপে সম্মানিত হতো। আর সে ব্যক্তিই তাঁর কাছে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরূপে মনে হতো, যে অন্যদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতায় অতি উৎসাহী ছিল।

হুসাইন (রাঃ) বলেন, আমি আমার মামার কাছে রাসূলুল্লাহ এর মজলিস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠা-বসায় সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকতেন। যখন কোথাও যেতেন, যেখানেই তাঁকে বসতে দিত, তিনি সেখানেই বসতেন। অন্যদেরকেও অনুরূপ করার নির্দেশ দিতেন। তিনি লোকের মাথা ডিঙ্গিয়ে যেতে নিষেধ করেন। এ কথা সত্য যে, তিনি যে আসনেই বসতেন, তাই মধ্যমনির আসনে পরিণত হতো। তিনি উপস্থিত সকলেরই কথা শুনতেন। উপস্থিত সকলেই মনে করত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে অধিক মর্যাদা দিচ্ছেন। তাঁর কাছে কেউ আসলে সে নিজে উঠে না যাওয়া পর্যন্ত তিনি উঠতেন না। কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইলে তা না দিয়ে তিনি তাকে ফিরিয়ে দিতেন না। না থাকলে নম্রভাবে বুঝিয়ে বলতেন। তাঁর দান সবার জন্যই অবধারিত ছিল। মায়া-মমতায় তিনি সকলের পিতা স্বরূপ ছিলেন। ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর নিকট সবাই সমান ছিল। তাঁর মজলিস ছিল জ্ঞান, লজ্জা, ধৈর্য ও আমানতের। সেখানে কোন প্রকার হট্টগোল হতো না এবং কারো মান-সম্মানেরও ক্ষতি হতো না। সকলেই সমান মর্যাদা পেতেন। তবে তাকওয়ার বিচারে একে অন্যের উপর মর্যাদাসম্পন্ন হতেন। একে অন্যের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করতেন। বড়কে শ্রদ্ধা ও ছোটকে স্নেহ করতেন। প্রয়োজনধারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হতো এবং ভিনদেশীকে হেফাযত করা হতো।[1]

