পরিচ্ছেদঃ
৭৩৭। যে ব্যক্তির একটি (পুত্র) সন্তান ভূমিষ্ট হবে, সে যেন তাকে সুন্দর আচরণ শিক্ষা দেয় এবং তার সুন্দর নাম রাখে। অতঃপর সে যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হবে তখন যেন তার বিয়ে দিয়ে দেয়। কারণ যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরেও তার বিয়ে না দেয়ার কারণে সে গুনাহয় লিপ্ত হয় তাহলে সেই গুনাহ তার (পিতার) নিকট ফিরে আসবে।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি ইবনু বুকায়ের আস-সায়রাফী "ফাযায়েলু মান ইসমুহু আহমাদ ওয়া মুহাম্মাদ" (২/৬০) গ্রন্থে মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ আল-আসকারী হতে তিনি আবূ তিনি শাদ্দাদ ইবনু সাঈদ আর-রাসেবী হতে তিনি সাঈদ আল-জারীরী হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ আল-আসকারীকে আমি চিনি না। আল-খাতীবের নিকট ইবনু বুকায়েরের শাইখ হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ ইবনু ইলমিস সাফার।
আর আল-আসকারী আর-রাসেবী বিতর্কিত। তাকে উকায়লী "আয-যোয়াফা" (১৮০) গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেন, ইমাম বুখারী বলেনঃ তাকে আব্দুস সামাদ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি সত্যবাদী, তার হেফযে কিছু ক্রটি ছিল।
তাকে হাফিয যাহাবী "আয-যোয়াফা ওয়াল-মাতরূকীন" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইবনু আদী বলেনঃ আমি তার মুনকার হাদীছ দেখছিনা। উকায়লী বলেনঃ তার কতিপয় হাদীছ আছে সেগুলোর অনুসরণ করা যায় না।
"আত-তাকরীব" গ্রন্থে এসেছেঃ তিনি সত্যবাদী, ভুল করতেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত তিনিই হাদীছটির সমস্যা।
من ولد له مولود فليحسن أدبه واسمه، فإذا بلغ فليزوجه، فإن بلغ ولم يزوجه فأصاب إثما باء بإثمه ضعيف - رواه ابن بكير الصيرفي في " فضائل من اسمه أحمد ومحمد " (60 / 2) : حدثنا محمد بن عبد الله العسكري: حدثنا أبو يعقوب إسحاق بن الحسن بن ميمون الحربي (الأصل: وميمون الحربي وهو خطأ) : حدثنا مسلم بن إبراهيم: حدثنا شداد بن سعيد الراسبي عن سعيد الجريري عن أبي نضرة عن أبي سعيد الخدري وعبد الله بن عباس مرفوعا قلت: وهذا سند ضعيف، رجاله ثقات معرفون من رجال " التهذيب " غير الحربي وهو ثقة وله ترجمة في " تاريخ بغداد " (6 / 382) . والراوي عنه محمد بن عبد الله العسكري لم أعرفه، وفي شيوخ ابن بكير عند الخطيب (8 / 13) محمد بن عبد الله بن علم الصفار، وقد ترجمه الخطيب (5 / 454) وقال: " لم أسمع أحدا من أصحابنا يقول فيه إلا خيرا ". فلعله هو. والراسبي مختلف فيه، أورده العقيلي في " الضعفاء " (180) وقال: " قال البخاري: ضعفه عبد الصمد، ولكنه صدوق في حفظه بعض الشيء ". وذكره الذهبي في " الضعفاء والمتروكين " وقال: " قال ابن عدي: لم أر له حديثا منكرا، وقال العقيلي: له أحاديث لا يتابع عليها ". وفي " التقريب ": " صدوق يخطيء ". قلت: فلعله علة الحديث