পরিচ্ছেদঃ (১৩) জামা‘আতে সালাত আদায় করা ফরয এবং যে সব কারণে জামা‘আত তরক করা যায়
২০৫৯. আবূ সালিহ রহিমাহুল্লাহ বলেন, আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এক ব্যক্তিকে মাসজিদ থেকে বের হতে দেখলেন এমন অবস্থায় যে, তখন আযান হচ্ছিল, এসময় তিনি বলেন, “এই ব্যক্তি আবুল কাসিম তথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধাচারণ করলো।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসে দুটি জিনিস উহ্য রয়েছে। প্রথমটি হলো: মুয়ায্যিন আযান দেন এমন সময় সে অবস্থায় ছিল। দ্বিতীয়টি হলো: এসময় সে কোন ফরয আদায় করছিল না।” হাদীসের রাবী আবূ সালিহ বসরার অধিবাসী, তার নাম মীযান। তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আবূ দাঊদ : ৫৪৭)
13 - بَابُ فَرْضِ الْجَمَاعَةِ وَالْأَعْذَارِ الَّتِي تُبيح تَرْكَهَا
2059 - أَخْبَرَنَا حَامِدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شُعَيْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ الأبَّار عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ: رَأَى أَبُو هُرَيْرَةَ رَجُلًا قَدْ خَرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ وَقَدْ أذَّن المؤذِّن فَقَالَ: أَمَّا هَذَا فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2059 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (547)
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: أُضمر فِي هَذَا الْخَبَرِ شيئان: أحدُهما: وقد أذَّن المُؤَذِّنُ وهو متوضىء وَالثَّانِي: وَهُوَ غَيْرُ مؤدٍ لِفَرْضِهِ
أَبُو صَالِحٍ ـ هَذَا ـ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ؛ اسْمُهُ: مِيزَانُ؛ ثِقَةٌ.
পরিচ্ছেদঃ (১৩) জামা‘আতে সালাত আদায় করা ফরয এবং যে সব কারণে জামা‘আত তরক করা যায়
২০৬০. জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার আব্দুল্লাহ বিন উম্মু মাকতূম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমি অন্ধ মানুষ, আমার বাড়িও দূরে...।” রাবী বলেন, “অতঃপর তিনি তাঁর সাথে কথা বলেন, যাতে তিনি তাকে বাড়িতে সালাত আদায় করার অনুমতি দেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তুমি কি আযান শুনতে পাও?” তিনি জবাবে বলেন, “জ্বী, হ্যা।” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও জামা‘আতে উপস্থিত হও!”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আব্দুল্লাহ বিন উম্মু মাকতূম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জামা‘আত ত্যাগ করার অনুমতি চাওয়া, আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক জবাবে বলা “তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও জামা‘আতে উপস্থিত হও!” এখানে সবচেয়ে বড় দলীল রয়েছে এই মর্মে যে জামা‘আতে সালাত আদায় করার নির্দেশটি ফরয নির্দেশক; উত্তম নির্দেশক নয়। কেননা যদি আযান শ্রবণকারী ব্যক্তির জন্য যদি জামা‘আতে সালাত আদায় করা ফরয না হতো, তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই তাকে জামা‘আত তরক করার অনুমতি কথা বলতেন। কেননা প্রশ্নটি এজন্যই করা হয়েছে। আর এটা অসম্ভব যে, ফরয নয় এমন ক্ষেত্রে রুখসত পাওয়া যাবে না।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ য‘ঈফ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির “তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও জামা‘আতে উপস্থিত হও!” এই অংশ বাদে বাকী অংশ সহীহ লিগাইরিহী বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান : ২০৬০)
13 - بَابُ فَرْضِ الْجَمَاعَةِ وَالْأَعْذَارِ الَّتِي تُبيح تَرْكَهَا
2060 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقُمِّيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ جَارِيَةَ: عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: جَاءَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يا رسول اللَّهِ إِنِّي مَكْفُوفُ الْبَصَرِ شَاسِعُ الدَّارِ فَكَلَّمه فِي الصَّلَاةِ أَنْ يرخِّص لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ فِي مَنْزِلِهِ قَالَ: (أَتَسْمَعُ الْأَذَانَ)؟ قَالَ: نَعَمْ قال: (فَأْتِهَا ولو حَبْواً)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2060 | خلاصة حكم المحدث: صحيح لغيره؛ دون: ((فأتها ولو حبواً)) , وإنما هذا في الحضِّ على الجماعة في صلاة العشاء والفجر؛ كما في حديث أُبَيِّ المتقدِّم (2054) , وحديث أبي هريرة الآتي (2095).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فِي سُؤَالِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُرَخِّص لَهُ فِي تَرْكِ إِتْيَانِ الْجَمَاعَاتِ وَقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (ائْتِهَا وَلَوْ حَبْوًا) أَعْظَمُ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ هَذَا أَمْرُ حَتْمٍ لَا نَدْبٍ إِذْ لَوْ كَانَ إِتْيَانُ الْجَمَاعَاتِ عَلَى مَنْ يَسْمَعُ النِّدَاءَ لَهَا غَيْرَ فَرْضٍ لَأَخْبَرَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرُّخْصَةِ فِيهِ لِأَنَّ هَذَا جَوَابٌ خَرَجَ عَلَى سُؤَالٍ بِعَيْنِهِ وَمُحَالٌ أَنْ لَا يُوجَدَ لِغَيْرِ الْفَرِيضَةِ رُخْصَةٌ.