পরিচ্ছেদঃ
৩৮৪। জুম’আর দিবসে আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে ক্ষমা না করে ছাড়েন না।
হাদীসটি জাল।
এটি আবুল কাসিম শাহারযুরী “আল-আমলী” গ্রন্থে (১/১৮০) এবং খাতীব বাগদাদী (৫/১৮০) আহমাদ ইবনু নাসর ইবনে হাম্মাদ ইবনে আজলান সূত্রে তার পিতা হতে ... বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি খাতীব বাগদাদী এ আহমাদের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন। অথচ তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই উল্লেখ করেননি। যাহাবী তার জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেছেনঃ তিনি নিতান্তই মুনকার খবর (হাদীস) নিয়ে এসেছেন। অতঃপর তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। যেন তিনি তাকে এ হাদীসটির ব্যাপারে মিথ্যুকের দোষে দোষী করছেন।
হাফিয ইবনু হাজার “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তাতে আমার নিকট বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। কারণ তার পিতা নাসর ইবনু হাম্মাদ সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক ।
তার কথাটি উল্লেখ করাই উত্তম। এর পরেও হাদীসটি "জামেউস সাগীর" গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। আনাস (রাঃ) হতে হাদীসটির আরেকটি সূত্র রয়েছে। সেটিও বানোয়াট, যেরূপভাবে ২৯৭ নং হাদীসে আলোচনা করা হয়েছে।
لا يترك الله أحد يوم الجمعة إلا غفر له موضوع - أخرجه أبو القاسم الشهرزوري في " الأمالي " (180 / 1) والخطيب (5 / 180) من طريق أحمد بن نصر بن حماد بن عجلان، حدثنا شعبة عن محمد بن زياد عن أبي هريرة مرفوعا، ذكره الخطيب في ترجمة أحمد هذا ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، وقال الذهبي في ترجمته من الميزان أتى بخبر منكر جدا، ثم ساق له هذا كأنه يتهمه به، ووافقه الحافظ في " اللسان " وفي ذلك عندي نظر، لأن أباه نصر بن حماد، قال ابن معين: كذاب فالحمل عليه فيه أولى. ومع هذا وذاك فالحديث في " الجامع وللحديث طريق أخرى عن أنس نحوه وهو موضوع أيضا كما سبق بيانه برقم (297)