সুনান ইবনু মাজাহ ৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن)
৩৯২৭

পরিচ্ছেদঃ ৩০/১. যে ব্যক্তি ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ বলে, তার উপর হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা

১/৩৯২৭। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি যাবত না তারা বলে, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই)। তারা এটা বললে আমার থেকে তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করলো। কিন্তু দীন ইসলামের অধিকারের বিষয়টি স্বতন্ত্র। তাদের চূড়ান্ত হিসাব গ্রহণের ভার আল্লাহর উপর ন্যস্ত।

بَاب الْكَفِّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا قَالُوهَا عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابو معاوية، وحفص بن غياث، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله فاذا قالوها عصموا مني دماءهم واموالهم الا بحقها وحسابهم على الله عز وجل ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I have been commanded to fight the people until they say: La ilaha illallah. If they say it, then their blood and wealth are protected from me, except for a right that is due from it, and their reckoning will be with Allah.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯২৮

পরিচ্ছেদঃ ৩০/১. যে ব্যক্তি ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ বলে, তার উপর হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা

২/৩৯২৮। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ না বলা পর্যন্ত আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। তারা ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ বললে আমার থেকে তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করলো। কিন্তু দীন ইসলামের অধিকারের বিষয়টি স্বতন্ত্র। তাদের চূড়ান্ত হিসাব গ্রহণের বিষয়টি আল্লাহর উপর ন্যস্ত।

بَاب الْكَفِّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا قَالُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا سويد بن سعيد، حدثنا علي بن مسهر، عن الاعمش، عن ابي سفيان، عن جابر، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله فاذا قالوا لا اله الا الله عصموا مني دماءهم واموالهم الا بحقها وحسابهم على الله ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Jabir that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I have been commanded to fight the people until they say: La ilaha illallah. If they say: La ilaha illallah, then their blood and wealth are protected from me, except for a right that is due from it, and their reckoning will be with Allah.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯২৯

পরিচ্ছেদঃ ৩০/১. যে ব্যক্তি ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ বলে, তার উপর হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা

৩/৩৯২৯। আওস (রাঃ) বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি আমাদেরকে (অতীতের) ঘটনাবলী উল্লেখপূর্বক উপদেশ দিচ্ছিলেন। ইত্যবসরে এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে তাঁর সাথে একান্তে কিছু বললো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করো। লোকটি ফিরে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, ’’আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই’’? সে বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ যাও, তোমরা তাকে তার পথে ছেড়ে দাও। কারণ লোকেরা ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ না বলা পর্যন্ত আমাকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা তাই করলে তাদের জান-মালে হস্তক্ষেপ আমার জন্য হারাম হয়ে গেলো।

بَاب الْكَفِّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ أَوْسًا أَخْبَرَهُ قَالَ إِنَّا لَقُعُودٌ عِنْدَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَقُصُّ عَلَيْنَا وَيُذَكِّرُنَا إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ فَسَارَّهُ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ اذْهَبُوا بِهِ فَاقْتُلُوهُ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا وَلَّى الرَّجُلُ دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏"‏ هَلْ تَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ قَالَ ‏"‏ اذْهَبُوا فَخَلُّوا سَبِيلَهُ فَإِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ حَرُمَ عَلَىَّ دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عبد الله بن بكر السهمي، حدثنا حاتم بن ابي صغيرة، عن النعمان بن سالم، ان عمرو بن اوس، اخبره ان اباه اوسا اخبره قال انا لقعود عند النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ وهو يقص علينا ويذكرنا اذ اتاه رجل فساره فقال النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ اذهبوا به فاقتلوه ‏"‏ ‏.‏ فلما ولى الرجل دعاه رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ فقال ‏"‏ هل تشهد ان لا اله الا الله ‏"‏ ‏.‏ قال نعم قال ‏"‏ اذهبوا فخلوا سبيله فانما امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله فاذا فعلوا ذلك حرم على دماوهم واموالهم ‏"‏ ‏.‏