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا جُمَيْعُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعِجْلِيُّ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ مِنْ وَلَدِ أَبِي هَالَةَ زَوْجِ خَدِيجَةَ , يُكْنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ ، عَنِ ابْنٍ لأَبِي هَالَةَ ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ ، قَالَ : سَأَلْتُ خَالِي هِنْدَ بْنَ أَبِي هَالَةَ ، وَكَانَ وَصَّافًا عَنْ حِلْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَأَنَا أَشْتَهِي أَنْ يَصِفَ لِي مِنْهَا شَيْئًا ، فَقَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَخْمًا مُفَخَّمًا ، يَتَلأْلأُ وَجْهُهُ تَلأْلُؤَ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ " . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ ، قَالَ الْحَسَنُ : فَكَتَّمْتُهَا الْحُسَيْنَ زَمَانًا ، ثُمَّ حَدَّثْتُهُ فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي إِلَيْهِ . فَسَأَلَهُ عَمَّا سَأَلْتُهُ عَنْهُ , وَوَجَدْتُهُ قَدْ سَأَلَ أَبَاهُ عَنْ مَدْخَلِهِ وَمَخْرَجِهِ وَشَكْلِهِ , فَلَمْ يَدَعْ مِنْهُ شَيْئًا .
قَالَ الْحُسَيْنُ : فَسَأَلْتُ أَبِي ، عَنْ دُخُولِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ : " كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى مَنْزلِهِ , جَزَّأَ دُخُولَهُ ثَلاثَةَ أَجْزَاءٍ ، جُزْءًا لِلَّهِ ، وَجُزْءًا لأَهْلِهِ ، وَجُزْءًا لِنَفْسِهِ ، ثُمَّ جَزَّأَ جُزْأَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّاسِ ، فَيَرُدُّ ذَلِكَ بِالْخَاصَّةِ عَلَى الْعَامَّةِ ، وَلا يَدَّخِرُ عَنْهُمْ شَيْئًا ، وَكَانَ مِنْ سِيرَتِهِ فِي جُزْءِ الأُمَّةِ إِيثَارُ أَهْلِ الْفَضْلِ بِإِذْنِهِ , وَقَسْمِهِ عَلَى قَدْرِ فَضْلِهِمْ فِي الدِّينِ ، فَمِنْهُمْ ذُو الْحَاجَةِ ، وَمِنْهُمْ ذُو الْحَاجَتَيْنِ ، وَمِنْهُمْ ذُو الْحَوَائِجِ ، فَيَتَشَاغَلُ بِهِمْ وَيَشْغَلُهُمْ فِيمَا يُصْلِحُهُمْ , وَالأُمَّةَ مِنْ مُسَاءَلَتِهِمْ عَنْهُ , وَإِخْبَارِهِمْ بِالَّذِي يَنْبَغِي لَهُمْ " , وَيَقُولُ : " لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ مِنْكُمُ الْغَائِبَ ، وَأَبْلِغُونِي حَاجَةَ مَنْ لا يَسْتَطِيعُ إِبْلاغَهَا ، فَإِنَّهُ مَنْ أَبْلَغَ سُلْطَانًا حَاجَةَ مَنْ لا يَسْتَطِيعُ إِبْلاغَهَا , ثَبَّتَ اللَّهُ قَدمَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " ، لا يُذْكَرُ عِنْدَهُ إِلا ذَلِكَ ، وَلا يُقْبَلُ مِنْ أَحَدٍ غَيْرِهِ ، يَدْخُلُونَ رُوَّادًا وَلا يَفْتَرِقُونَ إِلا عَنْ ذَوَاقٍ ، وَيَخْرُجُونَ أَدِلَّةً , يَعْنِي عَلَى الْخَيْرِ .
قَالَ : فَسَأَلْتُهُ عَنْ مَخْرَجِهِ كَيْفَ يَصْنَعُ فِيهِ ؟ قَالَ : قَالَ : فَسَأَلْتُهُ عَنْ مَخْرَجِهِ كَيْفَ يَصْنَعُ فِيهِ ؟ قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرِنُ لِسَانُهُ إِلا فِيمَا يَعْنِيهِ ، وَيُؤَلِّفُهُمْ وَلا يُنَفِّرُهُمْ ، وَيُكْرِمُ كَرِيمَ كُلِّ قَوْمٍ وَيُوَلِّيهِ عَلَيْهِمْ ، وَيُحَذِّرُ النَّاسَ وَيَحْتَرِسُ مِنْهُمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَطْوِيَ عَنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ بِشْرَهُ وَخُلُقَهُ ، وَيَتَفَقَّدُ أَصْحَابَهُ ، وَيَسْأَلُ النَّاسَ عَمَّا فِي النَّاسِ ، وَيُحَسِّنُ الْحَسَنَ وَيُقَوِّيهِ ، وَيُقَبِّحُ الْقَبِيحَ وَيُوَهِّيهِ ، مُعْتَدِلُ الأَمْرِ غَيْرُ مُخْتَلِفٍ ، لا يَغْفُلُ مَخَافَةَ أَنْ يَغْفُلُوا أَوْ يَمِيلُوا ، لِكُلِّ حَالٍ عِنْدَهُ عَتَادٌ ، لا يُقَصِّرُ عَنِ الْحَقِّ وَلا يُجَاوِزُهُ . الَّذِينَ يَلُونَهُ مِنَ النَّاسِ خِيَارُهُمْ ، أَفْضَلُهُمْ عِنْدَهُ أَعَمُّهُمْ نَصِيحَةً ، وَأَعْظَمُهُمْ عِنْدَهُ مَنْزِلَةً أَحْسَنُهُمْ مُوَاسَاةً وَمُؤَازَرَةً " .
قَالَ : فَسَأَلْتُهُ عَنْ مَجْلِسِهِ ، فَقَالَ : قَالَ : فَسَأَلْتُهُ عَنْ مَجْلِسِهِ ، فَقَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لا يَقُومُ وَلا يَجْلِسُ , إِلا عَلَى ذِكْرٍ ، وَإِذَا انْتَهَى إِلَى قَوْمٍ , جَلَسَ حَيْثُ يَنْتَهِي بِهِ الْمَجْلِسُ , وَيَأْمُرُ بِذَلِكَ ، يُعْطِي كُلَّ جُلَسَائِهِ بِنَصِيبِهِ ، لا يَحْسَبُ جَلِيسُهُ أَنَّ أَحَدًا أَكْرَمُ عَلَيْهِ مِنْهُ ، مَنْ جَالَسَهُ أَوْ فَاوَضَهُ فِي حَاجَةٍ , صَابَرَهُ حَتَّى يَكُونَ هُوَ الْمُنْصَرِفُ عَنْهُ ، وَمَنْ سَأَلَهُ حَاجَةً لَمْ يَرُدَّهُ إِلا بِهَا , أَوْ بِمَيْسُورٍ مِنَ الْقَوْلِ ، قَدْ وَسِعَ النَّاسَ بَسْطُهُ وَخُلُقُهُ ، فَصَارَ لَهُمْ أَبًا وَصَارُوا عِنْدَهُ فِي الْحَقِّ سَوَاءً ، مَجْلِسُهُ مَجْلِسُ عِلْمٍ وَحِلْمٍ وَحَيَاءٍ وَأَمَانَةٍ وَصَبْرٍ ، لا تُرْفَعُ فِيهِ الأَصْوَاتُ , وَلا تُؤْبَنُ فِيهِ الْحُرَمُ ، وَلا تُثَنَّى فَلَتَاتُهُ , مُتَعَادِلِينَ ، بَلْ كَانُوا يَتَفَاضَلُونَ فِيهِ بِالتَّقْوَى ، مُتَوَاضِعِينَ يُوَقِّرُونَ فِيهِ الْكَبِيرَ , وَيَرْحَمُونَ فِيهِ الصَّغِيرَ ، وَيُؤْثِرُونَ ذَا الْحَاجَةِ , وَيَحْفَظُونَ الْغَرِيبَ " .

حدثنا سفيان بن وكيع ، قال : حدثنا جميع بن عمر بن عبد الرحمن العجلي ، قال : انبانا رجل من بني تميم من ولد ابي هالة زوج خديجة , يكنى ابا عبد الله ، عن ابن لابي هالة ، عن الحسن بن علي ، قال : سالت خالي هند بن ابي هالة ، وكان وصافا عن حلية رسول الله صلى الله عليه وسلم ، وانا اشتهي ان يصف لي منها شيىا ، فقال : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم , فخما مفخما ، يتلالا وجهه تلالو القمر ليلة البدر " . فذكر الحديث بطوله ، قال الحسن : فكتمتها الحسين زمانا ، ثم حدثته فوجدته قد سبقني اليه . فساله عما سالته عنه , ووجدته قد سال اباه عن مدخله ومخرجه وشكله , فلم يدع منه شيىا . قال الحسين : فسالت ابي ، عن دخول رسول الله صلى الله عليه وسلم , فقال : " كان اذا اوى الى منزله , جزا دخوله ثلاثة اجزاء ، جزءا لله ، وجزءا لاهله ، وجزءا لنفسه ، ثم جزا جزاه بينه وبين الناس ، فيرد ذلك بالخاصة على العامة ، ولا يدخر عنهم شيىا ، وكان من سيرته في جزء الامة ايثار اهل الفضل باذنه , وقسمه على قدر فضلهم في الدين ، فمنهم ذو الحاجة ، ومنهم ذو الحاجتين ، ومنهم ذو الحواىج ، فيتشاغل بهم ويشغلهم فيما يصلحهم , والامة من مساءلتهم عنه , واخبارهم بالذي ينبغي لهم " , ويقول : " ليبلغ الشاهد منكم الغاىب ، وابلغوني حاجة من لا يستطيع ابلاغها ، فانه من ابلغ سلطانا حاجة من لا يستطيع ابلاغها , ثبت الله قدميه يوم القيامة " ، لا يذكر عنده الا ذلك ، ولا يقبل من احد غيره ، يدخلون روادا ولا يفترقون الا عن ذواق ، ويخرجون ادلة , يعني على الخير . قال : فسالته عن مخرجه كيف يصنع فيه ؟ قال : قال : فسالته عن مخرجه كيف يصنع فيه ؟ قال : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يخرن لسانه الا فيما يعنيه ، ويولفهم ولا ينفرهم ، ويكرم كريم كل قوم ويوليه عليهم ، ويحذر الناس ويحترس منهم من غير ان يطوي عن احد منهم بشره وخلقه ، ويتفقد اصحابه ، ويسال الناس عما في الناس ، ويحسن الحسن ويقويه ، ويقبح القبيح ويوهيه ، معتدل الامر غير مختلف ، لا يغفل مخافة ان يغفلوا او يميلوا ، لكل حال عنده عتاد ، لا يقصر عن الحق ولا يجاوزه . الذين يلونه من الناس خيارهم ، افضلهم عنده اعمهم نصيحة ، واعظمهم عنده منزلة احسنهم مواساة وموازرة " . قال : فسالته عن مجلسه ، فقال : قال : فسالته عن مجلسه ، فقال : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يقوم ولا يجلس , الا على ذكر ، واذا انتهى الى قوم , جلس حيث ينتهي به المجلس , ويامر بذلك ، يعطي كل جلساىه بنصيبه ، لا يحسب جليسه ان احدا اكرم عليه منه ، من جالسه او فاوضه في حاجة , صابره حتى يكون هو المنصرف عنه ، ومن ساله حاجة لم يرده الا بها , او بميسور من القول ، قد وسع الناس بسطه وخلقه ، فصار لهم ابا وصاروا عنده في الحق سواء ، مجلسه مجلس علم وحلم وحياء وامانة وصبر ، لا ترفع فيه الاصوات , ولا توبن فيه الحرم ، ولا تثنى فلتاته , متعادلين ، بل كانوا يتفاضلون فيه بالتقوى ، متواضعين يوقرون فيه الكبير , ويرحمون فيه الصغير ، ويوثرون ذا الحاجة , ويحفظون الغريب " .


Imaam Hasan bin 'Ali Radiyallahu 'Anhu reports that I asked my (maternal) uncle Hind bin Abi Haalab, who usually described particulars and conditions of Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. I was longing to hear something about it. On my asking, he described the mubaarak features of Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. He said: 'Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam had great qualities and attributes in him, others also held him in high esteem. His face glittered like the full moon'. He then described the complete features of Rasulullah Sallallahu
'Alayhi Wasallam (as has been mentioned in the first chapter under hadith number seven). Imaam Hasan Radiyallahu 'Anhu says. 'I did not mention this hadith (due to some reason) to Husayn (Radiyallahu 'Anhu) for some time. Then I once narrated it to him whereupon I found that he had heard it before me. He had asked him (our uncle) already what I had asked. I also found that he had asked our father ('Ali Radiyallahu 'Anhu) about Rasulullah Sallallahu 'Alayhi 'Wasallam entering and coming out of the house. He did not leave out anything about the ways
and manners of Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. Imaam Husayn Radiyallahu 'Anhu said: 'I asked my father regarding the manner in which Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam entered the house?' He replied: 'When Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam entered the house he distributed his time into three portions; He spent a portion for Allah. (In devotion, performing salaah etc.); A portion towards his family (fulfilling their duties. i.e. laughing, speaking, enquiring about their welfare etc.); and a portion for himself (resting etc.). He distributed his personal portion in two, one for himself and one for the people, in such a manner that the near one's among the Sahaabah Radiyallahu 'Anhum came to visit him. Through these Sahaabah Radiyallahu 'Anhum he conveyed messages to the people. He did not conceal anything from
them. From the portion of the unimah he adopted this method, that he gave preference to the Ahlul-Fadl (i.e. people of 'ilm and 'amal). He distributed this time according to their religious fadl. From among those who came, some had one requirement, some had two requirements, and some had many requirements. Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam fulfilled all their
requirements. He busied them in things that benefited them and the entire ummah. When they questioned Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam on religious matters, he replied to them in a manner that benefited them. He used to say: 'Those that are present, should inform those that are not present regarding these beneficial and necessary matters'. He also used to say: 'Those people
who for some reason (purdah, distance, shyness or awe) cannot put forward their requirements, you should inform me about their requirements, because, that person who informs a king of the need of another, who is unable to put forward that need, Allah Ta'aala will keep that person stead fast on the day of qiyaamah'. Only important and beneficial matters were discussed in his
gathering. He happily listened to these matters from the Sahaabah Radiyallahu 'Anhum. Besides this there was no wasteful or non-beneficial talks in his assemblies. The Sahaabah Radiyallahu 'Anhum came to the assemblies of Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam for their religious
needs, they did not depart before tasting something (by tasting, may be meant the acquiring of religious knowledge. It could mean 'Hissi' tasting too. Whatever Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam possessed, he offered it in humbleness. Whenever close friends gather,
whatever is available is presented to them). The Sahaabah Radiyallahu 'Anhum returned from his assemblies as torch bearers of hidayah and goodness. (They spread. these teachings amongst others). Imaam Husayn Radiyallahu 'Anhu says: 'I asked (my father) regarding the coming out of
Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam from the house'. He replied: 'Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam controlled his tongue and only spoke that which was necessary. He did not waste his time in useless conversations. He made those who came to visit him feel at home he did not make them feel scared or ill at ease. (i.e. When advising them, he did not scold them in a
manner that they become scared, or tell them such things that would keep them away from the deen). He respected and honoured the respected ones of every nation. He also chose a leader for them. He warned the people of Allah's punishrnent (or he emphasised that the people be cautious*). He also protected himself from troubling or harming people. Besides being cautious and commanding others to be cautious, he never lacked in courtesy towards others. He was concerned for the affairs of his friends, made himself aware about the relationships between them and rectified their faults. He praised good deeds and encouraged them. He explained the harmful effects of bad things and removed and stopped these. He followed the middle path in all matters. (He did not at times say this and at other times that). He did not neglect the guiding of
people, it is possible that they became unmindful of their religious duties, or exceeded in a matter resulting in them becoming disheartened. For everything there was a special arrangement .He did not fall back in the truth, nor did he exceed the limits in this.

