পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হায়েযগ্রস্ত মহিলা পবিত্রতা লাভ করার পর হায়েযকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতে পারবে
৯৮৯. উম্মু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) নারীরা চল্লিশদিন কিংবা চল্লিশ রাত্রি বিরত থাকতো। আমাদের কেউ কেউ মুখের তামাটে রংয়ের দাগ (দূর করার) জন্য মুখমণ্ডলে ’ওয়ার্’সা’[1] নামক গাছের (নির্যাসের) প্রলেপ ব্যবহার করতেন।[2]
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ। ... হাফিজ তাকরীব’ এ বলেন: একে সহীহ বলেছেন, বুখারী, তিরমিযী, হাকিম, যাহাবী এবং হাসান ও জাইয়্যেদ বলেছেন নববী তার ‘আল মাজমু’ ২/৫২৫ তে...।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/৬৮; আহমাদ ৬/৩০০, ৩০৩, ৩০৪, ৩০৯-৩১০; আবু দাউদ ৩১১; হাকিম ১/১৭৫; দারুকুতনী ১/২২২; বাইহাকী ১/৩৪১; আল মা’রিফাহ নং ২২৮১; ইবনু হিব্বান, আল মাজরুহীন ২/২২৪-২২৫; তিরমিযী ১৩৯; ইবনু মাজাহ ৬৪৮। মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭০২৩ এ আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি।
এ অনুচ্ছেদে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রা: থেকে, যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৭৯১। আরও দেখুন, তালখীসুল হাবীর ১/১৭১।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى عَنْ أَبِي سَهْلٍ الْبَصْرِيِّ عَنْ مُسَّةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ كَانَتْ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً وَكَانَتْ إِحْدَانَا تَطْلِي الْوَرْسَ عَلَى وَجْهِهَا مِنْ الْكَلَفِ
إسناده جيد
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হায়েযগ্রস্ত মহিলা পবিত্রতা লাভ করার পর হায়েযকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতে পারবে
৯৯০. মুয়াবিয়াহ ইবনু কুররাহ হতে বর্ণিত, আয়িয ইবনু আমরের এক স্ত্রী নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) হলেন, তারপর বিশ রাত অতিক্রান্ত হলে সেই স্ত্রী তার (আয়িযের) লেপের নিচে প্রবেশ করতে গেলে তিনি বলেন: তুমি কে? সেই স্ত্রী বললো: আমি অমুক (স্ত্রী)। আমি পবিত্রতা লাভ করেছি’। একথা শুনে তিনি তাকে পা দিয়ে লাথি মেরে বললেন: আমার দীন নিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করো না। (তুমি আমার নিকটবর্তী হয়ো না) যতক্ষণ না চল্লিশ রাত অতিক্রান্ত হয়।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/৩৬৭; দারুকুতনী ১/২২২, দারুকুতনী জালদ-কে যয়ীফ বলেছেন।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ جَلْدٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ أَنَّ امْرَأَةً لِعَائِذِ بْنِ عَمْرٍو نُفِسَتْ فَجَاءَتْ بَعْدَمَا مَضَتْ عِشْرُونَ لَيْلَةً فَدَخَلَتْ فِي لِحَافِهِ فَقَالَ مَنْ هَذِهِ قَالَتْ أَنَا فُلَانَةُ إِنِّي قَدْ تَطَهَّرْتُ فَرَكَضَهَا بِرِجْلِهِ فَقَالَ لَا تُغَرِّنِي عَنْ دِينِي حَتَّى تَمْضِيَ أَرْبَعُونَ لَيْلَةً
إسناده ضعيف جدا
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হায়েযগ্রস্ত মহিলা পবিত্রতা লাভ করার পর হায়েযকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতে পারবে
৯৯১. ইউসুফ ইবনু মাহাক হতে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) মহিলা চল্লিশ দিন মতো অপেক্ষা করবে।[1]
তাখরীজ: এটি ৯৯৪ (অনুবাদে ৯৮৮) এ গত হয়েছে।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْمًا
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হায়েযগ্রস্ত মহিলা পবিত্রতা লাভ করার পর হায়েযকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতে পারবে
৯৯২. (অপর সূত্রে) ইউসুফ ইবনু মাহাক হতে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) মহিলা চল্লিশ দিন মতো অপেক্ষা করবে।[1]
তাখরীজ: পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের হাদীসটি দেখুন।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ النُّفَسَاءُ تَنْتَظِرُ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْمًا
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হায়েযগ্রস্ত মহিলা পবিত্রতা লাভ করার পর হায়েযকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতে পারবে
৯৯৩. মু’তামির তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, হাসান রাহি. বলেন, নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) মহিলা যে রক্ত দেখতে পায়, সে চল্লিশ রাত অপেক্ষা করবে। তারপর সে সালাত আদায় করবে। তিনি বলেন: এবং শা’বী (এ সম্পর্কে) বলেন: (সেই মহিলা) দু’মাস (অপেক্ষা করবে), তারপর (ও স্রাব চলতে থাকলে) সে ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলার স্থলাভিষিক্ত হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/৩৬৭-৩৬৮।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ الْحَسَنَ قَالَ فِي النُّفَسَاءِ الَّتِي تَرَى الدَّمَ تَرَبَّصُ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ تُصَلِّي وَقَالَ الشَّعْبِيُّ شَهْرَيْنِ ثُمَّ هِيَ بِمَنْزِلَةِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أثران بإسناد واحد وهو أسناد جيد
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হায়েযগ্রস্ত মহিলা পবিত্রতা লাভ করার পর হায়েযকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতে পারবে
৯৯৪. আলা’ ইবনুল হারিছ হতে বর্ণিত, মাকহুল বলেন, ছেলে সন্তান হলে মহিলা তিরিশ দিন অপেক্ষা করবে; আর মেয়ে সন্তান হলে চল্লিশ দিন অপেক্ষা করবে। এর অর্থ: নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) মহিলা।
মারওয়ান বলেন: এটি সাঈদ ইবনু আব্দুল আযীযেরও মত। আর আওযাঈ বলেন: তারা (ছেলে-মেয়ে) উভয়ে সমান।[1]
তাখরীজ: এটি আমি আর অন্য কোথাও পাইনি।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَفْطَسُ قَالَ سَمِعْتُ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَارِثِ عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ الْمَرْأَةُ تَنْتَظِرُ مِنْ الْغُلَامِ ثَلَاثِينَ يَوْمًا وَمِنْ الْجَارِيَةِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا يَعْنِي النُّفَسَاءَ قَالَ مَرْوَانُ هُوَ قَوْلُ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ هُمَا سَوَاءٌ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হায়েযগ্রস্ত মহিলা পবিত্রতা লাভ করার পর হায়েযকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতে পারবে
৯৯৫. ইউনুস থেকে বর্ণিত, হাসান রাহি. বলেন, যদি সে (গর্ভবতী) নারী প্রসবের নিকটবর্তী সময়ে দু’-একদনি রক্ত দেখে, তবে তা নিফাসগ্রস্ত মহিলা বলে গণ্য হবে।[1]
তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ إِذَا رَأَتْ الدَّمَ عِنْدَ الطَّلْقِ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ فَهُوَ مِنْ النِّفَاسِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হায়েযগ্রস্ত মহিলা পবিত্রতা লাভ করার পর হায়েযকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতে পারবে
৯৯৬. ইবনু জুরাইজ হতে বর্ণিত, এমন গর্ভবতী মহিলা, যার প্রসব আসন্ন, সে যদি রক্ত দেখতে পায়, তার সম্পর্কে আতা’ রাহি. বলেন, একজন ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা যা করে, সেও তাই করবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। ইবনু জুরাইজ আন’আন পদ্ধতিতে এটি বর্ণনা করেছেন। আর তিনি মুদাল্লিস। কিন্তু এটি ‘হাদ্দাছানা’ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন, আব্দুর রাযযাক নং ১২১২ তে।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/২১৩।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ فِي الْحَامِلِ تَرَى الدَّمَ وَهِيَ تَطْلُقُ قَالَ تَصْنَعُ مَا تَصْنَعُ الْمُسْتَحَاضَةُ
إسناده ضعيف فيه عنعنة ابن جريج