‘Amr bin Aws narrated that his father, Aws, told him:
“We were sitting with the Prophet (ﷺ) and he was narrating to us and reminding us, when a man came and spoke privately to him. He said: ‘Take him away and kill him.’ When the man turned away, the Messenger of Allah (ﷺ) called him back and said: ‘Do you bear witness that none has the right to be worshiped but Allah?’ He said, ‘Yes.’ He said: ‘Then go and let him go, for I have been commanded to fight the people until they say: La ilaha illallah, then if they do that, their blood and wealth are forbidden to me.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩০

পরিচ্ছেদঃ ৩০/১. যে ব্যক্তি ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ বলে, তার উপর হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা

৪/৩৯৩০। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাফে ইবনুল আযরাক (রাঃ) ও তার সাথীরা (আমার নিকট) এসে বললো, হে ইমরান! তুমি ধ্বংস হয়ে গেছো। তিনি বলেন, আমি ধ্বংস হইনি। তারা বলেন, আল্লাহ বলেছেন (রাঃ) ’’তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকো যতক্ষণ না ফেতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়’’ ( ৮ঃ ৩৯)। তিনি বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে এতটা যুদ্ধ করেছি যে, তাদেরকে নির্বাসিত করেছি। ফলে আল্লাহর দীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তোমরা চাইলে আমি তোমাদের নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করতে পারি, যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট শুনেছি। তারা বলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট তা শুনেছেন? তিনি বলেন, হাঁ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি একটি সামরিক বাহিনী মুশরিকদের বিরুদ্ধে পাঠালেন।

মুসলিমরা তাদের মোকাবিলায় অবতীর্ণ হয়ে ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হলো। মুশরিকরা পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করলো। আমার এক বন্ধু যুদ্ধে লিপ্ত হলো। মুশরিকের উপর বর্শা দ্বারা হামলা করলো, তিনি তাকে পাকড়াও করলে সে বলতে লাগলো, ’’আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। নিশ্চয় আমি একজন মুসলিম’’। তিনি তাকে ভৎসনা করলেন এবং তাকে হত্যা করলেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে একবার বা দু’বার বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। অতঃপর তিনি যা করেছেন তা তাঁর নিকট বর্ণনা করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি তার পেট চিরে দেখলে না কেন? তাহলে তো তুমি তার অন্তরের খবর জানতে পারতে! তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তার পেট চিরে ফেললেও তার অন্তরের খবর জানতে পারতাম না। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি তার উচ্চারিত স্বীকারোক্তি কেন কবুল করলে না, অথচ তুমি তার অন্তরের খবর জানতে না?

ইমরান (রাঃ) বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন। অবশেষে লোকটি মারা গেলে আমরা তাকে দাফন করলাম। ভোরে উঠে আমরা দেখলাম যে, তার লাশ কবরের বাইরে যমীনের উপরে পড়ে আছে। তারা বললেন, হয়ত কোন শত্রু কবর খুঁড়ে একে বের করে তুলে রেখেছে। অতঃপর আমরা তাকে আবার দাফন করলাম এবং আমাদের যুবকদের তার কবর পাহারা দিতে নির্দেশ দিলাম। আমরা পরদিন ভোরবেলা দেখতে পেলাম যে, তার লাশ কবরের বাইরে যমীনের উপর পড়ে আছে। আমরা বললাম, হয়ত প্রহরীরা তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। আমরা পুনরায় তাকে দাফন করলাম এবং নিজেরাই প্রহরায় রত হলাম। প্রত্যুষে আমরা দেখলাম, সে কবরের বাইরে যমীনের উপর পড়ে আছে। অবশেষে আমরা তাকে এক গিরিসংকটে নিক্ষেপ করলাম।


৫/৩৯৩০(১)। ইমরান ইবনুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এক ক্ষুদ্র সামরিক অভিযানে পাঠান, তাতে এক মুসলিম এক মুশরিকের উপর চড়াও হলো। অতঃপর তিনি পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন ...। এ বর্ণনায় আরো আছেঃ যমীন তাকে উৎক্ষিপ্ত করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খবর দেয়া হলো। তিনি বলেনঃ যমীন তো অবশ্যি তার চেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিকেও গ্রহণ করে। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা তোমাদের দেখাতে চান যে, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’-এর মর্যাদা ও মাহাত্ম্য কত বেশী।

بَاب الْكَفِّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ السُّمَيْطِ بْنِ السَّمِيرِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالَ أَتَى نَافِعُ بْنُ الْأَزْرَقِ وَأَصْحَابُهُ فَقَالُوا هَلَكْتَ يَا عِمْرَانُ قَالَ مَا هَلَكْتُ قَالُوا بَلَى قَالَ مَا الَّذِي أَهْلَكَنِي قَالُوا قَالَ اللهُ ( وَقَاتِلُوهُمْ حَتّٰى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلهِ ) قَالَ قَدْ قَاتَلْنَاهُمْ حَتّٰى نَفَيْنَاهُمْ فَكَانَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلهِ إِنْ شِئْتُمْ حَدَّثْتُكُمْ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالُوا وَأَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ نَعَمْ شَهِدْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ وَقَدْ بَعَثَ جَيْشًا مِنْ الْمُسْلِمِينَ إِلَى الْمُشْرِكِينَ فَلَمَّا لَقُوهُمْ قَاتَلُوهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا فَمَنَحُوهُمْ أَكْتَافَهُمْ فَحَمَلَ رَجُلٌ مِنْ لُحْمَتِي عَلَى رَجُلٍ مِنْ الْمُشْرِكِينَ بِالرُّمْحِ فَلَمَّا غَشِيَهُ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ إِنِّي مُسْلِمٌ فَطَعَنَهُ فَقَتَلَهُ فَأَتَى رَسُولَ اللهِ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ هَلَكْتُ قَالَ وَمَا الَّذِي صَنَعْتَ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي صَنَعَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَهَلَّا شَقَقْتَ عَنْ بَطْنِهِ فَعَلِمْتَ مَا فِي قَلْبِهِ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ لَوْ شَقَقْتُ بَطْنَهُ لَكُنْتُ أَعْلَمُ مَا فِي قَلْبِهِ قَالَ فَلَا أَنْتَ قَبِلْتَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ وَلَا أَنْتَ تَعْلَمُ مَا فِي قَلْبِهِ قَالَ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا حَتّٰى مَاتَ فَدَفَنَّاهُ فَأَصْبَحَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ فَقَالُوا لَعَلَّ عَدُوًّا نَبَشَهُ فَدَفَنَّاهُ ثُمَّ أَمَرْنَا غِلْمَانَنَا يَحْرُسُونَهُ فَأَصْبَحَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ فَقُلْنَا لَعَلَّ الْغِلْمَانَ نَعَسُوا فَدَفَنَّاهُ ثُمَّ حَرَسْنَاهُ بِأَنْفُسِنَا فَأَصْبَحَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ فَأَلْقَيْنَاهُ فِي بَعْضِ تِلْكَ الشِّعَابِ

حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ حَفْصٍ الْأَيْلِيُّ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ السُّمَيْطِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ فِي سَرِيَّةٍ فَحَمَلَ رَجُلٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ عَلَى رَجُلٍ مِنْ الْمُشْرِكِينَ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَزَادَ فِيهِ فَنَبَذَتْهُ الْأَرْضُ فَأُخْبِرَ النَّبِيُّ ﷺ وَقَالَ إِنَّ الْأَرْضَ لَتَقْبَلُ مَنْ هُوَ شَرٌّ مِنْهُ وَلَكِنَّ اللهَ أَحَبَّ أَنْ يُرِيَكُمْ تَعْظِيمَ حُرْمَةِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ.

حدثنا سويد بن سعيد حدثنا علي بن مسهر عن عاصم عن السميط بن السمير عن عمران بن الحصين قال اتى نافع بن الازرق واصحابه فقالوا هلكت يا عمران قال ما هلكت قالوا بلى قال ما الذي اهلكني قالوا قال الله ( وقاتلوهم حتى لا تكون فتنة ويكون الدين كله لله ) قال قد قاتلناهم حتى نفيناهم فكان الدين كله لله ان شىتم حدثتكم حديثا سمعته من رسول الله ﷺ قالوا وانت سمعته من رسول الله ﷺ قال نعم شهدت رسول الله ﷺ وقد بعث جيشا من المسلمين الى المشركين فلما لقوهم قاتلوهم قتالا شديدا فمنحوهم اكتافهم فحمل رجل من لحمتي على رجل من المشركين بالرمح فلما غشيه قال اشهد ان لا اله الا الله اني مسلم فطعنه فقتله فاتى رسول الله ﷺ فقال يا رسول الله هلكت قال وما الذي صنعت مرة او مرتين فاخبره بالذي صنع فقال له رسول الله ﷺ فهلا شققت عن بطنه فعلمت ما في قلبه قال يا رسول الله لو شققت بطنه لكنت اعلم ما في قلبه قال فلا انت قبلت ما تكلم به ولا انت تعلم ما في قلبه قال فسكت عنه رسول الله ﷺ فلم يلبث الا يسيرا حتى مات فدفناه فاصبح على ظهر الارض فقالوا لعل عدوا نبشه فدفناه ثم امرنا غلماننا يحرسونه فاصبح على ظهر الارض فقلنا لعل الغلمان نعسوا فدفناه ثم حرسناه بانفسنا فاصبح على ظهر الارض فالقيناه في بعض تلك الشعاب حدثنا اسمعيل بن حفص الايلي حدثنا حفص بن غياث عن عاصم عن السميط عن عمران بن الحصين قال بعثنا رسول الله ﷺ في سرية فحمل رجل من المسلمين على رجل من المشركين فذكر الحديث وزاد فيه فنبذته الارض فاخبر النبي ﷺ وقال ان الارض لتقبل من هو شر منه ولكن الله احب ان يريكم تعظيم حرمة لا اله الا الله.


It was narrated from Sumait bin Sumair, that ‘Imran bin Husain said:
“Nafi’ bin Azraq and his companions came and said: ‘You are doomed, O ‘Imran!’ He (‘Imran) said: ‘I am not doomed.’ They said: ‘Yes you are.’ I said: ‘Why am I doomed?’ They said: ‘Allah says: “And fight them until there is no more Fitnah (disbelief and polytheism, i.e., worshipping others besides Allah), and the religion (worship) will be all for Allah Alone.”[8:39] He said: ‘We fought them until they were defeated and the religion was all for Allah Alone. If you wish, I will tell you a Hadith that I heard from the Messenger of Allah (ﷺ).’ They said: ‘Did you (really) hear it from the Messenger of Allah (ﷺ)?’ He said: ‘Yes. I was with the Messenger of Allah (ﷺ) and he had sent an army of the Muslims to the idolaters. When they met them they fought them fiercely, and they (the idolaters) gave them their shoulders (i.e., turned and fled). A man among my kin attacked an idolator man with a spear, and when he was defeated he said: “I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I am a Muslim.” But he stabbed him and killed him. He came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: “O Messenger of Allah, I am doomed.” He said “What is it that you have done?” one or two times. He told him what he had done and the Messenger of Allah (ﷺ) said to him: “Why didn’t you cut open his belly and find out what was in his heart?” He said: “O Messenger of Allah, I wish I had cut open his belly and could have known what was in his heart.” He said: “You did not accept what he said, and you could not have known what was in his heart!” The Messenger of Allah (ﷺ) remained silent concerning him (that man), and a short while later he died. We buried him, but the following morning he was on the surface of the earth. They said: “Perhaps an enemy of his disinterred him.” So we buried him (again) and told our slaves to stand guard. But the following morning he was on the surface of the earth again then we said: ‘Perhaps the slaves dozed off.’ So we buried him (again) and stood guard ourselves, but the following morning he was on the surface of the earth (again). So we threw him into one of these mountain passes.’”

It was narrated from Sumait, from ‘Imran bin Husain who said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) sent us on a campaign, and a Muslim man attacked an idolater man.” And he mentioned the Hadith and added: “And the earth cast him out. The Prophet (ﷺ) was told about that and he said: ‘The earth accepts those who are worse than him, but Allah wanted to show you how great is the sanctity of La ilaha illallah.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩১

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২. মুমিন ব্যক্তির জান-মালের নিরাপত্তা

১/৩৯৩১। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জে বলেছেনঃ সাবধান! তোমাদের এই দিন সর্বাপেক্ষা সম্মানিত দিন। সাবধান তোমাদের এই মাস সর্বাপেক্ষা সম্মানিত মাস। সাবধান! তোমাদের এই শহর সর্বাপেক্ষা সম্মানিত শহর। সাবধান! তোমদের জীবন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের উজ্জত-আবরু তোমাদের পরস্পরের জন্য তো পবিত্র, যেমন এই দিন, এই মাস ও এই শহর। শোন! আমি কি (আল্লাহর পয়গাম) পৌঁছে দিয়েছি? সমবেত জনমন্ডলী বলেন, হাঁ। তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাকো।

بَاب حُرْمَةِ دَمِ الْمُؤْمِنِ وَمَالِهِ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ ‏"‏ أَلاَ إِنَّ أَحْرَمَ الأَيَّامِ يَوْمُكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنَّ أَحْرَمَ الشُّهُورِ شَهْرُكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنَّ أَحْرَمَ الْبَلَدِ بَلَدُكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ اشْهَدْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هشام بن عمار، حدثنا عيسى بن يونس، حدثنا الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ في حجة الوداع ‏"‏ الا ان احرم الايام يومكم هذا الا وان احرم الشهور شهركم هذا الا وان احرم البلد بلدكم هذا الا وان دماءكم واموالكم عليكم حرام كحرمة يومكم هذا في شهركم هذا في بلدكم هذا الا هل بلغت ‏"‏ ‏.‏ قالوا نعم ‏.‏ قال ‏"‏ اللهم اشهد ‏"‏ ‏.‏



It was narrated that Abu Sa’eed said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said, during the Farewell Pilgrimage: ‘Is not the most sacred of your days this day, is not the most sacred of your months this month, is not the most sacred of your lands this land? Your blood and your wealth are as sacred to you as this day of yours in this month of yours. Have I not conveyed (the message)?’ They said: ‘Yes.” He said: ‘O Allah, bear witness.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩২

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২. মুমিন ব্যক্তির জান-মালের নিরাপত্তা

২/৩৯৩২। আবদুল্লাহ ’ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কাবা ঘর তাওয়াফ করতে দেখলাম এবং তিনি বলছিলেনঃ কত উত্তম তুমি হে কাবা! আর্কষীয় তোমার খোশবু, কত উচ্চ মর্যাদা তোমার ( হে কাবা)! কত মহান সম্মান তোমার। সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! আল্লাহর নিকট মুমিন ব্যক্তির জান-মাল ও ইজ্জতের মর্যাদা তোমার চেয়ে অনেক বেশী। আমরা মুমিন ব্যক্তি সম্পর্কে সুধারণাই পোষণ করি।

بَاب حُرْمَةِ دَمِ الْمُؤْمِنِ وَمَالِهِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ أَبِي ضَمْرَةَ، نَصْرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْحِمْصِيُّ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَيْسٍ النَّصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ وَيَقُولُ ‏ "‏ مَا أَطْيَبَكِ وَأَطْيَبَ رِيحَكِ مَا أَعْظَمَكِ وَأَعْظَمَ حُرْمَتَكِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَحُرْمَةُ الْمُؤْمِنِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ حُرْمَةً مِنْكِ مَالِهِ وَدَمِهِ وَأَنْ نَظُنَّ بِهِ إِلاَّ خَيْرًا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو القاسم بن ابي ضمرة، نصر بن محمد بن سليمان الحمصي حدثنا ابي، حدثنا عبد الله بن ابي قيس النصري، حدثنا عبد الله بن عمر، قال رايت رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ يطوف بالكعبة ويقول ‏ "‏ ما اطيبك واطيب ريحك ما اعظمك واعظم حرمتك والذي نفس محمد بيده لحرمة المومن اعظم عند الله حرمة منك ماله ودمه وان نظن به الا خيرا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that ‘Abdullah bin ‘Amr said:
“I saw the Messenger of Allah (ﷺ) circumambulating the Ka’bah and saying: ‘How good you are and how good your fragrance; how great you are and how great your sanctity. By the One in Whose Hand is the soul of Muhammad, the sanctity of the believer is greater before Allah than your sanctity, his blood and his wealth, and to think anything but good of him.’”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২. মুমিন ব্যক্তির জান-মালের নিরাপত্তা

৩/৩৯৩৩। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের জান-মাল ও মান-সম্মানে হস্তক্ষেপ করা অপর মুসলিমের জন্য হারাম।

بَاب حُرْمَةِ دَمِ الْمُؤْمِنِ وَمَالِهِ

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، وَيُونُسُ بْنُ يَحْيَى، جَمِيعًا عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حَرَامٌ دَمُهُ وَمَالُهُ وَعِرْضُهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا بكر بن عبد الوهاب، حدثنا عبد الله بن نافع، ويونس بن يحيى، جميعا عن داود بن قيس، عن ابي سعيد، مولى عبد الله بن عامر بن كريز عن ابي هريرة، ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ كل المسلم على المسلم حرام دمه وماله وعرضه ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The whole of the Muslim is sacred to his fellow Muslim, his blood, his wealth and his honor.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২. মুমিন ব্যক্তির জান-মালের নিরাপত্তা

৪/৩৯৩৪। ফালাদা ইবনে উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুমিন সেই ব্যক্তি যার হস্তক্ষেপ থেকে মানুষের জান-মাল নিরাপদ থাকে এবং মুহাজির সেই ব্যক্তি, যে মন্দ কাজ ও গুনাহ ত্যাগ করেছে।

بَاب حُرْمَةِ دَمِ الْمُؤْمِنِ وَمَالِهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي هَانِئٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ الْجَنْبِيِّ، أَنَّ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ الْمُؤْمِنُ مَنْ أَمِنَهُ النَّاسُ عَلَى أَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ الْخَطَايَا وَالذُّنُوبَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا احمد بن عمرو بن السرح المصري، حدثنا عبد الله بن وهب، عن ابي هانى، عن عمرو بن مالك الجنبي، ان فضالة بن عبيد، حدثه ان النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ المومن من امنه الناس على اموالهم وانفسهم والمهاجر من هجر الخطايا والذنوب ‏"‏ ‏.‏


Fadalah bin ‘Ubaid narrated that the Prophet (ﷺ) said:
“The believer is the one from whom their (people’s) wealth and lives are safe, and the Muhajir is the one who forsakes mistakes and sins.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৩. লুট-তরাজ ও ছিনতাই নিষিদ্ধ

১/৩৯৩৫। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে লুটতরাজ ও ছিনতাই করলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

بَاب النَّهْيِ عَنْ النُّهْبَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَنِ انْتَهَبَ نُهْبَةً مَشْهُورَةً فَلَيْسَ مِنَّا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، ومحمد بن المثنى، قالا حدثنا ابو عاصم، حدثنا ابن جريج، عن ابي الزبير، عن جابر بن عبد الله، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ من انتهب نهبة مشهورة فليس منا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Jabir bin ‘Abdullah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever plunders openly is not one of us.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৩. লুট-তরাজ ও ছিনতাই নিষিদ্ধ

২/৩৯৩৬। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যেনাকারী যখন যেনায় লিপ্ত হয় তখন সে মুমিন থাকে না। মদ্যপ যখন মদ পানে লিপ্ত হয় তখন সে মুমিন থাকে না। চোর যখন চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত হয় তখন সে মুমিন থাকে না। আর লুটতরাজ ও ছিনতাইকারী যখন লুটতরাজ ও ছিনতাই করে এবং লোকজন তার দিকে চোখ তুলে তাকায়, তখন সে মুমিন থাকে না।

بَاب النَّهْيِ عَنْ النُّهْبَةِ

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَنْتَهِبُ نُهْبَةً يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عيسى بن حماد، انبانا الليث بن سعد، عن عقيل، عن ابن شهاب، عن ابي بكر بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام، عن ابي هريرة، ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ لا يزني الزاني حين يزني وهو مومن ولا يشرب الخمر حين يشربها وهو مومن ولا يسرق السارق حين يسرق وهو مومن ولا ينتهب نهبة يرفع الناس اليه ابصارهم حين ينتهبها وهو مومن ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The adulterer, at the time he is committing adultery, is not a believer; (the wine drinker) at the time he is drinking, is not a believer; the thief, at the time he is stealing, is not a believer; the plunderer, at the time he is plundering with the people looking on, is not a believer.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৩. লুট-তরাজ ও ছিনতাই নিষিদ্ধ

৩/৩৯৩৭। ইমরান ইবনুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি ছিনতাই ও লুটতরাজ করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

بَاب النَّهْيِ عَنْ النُّهْبَةِ

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَنِ انْتَهَبَ نُهْبَةً فَلَيْسَ مِنَّا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا حميد بن مسعدة، حدثنا يزيد بن زريع، حدثنا حميد، حدثنا الحسن، عن عمران بن الحصين، ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ من انتهب نهبة فليس منا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from ‘Imran bin Husain that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever plunders is not one of us.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৩. লুট-তরাজ ও ছিনতাই নিষিদ্ধ

৪/৩৯৩৮। সালামা ইবনুল হাকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা শত্রুপক্ষের মেষপালের নাগাল পেয়ে তা লুট করলাম। অতঃপর আমরা সেগুলোর মাংস পাতিলে করে রান্না করছিলাম। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাতিলগুলো অতিক্রমকালে (সেগুলো উল্টে) ফেলে দেয়ার নির্দেশ দিলে তা উল্টে ফেলে দেয়া হলো। অতঃপর তিনি বলেনঃ লুটতরাজ করা হালাল নয়।

بَاب النَّهْيِ عَنْ النُّهْبَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ الْحَكَمِ، قَالَ أَصَبْنَا غَنَمًا لِلْعَدُوِّ فَانْتَهَبْنَاهَا فَنَصَبْنَا قُدُورَنَا فَمَرَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالْقُدُورِ فَأَمَرَ بِهَا فَأُكْفِئَتْ ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ النُّهْبَةَ لاَ تَحِلُّ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابو الاحوص، عن سماك، عن ثعلبة بن الحكم، قال اصبنا غنما للعدو فانتهبناها فنصبنا قدورنا فمر النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ بالقدور فامر بها فاكفىت ثم قال ‏ "‏ ان النهبة لا تحل ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Tha’labah bin Hakam said:
“We came across some of the enemy’s sheep and plundered them, and set up our cooking pots. The Prophet (ﷺ) passed by the pots and ordered that they be overturned, then he said: ‘Plunder is not permissible.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৪. মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী এবং তাকে হত্যা করা কুফরী

১/৩৯৩৯। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী এবং তাকে হত্যা করা কুফরী।

بَاب سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هشام بن عمار، حدثنا عيسى بن يونس، حدثنا الاعمش، عن شقيق، عن ابن مسعود، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ سباب المسلم فسوق وقتاله كفر ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ibn Mas’ud that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Verbally abusing a Muslim is Fusuq disobedience and fighting him is Kufr (ungratefulness to Allah).’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৪০

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৪. মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী এবং তাকে হত্যা করা কুফরী

২/৩৯৪০। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী এবং তাকে হত্যা করা কুফরী।

بَاب سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الأَسَدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو هِلاَلٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا محمد بن الحسن الاسدي، حدثنا ابو هلال، عن ابن سيرين، عن ابي هريرة، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ سباب المسلم فسوق وقتاله كفر ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said:
“Verbally abusing a Muslim is Fusuq (disobedience) and fighting him is Kufr (ungratefulness to Allah).”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৪১

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৪. মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী এবং তাকে হত্যা করা কুফরী

৩/৩৯৪১। সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী এবং তাকে হত্যা করা কুফরী।

بَاب سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا علي بن محمد، حدثنا وكيع، عن شريك، عن ابي اسحاق، عن محمد بن سعد، عن سعد، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ سباب المسلم فسوق وقتاله كفر ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Sa’d that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Verbally abusing a Muslim is Fusuq (disobedience) and fighting him is Kufr.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৪২

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৫. আমার পরে তোমরা পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে কুফরীতে ফিরে যেও না

১/৩৯৪২। জাবীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জে লোকেদেরকে নীরব নিস্তব্ধ করিয়ে বলেনঃ আমার পরে তোমরা পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে কুফরীতে ফিরে যেও না।

بَاب لَا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ ‏"‏ اسْتَنْصِتِ النَّاسَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا محمد بن جعفر، وعبد الرحمن بن مهدي، قالا حدثنا شعبة، عن علي بن مدرك، قال سمعت ابا زرعة بن عمرو بن جرير، يحدث عن جرير بن عبد الله، ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال في حجة الوداع ‏"‏ استنصت الناس ‏"‏ ‏.‏ فقال ‏"‏ لا ترجعوا بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Jarir bin ‘Abdullah that the Messenger of Allah (ﷺ) said, during the Farewell Pilgrimage:
“Make the people pay attention.” Then he said: “Do not turn back into disbelievers after I am gone, striking one another’s necks.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৫. আমার পরে তোমরা পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে কুফরীতে ফিরে যেও না

২/৩৯৪৩। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের জন্য আপসোস! তোমাদের জন্য দুর্ভাগ্য! আমার পরে তোমরা পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে কুফরীতে ফিরে যেও না।

بَاب لَا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ وَيْحَكُمْ - أَوْ وَيْلَكُمْ - لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عبد الرحمن بن ابراهيم، حدثنا الوليد بن مسلم، اخبرني عمر بن محمد، عن ابيه، عن ابن عمر، ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ ويحكم - او ويلكم - لا ترجعوا بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ibn ‘Umar that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Woe to you! Do not turn back into disbelievers after I am gone, striking one another’s necks.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৫. আমার পরে তোমরা পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে কুফরীতে ফিরে যেও না

৩/৩৯৪৪। সুনাবিহী আল-আহমাসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! আমি হাওযে কাওসারে তোমাদের আগেই উপস্থিত থাকবো এবং আমি অন্যান্য উম্মাতদের উপর তোমাদের সংখ্যাধিক্যের গৌরব প্রকাশ করবো। সুতরাং তোমরা আমার পরে পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়ো না।

بَاب لَا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنِ الصُّنَابِحِ الأَحْمَسِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أَلاَ إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تَقْتَتِلُنَّ بَعْدِي ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا ابي ومحمد بن بشر، قالا حدثنا اسماعيل، عن قيس، عن الصنابح الاحمسي، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ الا اني فرطكم على الحوض واني مكاثر بكم الامم فلا تقتتلن بعدي ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Sunabih Al-Ahmasi that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I shall reach the Cistern (Haud) before you, and I will boast of your great numbers before the nations, so do not fight one another after I am gone.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৬. মুসলিমগণ মহামহিমান্বিত আল্লাহর যিম্মায় থাকে

১/৩৯৪৫। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়লো, সে আল্লাহর যিম্মায় থাকলো। অতএব তোমরা আল্লাহর যিম্মাদারিকে নষ্ট করো না। যে ব্যক্তি তাকে হত্যা করবে, আল্লাহ তাকে তলব করে এনে উল্টো মুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।

بَاب الْمُسْلِمُونَ فِي ذِمَّةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَابِسٍ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلاَ تُخْفِرُوا اللَّهَ فِي عَهْدِهِ فَمَنْ قَتَلَهُ طَلَبَهُ اللَّهُ حَتَّى يَكُبَّهُ فِي النَّارِ عَلَى وَجْهِهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عمرو بن عثمان بن سعيد بن كثير بن دينار الحمصي، حدثنا احمد بن خالد الوهبي، حدثنا عبد العزيز بن ابي سلمة الماجشون، عن عبد الواحد بن ابي عون، عن سعد بن ابراهيم، عن حابس اليماني، عن ابي بكر الصديق، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ من صلى الصبح فهو في ذمة الله فلا تخفروا الله في عهده فمن قتله طلبه الله حتى يكبه في النار على وجهه ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Bakr Siddiq that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever offers the morning prayer, he is under the protection of Allah, so do not betray Allah by betraying those who are under His protection. Whoever kills him, Allah will seek him out until He throws him on his face into Hell.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
৩৯৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৬. মুসলিমগণ মহামহিমান্বিত আল্লাহর যিম্মায় থাকে

২/৩৯৪৬। সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়লো সে মহান আল্লাহর যিম্মায় রইলো।

بَاب الْمُسْلِمُونَ فِي ذِمَّةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا روح بن عبادة، حدثنا اشعث، عن الحسن، عن سمرة بن جندب، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ من صلى الصبح فهو في ذمة الله عز وجل ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Samurah bin Jundab that the Prophet (ﷺ) said:
“Whoever offers the morning prayer, he is under the protection of Allah, the Mighty and Sublime.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ কলহ-বিপর্যয় - ফিতনা (كتاب الفتن) 30/ Tribulations
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৭৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 8 9 পরের পাতা »