সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار)
১৬০১

পরিচ্ছেদঃ ১/ ঘরে নফল সালাত আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তার ফযীলত বর্ণনা

১৬০১। আব্বাস ইবনু আব্দুল আজীম (রহঃ) ... নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নফল সালাত আপন আপন ঘরেই আদায় করবে। ঘরে নফল সালাত আদায় না করে ঘরকে কবরের ন্যায় বানিয়ে নিও না।

باب الْحَثِّ عَلَى الصَّلاَةِ فِي الْبُيُوتِ وَالْفَضْلِ فِي ذَلِكَ

أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، قَالَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ وَلاَ تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا العباس بن عبد العظيم، قال حدثنا عبد الله بن محمد بن اسماء، قال حدثنا جويرية بن اسماء، عن الوليد بن ابي هشام، عن نافع، ان عبد الله بن عمر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ صلوا في بيوتكم ولا تتخذوها قبورا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Nafi' that Abdullah bin Umar said:
"Pray in your houses and do not make them like graves."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬০২

পরিচ্ছেদঃ ১/ ঘরে নফল সালাত আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তার ফযীলত বর্ণনা

১৬০২। আহমদ ইবনু সুলায়ইমান (রহঃ) ... যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে একটি চাটাইকে হুজরার ন্যায় বানিয়ে নিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাতে কয়েক রাত্রি সালাত আদায় করলে কিছু লোকও তার সাথে একত্রিত হয়ে গেল। পরে এক রাত্রিতে তারা তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে অনুমান করল যে, তিনি হয়ত ঘুমিয়ে আছেন। তাই কেউ কেউ গলা খঁকারি দিতে লাগল, যাতে তিনি তাদের সামনে বেরিয়ে আসেন।

তিনি বললেন আমি তোমাদের আমার সাথে রাত্রে জামাতে নফল সালাত আদায় করতে বরাবর দেখেই আসছি। তাতে আমার ভয় হয় যে, তা তোমাদের উপর ফরযই না করে দেওয়া হয়। যদি তা তোমাদের উপর ফরয করে দেওয়া হয় তবে তোমরা তা যথাযথ রূপে আদায় করতে সক্ষম হতে না। অতএব, হে লোক সকল! তোমরা আপন আপন ঘরেই নফল সালাত আদায় করবে, কেননা ফরয সালাত ছাড়া মানুষের অধিক উত্তম সালাত তার ঘরেই আদায়কৃত সালাত।

باب الْحَثِّ عَلَى الصَّلاَةِ فِي الْبُيُوتِ وَالْفَضْلِ فِي ذَلِكَ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ عُقْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا النَّضْرِ، يُحَدِّثُ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اتَّخَذَ حُجْرَةً فِي الْمَسْجِدِ مِنْ حَصِيرٍ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا لَيَالِيَ حَتَّى اجْتَمَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ ثُمَّ فَقَدُوا صَوْتَهُ لَيْلَةً فَظَنُّوا أَنَّهُ نَائِمٌ فَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَتَنَحْنَحُ لِيَخْرُجَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ ‏ "‏ مَا زَالَ بِكُمُ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ صُنْعِكُمْ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُكْتَبَ عَلَيْكُمْ وَلَوْ كُتِبَ عَلَيْكُمْ مَا قُمْتُمْ بِهِ فَصَلُّوا أَيُّهَا النَّاسُ فِي بُيُوتِكُمْ فَإِنَّ أَفْضَلَ صَلاَةِ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا احمد بن سليمان، قال حدثنا عفان بن مسلم، قال حدثنا وهيب، قال سمعت موسى بن عقبة، قال سمعت ابا النضر، يحدث عن بسر بن سعيد، عن زيد بن ثابت، ان النبي صلى الله عليه وسلم اتخذ حجرة في المسجد من حصير فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فيها ليالي حتى اجتمع اليه الناس ثم فقدوا صوته ليلة فظنوا انه ناىم فجعل بعضهم يتنحنح ليخرج اليهم فقال ‏ "‏ ما زال بكم الذي رايت من صنعكم حتى خشيت ان يكتب عليكم ولو كتب عليكم ما قمتم به فصلوا ايها الناس في بيوتكم فان افضل صلاة المرء في بيته الا الصلاة المكتوبة ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Zaid bin Thabit that :
The Prophet (ﷺ) used some palm fiber mats to section off a small area in the masjid. And the Messenger of Allah (ﷺ) prayed in it for several nights until the people gathered around him. Then, one night they did not hear his voice, and they thought that he was sleeping, so they cleared their throats to make him come out to them. He said: 'You kept doing that until I feared that it would be made obligatory for you, and if it were made obligatory, you would not be able to do it. O people, pray in your houses, for the best prayer a person offers is in his house, apart from the prescribed (obligatory) prayers.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬০৩

পরিচ্ছেদঃ ১/ ঘরে নফল সালাত আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তার ফযীলত বর্ণনা

১৬০৩। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সা’দ ইবনু ইসহাক এর দাদা [কা’ব ইবনু উজরা (রাঃ)] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আবদুল আশহাল গোত্রের মসজিদে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। যখন তিনি সালাত আদায় করে নিলেন, কিছু লোক নফল সালাত আদায় করার জন্য দাঁড়িয়ে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের এ নফল সালাত ঘরেই আদায় করা উচিত।

باب الْحَثِّ عَلَى الصَّلاَةِ فِي الْبُيُوتِ وَالْفَضْلِ فِي ذَلِكَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْفِطْرِيُّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْمَغْرِبِ فِي مَسْجِدِ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ فَلَمَّا صَلَّى قَامَ نَاسٌ يَتَنَفَّلُونَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الصَّلاَةِ فِي الْبُيُوتِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا محمد بن بشار، قال انبانا ابراهيم بن ابي الوزير، قال حدثنا محمد بن موسى الفطري، عن سعد بن اسحاق بن كعب بن عجرة، عن ابيه، عن جده، قال صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم صلاة المغرب في مسجد بني عبد الاشهل فلما صلى قام ناس يتنفلون فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عليكم بهذه الصلاة في البيوت ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Sa'd bin Ishaq bin Ka'b bin Ujrah, from his father, that:
His grandfather said: "The Messenger of Allah (ﷺ) prayed Maghrib in the masjid of Banu 'Abdul-Ashhal, and when he finished praying some people stood up and offered Nafl prayers. The Prophet (ﷺ) said: 'You should offer this prayer in your houses.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬০৪

পরিচ্ছেদঃ ২/ বিতর এবং তাহজ্জুদ সালাত

১৬০৪। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে বিতর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে বিশ্ববাসীর মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সালাত সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত ব্যক্তির সংবাদ দিব না? বললেন, হ্যাঁ। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, তিনি হলেন আয়িশা (রাঃ)।

