পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান

৬৪৯-[৯] (’আবদুল্লাহ) ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুসলিমরা মদীনায় হিজরত করে আসার পর সালাতের জন্য অনুমান করে একটা সময় ঠিক করে নিতেন। সে সময় সকলে একত্রিত হতেন। কারণ তখনও সালাতের জন্য কেউ আহবান করতো না। একদিন এ বিষয় নিয়ে তারা আলোচনায় বসতেন। কেউ বললেন, নাসারাদের মতো ঘণ্টা বাজানো হোক। আবার কেউ বললেন, ইয়াহূদীদের মতো শিঙ্গার ব্যবস্থা করা হোক। তখন ’উমার (রাঃ) বলেন, তোমরা কি একজন লোক পাঠিয়ে দিয়ে মানুষকে সালাতের জন্য আহবান করতে পারবে? তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বিলাল! উঠো, সালাতের জন্য আহবান করো (আযান দাও)। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ الْمُسْلِمُونَ حِينَ قدمُوا الْمَدِينَة يَجْتَمعُونَ فيتحينون الصَّلَاة لَيْسَ يُنَادِي بِهَا أَحَدٌ فَتَكَلَّمُوا يَوْمًا فِي ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُهُمُ: اتَّخِذُوا مِثْلَ نَاقُوسِ النَّصَارَى وَقَالَ بَعْضُهُمْ: قَرْنًا مِثْلَ قَرْنِ الْيَهُودِ فَقَالَ عُمَرُ أَوَلَا تَبْعَثُونَ رَجُلًا يُنَادِي بِالصَّلَاةِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا بِلَالُ قُم فَنَادِ بِالصَّلَاةِ»

عن ابن عمر قال كان المسلمون حين قدموا المدينة يجتمعون فيتحينون الصلاة ليس ينادي بها احد فتكلموا يوما في ذلك فقال بعضهم اتخذوا مثل ناقوس النصارى وقال بعضهم قرنا مثل قرن اليهود فقال عمر اولا تبعثون رجلا ينادي بالصلاة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا بلال قم فناد بالصلاة

ব্যাখ্যা: হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, সালাতের মানুষকে ডাকার জন্য একজন ব্যক্তিকে পাঠানোর ব্যাপারে ‘উমার (রাঃ)-এর ইশারা, এ ব্যাপারে সাহাবীগণের মধ্যকার পরামর্শের পূর্বের ঘটনা। ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর স্বপ্ন দেখার ঘটনাও এরপরের। ক্বাযী ‘ইয়ায বলেন, এ হাদীসে বিলাল (রাঃ) কর্তৃক সালাতের জন্য মানুষকে ডাকার যে কথা এসেছে তা হচ্ছে মানুষকে সালাতের সময় ঘোষণা জানাবার, বিধিসম্মত আযানের কথা নয়।

আবূ দাঊদ-এ সহীহ সানাদে বর্ণিত ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর হাদীস যে, ‘‘তিনি এক রাত্রে আযান-এর পদ্ধতি স্বপ্নে দেখলেন। অতঃপর তিনি এ খবর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানাতে গেলেন। এমতাবস্থায় ‘উমার (রাঃ)-ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলেন। ঘটনা শুনে ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন তাঁর শপথ সে অর্থাৎ- ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) যা স্বপ্নে দেখেছে আমিও স্বপ্নে তা দেখেছি’’। এ হাদীস প্রমাণ করে যে, এটা ছিল ভিন্ন বৈঠকের ঘটনা। মূলকথা হলো প্রথম ঘটনা ছিল মানুষকে সালাতের সময়ের খবর জানানো। অতঃপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) স্বপ্নে দেখা পদ্ধতিকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শারী‘আহসম্মত বলে ঘোঘণা দেন। বিষয়টিতে ওয়াহীর নির্দেশও রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, আযানের পদ্ধতি শুধু স্বপ্নের উপর ভিত্তি করেই প্রবর্তিত হয়নি।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান

৬৫০-[১০] ’আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ ইবনু ’আবদ রব্বিহী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের জন্য একত্রিত হওয়ার জন্য ঘণ্টা বাজানোর নির্দেশ দিলেন। (সেদিন) আমি স্বপ্নে দেখলামঃ এক লোক একটি ঘণ্টা নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি কি এ ঘণ্টাটা বিক্রি করবে? সে বললো, তুমি এ ঘণ্টা দিয়ে কী করবে? আমি বললাম, আমরা এ ঘণ্টা বাজিয়ে মানুষকে সালাতের জামা’আতে ডাকবো। সে ব্যক্তি বললো, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম পন্থা বলে দিবো না? আমি বললাম, হাঁ অবশ্যই। সে বলল, তুমি বলো, ’আল্লা-হু আকবার’ আযানের শেষ বাক্য পর্যন্ত আমাকে বলে শুনালো। এভাবে ইক্বামাত(ইকামত/একামত)ও বলে দিলো। ভোরে উঠে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট স্বপ্নে যা দেখলাম সব তাঁকে তা বললাম। তিনি বললেন, ইন-শা-আল্লাহ এ স্বপ্ন সত্য। এখন তুমি স্বপ্নে যা দেখেছ বিলালের সাথে দাঁড়িয়ে তাকে বলতে থাকো। আর সে আযান দিতে থাকুক। কারণ তার কণ্ঠস্বর তোমার চেয়ে জোরালো। অতএব আমি বিলালের সাথে দাঁড়িয়ে গিয়ে তাকে বলতে লাগলাম। আর তিনি আযান দিতে থাকলেন।

বর্ণনাকারী বলেন, ’উমার (রাঃ) নিজ বাড়ী থেকে আযানের শব্দ শুনে তাড়াতাড়ি নিজ চাদর টানতে টানতে বেরিয়ে এসে (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে) বলতে লাগলেন, হে আল্লাহর রসূল! সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আমিও একই স্বপ্ন দেখেছি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আলহামদু লিল্লা-হ, অর্থাৎ- আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা। (আবূ দাঊদ, দারিমী ও ইবনু মাজাহ্)[1]

কিন্তু ইবনু মাজাহ ইক্বামাত(ইকামত/একামত)ের কথা উল্লেখ করেননি। ইমাম তিরমিযী বলেছেন, হাদীস সহীহ। তবে তিনি ঘণ্টার কথা উল্লেখ করেননি।

وَعَن عبد الله بن زيد بن عبد ربه قَالَ: لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاقُوسِ يُعْمَلُ لِيُضْرَبَ بِهِ لِلنَّاسِ لِجَمْعِ الصَّلَاةِ طَافَ بِي وَأَنَا نَائِمٌ رَجُلٌ يَحْمِلُ نَاقُوسًا فِي يَدِهِ فَقُلْتُ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَتَبِيعُ النَّاقُوسَ قَالَ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ فَقلت نَدْعُو بِهِ إِلَى الصَّلَاةِ قَالَ أَفَلَا أَدُلُّكَ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكَ فَقُلْتُ لَهُ بَلَى قَالَ فَقَالَ تَقُولَ اللَّهُ أَكْبَرُ إِلَى آخِرِهِ وَكَذَا الْإِقَامَةُ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا رَأَيْتُ فَقَالَ: «إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٍّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَقُمْ مَعَ بِلَالٍ فَأَلْقِ عَلَيْهِ مَا رَأَيْتَ فَلْيُؤَذِّنْ بِهِ فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْك» فَقُمْت مَعَ بِلَال فَجعلت ألقيه عَلَيْهِ وَيُؤَذِّنُ بِهِ قَالَ فَسَمِعَ بِذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ وَيَقُول وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ مَا أَرَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَلِلَّهِ الْحَمْدُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ الْإِقَامَةَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ لَكِنَّهُ لَمْ يُصَرح قصَّة الناقوس

وعن عبد الله بن زيد بن عبد ربه قال لما امر رسول الله صلى الله عليه وسلم بالناقوس يعمل ليضرب به للناس لجمع الصلاة طاف بي وانا ناىم رجل يحمل ناقوسا في يده فقلت يا عبد الله اتبيع الناقوس قال وما تصنع به فقلت ندعو به الى الصلاة قال افلا ادلك على ما هو خير من ذلك فقلت له بلى قال فقال تقول الله اكبر الى اخره وكذا الاقامة فلما اصبحت اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبرته بما رايت فقال انها لرويا حق ان شاء الله فقم مع بلال فالق عليه ما رايت فليوذن به فانه اندى صوتا منك فقمت مع بلال فجعلت القيه عليه ويوذن به قال فسمع بذلك عمر بن الخطاب وهو في بيته فخرج يجر رداءه ويقول والذي بعثك بالحق لقد رايت مثل ما ارى فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فلله الحمد رواه ابو داود والدارمي وابن ماجه الا انه لم يذكر الاقامة وقال الترمذي هذا حديث صحيح لكنه لم يصرح قصة الناقوس

ব্যাখ্যা: এ হাদীস বাহ্যত হানাফী মাযহাবের মত অনুযায়ী ইক্বামাত ও আযানের মতো প্রতি বাক্য দু’বার দু’বার করে বলার পক্ষে প্রমাণ বহন করে বলে মুল্লা ‘আলী ক্বারী হানাফী দাবী করেছেন। তবে এর উত্তরে লেখক বলেন, এ হাদীস হানাফীদের মতকে শক্তিশালী করে না বরং তাদের বিরোধিতা করে এবং তাদের মতকে প্রত্যাখ্যান করে। কারণ এ হাদীসে আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় আযানের পরের ঘটনা এ রকম যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) বলেন, তিনি (আমাকে আযান শিক্ষা দেয়ার পর) বললেন, অতঃপর তুমি সালাতের ইক্বামাত দিবে তখন বলবে, ‘‘আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার্ রসূলুল্ল-হ, হাইয়্যা ‘আলাস্ সলা-হ্, হাইয়্যা ‘আলাল ফালা-হ, ক্বদ্ ক্ব-মাতিস্ সলা-হ্, ক্বদ ক্ব-মাতিস্ সলা-হ্, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’’। এ হাদীস তিরমিযী ও দারিমীতেও সামান্য পরিবর্তন সহ বর্ণিত হয়েছে। বাযলুল মাজহুদ গ্রন্থকার এ প্রসঙ্গে আলোচনা করে শেষে বলেন, এ হাদীসসমূহ প্রমাণ করে যে, ইক্বামাতের বাক্যসমূহ একবার একবার। শুধু ক্বদ ক্ব-মাতিস্ সলা-হ্ বাক্যটি দু’বার।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান

৬৫১-[১১] আবূ বকরাহ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ফাজ্‌রের (ফজরের) সালাতের জন্য বের হলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যার নিকট দিয়েই যেতেন, তাকে সালাতের জন্য আহবান করতেন অথবা নিজের পা দিয়ে তাকে নেড়ে দিয়ে যেতেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن أبي بكرَة قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ فَكَانَ لَا يَمُرُّ بِرَجُلٍ إِلَّا نَادَاهُ بِالصَّلَاةِ أَوْ حَرَّكَهُ بِرِجْلِهِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابي بكرة قال خرجت مع النبي صلى الله عليه وسلم لصلاة الصبح فكان لا يمر برجل الا ناداه بالصلاة او حركه برجله رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা ঘুমন্ত ব্যক্তিকে সালাতের জন্য জাগ্রত করা বা পা নাড়িয়ে উঠানোর প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কারো পা ধরে নাড়িয়ে ঘুম থেকে জাগানো মাকরূহ নয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান

৬৫২-[১২] ইমাম মালিক-এর নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে এ হাদীসটি পৌঁছেছে যে, একজন মুয়াযযিন ’উমার (রাঃ) কে ফজরের (ফজরের) সালাতের জন্য জাগাতে এলে তাকে নিদ্রিত পেলেন। তখন মুয়াযযিন বললেন, ’’আসসলা-তু খয়রুম মিনান্ নাওম’’ (সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ঘুম থেকে উত্তম)। ’উমার (রাঃ) তাকে এ বাক্যটি ফাজ্‌রের (ফজরের) সালাতের আযানে যোগ করার নির্দেশ দিলেন। (মু’আত্তা)[1]

وَعَن مَالك بَلَغَهُ أَنَّ الْمُؤَذِّنَ جَاءَ عُمَرَ يُؤْذِنُهُ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ فَوَجَدَهُ نَائِمًا فَقَالَ: الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فَأَمَرَهُ عُمَرُ أَنْ يَجْعَلَهَا فِي نِدَاءِ الصُّبْح. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ

وعن مالك بلغه ان الموذن جاء عمر يوذنه لصلاة الصبح فوجده ناىما فقال الصلاة خير من النوم فامره عمر ان يجعلها في نداء الصبح رواه في الموطا

ব্যাখ্যা: এ হাদীস এর বাহ্যিক বর্ণনা প্রমাণ করে যে, ফাজরের (ফজরের) আযানের মধ্যে ‘‘আস্ সলা-তু খয়রুম্ মিনান্ নাওম’’ বাক্য প্রবেশ করানো হয়েছে ‘উমার (রাঃ)-এর আদেশে। অথচ এ বাক্যটি ফাজরের (ফজরের) আযানের মধ্যে বলার জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে আদেশ দিয়েছিলেন, এ কথা প্রমাণিত। তাহলে ‘উমার (রাঃ)-এর এ আদেশে এ বাক্যটি ফাজরের (ফজরের) আযানে ঢুকানো হয়েছে বলে যে কথা এ হাদীসে রয়েছে তার উত্তর কী হবে? এর অনেক উত্তর হতে পারে। যেমন- ‘উমার (রাঃ)-এর এ আদেশ দ্বারা বুঝানো হচ্ছে যে, এ বাক্যটি অন্য কোন সালাতের আযানে না বলে শুধু ফাজরের (ফজরের) আযানে বলতে হবে। তার উদ্দেশ্য ছিল বিধিসম্মান আযান ব্যতীত ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করার জন্য আমীরের বাড়ির দরজায় এসে এ বাক্য বলে ডাকা ঠিক না, এ কথা বুঝানো। অর্থাৎ- এ বাক্যটি ফাজরের (ফজরের) আযানে বলা অব্যাহত রাখতে হবে এবং ফাজরের (ফজরের) আযান ছাড়া অন্য কোথাও কাউকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য ব্যবহার করা যাবে না।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান

৬৫৩-[১৩] ’আবদুর রহমান ইবনু সা’দ ইবনু ’আম্মার ইবনু সা’দ (রাঃ) তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি (দাদা) ছিলেন মসজিদে কুবায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুয়াযযিন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালকে (আযানের সময়) তার দুই আঙ্গুল দুই কানের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখার হুকুম দিলেন এবং বললেন, এভাবে (আঙ্গুল) রাখলে তোমার কণ্ঠস্বর উঁচু হবে। (ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِلَالًا أَنْ يَجْعَلَ أُصْبُعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ وَقَالَ: «إِنَّه أرفع لصوتك» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن عبد الرحمن بن سعد بن عمار بن سعد موذن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال حدثني ابي عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم امر بلالا ان يجعل اصبعيه في اذنيه وقال انه ارفع لصوتك رواه ابن ماجه

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে