পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৭৯-[৬] সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে রমণী বিনা কারণে স্বামীর নিকট তালাক চায়, সে জান্নাতের গন্ধও পাবে না। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]

عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِي غَيْرِ مَا بَأْسٍ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّةِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي

عن ثوبان قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ايما امراة سالت زوجها طلاقا في غير ما باس فحرام عليها راىحة الجنة رواه احمد والترمذي وابو داود وابن ماجه والدارمي

ব্যাখ্যা: তালাক স্বামীর অধিকার, স্ত্রীর নয়। স্ত্রীর সঙ্গত কারণ থাকলে খুলা‘র মাধ্যমে সে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। কোনো মহিলা একান্ত কারণ ছাড়া স্বামীর কাছ থেকে তালাক প্রার্থনা করবে না। কোনো কোনো বর্ণনায় এ কথাও এসেছে, কোনো মহিলা নিজের জন্য অথবা অন্যের জন্য তালাক প্রার্থনা করবে না।

যে নারী বিনা কারণে তার স্বামীর কাছে তালাক প্রার্থনা করবে তার জন্য জান্নাতের ঘ্রাণ হারাম অর্থাৎ জান্নাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। এটা ভীতি ও ধমকিমূলক বাক্য। মুহসিন বা নেককারগণ যেমন প্রথম ধাপেই জান্নাতের সুঘ্রাণ পাবেন তারা সেই সুঘ্রাণ পাবে না। ‘আল্লামা কাযী ‘ইয়ায বলেনঃ এটাও হতে পারে যে, যদি সে জান্নাতে প্রবেশ করে তবে সুঘ্রাণ থেকে বঞ্চিত থাকবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮০-[৭] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট হালাল কার্য হলো তালাক। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَبْغَضُ الْحَلَالِ إِلَى اللَّهِ الطلاقُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ابغض الحلال الى الله الطلاق رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: বিবাহ একটি জান্নাতী বন্ধন। এ সম্পর্কের অবসান কারো জন্যই কাম্য নয়। তবু জীবনের অনিবার্য প্রয়োজনে এ সম্পর্কের অবসান ঘটাতেই হয়। স্বামী স্ত্রীর এই বন্ধন ছিন্নের মাধ্যম হলো তালাক।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ তালাক ইসলামে বৈধ হলেও তা আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয়, কেননা শায়ত্বনের কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো। সুতরাং শায়ত্বনের প্রিয় কাজ আল্লাহর কাছে কখনো পছন্দনীয় হতে পারে না।

কেউ কেউ বলেন, ত্বলাকের প্রকৃতি ও স্বভাবগত বিধান হলো তা হালাল, কিন্তু ওটাকে যখন পাপের সাথে সংমিশ্রণ করা হয়, তখন তা হয় আল্লাহর কাছে অপ্রিয়। যেমন মানুষ অন্যায় ও অযাচিতভাবে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ফেলে, অসময়ে স্ত্রীকে তালাক দেয়, শারী‘আত সীমালঙ্ঘন করে একই সঙ্গে একাধিক তালাক দিয়ে দেয় ইত্যাদি। তালাক বৈধ হওয়া সত্ত্বেও হারাম ও বিদ্‘আত পন্থায় তা প্রয়োগের কারণে তা হয় আল্লাহর কাছে অপ্রিয় ও অপছন্দনীয়। অথবা ত্বলাকের দ্বারা উভয়ে যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের সন্তান-সন্ততি ও পরিবার যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি অনেকের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠে তখন তা হয় আল্লাহর কাছে অপ্রিয়।

হাদীসটির ইসনাদ রোগগ্রস্ত অর্থাৎ মু‘আল্লাল (সহীহ নয়), সুতরাং বিস্তারিত ব্যাখ্যা পরিত্যাগ করা হলো।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮১-[৮] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিয়ের পূর্বে তালাক নেই, মালিকানা ছাড়া মুক্তিদান হয় না, সিয়ামের মধ্যে বিসাল (ইফত্বার ছাড়া অনবরত সওম পালন করা) নেই, বয়ঃপ্রাপ্তির পরে ইয়াতীমত্ব নেই, দুধ ছাড়ানোর পরে দুগ্ধদান সম্পর্ক (দুধ মা) হয় না, একটানা রাত-দিন নীরবতা পালনে কোনো কিছু (’ইবাদাত) নেই। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا طَلَاقَ قَبْلَ نِكَاحٍ وَلَا عَتَاقَ إِلَّا بَعْدَ مِلْكٍ وَلَا وِصَالَ فِي صِيَامٍ وَلَا يُتْمَ بَعْدَ احْتِلَامٍ وَلَا رَضَاعَ بَعْدَ فِطَامٍ وَلَا صَمْتَ يَوْمٍ إِلَى اللَّيْلِ» . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السُّنَّةِ

وعن علي رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا طلاق قبل نكاح ولا عتاق الا بعد ملك ولا وصال في صيام ولا يتم بعد احتلام ولا رضاع بعد فطام ولا صمت يوم الى الليل رواه في شرح السنة

ব্যাখ্যা: বিবাহের মাধ্যমে স্বামীত্ব এবং দাসের ওপর মালিকানা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে তালাক এবং দাস-দাসীর মুক্তির অধিকার লাভ করা যায় না। যেমন কোনো নারীকে বিবাহের পূর্বে তালাক প্রদানের ঘোষণা দিয়ে পরে তাকে বিবাহ করলে পূর্বের ঐ তালাক কার্যকর হবে না।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ (لَا طَلَاقَ) এর অর্থ হলো: «لَا وُقُوعَ لِطَلَاقٍ قَبْلَ نِكَاحٍ» অর্থাৎ বিবাহের পূর্বে তালাক পতিত হয় না বা কার্যকর হয় না। সওমে বিসাল বা বিরতিহীন সিয়াম হলো ইফত্বার না করে একাধারে বা ক্রমাগত সওম বা রোযা পালন করতে থাকা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ সওম পালন নিষেধ করেছেন। সাওমের অধ্যায়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা অতিবাহিত হয়েছে।

একটি শিশুর ইয়াতীম থাকার মেয়াদকাল হলো বালেগ হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। সুতরাং বালেগ হওয়ার পর ইয়াতীম আর ইয়াতীম থাকে না। অনুরূপ দুধ সম্পর্ক স্থাপিত হয় দুধপানের মেয়াদ কালের মধ্যে দুধপান করলে। এ দুধপানের মেয়াদ হলো দু’ বছর। অর্থাৎ দু’ বছর বয়সের মধ্যে কোনো শিশু কোনো মহিলার স্তন্য পান করলে তার সাথে দুধ মা সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এর পরে পান করলে দুধ সম্পর্ক স্থাপিত হয় না।

দুধপানের মেয়াদ দু’ বছর, আল্লাহ বলেনঃ ‘‘আর জননীগণ তাদের সন্তানদের পুরা দু’বছর দুধ পান করাবে, যে দুধপানের পূর্ণ মেয়াদ পুরো করতে চায়।’’ (সূরা আল বাকারা ২ : ২৩৩)

অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ ‘‘আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের ওয়াসিয়্যাত করছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো (মেয়াদ) দু’ বছরে হয়।’’ (সূরা লুকমান ৩১ : ১৪)

পূর্ববর্তী দীনে সওম পালনকালে কারো সাথে কথা বলা চলতো না বরং সূর্যাস্ত পর্যন্ত কথা বন্ধ রাখতে হতো। পবিত্র কুরআনে এর একাধিক প্রমাণ রয়েছে; দেখুন- সূরা মারইয়াম আয়াত ২৬। ইসলামের সওম পালনকালে চুপ থাকার বিধান রহিত হয়েছে। অথবা জাহিলী যুগে মানুষ কোনো কথাবার্তা না বলে ধ্যান মগ্ন থাকাকে ‘ইবাদাত মনে করতো। ইসলামে এর বিধান কি, এই প্রশ্নে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (لَا صَمْتَ يَوْمٍ إِلَى اللَّيْلِ) অর্থাৎ দিন থেকে রাত পর্যন্ত নিরবতা পালনে কোনো ‘ইবাদাত নেই।

মুল্লা ‘আলী আল কারী (রহঃ) বলেনঃ এই নিরবতায় শিক্ষণীয় কিছু নেই এবং সাওয়াবও কিছু নেই। এটা আমাদের শারী‘আতের বিধানও নয়, বরং পূর্ব জাতিদের বিধান।
কেউ কেউ বলেন, এটা নিষেধ এজন্য যে, এটা খৃষ্টানদের সাথে সাদৃশ্যশীল কাজ। জাহিলী যুগেও ই‘তিকাফকালে মানুষ কথাবার্তা বন্ধ রাখতো, তাদের প্রতিবাদে এ হাদীস হতে পারে। (শারহুস্ সুন্নাহ্ হাঃ ২৩৫০; মিরকাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৩/৪৪২, ইবনু হুমাম ‘আলী -এর সূত্রে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত হাদীসটি)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮২-[৯] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে দাদা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের যে বিষয়ের মালিকানা বা অধিকার নেই, তার কোনো নযর (মানৎ) হয় না, যার মালিকানা নেই তার কোনো দাস মুক্ত করার অধিকার নেই। বিবাহ বন্ধন ব্যতীত তার তালাক নেই। (তিরমিযী)[1]

আর ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, মালিকানা ছাড়া কেনা-বেচা নেই।

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نَذْرَ لِابْنِ آدَمَ فِيمَا لَا يَمْلِكُ وَلَا عِتْقَ فِيمَا لَا يَمْلِكُ وَلَا طَلَاقَ فِيمَا لَا يَمْلِكُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَزَادَ أَبُو دَاوُدَ: «وَلَا بَيْعَ إِلَّا فِيمَا يملك»

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا نذر لابن ادم فيما لا يملك ولا عتق فيما لا يملك ولا طلاق فيما لا يملك رواه الترمذي وزاد ابو داود ولا بيع الا فيما يملك

ব্যাখ্যা: ‘নযর’ বা মানৎ ইসলামে একটি ‘ইবাদাত। কেউ যদি কোনো কিছু দান বা হেবার জন্য মানৎ করে তবে তার ওপর অবশ্যই মালিকানা স্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদাম সন্তানের কারো কোনো বস্তুর উপর মালিকানা স্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত না হলে তাতে নযর বা মানৎ বৈধ নয়। যদি সে কোনো কৃতদাসের ব্যাপারে বলে যে, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে এ দাসটি মুক্ত করবো অথচ এই মানতের সময় সে তার মালিকই হয়নি, তাহলে তার এই মানৎ সহীহ হবে না। আর এই মানতের পর যদি মালিক হয় তবে তাকে মুক্ত করতে হবে না।

আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় এসেছে ‘মালিকানা স্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠার পূর্বে ক্রয়-বিক্রয় নেই’। এর ব্যাখ্যা পূর্বানুরূপ। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১১৮১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৩-[১০] রুকানাহ্ ইবনু ’আব্দ ইয়াযীদ হতে বর্ণিত। তিনি স্বীয় স্ত্রী সুহায়মাহ্-কে নিশ্চিত তালাক দিলেন। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বিষয়টি অবহিত করে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এক ত্বলাক (তালাক)ের নিয়্যাত করেছি, অন্য কিছু নয়। এটা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! তুমি কি এক তালাক ব্যতীত অন্য কিছু নিয়্যাত করনি? আমি বললাম, আল্লাহর কসম! এক তালাক ব্যতীত অন্য কিছু নিয়্যাত করিনি। এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, রুকানাহ্ তার স্ত্রীকে ’উমার (রাঃ)-এর যুগে দ্বিতীয় এবং ’উসমান (রাঃ)-এর যুগে তৃতীয় তালাক দেন। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী; কিন্তু নিশ্চয় তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্বলাক (তালাক)ের উল্লেখ করেননি)[1]

وَعَنْ رُكَانَةَ بْنِ عَبْدِ يَزِيدَ أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ سُهَيْمَةَ الْبَتَّةَ فَأَخْبَرَ بِذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ: وَالله مَا أردتُ إِلَّا وَاحِدَةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَاللَّهِ مَا أَرَدْتَ إِلَّا وَاحِدَةً؟» فَقَالَ ركانةُ: واللَّهِ مَا أردتُ إِلَّا وَاحِدَة فَرَدَّهَا إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَلَّقَهَا الثَّانِيَةَ فِي زَمَانِ عُمَرَ وَالثَّالِثَةَ فِي زَمَانِ عُثْمَانَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ إِلَّا أَنَّهُمْ لَمْ يَذْكُرُوا الثانيةَ وَالثَّالِثَة

وعن ركانة بن عبد يزيد انه طلق امراته سهيمة البتة فاخبر بذلك النبي صلى الله عليه وسلم وقال والله ما اردت الا واحدة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم والله ما اردت الا واحدة فقال ركانة والله ما اردت الا واحدة فردها اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فطلقها الثانية في زمان عمر والثالثة في زمان عثمان رواه ابو داود والترمذي وابن ماجه والدارمي الا انهم لم يذكروا الثانية والثالثة

ব্যাখ্যা: রুকানাহ্ ইবনু ‘আব্দ ইয়াযীদ তার স্ত্রী সুহায়মাহ্-কে الْبَتَّةَ ‘‘আল বাত্তাহ্’’ তালাক প্রদান করেন। ‘আল বাত্তাহ্’ অর্থ নিশ্চিত, অবশ্যই; অর্থাৎ তিনি তার স্ত্রীকে নিশ্চিত তালাক দিয়েছিলেন যা নিশ্চিত কার্যকর। কেউ যদি স্ত্রীকে ‘আল বাত্তাহ্’ তালাক দেয় তা কত তালাক হবে- এ নিয়ে ইমাম ও ফুকাহায়ে কিরামের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর মতে এ অবস্থায় এক ত্বলাকে রজ্‘ঈ পতিত হবে। তবে যদি দুই অথবা তিনের নিয়্যাত করে তবে তার নিয়্যাত মোতাবেকই হবে।

ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেনঃ ‘আল বাত্তাহ্’ তালাক এক ত্বলাকে বায়্যিনাহ্ বলে বিবেচিত হবে। তিনের নিয়্যাত করলে তিন হবে।

ইমাম মালিক-এর মতে, তিন-ই হবে। সালাফ ও খালাকের একদল মুহাক্কিকের মতে এক তালাক রজ্‘ঈ হওয়াটাই অধিক যুক্তিযুক্ত। কেননা একত্রে প্রদত্ত তিন তালাক তিন তালাক হয় না, বরং এক হওয়ার পক্ষে সহীহ মুসলিমে একাধিক বিশুদ্ধ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে, আবূ বাকর-এর খিলাফাতকালে, অতঃপর ‘উমার (রাঃ)-এর খিলাফাতের প্রথম দুই বছর পর্যন্ত একত্রে প্রদত্ত তিন তালাককে এক তালাক বলে গণ্য করা হতো..........। (সহীহ মুসলিম- হাঃ ৩৭৪৬)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ রুকানাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৪-[১১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন বিষয়ে হাসি-ঠাট্টা ও (স্বজ্ঞানে) কথার উক্তি, উভয়ই সঠিক উক্তিরূপে পরিগণিত হবে। বিবাহ, তালাক ও রজ্’আহ্ (এক ত্বলাক (তালাক)ান্তে প্রত্যাহার)। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثٌ جَدُّهُنَّ جَدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جَدُّ: النِّكَاحُ وَالطَّلَاقُ وَالرِّجْعَةُ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب

وعن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ثلاث جدهن جد وهزلهن جد النكاح والطلاق والرجعة رواه الترمذي وابو داود وقال الترمذي هذا حديث حسن غريب

ব্যাখ্যা: ‘আরবী جِدٌّ-এর অর্থ ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, আগ্রহ, একাগ্রতা ইত্যাদি। মিরকাতুল মাফাতীহ গ্রন্থাকার বলেন, «وَالْجَدُّ مَا يُرَادُ بِه مَا وُضِعَ لَه» শব্দটি যে অর্থের জন্য গঠন করা হয়েছে সেই অর্থ গ্রহণ করা বা উদ্দেশ্য হওয়া। আর «المهزل» শব্দটির আভিধানিক অর্থ ঠাট্টা, কৌতুক, রসিকতা ইত্যাদি। পরিভাষায় কোনো শব্দকে যে উদ্দেশে গঠন করা হয়েছে সে অর্থ ছাড়া ভিন্ন কোনো অর্থ গ্রহণ করা, যদিও ঐ অর্থের সাথে গঠিত অর্থের কোনো সম্পর্ক ও সাদৃশ্য নেই।

৩টি বিষয় আগ্রহ বা একান্তভাবে বললে কিংবা কৌতুক রসিকতার সাথে বললেও তা কার্যকর হবে। (এক) তালাক (দুই) নিকাহ বা বিবাহ (তিন) রজ্‘আহ্ বা স্ত্রীকে প্রত্যাহার করে নেয়া। অর্থাৎ কেউ যদি সরীহ বা স্পষ্ট শব্দে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বলে আমি খেলাচ্ছলে বা রসিকতা করে তালাক দিয়েছি তার ঠাট্টা রসিকতা ধর্তব্য হবে না বরং তার তালাকই কার্যকর হবে।

কাযী ‘ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ আহলে ‘ইলম বা বিদ্বানগণ একমত যে, ঠাট্টাচ্ছলে তালাক প্রদান করলে তা কার্যকর হবে। প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানবান ব্যক্তি যখন স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন শব্দে তালাক প্রদান করবে তখন তার এ কথার কোনো মূল্য বা ভিত্তি হবে না যে, আমি খেলাচ্ছলে বা ঠাট্টাচ্ছলে তালাক দিয়েছিলাম। কেননা ঠাট্টাচ্ছলের তালাক অকার্যকর হলে ইসলামের অনেক বিধানই অকার্যকর হয়ে যাবে। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) হাদীসটিকে হাসান ও গরীব বলেছেন। ‘আল্লামা মুনযিরী বলেনঃ হাদীসটি সহীহের শর্তে পৌঁছেনি, অর্থাৎ হাদীসটি য‘ঈফ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৫-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, জোর-জবরদস্তিমূলক তালাক ও (ক্রীতদাস বা দাসী) মুক্তি হয় না। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا طَلَاقَ وَلَا عَتَاقَ فِي إِغْلَاقٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَه قيل: معنى الإغلاق: الْإِكْرَاه

وعن عاىشة قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا طلاق ولا عتاق في اغلاق رواه ابو داود وابن ماجه قيل معنى الاغلاق الاكراه

ব্যাখ্যা: اغْلَاقٍ এর অর্থ إِكْرَاهُ বাধ্য করা, জবরদস্তি করা, কাউকে কোনো কাজে বাধ্য করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ জবরদস্তি করে কাউকে তালাক প্রদানে বাধ্য করলে সে তালাক কার্যকর হয় না। কেননা এ সময় ব্যক্তির স্বাধীনতা থাকে না। অত্র হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম শাফি‘ঈ, মালিক, আহমাদ প্রমুখ ইমাম এই মতই পোষণ করেছেন। পক্ষান্তরে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) ঠাট্টাচ্ছলে বিয়ে করলে অথবা তালাক দিলে বিয়ে ও তালাক কার্যকর হওয়ার উপর ক্বিয়াস করে জবরদস্তি করে তালাক প্রদান করলে তালাকও কার্যকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এ ক্বিয়াসের চেয়ে হাদীসের উপর ‘আমলই উত্তম ও নিরাপদ। (শারহে বিকায়ার হাওলায় মিরকাতুল মাফাতীহ)

‘উসমান (রাঃ) বলেনঃ পাগল ও নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির তালাক বৈধ নয়। সাহাবী ‘উকবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) বলেন, মাতাল ও জবরদস্তিমূলক তালাক অবৈধ। পক্ষান্তরে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) ঠাট্টাচ্ছলে তালাক দিলেও তা কার্যকর হবে, এ কথার উপর ক্বিয়াস করে বলেন, জবরদস্তিমূলক তালাক কার্যকর হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৬-[১৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নির্বোধ ব্যক্তির তালাক ব্যতীত সর্বপ্রকার তালাক গৃহীত হয়ে থাকে। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব এবং হাদীসের জনৈক বর্ণনাকারী ’আত্বা ইবনু ’আজলান দুর্বল ও ত্রুটিযুক্ত)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ طَلَاقٍ جَائِزٌ إِلَّا طَلَاقَ الْمَعْتُوهِ وَالْمَغْلُوبِ عَلَى عَقْلِهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَعَطَاءُ بْنُ عجلانَ الرَّاوي ضعيفٌ ذاهبُ الحَدِيث

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل طلاق جاىز الا طلاق المعتوه والمغلوب على عقله رواه الترمذي وقال هذا حديث غريب وعطاء بن عجلان الراوي ضعيف ذاهب الحديث

ব্যাখ্যা: مَعْتُوهِ এবং مَغْلُوْبٌ الْعَقْلِ ব্যতীত সকলের তালাকই বৈধ বা কার্যকর হয়।


مَعْتُوهٌ এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে «الْمَجْنُونُ الْمُصَابُ فِي عَقْلِه» পাগল, যার জ্ঞানের মধ্যে বিকৃতি ঘটেছে। কেউ বলেছেন نَاقِصُ الْعَقْلِ ত্রুটিযুক্ত কিংবা স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী।
مَغْلُوْبٌ الْعَقْلِ হলো المَعْتُوهِ-এর তাফসীর বা ব্যাখ্যামূলক শব্দ। কেউ কেউ বলেছেন, «الْمُرَادُ بِالْمَغْلُوبِ السَّكْرَانُ» অর্থাৎ মাগলূব দ্বারা উদ্দেশ্য হলো السَكْرَانُ নেশাগ্রস্ত মাতাল এবং অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তি। এরূপ অপ্রকৃতস্থ বা বিকৃত মস্তিষ্ক পাগলের তালাক কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে ফুকাহায়ে কিরামের মধ্যে ইখতিলাফ বা মতপার্থক্য রয়েছে।
মুহাক্কিক সালাফ ও খালাফগণের মতে طَلَاقَ الْمَعْتُوهِ কার্যকর হবে না। পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী ‘উকবাহ্ ইবনু ‘আমির-এর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেছেন, মাতাল ও জবরদস্তিমূলক তালাক অবৈধ। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর মতে طَلَاقِ السَّكْرَانِ মাতাল বা নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির তালাক পতিত হয় না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৭-[১৪] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

وعن علي رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم رفع القلم عن ثلاثة عن الناىم حتى يستيقظ وعن الصبي حتى يبلغ وعن المعتوه حتى يعقل رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যা: ‘কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে’, এর অর্থ এসব ব্যক্তির পাপ বা গুনাহ ও অপরাধ লিপিবদ্ধ করা হয় না এবং তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি প্রযোজ্য হয় না। সুতরাং অপ্রাপ্তবয়স্ক, উম্মাদ, মা‘তুহ বা স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী এবং ঘুমন্ত ব্যক্তির তালাক পতিত হয় না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৮-[১৫] আর দারিমী ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে এবং ইবনু মাজাহ উভয় হতে বর্ণনা করেছেন।[1]

وَرَوَاهُ الدَّارِمِيُّ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنُ مَاجَهْ عَنْهُمَا

ورواه الدارمي عن عاىشة وابن ماجه عنهما

ব্যাখ্যা: পূর্ব উল্লেখিত হাদীসটি ইমাম দারিমী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে এবং ইবনু মাজাহ ‘আলী এবং ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) উভয় থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি সামান্য শব্দ পার্থক্যসহ এবং সানাদ পার্থক্যসহ বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৯-[১৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বাঁদি স্ত্রীর তালাক (সর্বোচ্চ) দু’টি এবং তার ’ইদ্দতও দুই ঋতুস্রাব। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «طَلَاقُ الْأَمَةِ تَطْلِيقَتَانِ وَعِدَّتُهَا حَيْضَتَانِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ

وعن عاىشة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال طلاق الامة تطليقتان وعدتها حيضتان رواه الترمذي وابو داود وابن ماجه والدارمي

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে দাসী বা বাঁদির ‘ইদ্দাতের সময়সীমা বর্ণিত হয়েছে। দাস-দাসী প্রথা বর্তমান না থাকায় বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তা মনে করছি না। (সম্পাদক)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে