পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের ফযীলত

৬৩৪-[১১] ইবনু মাস্’ঊদ ও সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (উসত্বা- সালাত) মধ্যবর্তী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হচ্ছে ’আসরের সালাত। (তিরমিযী)[1]

عَن ابْن مَسْعُود وَسمرَة بن جُنْدُب قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَاةُ الْوُسْطَى صَلَاةُ الْعَصْرِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

عن ابن مسعود وسمرة بن جندب قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلاة الوسطى صلاة العصر رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: ‘আসরের সালাতকে মধ্যবর্তী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বলা হয় এজন্য যে, এটি রাতের দু’ ওয়াক্ত এবং দিনের দু’ ওয়াক্ত সালাতের মধ্যবর্তী। যেমন হাতে মধ্যমা আঙ্গুল-এর অবস্থান। এ হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, ‘আসরের সালাত মধ্যবর্তী সালাত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের ফযীলত

৬৩৫-[১২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আল্লাহর বাণী اِنَّ قُرْانَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُوْدًا ’’ফজরের (ফজরের) ক্বিরাআতে (সালাতে) উপস্থিত হয়’’- (সূরাহ্ ইসরা ১৭: ৭৮) এর ব্যাখ্যায় বলেন, এতে উপস্থিত হয় রাতের ও দিনের মালায়িকাহ্। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: (إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا)
قَالَ: «تَشْهَدُهُ مَلَائِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلَائِكَةُ النَّهَارِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم في قوله تعالى ان قران الفجر كان مشهوداقال تشهده ملاىكة الليل وملاىكة النهار رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: (إِنَّ قُرْانَ الْفَجْرِ) ‘‘ফাজরের (ফজরের) সালাত।’’ এখানে قُرْانَ শব্দ দ্বারা ক্বিরাআত (কিরআত) উদ্দেশ্য। ক্বিরাআত (কিরআত)কে সালাত নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, তা সালাতের একটি রুকন। আর ক্বিরাআত (কিরআত) ব্যতীত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিশুদ্ধ হয় না। যেমন- রুকূ‘ ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) ব্যতীত সালাত বিশুদ্ধ হয় না। অতএব সালাতকে যেমন রুকূ‘, সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) ও কুনূত তথা ক্বিয়াম (কিয়াম) নামকরণ করা হয়েছে তদ্রূপ সালাতকে ক্বিরাআত (কিরআত) নামকরণ করা হয়েছে। আর অন্যান্য সালাতের মধ্য থেকে ফাজরের (ফজরের) সালাতকে কুরআন তথা ক্বিরাআত (কিরআত) নামকরণের মধ্যে এ ইঙ্গিত রয়েছে যে, ফাজরের (ফজরের) সালাতের ক্বিরাআত (কিরআত) অন্যান্য সালাতের তুলনায় দীর্ঘ করতে হবে যাতে লোকজন কুরআন তিলাওয়াত শুনতে পারে- ‘আল্লামা ত্বীবী এমনটি মন্তব্য করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে