পরিচ্ছেদঃ
৫৪। যখন কেউ শেষ যামানায় এসে যাবে এবং মতামতগুলো বিভিন্নরুপ হয়ে যাবে, তখন তোমরা মফস্বলবাসী ও নারীদের ধর্মকে ধারন করবে।
হাদীসটি জাল।
ইবনু তাহের বলেনঃ এটির সনদে ইবনুল বাইলামানী রয়েছেন। তিনি তার পিতা হতে, তার পিতা ইবনু উমার (রাঃ) হতে এমন এক কপি বর্ণনা করেছেন, যেটিকে জাল করার দোষে তাকে দোষী করা হয়েছে।
হাফিয ইরাকী বলেনঃ এ সূত্রেই ইবনুল বাইলামানীর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে ইবনু হিব্বান হাদীসটি “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বান-এর সূত্রে ইবনুল জাওযী “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (১/২৭১) হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। হাদীসটির অন্য সমস্যা হচ্ছে ইবনু আব্দির রহমান বাইলামানী হতে বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনুল হারিস হারেসী; তিনি দুর্বল। ইবনু আদী (২/২৯৭) হাদীসটি ইবনু আবদির রহমান বাইলামানী হতে বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনুল হারিস আল-হারেসীর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃوعامة ما يرويه غير محفوظ তার বর্ণনাকৃত অধিকাংশ হাদীস মাহফুয নয় (নিরাপদ নয়)।
ইবনুল জাওযী বলেনঃ হাদীসটি সহীহ্ নয়। মুহাম্মাদ ইবনুল হারিস কিছুই না এবং তার শাইখ ইবনুল বাইলামানী তার ন্যায়। তিনি তার পিতা হতে জাল কপির মাধ্যমে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এটিকে উমার ইবনু আবদিল আযীয-এর ভাষ্য হিসাবে জানা যায়।
সুয়ূতী “আল-লাআলিল মাসনূ’য়াহ" গ্রন্থে তার এ কথাকে সমর্থন করে বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু হারিস সুনান ইবনু মাজাহর বর্ণনাকারীদের একজন। “আল-মীযান” গ্রন্থে বলা হয়েছে এ হাদীসটি তার অদ্ভুত বর্ণনাগুলোর একটি।
ইবনু হারিস সম্পর্কে কিছু আলোচনা না করে এখানে ইবনুল বাইলামানীর সম্পর্কে বলাই উত্তম। কারণ সকলেই তার দুর্বল হওয়ার বিষয়ে একমত। আর কেউ কেউ ইবনু হারিসকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন। অতএব এ হাদীসের সমস্যা হচ্ছে-ইবনুল বাইলামানী। যার সম্পর্কে সাখাবীও “আল-মাকাসিদ” গ্রন্থে ইবনু তাহেরের ভাষ্যের ন্যায় বলেছেন।
শাইখ আলী আল-কারী বলেনঃ حديث موضوع হাদীসটি বানোয়াট। তা সত্ত্বেও হাদীসটি সুয়ূতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
إذا كان في آخر الزمان، واختلفت الأهواء، فعليكم بدين أهل البادية والنساء موضوع - قال ابن طاهر: وابن البيلماني (يعني الذي في سنده) له عن أبيه عن ابن عمر نسخة كان يتهم بوضعها قال الحافظ العراقي: وهذا اللفظ من هذا الوجه رواه ابن حبان في " الضعفاء " في ترجمة ابن البيلماني قلت: من طريق ابن حبان أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 271) ومنه تبين أن فيه علة أخرى، لأن راويه عن ابن عبد الرحمن البيلماني محمد بن الحارث الحارثي وهو ضعيف، وفي ترجمته أورد الحديث ابن عدي (297 / 2) وقال وعامة ما يرويه غير محفوظ، ثم قال ابن الجوزي: لا يصح، محمد بن الحارث ليس بشيء، وشيخه كذلك حدث عن أبيه بنسخة موضوعة، وإنما يعرف هذا من قول عمر بن عبد العزيز وأقره السيوطي في " اللآليء المصنوعة " (1 / 131) وزاد عليه فقال: قلت محمد بن الحارث من رجال ابن ماجه، وقال في " الميزان ": هذا الحديث من عجائبه قلت: الحمل فيه على ابن البيلماني أولى من الحمل فيه على ابن الحارث، فإن هذا قد وثقه بعضهم، بخلاف ابن البيلماني فإنه متفق على توهينه، وقد أشار إلى ما ذهبت إليه بعض الأئمة، فقال الآجرى: سألت أبا داود عن ابن الحارث فقال بلغني عن بندار قال: ما في قلبي منه شيء، البلية من ابن البيلماني، وقال البزار: مشهور ليس به بأس، وإنما تأتي هذه الأحاديث من ابن البيلماني فثبت أن آفة الحديث من ابن البيلماني وبه أعله الحافظ ابن طاهر كما تقدم، وكذا السخاوي في " المقاصد "، وقال الشيخ علي القاري: حديث موضوع ثم أليس من العجائب أن يورد السيوطي هذا الحديث في " الجامع الصغير " مع تعهده في مقدمته أن يصونه مما تفرد به كذاب أو وضاع مع أن الحديث فيه ذاك الكذاب ابن البيلماني، ومع إقراره ابن الجوزي على حكمه عليه بالوضع؟ ! وقد أقرهما على ذلك ابن عراق أيضا في " تنزيه الشريعة " (136 / 1) فإنه أورده في " الفصل الأول " الذي يورد فيه ما حكم ابن الجوزي بوضعه ولم يخالف فيه كما نص عليه في المقدمة