Those who attended his gatherings were the best of people. The best person in the eyes of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam was the one who wished everybody well. The one with the highest status in the eyes of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam was that person who considered, comforted and helped the creation the most'. Sayyidina Imaam Husayn Radiyallahu 'Anhu says: 'I then enquired from him regarding the assemblies of Sayyidina Rasulullah Sallallahu Wasallam'. He replied: 'He began and ended all his sitting with the dhikr of Allah. When he went to a place, he sat where he found a place, and also instructed the people to do so. They should not leap over peoples heads and go ahead. It is a different matter, that where Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam sat, that place became the focal point of the gathering. Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam fulfilled the rights of every person
present. That means, whatever right was due in talking and showing happiness, was fulfilled by him, so much so, that every person present would think that Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam is honouring me the most. The person that came to sit by Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam or came to him for some purpose, Sayyidina Rasulullah Sallallahu
'Alayhi Wasallam would remain seated till that person began to stand up. Whenever one asked him for something, he kindly fulfilled that request, and did not refuse it, (if he did not possess the thing) he would give a soft and humble answer. His cheerfulness and pleasant manner were for
everybody. He was like a father to them. The whole creation was equal before him as far as rights were concerned. His gatherings were the gatherings of knowledge, modesty, patience and honesty. (i.e. These four things were attained there or are a description of his gatherings). Voices were not raised therein, nor was anyone degraded or disgraced. If anyone committed a fault, it
was not made known publicly. All were regarded as equals amongst themselves. (A person was not regarded according to his lineage or genealogy). The virtues of one over the other was according to the taqwa (piety) possessed. The small ones were loved. The needy were given preference. Strangers and travellers were cared for'.

In brief, in every matter his noble manners reached their pinnacle and even exceeded that, and why should it not be so when his divine mission was to fulfil and complete noble manners? Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam has said: 'I have been sent so that I may fulfil and complete the best of manners'. Even though being granted this, he always made this du'aa: 'O Allah, You have created me excellently. In the same manner make my character excellent'. Allah Ta'aala has mentioned the greatness of his noble character in the Qur-aan, and has also emphasised it in many ways. Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam said: 'Allah Ta'aala likes those with gentle temperaments, and in reward for gentleness He grants something which He does not grant for other things'. In another hadith it has been stated: 'The person that is deprived of gentleness is deprived of great blessings'. It is stated in a hadith: 'The best amongst you is the one who has the best character'. In one hadith it has been stated: 'The most beloved amongst you by me is the one who possesses noble character'. A Sahaabi inquired from Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam 'What is the best thing granted to man? Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam replied: 'Good character'. In one hadith it has been stated: 'On the day of qiyyaamah the weightiest thing on the scale of deeds will be good character'. It has been stated in a hadith: 'A good-mannered person can through his character, reach the status of those pious people who stay awake at night, and fast during the day'. Sayyidina Mu'aadh Radiyallahu 'Anhu says that when I was sent to Yaman (Yeman), while mounting conveyance, when I put my leg in the stirrup, Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam gave me this final advice: 'Treat the people with courtesy'. Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam has said the ones that possess the most complete imaan among the Mu'mins are those whose characters are the best. In many other other ahaadith too it has been stressed that one should have good character. The above mentioned ahaadith are an example of these.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৫৯

পরিচ্ছেদঃ

২৫৯. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে যদি ছাগলের একটি পা-ও দান করা হয়, তাহলে আমি অবশ্যই তা গ্রহণ করব। এ জন্য যদি আমাকে এতে দাওয়াত করা হয়, তবে আমি দাওয়াত গ্রহণ করব।[1]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سَعِيدٌ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لوْ أُهْدِيَ إِلَيَّ كُرَاعٌ لَقَبِلْتُ ، وَلوْ دُعِيتُ عَلَيْهِ لأَجَبْتُ " .

حدثنا محمد بن عبد الله بن بزيع ، قال : حدثنا بشر بن المفضل ، قال : حدثنا سعيد ، عن قتادة ، عن انس بن مالك ، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " لو اهدي الي كراع لقبلت ، ولو دعيت عليه لاجبت " .


Anas Radiyallahu 'Anhu reports that Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam said: "Even if I am given a foot of a goat as a present, I will accept it, and if I am invited to partake of it, I will surley accept that invitation".

It does not even come to mind that why should I accept such an ordinary small article, or accept an invitation to partake of it. I think of it as a blessing of Allah and accept it whole heartedly. The actual reason for accepting an invitation is not the food but to encourage the host and keep one happy.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৬০

পরিচ্ছেদঃ

২৬০. জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আসলেন; কিন্তু তখন তিনি খচ্চর বা তুর্কি ঘোড়ার উপর আরোহী ছিলেন না।[1]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ ، عَنْ جَابِرٍ ، قَالَ : " جَاءَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ برَاكِبِ بَغْلٍ وَلا بِرْذَوْنٍ " .

حدثنا محمد بن بشار ، قال : حدثنا عبد الرحمن ، قال : حدثنا سفيان ، عن محمد بن المنكدر ، عن جابر ، قال : " جاءني رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس براكب بغل ولا برذون " .


Jaabir Radiyallahu 'Anhu says: "Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam came to visit me (while I was ill). He did not come on the back of a mule, or on a Turkish horse". (i.e. He did not come on defective or an expensive conveyance, but came on foot).

The humbleness of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam is intended here. He did not adopt the way of the kings and the rich in using conveyance, but mostly walked. This incident is mentioned in the Bukhaari Sharif with more detail, where Sayyidina Jaabir Radiyallahu 'Anhu says: 'Once I became ill. Rasulullah Sallallhu 'Alayhi Wasallam and Abubakar (Radiyallahu 'Anhu) both came to visit me on foot. When they reached my home they found me unconscious. Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam performed wudu and sprinkled the water of the wudu on me, as a result I became conscious and saw Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam sitting before me. I asked him a question on inheritance, whereupon an aayah on this was revealed'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৬১

পরিচ্ছেদঃ

তিনি নবজাতক বাচ্চাকেও কোলে তুলে নিতেন:

২৬১. ইউসুফ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নাম রাখেন ইউসুফ। অতঃপর তিনি আমাকে কোলে তুলে নেন এবং মাথার উপর হাত রাখেন।[1]

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي الْهَيْثَمِ الْعَطَّارُ ، قَالَ : سَمِعْتُ يُوسُفَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلامٍ ، قَالَ : " سَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوسُفَ , وَأَقْعَدَنِي فِي حِجْرِهِ , وَمَسَحَ عَلَى رَأْسِي " .

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن ، قال : حدثنا ابو نعيم ، قال : انبانا يحيى بن ابي الهيثم العطار ، قال : سمعت يوسف بن عبد الله بن سلام ، قال : " سماني رسول الله صلى الله عليه وسلم يوسف , واقعدني في حجره , ومسح على راسي " .


Yusuf bin 'Abdullah bin Salaam Radiyallahu 'Anhu reports: Rasulullah Sallallah 'Alayhi Wasallam chose for me the the name Yusuf. He put me in his lap and passed his mibaarak hand on my head''.

In this we find the high character of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam and his love for little children. The height of humbleness is that he did not avoid putting infants on his lap. In a hadith it is stated that he (Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam) also made dua of barakah for me. From this hadith it is evident that children were taken to the pious elders and were asked to choose a name for them. In other ahaadith it has also been related that the Sahaabah Radiyallahu 'Anhum took their new born infants to Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৬১

পরিচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাত্র ৪ দিরহাম মূল্যের হাওদার উপর বসে হজ্জ পালন করেন:

২৬১. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের পুরনো একটি হাওদায় বসে হজ্জ পালন করেন। এর উপর এক টুকরো কাপড় ছিল। আমাদের মতে এর মূল্য ৪ দিরহাম হবে। হাওদায় উপবিষ্ট অবস্থায় তিনি এ দু’আ করছিলেন যে, হে প্ৰভু! আমি হজ্জে তোমার দরবারে হাজির হয়েছি। তুমি একে লৌকিকতা ও প্রচারণার হতে মুক্ত রাখ।[1]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ وَهُوَ ابْنُ صَبِيحٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , " حَجَّ عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ وَقَطِيفَةٍ ، كُنَّا نَرَى ثَمَنَهَا أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ ، فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ ، قَالَ : " لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ لا سُمْعَةَ فِيهَا وَلا رِيَاءَ " .

حدثنا اسحاق بن منصور ، قال : حدثنا ابو داود الطيالسي ، قال : حدثنا الربيع وهو ابن صبيح ، قال : حدثنا يزيد الرقاشي ، عن انس بن مالك ، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم , " حج على رحل رث وقطيفة ، كنا نرى ثمنها اربعة دراهم ، فلما استوت به راحلته ، قال : " لبيك بحجة لا سمعة فيها ولا رياء " .


Anas Radiyallahu 'Anhu reports: "Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam performed haj on a saddled camel on which was a cloth, the value of which we think was four Dirhams. Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam was reciting this du'aa: 'O Allah, keep this haj free from show and fame"'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৬২

পরিচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাউ খুব পছন্দ করতেন:

২৬২. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দর্জি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দাওয়াত করে। তাঁর খাবারের জন্য লাউ মিশ্রিত সারীদ উপস্থিত করা হয়। লাউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খুব প্রিয় খাদ্য ছিল। এজন্য তিনি লাউ খেতে শুরু করেন।

সাবিত বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, এরপর হতে আমার জন্য যে তরকারী রান্না করা হতো, তাতে লাউ দেয়া হতো, যদি তা সম্ভব হতো হতো।[1]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ ، وَعَاصِمٍ الأَحْوَلِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، أَنَّ رَجُلا خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَرَّبَ مِنْهُ ثَرِيدًا عَلَيْهِ دُبَّاءٌ ، قَالَ : " فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَأْخُذُ الدُّبَّاءَ , وَكَانَ يُحِبُّ الدُّبَّاءَ " ، قَالَ ثَابِتٌ : فَسَمِعْتُ أَنَسًا ، يَقُولُ : " فَمَا صُنِعَ لِي طَعَامٌ , أَقْدَرُ عَلَى أَنْ يُصْنَعَ فِيهِ دُبَّاءٌ , إِلا صُنِعَ " .

حدثنا اسحاق بن منصور ، قال : حدثنا عبد الرزاق ، قال : حدثنا معمر ، عن ثابت البناني ، وعاصم الاحول ، عن انس بن مالك ، ان رجلا خياطا دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم , فقرب منه ثريدا عليه دباء ، قال : " فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم , ياخذ الدباء , وكان يحب الدباء " ، قال ثابت : فسمعت انسا ، يقول : " فما صنع لي طعام , اقدر على ان يصنع فيه دباء , الا صنع " .


Anas Radiyallahu 'Anhu reports that a tailor invited Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. Thareed was served, in which dubbaa (dodhi -gourd) was added. As Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam loved dubbaa (dodhi-gourd) he began eating it. Anas Radiyallahu 'Anhu says: "After that no food was prepared for me, wherein if gourd could be added, it was added".

Thareed is a type of food wherein bread is mixed with gravy. This has already been mentioned in the eleventh hadith on the chapter of the curry of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. There instead of thareed, bread and gravy is mentioned. It is possible that both things were served, gravy and bread and thareed also. It is possible that thareed figuratively, or the ingredients of thareed were mentioned separately, as bread and gravy when mixed together become thareed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
২৬৩

পরিচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের কাজ নিজেই সম্পন্ন করতেন:

২৬৩. আমরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে অবস্থানকালে কি করতেন? জবাবে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন একজন মানুষ। পোশাকের মধ্যে তিনি উকুন তালাশ করতেন, ছাগল দোহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই সম্পন্ন করতেন।[1]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ ، عَنْ عَمْرَةَ ، قَالَتْ : قِيلَ لِعَائِشَةَ : مَاذَا كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ ؟ قَالَتْ : " كَانَ بَشَرًا مِنَ الْبَشَرِ ، يَفْلِي ثَوْبَهُ ، وَيَحْلُبُ شَاتَهُ ، وَيَخْدُمُ نَفْسَهُ " .

حدثنا محمد بن اسماعيل ، قال : حدثنا عبد الله بن صالح ، قال : حدثنا معاوية بن صالح ، عن يحيى بن سعيد ، عن عمرة ، قالت : قيل لعاىشة : ماذا كان يعمل رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيته ؟ قالت : " كان بشرا من البشر ، يفلي ثوبه ، ويحلب شاته ، ويخدم نفسه " .


'Amrah Radiyallahu 'Anha reports that someone asked 'Aayeshah Radiyallahu 'Anha. "What was the usual practice of Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam at home?" She replied: "He was a human from among other humans. He himself removed the lice from his clothing, milked his goats, and did all his work himself".

'He was a human from among other humans' means as the common people, he mostly did his household chores himself. He did not have pride or feel ashamed to do the household work or fulfil his needs. In a hadith it is stated that the work that was done by the common people in their homes, was also done by Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. In some ahaadith, examples of the chores are also given as in the hadith under discussion. In the ahaadith it is also stated that he sewed his clothing himself, he repaired his shoes, mended his clothing etc.

In the above hadith it is mentioned that he removed lice from his clothing. The research of the 'ulama is that lice was not found in the body and clothing of Sayyidina Rasulullah Sallallahu'Alayhi Wasallam. It is evident that lice appears from the dirt of the body and multiplies with the perspiration. The whole body of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam was nur. There can be no questions of dirt, in the same manner his perspiration was like rose, that is used as a scent . How can it be possible for lice to live in the esssence of rose. Therefore here it will mean that he looked for lice suspecting it from another person to have crept onto his clothing. The 'ulama say that this was done to teach the ummah, that when others see him doing this they will practise it more diligently.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিনয় (باب ما جاء في تواضع رسول الله ﷺ) 47. The Humbleness Of Sayyidina Rasoolullah (pbuh)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে