পরিচ্ছেদঃ মুয়ায্যিনের জন্য আল্লাহর ক্ষমা সাব্যস্তকরণ
১৬৬৯. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “ইমাম জামিনদার আর মুয়ায্যিন আমানতদার। মহান আল্লাহ ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন আর মুয়ায্যিনদের ক্ষমা করুন।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হাদীসটি আবূ সালিহ আস সাম্মান আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেছেন যেভাবে আমরা বর্ণনা করেছি, তিনি হাদীসটি আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকেও মারফূ‘ সুত্রে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং তিনি কখনো হাদীসটি আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে আবার কখনো আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন আবার কখনো মারফূ‘ সুত্রে বর্ণনা না করে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে মাওকূফ সুত্রে বর্ণনা করেছেন।
আর আ‘মাশ হাদীসটি আবূ সালিহ রহিমাহুল্লাহর মাধ্যমে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে মাওকূফ সুত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি আবূ সালিহ রহিমাহুল্লাহ ও তার পিতার মাধ্যমে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ‘ সুত্রে বর্ণনা করেছেন।
আর যে ব্যক্তি সুহাইল ও বাবার মাঝে আ‘মাশকে ঢুকান, তিনি নিশ্চিত ভুল করেছেন। কেননা আ‘মাশ হাদীসটি সুহাইল থেকে শ্রবণ করেছেন; এটি নয় যে, সুহাইল আ‘মাশ থেকে হাদীসটি শ্রবণ করেছেন।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ১/১০৮)
ذِكْرُ إِثْبَاتِ عَفْوِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا عَنِ المؤذنين
1669 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ عَنْ نَافِعِ بْنِ سُلَيْمَانَ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي صَالِحٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ: أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ تَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ:
(الْإِمَامُ ضَامِنٌ وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ فَأَرْشَدَ اللَّهُ الْأَئِمَّةَ وَعَفَا عَنِ المؤذنين)
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1669 | خلاصة حكم المحدث: حسن بما بعده ـ ((التعليق الرغيب)) (1/ 108).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: سَمِعَ هَذَا الْخَبَرَ أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ عَنْ عَائِشَةَ عَلَى حَسَبِ مَا ذَكَرْنَاهُ وَسَمِعَهُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا فَمَرَّةً حَدَّثَ بِهِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُخْرَى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَتَارَةً وَقَفَهُ عَلَيْهِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ
وَأَمَّا الْأَعْمَشُ فَإِنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَوْقُوفًا وَسَمِعَهُ مِنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا
وَقَدْ وَهِمَ مَنْ أَدْخَلَ بَيْنَ سُهَيْلٍ وَأَبِيهِ فِيهِ الْأَعْمَشَ لِأَنَّ الْأَعْمَشَ سَمِعَهُ مِنْ سُهَيْلٍ لَا أَنَّ سُهَيْلًا سَمِعَهُ مِنَ الْأَعْمَشِ.