তুমি তার খেদমতে উপস্তিত হয়ে তাঁকেই জিজ্ঞাসা করে দেখ এবং পরে আমার কাছে এসে তোমাকে দেয়া তার উত্তর সম্বন্ধে আমাকে অবহিত করে যাবে। আমি হাকীম ইবনু আফলাহের কাছে এসে আয়িশা (রাঃ) এর কাছে যাওয়ার জন্য তাকে সাথী বানাতে চাইলে তিনি বললেন, আমি তার ঘনিষ্ঠজন নই, আমি তাকে ঊষ্ট্র যুদ্ধ ও সিফফীন ইত্যকার যুদ্ধ সমুহে অংশ গ্রহণকারী উভয় পক্ষ সম্পর্কে তাকে কিছু বলতে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেন নি বরং তাতে সম্পূক্ত হয়ে গিয়েছিলেন।

আমি হাকীম ইবনু আফলাকে আয়িশা (রাঃ) এর কাছে যাওয়ার জন্য শপথ দিলে তিনি আমার সাথে আয়িশা (রাঃ) এর কাছে গেলেন। আয়িশা (রাঃ) হাকীমকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে এ কে? আমি বললাম, সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ)। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হিশাম কে? আমি বললাম আমেরের ছেলে। তিনি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বললেন, আমের বড় ভাল মানুষ ছিল।

সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ) বললেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আপনি আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, তুমি কূরআন পাঠ কর না? সা’দ (রহঃ) বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই পাঠ করি। আয়িশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বভাব চরিত্র ছিল কূরআন।

আমি যখন দাঁড়াতে মনস্থ করলাম তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাঁড়ানোর (রাত্রে নফল সালাত আদায়ের) আমার মনে এসে গেল। তিনি বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন! আপনি আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাত্রে নফল সালাত আদায় সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, তুমি "ইয়া আয়্যুহাল মুয্‌যামমিল" এই সূরাটি পাঠ কর না? আমি বললাম হ্যাঁ, নিশ্চয়ই পাঠ করি।

তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা তাহাজ্জুদকে এই সূরার প্রথমাংশে ফরয করেছিলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণ এক বৎসর পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন, যাতে তাঁদের পা ফুলে গেল। আল্লাহ তা’আলা উক্ত সূরার শেষাংশের নাযিল করা বার মাস পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিলেন। অতঃপর আল্লাহ তাআলা উক্ত সূরার শেষাংশে সহজীকৃত বিধান অবতীর্ন করলেন। অতএব তাহাজ্জ্বুদের সালাত ফরয হিসাবে অবতীর্ণ হওয়ার পর নফল হিসাবে অবশিষ্ট রয়ে গেল।

আমি পূনরায় যখন দাঁড়াতে মনস্থ করলাম তখন আমার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতরের কথা স্মরণে এসে গেল। আমি আয়িশা (রাঃ) কে বললাম উম্মুল মুমিনীন! আপনি আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, আমরা তার জন্য মিসওয়াক এবং উযুর পানি প্রস্তুত করে রাখতাম। রাত্রে যখন আল্লাহ তাআলা তাকে জাগানোর ইচ্ছা হত তাকে জাগ্রত করে দিতেন। তিনি উঠে মিসওয়াক এবং উযু করতেন এবং আট রাকআত সালাত আদায় করতেন।

তাতে সালাম ফিরানোর জন্য শুধু অষ্টম রাকআতেই বসতেন। বসে আল্লাহ তা’আলার যিকর এবং দোয়া করতেন। অতঃপর আমরা শুনতে পারি এমন ভাবে তিনি সালাম ফিরাতেন। এরপর দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন এবং দু’রাকআতের পর সালাম ফিরিয়ে বসে থাকতেন। আবার এক রাকআত সালাত আদায় করতেন। তাহলে হে প্রিয় বৎস! সর্বমোট এগার রাকআত সালাত আদায় করা হল।

যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বয়স বেড়ে গেল এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে গেল তিনি সাত রাকআত বিতরের সালাত আদায় করতেন। আর সালামের পর বসে থেকে দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন। তাহলে হে প্রিয় বৎস! সর্বমোট ন’রাকআত সালাত আদায় করা হল। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সালাত আদায় করতেন, তা নিয়মিত আদায় করতে ভালবাসতেন।

আর যদি তাকে নিদ্রা অথবা কোন অসুখ বা ব্যাথা বেদনা তাহাজ্জুদ থেকে বিরত রাখত তাহলে তিনি দিনে বারো রাকআত সালাত আদায় করে নিতেন। আমি এ ব্যাপারে পুরোপুরি অবগত নই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাত্রে সম্পুর্ণ কুরআন মজীদ পাঠ করেছেন। আর তিনি সকাল পর্যন্ত পুরা রাত্র তাহাজ্জ্বুদের সালাতও আদায় করতেন না এবং রমযান ব্যতীত পুরা মাস রোযাও রাখতেন না।

আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর কাছে এসে আয়িশা (রাঃ) এর হাদীস থেকে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, আয়িশা (রাঃ) সত্যই বলেছেন। আমি যদি তার কাছে কখনো যেতাম তাহলে এ হাদীসটি তার মুখ থেকে সরাসরি শুনতে পেতাম। আবূ আব্দুর রহমান (নাসাঈ) বলেন, আমার কাছে এরকমই রয়েছে কিন্তু আমি জানি না যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতরের ব্যাপারে বর্ণনা কার থেকে হয়েছে।

باب قِيَامِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ لَقِيَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنِ الْوَتْرِ، فَقَالَ أَلاَ أُنَبِّئُكَ بِأَعْلَمِ أَهْلِ الأَرْضِ بِوِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ عَائِشَةُ ائْتِهَا فَسَلْهَا ثُمَّ ارْجِعْ إِلَىَّ فَأَخْبِرْنِي بِرَدِّهَا عَلَيْكَ فَأَتَيْتُ عَلَى حَكِيمِ بْنِ أَفْلَحَ فَاسْتَلْحَقْتُهُ إِلَيْهَا فَقَالَ مَا أَنَا بِقَارِبِهَا إِنِّي نَهَيْتُهَا أَنْ تَقُولَ فِي هَاتَيْنِ الشِّيعَتَيْنِ شَيْئًا فَأَبَتْ فِيهَا إِلاَّ مُضِيًّا ‏.‏ فَأَقْسَمْتُ عَلَيْهِ فَجَاءَ مَعِي فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَقَالَتْ لِحَكِيمٍ مَنْ هَذَا مَعَكَ قُلْتُ سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ ‏.‏ قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قُلْتُ ابْنُ عَامِرٍ ‏.‏ فَتَرَحَّمَتْ عَلَيْهِ وَقَالَتْ نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ عَامِرًا ‏.‏ قَالَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ أَلَيْسَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ قَالَ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَتْ فَإِنَّ خُلُقَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقُرْآنُ ‏.‏ فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ فَبَدَا لِي قِيَامُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ قِيَامِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ أَلَيْسَ تَقْرَأُ هَذِهِ السُّورَةَ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ ‏)‏ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَتْ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ افْتَرَضَ قِيَامَ اللَّيْلِ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السُّورَةِ فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ حَوْلاً حَتَّى انْتَفَخَتْ أَقْدَامُهُمْ وَأَمْسَكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ خَاتِمَتَهَا اثْنَىْ عَشَرَ شَهْرًا ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ التَّخْفِيفَ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ أَنْ كَانَ فَرِيضَةً فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ فَبَدَا لِي وِتْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهِنَّ إِلاَّ عِنْدَ الثَّامِنَةِ يَجْلِسُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَةً فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا سَلَّمَ فَتِلْكَ تِسْعُ رَكَعَاتٍ يَا بُنَىَّ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَحَبَّ أَنْ يَدُومَ عَلَيْهَا وَكَانَ إِذَا شَغَلَهُ عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ نَوْمٌ أَوْ مَرَضٌ أَوْ وَجَعٌ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً وَلاَ أَعْلَمُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ وَلاَ قَامَ لَيْلَةً كَامِلَةً حَتَّى الصَّبَاحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً غَيْرَ رَمَضَانَ فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَحَدَّثْتُهُ بِحَدِيثِهَا فَقَالَ صَدَقَتْ أَمَا أَنِّي لَوْ كُنْتُ أَدْخُلُ عَلَيْهَا لأَتَيْتُهَا حَتَّى تُشَافِهَنِي مُشَافَهَةً ‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَذَا وَقَعَ فِي كِتَابِي وَلاَ أَدْرِي مِمَّنِ الْخَطَأُ فِي مَوْضِعِ وِتْرِهِ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏.‏

اخبرنا محمد بن بشار، قال حدثنا يحيى بن سعيد، عن سعيد، عن قتادة، عن زرارة، عن سعد بن هشام، انه لقي ابن عباس فساله عن الوتر، فقال الا انبىك باعلم اهل الارض بوتر رسول الله صلى الله عليه وسلم قال نعم ‏.‏ قال عاىشة اىتها فسلها ثم ارجع الى فاخبرني بردها عليك فاتيت على حكيم بن افلح فاستلحقته اليها فقال ما انا بقاربها اني نهيتها ان تقول في هاتين الشيعتين شيىا فابت فيها الا مضيا ‏.‏ فاقسمت عليه فجاء معي فدخل عليها فقالت لحكيم من هذا معك قلت سعد بن هشام ‏.‏ قالت من هشام قلت ابن عامر ‏.‏ فترحمت عليه وقالت نعم المرء كان عامرا ‏.‏ قال يا ام المومنين انبىيني عن خلق رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قالت اليس تقرا القران قال قلت بلى ‏.‏ قالت فان خلق نبي الله صلى الله عليه وسلم القران ‏.‏ فهممت ان اقوم فبدا لي قيام رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا ام المومنين انبىيني عن قيام نبي الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قالت اليس تقرا هذه السورة ‏(‏ يا ايها المزمل ‏)‏ قلت بلى ‏.‏ قالت فان الله عز وجل افترض قيام الليل في اول هذه السورة فقام نبي الله صلى الله عليه وسلم واصحابه حولا حتى انتفخت اقدامهم وامسك الله عز وجل خاتمتها اثنى عشر شهرا ثم انزل الله عز وجل التخفيف في اخر هذه السورة فصار قيام الليل تطوعا بعد ان كان فريضة فهممت ان اقوم فبدا لي وتر رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت يا ام المومنين انبىيني عن وتر رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قالت كنا نعد له سواكه وطهوره فيبعثه الله عز وجل لما شاء ان يبعثه من الليل فيتسوك ويتوضا ويصلي ثماني ركعات لا يجلس فيهن الا عند الثامنة يجلس فيذكر الله عز وجل ويدعو ثم يسلم تسليما يسمعنا ثم يصلي ركعتين وهو جالس بعد ما يسلم ثم يصلي ركعة فتلك احدى عشرة ركعة يا بنى فلما اسن رسول الله صلى الله عليه وسلم واخذ اللحم اوتر بسبع وصلى ركعتين وهو جالس بعد ما سلم فتلك تسع ركعات يا بنى وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صلى صلاة احب ان يدوم عليها وكان اذا شغله عن قيام الليل نوم او مرض او وجع صلى من النهار اثنتى عشرة ركعة ولا اعلم ان نبي الله صلى الله عليه وسلم قرا القران كله في ليلة ولا قام ليلة كاملة حتى الصباح ولا صام شهرا كاملا غير رمضان فاتيت ابن عباس فحدثته بحديثها فقال صدقت اما اني لو كنت ادخل عليها لاتيتها حتى تشافهني مشافهة ‏.‏ قال ابو عبد الرحمن كذا وقع في كتابي ولا ادري ممن الخطا في موضع وتره عليه السلام ‏.‏


It was narrated from Sa'd bin Hisham that:
He met Ibn 'Abbas and asked him about Witr. He said: "Shall I not lead you to one who knows best among the people of the world about the witr of the Messenger of Allah (ﷺ)?" He said: "Yes." (Ibn Abbas) said: "It is 'Aishah. So go to her and ask her (about witr) and then come back to me and tell me the answer that she gives you." So I went to Hakim bin Aflah and asked him to go accompany me to her. He said: "I shall not go to her, for I told her not to say anything about these two (conflicting) groups, but she refused (to accept my advice) and went on (to participate in the conflict)." I swore an oath, beseeching him (to take me to her). So he came with me and went unto her. She said to Hakim: "Who is this with you?" He said: "He is Sa'd bin Hisham." She said: "Which Hisham?" He said: "Ibn Amir." She supplicated for mercy for him and said: "What a good man Amir was." He said: "O Mother of the Believers, tell me about the character of the Messenger of Allah." She said: "Don't you read the Qur'an?" I said: "Yes." She said "The character of the Messenger of Allah (ﷺ) was the Qur'an." He said: "I wanted to get up (and leave), then I thought of the Qiyam (night prayer) of the Messenger of Allah (ﷺ) and said: "Tell me about the Qiyam of the Messenger of Allah (ﷺ)." She said: "Do you not recite this surah: "O you wrapped in garments?" I said: "Yes." She said: "Allah, the Mighty and Sublime, made Qiyam Al-Lail obligatory at the beginning of this surah, so the Messenger of Allah (ﷺ) and his companions prayed Qiyam Al-Lail for one year. Allah (SWT) withheld the latter part of this surah for twelve months, then he revealed the lessening (of this duty) at the end of this surah, so Qiyam Al-Lail became voluntary after it had been obligatory." I felt inclined to stand up (and not ask anything further), then I thought of the witr of the Messenger of Allah (ﷺ). I said: "O Mother of the Believers, tell me about the witr of the Messenger of Allah (ﷺ)." She said: "We used to prepare his siwak and water for his ablution, and Allah (SWT) would wake him when He wished during the night. He would use the siwak, perform ablution, and then pray eight rak'ahs in which he would not sit until he reached the eighth one. Then he would sit and remember Allah (SWT) and supplicate, then he would say the taslim that we could hear. Then he would pray two rak'as sitting after uttering the taslim, then he would pray one rak'ah, and that made eleven rak'ahs, O my son! When the Messenger of Allah (ﷺ) grew older and put on weight, he prayed witr with seven rak'ahs, then he prayed two rak'ahs sitting down after saying the taslim, and that made nine rak'ahs. O my son, when the Messenger of Allah (ﷺ)offered a prayer, he liked to continue to offer it, and when sleep, sickness, or pain distracted him from praying Qiyam Al-Lail, he would pray twelve rak'ahs during the day. I am not aware of the Prophet of Allah (ﷺ) having recited the whole Qur'an during a single night, or praying through the whole night until morning, or fasting a complete month, except Ramadan." I went to Ibn 'Abbas and told him what she had said, and he said: "She has spoken the truth. If I could go to her (and meet her face to face) I would so that she could tell me all of that verbally."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সা'দ ইবন হিশাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬০৫

পরিচ্ছেদঃ ৩/ ইবাদাত জ্ঞানে সওয়াব লাভের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত আদায়কারীর সওয়াব

১৬০৫। কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইবাদত জ্ঞানে সওয়াব লাভের নিয়তে তারাবীহর সালাত আদায় করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

باب ثَوَابِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا قتيبة، عن مالك، عن ابن شهاب، عن حميد بن عبد الرحمن، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من قام رمضان ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever prays Qiyam during Ramadan out of faith and in the hope of reward, he will be forgiven his previous sins."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬০৬

পরিচ্ছেদঃ ৩/ ইবাদাত জ্ঞানে সওয়াব লাভের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত আদায়কারীর সওয়াব

১৬০৬। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আবূ বকর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি ইবাদত জ্ঞানে সওয়াব লাভের নিয়তে তারাবীহর সালাত আদায় করবে, তার পূববর্তী সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

باب ثَوَابِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو بَكْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، قَالَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا محمد بن اسماعيل ابو بكر، قال حدثنا عبد الله بن محمد بن اسماء، قال حدثنا جويرية، عن مالك، قال قال الزهري اخبرني ابو سلمة بن عبد الرحمن، وحميد بن عبد الرحمن، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من قام رمضان ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever prays Qiyam during Ramadan out of faith and in the hope of reward, he will be forgiven his previous sins."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬০৭

পরিচ্ছেদঃ ৪/ রমযান মাসে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করা

১৬০৭। কুতায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাত্র মসজিদে তারাবীহর সালাত আদায় করলেন, তার সংগে শরীক হয়ে কিছু সংখ্যক লোক সালাত আদায় করল। তারপর পরবর্তী রাত্রেও তারাবীহর সালাত আদায় করলে লোকের সংখ্যা বেড়ে গেল। তারপর তারা তৃতীয় রাত্রেও অথবা চতুর্থ রাত্রেও তারাবিহর সালাত আদায় করার জন্য জড়ো হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর তাদের সামনে বের হলেন না। সকাল হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা যা করেছিলে আমি তা দেখছিলাম। তোমাদের উপর তারাবীহর সালাত ফরয হয়ে যাওয়ার আশংকা ব্যাতীত অন্য কোন কারনে তোমাদের সামনে বের হওয়া থেকে আমাকে বিরত রাখেনি। এ ঘটনা রমযান মাসে ঘটেছিল।

باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ وَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ ‏ "‏ قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ ‏.‏

اخبرنا قتيبة، عن مالك، عن ابن شهاب، عن عروة، عن عاىشة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى في المسجد ذات ليلة وصلى بصلاته ناس ثم صلى من القابلة وكثر الناس ثم اجتمعوا من الليلة الثالثة او الرابعة فلم يخرج اليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما اصبح قال ‏ "‏ قد رايت الذي صنعتم فلم يمنعني من الخروج اليكم الا اني خشيت ان يفرض عليكم ‏"‏ ‏.‏ وذلك في رمضان ‏.‏


It was narrated from 'Aishah that:
The Messenger of Allah (ﷺ) prayed in the masjid one night, and some people followed his prayer. Then he prayed the following night and more people came. Then they gathered on the third or fourth night and the Messenger of Allah (ﷺ) did not come out to them. When morning came he said: "I saw what you did, and nothing prevented me from coming out to you but the fact that I feared that this would be made obligatory for you," and that was in Ramadan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬০৮

পরিচ্ছেদঃ ৪/ রমযান মাসে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করা

১৬০৮। উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সিয়াম পালন করেছিলাম। রমযান মাসে তিনি আমাদের নিয়ে তারাবীহর সালাত আদায় করলেন। যখন মাসের মাত্র সাত রাত্র অবশিষ্ট রয়ে গেল, তিনি আমাদের নিয়ে তারাবীহর সালাত আদায় করতে লাগলেন রাত্রের তৃতীয় প্রহর অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত। যখন মাসের ছয় রাত্র অবশিষ্ট রয়ে গেল তিনি আমাদের নিয়ে তারাবীহর সালাত আদায় করলেন না। যখন পাঁচ রাত্র অবশিষ্ট রয়ে গেল আমাদের নিয়ে তারাবীহর সালাত আদায় করলেন অর্ধ রাত্রি অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আপনি আমাদের নিয়ে অত্র রাত্রের অবশিষ্ট অংশেও নফল সালাত আদায় করতেন! তিনি বললেন, যে ব্যক্তি ইমামের সাথে তারাবীহর সালাত আদায় করে ঘরে ফিরে যায় আল্লাহ তা’আলা তার জন্য পূর্ণ রাত্রি সালাত আদায় করার সওয়াব লিখে রাখেন। অতঃপর আমাদের নিয়েও তারাবীহর সালাত আদায় করলেন না এবং নিজেও আদায় করলেন না। যখন মাসের তিন রাত্রি অবশিষ্ট রয়ে গেল, তিনি আমাদের নিয়ে ঐ রাত্রে তারাবীহর সালাত আদায় করলেন (এবং ঐ সালাতে) তার সন্তান সন্ততি এবং পরিবারবর্গও জড়ো হয়ে গেল। আমরা আশংকা করতে লাগলাম যে, “ফালাহ” না হারিয়ে ফেলি। আমি বললাম, “ফালাহ” এর অর্থ কি? বললেন, সাহরী খাওয়ার সময়।

باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ مِنَ الشَّهْرِ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا فِي السَّادِسَةِ فَقَامَ بِنَا فِي الْخَامِسَةِ حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ قِيَامَ لَيْلَةٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِنَا وَلَمْ يَقُمْ حَتَّى بَقِيَ ثَلاَثٌ مِنَ الشَّهْرِ فَقَامَ بِنَا فِي الثَّالِثَةِ وَجَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ حَتَّى تَخَوَّفْنَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ ‏.‏ قُلْتُ وَمَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ ‏.‏

اخبرنا عبيد الله بن سعيد، قال حدثنا محمد بن الفضيل، عن داود بن ابي هند، عن الوليد بن عبد الرحمن، عن جبير بن نفير، عن ابي ذر، قال صمنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في رمضان فلم يقم بنا حتى بقي سبع من الشهر فقام بنا حتى ذهب ثلث الليل ثم لم يقم بنا في السادسة فقام بنا في الخامسة حتى ذهب شطر الليل فقلت يا رسول الله لو نفلتنا بقية ليلتنا هذه ‏.‏ قال ‏ "‏ انه من قام مع الامام حتى ينصرف كتب الله له قيام ليلة ‏"‏ ‏.‏ ثم لم يصل بنا ولم يقم حتى بقي ثلاث من الشهر فقام بنا في الثالثة وجمع اهله ونساءه حتى تخوفنا ان يفوتنا الفلاح ‏.‏ قلت وما الفلاح قال السحور ‏.‏


It was narrated that Abu Dharr said:
"We fasted with the Messenger of Allah (ﷺ) in Ramadan and he did not lead us in praying Qiyam until there were seven days left in the month, when he led us in praying Qiyam until one-third of the night had passed. Then he did not lead us in praying Qiyam when there were six days left. Then he led us praying Qiyam when there were five days left until one-half of the night had passed. I said: "O Messenger of Allah! What if we spend the rest of this night praying Nafl?" He said: "Whoever prays Qiyam with the Imam until he finishes, Allah (SWT) will record for him the Qiyam of a (whole) night." Then he did not lead us in prayer or pray Qiyam until there were three days of the month left. Then he led us in praying Qiyam when there were three days left. He gathered his family and wives (and led us in prayer) until we feared that we would miss Al-Falah. I (one of the narrators) said: "What is Al-Falah?" He said: "The suhur".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬০৯

পরিচ্ছেদঃ ৪/ রমযান মাসে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করা

১৬০৯। আহমদ ইবনু সুলাইমান (রহঃ) ... নুআয়ম ইবনু যিয়াদ আবূ তালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নুমান ইবনু বশীর (রাঃ) কে হিমস নামক স্থানের মিন্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি, আমরা একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রমযান মাসের তেইশতম রাত্রের প্রথম এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত তারাবীহর সালাত আদায় করলাম। অতঃপর পঁটিশতম রাত্রে তার সাথে অর্ধরাত্রি পর্যন্ত তারাবীহর সালাত আদায় করলাম। আবার তার সাথে সাতাইশতম রাত্রেও তারাবীহর সালাত আদায় করতে লাগলাম। এমনকি আমরা আশংকা করলাম যে “ফালাহ” পাব না। সাহাবীগণ সাহারীকে ফালাহ বলতেন।

باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي نُعَيْمُ بْنُ زِيَادٍ أَبُو طَلْحَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، عَلَى مِنْبَرِ حِمْصَ يَقُولُ قُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَهْرِ رَمَضَانَ لَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ الأَوَّلِ ثُمَّ قُمْنَا مَعَهُ لَيْلَةَ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ ثُمَّ قُمْنَا مَعَهُ لَيْلَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ لاَ نُدْرِكَ الْفَلاَحَ وَكَانُوا يُسَمُّونَهُ السُّحُورَ ‏.‏

اخبرنا احمد بن سليمان، قال حدثنا زيد بن الحباب، قال اخبرني معاوية بن صالح، قال حدثني نعيم بن زياد ابو طلحة، قال سمعت النعمان بن بشير، على منبر حمص يقول قمنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في شهر رمضان ليلة ثلاث وعشرين الى ثلث الليل الاول ثم قمنا معه ليلة خمس وعشرين الى نصف الليل ثم قمنا معه ليلة سبع وعشرين حتى ظننا ان لا ندرك الفلاح وكانوا يسمونه السحور ‏.‏


Nu'aim bin Ziyad Abu Talhah said:
"I heard An-Nu'man bin Bashir on the minbar in Hims saying: "We prayed Qiyam with the Messenger of Allah (ﷺ) during Ramadan on the night of the twenty-third until one-third of the night had passed, then we prayed Qiyam with him on the night of the twenty-fifth until one-half of the night had passed, then we prayed Qiyam with him on the night of the twenty-seventh until we thought that we would miss Al-Falah- that is what they used to call suhur."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১০

পরিচ্ছেদঃ ৫/ তাহজ্জুদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা

১৬১০। মুহাম্মদ ইবনু আবরাহ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায় শয়তান তার মাথায় তিনটা গিট লাগিয়ে দেয়। প্রত্যেক গিট লাগানোর সময় সে বলে, “এখনো অনেক রাত্র বাকী আছে” অর্থাৎ তুমি শুয়ে থাক। যদি সে জেগে উঠে আল্লাহর যিকর করে তাহলে একটি গিঁট খুলে যায়। তারপর যদি উযু করে তাহলে আরো একটি গিট খুলে যায়, যদি সালাত আদায় করে তাহলে সমুদয় গিট খুলে যায় এবং তার সকাল হয় আনন্দ ও উদ্দীপনায়। অন্যথায় তার সকাল হয় অবসাদ ও বিষাদময়।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا نَامَ أَحَدُكُمْ عَقَدَ الشَّيْطَانُ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ عُقَدٍ يَضْرِبُ عَلَى كُلِّ عُقْدَةٍ لَيْلاً طَوِيلاً أَىِ ارْقُدْ فَإِنِ اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ اللَّهَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَإِنْ تَوَضَّأَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ أُخْرَى فَإِنْ صَلَّى انْحَلَّتِ الْعُقَدُ كُلُّهَا فَيُصْبِحُ طَيِّبَ النَّفْسِ نَشِيطًا وَإِلاَّ أَصْبَحَ خَبِيثَ النَّفْسِ كَسْلاَنَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا محمد بن عبد الله بن يزيد، قال حدثنا سفيان، عن ابي الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا نام احدكم عقد الشيطان على راسه ثلاث عقد يضرب على كل عقدة ليلا طويلا اى ارقد فان استيقظ فذكر الله انحلت عقدة فان توضا انحلت عقدة اخرى فان صلى انحلت العقد كلها فيصبح طيب النفس نشيطا والا اصبح خبيث النفس كسلان ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abu Hurairah said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'When any one of you goes to sleep, the Shaitan ties three knots on his head, saying each time: "(Sleep) a long night." If he wakes up and remembers Allah (SWT), one knot is undone. If he performs wudu', another knot is undone. If he prays, all the knots are undone and he starts his day in a good mood and feeling energetic. Otherwise he starts his day in a bad mood and feeling lethargic.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১১

পরিচ্ছেদঃ ৫/ তাহজ্জুদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা

১৬১১। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আব্দূল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এমন এক ব্যক্তির উল্লেখ করা হল, যে সারা রাত্রি সকাল পর্যন্ত নিদ্রা গিয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে ব্যক্তির কর্ণদ্বয়ে শয়তান প্রশ্রাব করে দিয়েছে।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ نَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ قَالَ ‏ "‏ ذَاكَ رَجُلٌ بَالَ الشَّيْطَانُ فِي أُذُنَيْهِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم، قال انبانا جرير، عن منصور، عن ابي واىل، عن عبد الله، قال ذكر عند رسول الله صلى الله عليه وسلم رجل نام ليلة حتى اصبح قال ‏ "‏ ذاك رجل بال الشيطان في اذنيه ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abdullah said:
"Mention was made in the presence of the Messenger of Allah (ﷺ) about a man who slept all night until morning. He said: 'That is a man in whose ear the Shaitan has urinated.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১২

পরিচ্ছেদঃ ৫/ তাহজ্জুদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা

১৬১২। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি গত রাত্রের সালাত আদায় না করেই সকাল অবধি নিদ্রা গিয়েছে। তিনি বললেন, সে ব্যক্তিত কর্ণদ্বয়ে শয়তান প্রশ্রাব করে দিয়েছে।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، قَالَ حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فُلاَنًا نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ الْبَارِحَةَ حَتَّى أَصْبَحَ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ ذَاكَ شَيْطَانٌ بَالَ فِي أُذُنَيْهِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا عمرو بن علي، قال حدثنا عبد العزيز بن عبد الصمد، قال حدثنا منصور، عن ابي واىل، عن عبد الله، ان رجلا، قال يا رسول الله ان فلانا نام عن الصلاة البارحة حتى اصبح ‏.‏ قال ‏ "‏ ذاك شيطان بال في اذنيه ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abdullah said:
"A man said: 'O Messenger of Allah (ﷺ). So-and-so slept and missed the prayer yesterday until morning came.' He said: 'The Shaitan has urinated in that one's ears.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১৩

পরিচ্ছেদঃ ৫/ তাহজ্জুদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা

১৬১৩। ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে রাত্রের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায় করে, অতঃপর তার স্ত্রীকেও জাগিয়ে দেয়, সেও তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায় করে। যদি তার স্ত্রী জাগ্রাত হতে না চায় তবে তার মুখমণ্ডলে পানির ছিটা দেয়। ওই মহিলার উপরও আল্লাহ তা’আলা রহম বর্ষন করুন, যে রাত্রের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায় করে। অতঃপর তার স্বামীকেও জাগিয়ে দেয়, সেও তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায় করে। সে যদি জাগ্রত হতে না চায় তবে তার মুখে পানির ছিটা দেয়া।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْقَعْقَاعُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ رَحِمَ اللَّهُ رَجُلاً قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى ثُمَّ أَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّتْ فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا الْمَاءَ وَرَحِمَ اللَّهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ ثُمَّ أَيْقَظَتْ زَوْجَهَا فَصَلَّى فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ الْمَاءَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا يعقوب بن ابراهيم، قال حدثنا يحيى، عن ابن عجلان، قال حدثني القعقاع، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ رحم الله رجلا قام من الليل فصلى ثم ايقظ امراته فصلت فان ابت نضح في وجهها الماء ورحم الله امراة قامت من الليل فصلت ثم ايقظت زوجها فصلى فان ابى نضحت في وجهه الماء ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abu Hurairah said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'May Allah (SWT) have mercy on a man who gets up at night and prays, then he wakes his wife and she prays, and if she refuses he sprinkles water in her face. And may Allah (SWT) have mercy on a woman who gets up at night and prays, then she wakes her husband and prays, and if he refuses she sprinkles water in his face.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১৪

পরিচ্ছেদঃ ৫/ তাহজ্জুদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা

১৬১৪। কুতায়বা (রহঃ) ... আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ফাতিমা (রাঃ) এর কাছে একবার রাতের বেলা আসলেন। তিনি বললেন, তোমরা সালাত আদায় করছ না? আমি (লজ্জিত হয়ে) বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের প্রাণ তো আল্লাহর হস্তে। যখন তা আমাদের কাছে পাঠাতে মনস্থ করেন পাঠিয়ে দেন। যখন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বললাম, তখন তিনি চলে গেলেন। অতঃপর আমি তাকে ফিরে যাওয়ার সময় আমাদের উপর রাগান্বিত হয়ে উরুতে হাত মেরে বলতে শুনেছি, "মানুষ অত্যধিক বিতর্ককারী"।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، حَدَّثَهُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ تُصَلُّونَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهَا بَعَثَهَا فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قُلْتُ لَهُ ذَلِكَ ثُمَّ سَمِعْتُهُ وَهُوَ مُدْبِرٌ يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَيَقُولُ ‏"‏ ‏(‏وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً)‏ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا قتيبة، قال حدثنا الليث، عن عقيل، عن الزهري، عن علي بن حسين، ان الحسين بن علي، حدثه عن علي بن ابي طالب، ان النبي صلى الله عليه وسلم طرقه وفاطمة فقال ‏"‏ الا تصلون ‏"‏ ‏.‏ قلت يا رسول الله انما انفسنا بيد الله فاذا شاء ان يبعثها بعثها فانصرف رسول الله صلى الله عليه وسلم حين قلت له ذلك ثم سمعته وهو مدبر يضرب فخذه ويقول ‏"‏ ‏(‏وكان الانسان اكثر شىء جدلا)‏ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from 'Ali bin Abi Talib that:
The Prophet (ﷺ) came to him and Fatimah at night and said: "Won't you pray?" I said: "O Messenger of Allah (ﷺ), our souls are in the hand of Allah and if He wants to make us get up, He will make us get up." The Messenger of Allah (ﷺ) went away when I said that to him. Then as he was leaving I heard him striking his thigh and saying: But, man is ever more quarrelsome than anything.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১৫

পরিচ্ছেদঃ ৫/ তাহজ্জুদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা

১৬১৫। উবায়াদুল্লাহ ইবনু সা’দ (রহঃ) ... আলী ইবনু হুসায়ন এর দাদা আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাত্রে আমার এবং ফাতিমা (রাঃ) এর কাছে এসে আমাদের তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার জন্য জাগিয়ে দিলেন। অতঃপর নিজের ঘরে গিয়ে দীর্ঘ রাত্র তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করেন এবং আমাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পুনরায় এসে আমাদের জাগিয়ে দিয়ে গেলেন। তিনি বললেন তোমরা উভয়ে জাগ্রত হয়ে যাও এবং (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় কর। আলী (রাঃ) বলেন, আমি উভয়ে চক্ষু রগড়াতে রগড়াতে বসে পড়ে বললাম, আল্লাহর শপথ! আমরা তো আল্লাহ তা’আলা যা আমাদের উপর ফরয করেছেন তাছাড়া অন্য কোন সালাত আদায় করি না। আমাদের প্রাণ তো আল্লাহ তা’আলার হাতে, যখন তিনি তা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে চান পাঠিয়ে দেন। আলী (রাঃ) বলেন, তিনি উরুতে হাত মেরে মেরে এই বলতে বলতে চলে গেলেন যে, "আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর যা ফরয করেছেন, তাছাড়া অন্য কোন সালাত আদায় করি না" আর "মানুষ অত্যধিক তর্ক প্রবণ"।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي حَكِيمُ بْنُ حَكِيمِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَى فَاطِمَةَ مِنَ اللَّيْلِ فَأَيْقَظَنَا لِلصَّلاَةِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ فَصَلَّى هَوِيًّا مِنَ اللَّيْلِ فَلَمْ يَسْمَعْ لَنَا حِسًّا فَرَجَعَ إِلَيْنَا فَأَيْقَظَنَا فَقَالَ ‏"‏ قُومَا فَصَلِّيَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَجَلَسْتُ وَأَنَا أَعْرُكُ عَيْنِي وَأَقُولُ إِنَّا وَاللَّهِ مَا نُصَلِّي إِلاَّ مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ ‏.‏ فَإِنْ شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا - قَالَ - فَوَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ وَيَضْرِبُ بِيَدِهِ عَلَى فَخِذِهِ ‏"‏ مَا نُصَلِّي إِلاَّ مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا ‏(‏ وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا عبيد الله بن سعد بن ابراهيم بن سعد، قال حدثنا عمي، قال حدثنا ابي، عن ابن اسحاق، قال حدثني حكيم بن حكيم بن عباد بن حنيف، عن محمد بن مسلم بن شهاب، عن علي بن حسين، عن ابيه، عن جده، علي بن ابي طالب قال دخل على رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلى فاطمة من الليل فايقظنا للصلاة ثم رجع الى بيته فصلى هويا من الليل فلم يسمع لنا حسا فرجع الينا فايقظنا فقال ‏"‏ قوما فصليا ‏"‏ ‏.‏ قال فجلست وانا اعرك عيني واقول انا والله ما نصلي الا ما كتب الله لنا انما انفسنا بيد الله ‏.‏ فان شاء ان يبعثنا بعثنا - قال - فولى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يقول ويضرب بيده على فخذه ‏"‏ ما نصلي الا ما كتب الله لنا ‏(‏ وكان الانسان اكثر شىء جدلا ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ali bin Husain, from his father, that:
Hs grandfather Ali bin Abi Talib said: "The Messenger of Allah (ﷺ) came in to Fatimah and I, one night and woke us up to pray, then he went back to his house and prayed for part of the night, and he did not hear any movement from us. He came back to us and woke us up, and said: 'Get up and pray.' I sat up, rubbing my eyes, and said: 'By Allah, we will only pray that which has decreed for us; our souls are in the hand of Allah (SWT) and if He wants to make us get up, He will make us get up.' The Messenger of Allah (ﷺ) turned away, striking his hand on his thigh, saying: 'We will only pray that which Allah (SWT) has decreed for us! But man is ever more quarrelsome than anything.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১৬

পরিচ্ছেদঃ ৬/ রাত্রের সালাতের ফযীলত

১৬১৬। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমযান মাসের পর সর্বোত্তম সাওম হল মুহাররাম মাসের সাওম (আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)-র সাওম) এবং ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাত্রের সালাত।

باب فَضْلِ صَلاَةِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - هُوَ ابْنُ عَوْفٍ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا قتيبة بن سعيد، قال حدثنا ابو عوانة، عن ابي بشر، عن حميد بن عبد الرحمن، - هو ابن عوف - عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ افضل الصيام بعد شهر رمضان شهر الله المحرم وافضل الصلاة بعد الفريضة صلاة الليل ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Humaid bin 'Abdur-Rahman- that is Ibn 'Awf, that Abu Hurairah said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The best fasting after the month of Ramadan is the month of Allah, Al-Muharram, and the best prayer is prayer at night.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১৭

পরিচ্ছেদঃ ৬/ রাত্রের সালাতের ফযীলত

১৬১৭। সুওয়াইদ ইবনু নাসর (রহঃ) ... আবূ বিশর জাফর ইবনু আবূ ওয়াহশিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি হুমায়দ ইবনু আব্দুর রহমান (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল তাহাজ্জুদের সালাত। আর রমযানের সাওমের পর সর্বোত্তম সাওম হল মুহাররম মাসের সাওম (আশূরার সাওম)।

শুবা ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ) উক্ত হাদিসকে সাহাবীর নাম উল্লেখ না করে বর্ণনা করেছেন।

باب فَضْلِ صَلاَةِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، جَعْفَرِ بْنِ أَبِي وَحْشِيَّةَ أَنَّهُ سَمِعَ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ قِيَامُ اللَّيْلِ وَأَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ الْمُحَرَّمُ ‏"‏ ‏.‏ أَرْسَلَهُ شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ ‏.‏

اخبرنا سويد بن نصر، قال انبانا عبد الله، قال حدثنا شعبة، عن ابي بشر، جعفر بن ابي وحشية انه سمع حميد بن عبد الرحمن، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ افضل الصلاة بعد الفريضة قيام الليل وافضل الصيام بعد رمضان المحرم ‏"‏ ‏.‏ ارسله شعبة بن الحجاج ‏.‏


It was narrated from Abu Bishr Ja'far bin Abi Wahshiyyah that:
He heard Humaid bin 'Abdur-Rahman say: "The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The best prayer after the obligatory (fard) prayers is prayer at night and the best fasting after the month of Ramadan is Al-Muharram.'" Shu'bah bin Al-Hajjaj narrated it in Mursal form.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু বিশর (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১৮

পরিচ্ছেদঃ ৭/ সফরকালীন সময়ে রাত্রে সালাত আদায় করার ফযীলত

১৬১৮। মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... আবূ যর (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন। এক, ঐ দানকারী ব্যক্তিকে যে ব্যক্তি কোন গোত্রের কাছে এসে আল্লাহর ওয়াস্তে সাহায্য চায়; তার এবং উক্ত গোত্রের মধ্যকার কোন আত্মীয়তার সমন্ধের দোহাই দিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে না। গোত্রের লোকেরা তাকে সাহায্যদানে অস্বীকৃতি জানায় (তাদের মধ্য থেকে) এক ব্যক্তি তাদের পেছনে থেকে গিয়ে তাকে গোপনে কিছু দান করবে। তার দান সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা এবং গ্রহন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ অবগত হয় না। দুই, ঐ ব্যক্তি যখন তার সহযাত্রীগণ রাত্রে সফর করে, নিদ্রা যখন তাদের কাছে অত্যধিক প্রিয় হয়ে দাঁড়ায় এবং তার সফর ক্ষান্ত দিয়ে নিন্দ্রা যায়, তখন সে জাগ্রত হয়ে আমার (আল্লাহ তা’আলা) নিকটে কায়মনোবাক্যে কান্নাকাটি করে দোয়া করে এবং আমার কুরআনে করীমের আয়াত তিলাওয়াত করে। তিন, ঐ ব্যক্তি যে কোন যুদ্ধে গমন পূর্বক শত্রু বাহিনীর মোকাবেলা করে তাদের পরাজিত করে দেয় এবং সম্মুখে অগ্রসর হয়ে শহীদ অথবা গাজী হয়।

باب فَضْلِ صَلاَةِ اللَّيْلِ فِي السَّفَرِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، قَالَ سَمِعْتُ رِبْعِيًّا، عَنْ زَيْدِ بْنِ ظَبْيَانَ، رَفَعَهُ إِلَى أَبِي ذَرٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ ثَلاَثَةٌ يُحِبُّهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ رَجُلٌ أَتَى قَوْمًا فَسَأَلَهُمْ بِاللَّهِ وَلَمْ يَسْأَلْهُمْ بِقَرَابَةٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ فَمَنَعُوهُ فَتَخَلَّفَهُمْ رَجُلٌ بِأَعْقَابِهِمْ فَأَعْطَاهُ سِرًّا لاَ يَعْلَمُ بِعَطِيَّتِهِ إِلاَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَالَّذِي أَعْطَاهُ وَقَوْمٌ سَارُوا لَيْلَتَهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ النَّوْمُ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِمَّا يُعْدَلُ بِهِ نَزَلُوا فَوَضَعُوا رُءُوسَهُمْ فَقَامَ يَتَمَلَّقُنِي وَيَتْلُو آيَاتِي وَرَجُلٌ كَانَ فِي سَرِيَّةٍ فَلَقُوا الْعَدُوَّ فَانْهَزَمُوا فَأَقْبَلَ بِصَدْرِهِ حَتَّى يُقْتَلَ أَوْ يُفْتَحَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا محمد بن المثنى، قال حدثنا محمد، قال حدثنا شعبة، عن منصور، قال سمعت ربعيا، عن زيد بن ظبيان، رفعه الى ابي ذر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ثلاثة يحبهم الله عز وجل رجل اتى قوما فسالهم بالله ولم يسالهم بقرابة بينه وبينهم فمنعوه فتخلفهم رجل باعقابهم فاعطاه سرا لا يعلم بعطيته الا الله عز وجل والذي اعطاه وقوم ساروا ليلتهم حتى اذا كان النوم احب اليهم مما يعدل به نزلوا فوضعوا رءوسهم فقام يتملقني ويتلو اياتي ورجل كان في سرية فلقوا العدو فانهزموا فاقبل بصدره حتى يقتل او يفتح له ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Zaid bin Zabyan who attributed it to Abu Dharr that:
The Prophet (ﷺ) said: "There are three whom Allah (SWT) loves: A man who comes to some people and asks (to be given something) for the sake of Allah and not for the sake of their relationship, but they do not give him, so a man stayed behind and gave it to him in secret, and no one knew of his giving except Allah (SWT) and the one to whom he gave it. People who travel all night until sleep becomes dearer to them than anything equated with it, so they lay down their heads (and slept), then a man among them got up and started praying to Me and beseeching Me, reciting My Verses. And a man who was on a campaign and met the enemy and they fled, but he went forward (pursuing them) until he was killed or victory was granted."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬১৯

পরিচ্ছেদঃ ৮/ তাহজ্জুদের সালাতের জন্য জাগ্রত হওয়ার সময়

১৬১৯। মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম বসরী (রহঃ) ... মাসরূক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন কাজটি অত্যধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি বললাম, তিনি রাত্রের কোন সময়ে জাগ্রত হতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাকের আওয়াজ শুনতে পেতেন।

باب وَقْتِ الْقِيَامِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَصْرِيُّ، عَنْ بِشْرٍ، - هُوَ ابْنُ الْمُفَضَّلِ - قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَىُّ الأَعْمَالِ أَحَبُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتِ الدَّائِمُ ‏.‏ قُلْتُ فَأَىُّ اللَّيْلِ كَانَ يَقُومُ قَالَتْ إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ ‏.‏

اخبرنا محمد بن ابراهيم البصري، عن بشر، - هو ابن المفضل - قال حدثنا شعبة، عن اشعث بن سليم، عن ابيه، عن مسروق، قال قلت لعاىشة اى الاعمال احب الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت الداىم ‏.‏ قلت فاى الليل كان يقوم قالت اذا سمع الصارخ ‏.‏


It was narrated that Masruq said:
"I said to 'Aishah: 'Which deed was most beloved to the Messenger of Allah (ﷺ)?' She said: 'That which was done persistently.' I said: 'At what part of the night did he pray Qiyam?' She said: 'When he heard the rooster.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
১৬২০

পরিচ্ছেদঃ ৯/ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার পর যিক্‌র

১৬২০। ইসমাত ইবনু ফযল (রহঃ) ... আসিম ইবনু হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার পর কি করতেন? তিনি বললেন, তুমি আজ আমাকে এমন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছ, যে বিষয়ে তোমার পূর্বে অন্য কেউ আমাকে প্রশ্ন করেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশবার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) দশবার তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ) দশবার তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) দশবার তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এবং দশবার ইস্তিগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) পড়তেন আর বলতেন,

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

باب ذِكْرِ مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الْقِيَامُ

أَخْبَرَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَفْتِحُ قِيَامَ اللَّيْلِ قَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَبِّرُ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُسَبِّحُ عَشْرًا وَيُهَلِّلُ عَشْرًا وَيَسْتَغْفِرُ عَشْرًا وَيَقُولُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا عصمة بن الفضل، قال حدثنا زيد بن الحباب، عن معاوية بن صالح، قال حدثنا الازهر بن سعيد، عن عاصم بن حميد، قال سالت عاىشة بما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يستفتح قيام الليل قالت لقد سالتني عن شىء ما سالني عنه احد قبلك كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يكبر عشرا ويحمد عشرا ويسبح عشرا ويهلل عشرا ويستغفر عشرا ويقول ‏ "‏ اللهم اغفر لي واهدني وارزقني وعافني اعوذ بالله من ضيق المقام يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that 'Asim bin Humaid said:
"I asked 'Aishah with what did he- meaning the Prophet (ﷺ)- start Qiyam Al-Lail? She said: 'You have asked me something which no one before you has asked. The Messenger of Allah (ﷺ) used to say the takbir ten times, the tahmid ten times, the tasbih ten times, and the tahlil ten times, and pray for forgiveness ten times, and say: Allahummaghfirli, wahdini, warzuqni wa 'afini. A'udhu billahi min diqil-maqami yawmal-qiyamah (O Allah, forgive me, guide me, grant me provision and good health. I seek refuge with Allah from the difficulty of standing on the Day of Resurrection.)"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০/ তাহাজ্জুদ ও দিনের নফল নামাজ (كتاب قيام الليل وتطوع النهار) 20/ The Book of Qiyam Al-Lail (The Night Prayer) and Voluntary Prayers During the Day
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 8 9 10 11 পরের পাতা »