হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা

১৬৩-[২৪] মিক্বদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! আমাকে কুরআন দেয়া হয়েছে এবং তার সাথে তার অনুরূপ জিনিসও। জেনে রেখ, শীঘ্রই এমন এক সময় এসে যাবে, যখন কোন উদরভর্তি বড় লোক তার গদিতে বসে বলবে, তোমরা কেবল এ কুরআনকেই গ্রহণ করবে। এতে যা হালাল পাবে তাকেই হালাল জানবে এবং যা এতে হারাম পাবে তাকেই হারাম মনে করবে। অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা হারাম বলেছেন, তা আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারই অনুরূপ। তাই জেনে রেখ! গৃহপালিত গাধা তোমাদের জন্য হালাল নয় এবং শিকারী দাঁতওয়ালা কোন হিংস্র পশুও হালাল নয়। এমতাবস্থায় মুসলিম রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিকের কোন হারানো বস্ত্তও তোমাদের জন্য হালাল নয়, তবে সে যদি সেটির মুখাপেক্ষী না হয় সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা। যখন কোন লোক কোন সম্প্রদায়ের নিকট পৌঁছে, তাদের উচিত ঐ লোকের মেহমানদারি করা। যদি তারা তার মেহমানদারি না করে তবে সে জোরপূর্বক তাদের নিকট থেকে তার মেহমানদারির সম-পরিমাণ জিনিস আদায় করার অধিকার রাখবে (অথচ কুরআনে এ সকল বিষয়ের উল্লেখ নেই)। (আবূ দাঊদ ও দারিমী; তবে ইবনু মাজাহ ’’কামা- হাররামাল্ল-হু’’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন)[1]

باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني

وَعَن الْمِقْدَام بن معدي كرب عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنه قَالَ: «أَلا إِنِّي أُوتيت الْكتاب وَمِثْلَهُ مَعَهُ أَلَا يُوشِكُ رَجُلٌ شَبْعَانٌ عَلَى أَرِيكَتِهِ يَقُولُ عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْقُرْآنِ فَمَا وَجَدْتُمْ فِيهِ مِنْ حَلَالٍ فَأَحِلُّوهُ وَمَا وَجَدْتُمْ فِيهِ مِنْ حَرَامٍ فَحَرِّمُوهُ وَإِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُولُ الله كَمَا حَرَّمَ اللَّهُ أَلَا لَا يَحِلُّ لَكُمُ لحم الْحِمَارُ الْأَهْلِيُّ وَلَا كُلُّ ذِي نَابٍ مِنَ السَّبع وَلَا لُقَطَةُ مُعَاهَدٍ إِلَّا أَنْ يَسْتَغْنِيَ عَنْهَا صَاحِبُهَا وَمَنْ نَزَلَ بِقَوْمٍ فَعَلَيْهِمْ أَنْ يُقْرُوهُ فَإِنْ لَمْ يَقْرُوهُ فَلَهُ أَنْ يُعْقِبَهُمْ بِمِثْلِ قِرَاهُ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى الدَّارِمِيُّ نَحْوَهُ وَكَذَا ابْنُ مَاجَهْ إِلَى قَوْلِهِ: «كَمَا حَرَّمَ الله»

ব্যাখ্যা: ইমাম বায়হাক্বী বলেছেন, হাদীসটিতে দু’টো দিক রয়েছে। প্রথমত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ওয়াহী দেয়া হয়েছে, দ্বিতীয়ত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ওয়াহীর মাধ্যমে কিতাব দেয়া হয়েছে, যা তিলাওয়াত করা হয়। অনুরূপভাবে এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ- কিতাবে যা আছে তা বর্ণনা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

‘আল্লামা খাত্ত্বাবী বলেনঃ এ হাদীস দ্বারা খারিজী সম্প্রদায়কে সতর্ক করা হয়েছে যারা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঐ সকল সুন্নাতের বিরোধিতা করে যেগুলোর উল্লেখ কুরআনে নেই। তারা শুধুমাত্র কুরআনের ব্যহ্যিকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে আর যেগুলো কিতাবের ব্যাখ্যা সম্বলিত সুন্নাত সেগুলোকে বর্জন করে, ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

হাদীসের শেষাংশের ব্যাখ্যা হলো, কোন ব্যক্তি যদি কোন মেহমানের হক যথারীতি আদায় না করে, তাহলে মেজবানের নিকট থেকে প্রয়োজন অনুপাতে কোন কিছু গ্রহণ করা মেহমানের জন্য বৈধ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