পরিচ্ছেদঃ
৯৫০। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ আমি সেই ব্যক্তির সালাত কবুল করবো যে বিনম্র হয়ে সালাতের মাধ্যমে আমার বড়ত্বকে স্বীকার করে নিবে। আমার সৃষ্টিকে উকি মেরে দেখবে না। আমার অবাধ্যতার উপর বাড়াবাড়ি করে রাত্রি যাপন করবে না। সে আমাকে স্মরণ করার মধ্যেই তার দিনকে কাটিয়ে দিবে। মিসকীন, ইবনুস সাবীল ও বিধবাদের উপর সদয় হবে। রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির উপর দয়া করবে। তার জন্য সে সবই হবে সূর্যের আলোর ন্যায় নূর স্বরূপ। আমি তাকে আমার আত্মমর্যাদার দ্বারা খাদ্য খাওয়াব। আমার ফেরেশতাদের দ্বারা তাকে হেফাযত করব। অন্ধকারের মধ্যে আমি তাকে আলো দান করব আর অজ্ঞতায় তাকে জ্ঞান দান করব। আমার সৃষ্টির মধ্যে তার উদাহরণ তেমন জান্নাতের মধ্যে যেমন ফিরদাউস জান্নাত।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি বাযযার (পৃঃ ৬৫), ইবনু হিব্বান "আল-মাজরূহীন" (২/৩৫) গ্রন্থে আবদুল্লাহ বিন ওয়াকেদ আল-হাররানী হতে তিনি হানযালাহ ইবনু আবী সুফিয়ান হতে তিনি তাউস হতে হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে, মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াকেদ নেককার, সৎ, ফাকীহ ও আবু হানিফা (রহঃ)-এর মতের একজন হাফিয ছিলেন। কিন্তু তিনি হাদীছের হাফিয ছিলেন না। তার হাদীছ দুর্বল ও পরিত্যক্ত। আব্দুল হক আল-ইশবীলীর "আল-আহকামুল কুবরা" (৫৭/১-২) গ্রন্থে এরূপই এসেছে। "আল-মাজমা" (২/১৪৭) গ্রন্থে এসেছেঃ হাদীছটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। তাতে আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াকেদ রয়েছেন। তাকে নাসাঈ, বুখারী, ইবরাহীম আল-জুযজানী ও ইবনু মাঈন এক বর্ণনায় দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। অন্য বর্ণনায় তিনি তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। ইমাম আহমাদও তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। ....... ইমাম আহমাদ যদিও ভাল বলে তার প্রশংসা করেছেন, তাকে ভুল ও তাদলীসের সাথে জড়িতও করেছেন। তিনি আরো বলেনঃ সম্ভবত তিনি বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।
কিন্তু তিনি এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেননি। হাদীছটি হাসান ইবনু আলী আল-জাওহারী "মাজলিসুম মিনাল আমলী" (কাফ ২/৬৯) গ্রন্থে ইবনু নুমায়ের সূত্রে ইবনু কাছীর হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু তাউস হতে তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু কাছীর হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবনু কাছীর বাসরী আস-সুলামী আল-কাস্সাব। তার সম্পর্কে ইবনুল মাদীনী বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীছ। ইমাম বুখারী ও সাজী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। তাকে অন্য বিদ্বানগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আলী (রাঃ)-এর হাদীছ হতেও মারফু হিসাবে অনুরূপভাবে বর্ণিত হয়েছে। এটি ইবনু আসাকির “মাদহুত তাওয়াযু” (কাফ ৯০/১-২) গ্রন্থে বর্ণনা করে বলেছেন, দারাকুতনী বলেনঃ এ হাদীছটি গারীব, আদ-দায়নাওয়ারী এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি হচ্ছেন আবু জাফার মুহাম্মাদ ইবনু আব্দিল আযীয ইবনিল মুবারাক আদ-দায়নাওয়ারী। হাফিয যাহাবী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ, দুর্বল। ইবনু আদী তাকে উল্লেখ করে তার কতিপয় মুনকার উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। তিনি বিপদ নিয়ে আসতেন। অতঃপর তিনি তার বিপদ ও বানোয়াটগুলো হতে দুটি হাদীছ উল্লেখ করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে তা স্বীকার করে বলেছেনঃ ইবনু আদী তার কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করে তার কোন কোনটি সম্পর্কে বলেছেনঃ এ সনদে এটি বাতিল। অতঃপর বলেছেনঃ তার আরো মুনকার হাদীছ রয়েছে।
قال الله تبارك وتعالى: إنما أتقبل الصلاة ممن تواضع بها لعظمتي، ولم يستطل على خلقي، ولم يبت مصرا على معصيتي، وقطع نهاره في ذكري، ورحم المسكين وابن السبيل، والأرملة، ورحم المصاب، ذلك نوره كنور الشمس، أكلؤه بعزتي، وأستحفظه ملائكتي، وأجعل له في الظلمة نورا، وفي الجهالة حلما، ومثله في خلقي كمثل الفردوس في الجنة ضعيف - رواه البزار (ص 65 - زوائده) وابن حبان في " المجروحين " (2 / 35) عن عبد الله بن واقد الحراني عن حنظلة بن أبي سفيان عن طاووس عن ابن عباس مرفوعا قلت: وعبد الله بن واقد كان متعففا صالحا متفقها برأي أبي حنيفة حافظا له. ولم يكن حافظا للحديث، فضعف حديثه وترك. كذا في " الأحكام الكبرى " (57 / 1 - 2) لعبد الحق الإشبيلي. وقال في المجمع " (2 / 147) رواه البزار وفيه عبد الله بن واقد الحراني ضعفه النسائي، والبخاري، وإبراهيم الجوزجاني، وابن معين في رواية، ووثقه في رواية، ووثقه أحمد، وقال: كان يتحرى الصدق وأنكر على من تكلم فيه، وأثنى عليه خيرا، وبقية رجاله ثقات ". وكذا قال في " الترغيب " (1 / 176) أن بقية رواته ثقات، وأشار إلى أن في ابن واقد هذا ضعفا، ولم يسق فيه كلاما للأئمة، وجمهور الأئمة على تضعيفه، وأحمد وإن أثنى عليه خيرا فقد نسبه للخطإ والتدليس، وقال: " لعله كبر واختلط لكنه لم ينفرد به، فأخرجه الحسن بن علي الجوهري في " مجلس من الأمالي " (ق 69 / 2) من طريق ابن نمير: حدثنا ابن كثير، عن عبد الله بن طاووس عن أبيه به. قلت: لكن ابن كثير واسمه محمد بن كثير البصري السلمي القصاب، قال ابن المديني: " ذاهب الحديث ". وقال البخاري والساجي: " منكر الحديث "، وضعفه آخرون. وروي من حديث علي مرفوعا نحوه، وزاد في آخره: " لا يتسنى ثمارها، ولا يتغير حالها ". رواه ابن عساكر في " مدح التواضع " (ق 90 / 1 - 2) وقال: " قال الدارقطني: غريب تفرد به الدينوري قلت: يعني أبا جعفر محمد بن عبد العزيز بن المبارك الدينوري، قال الذهبي: " منكر الحديث، ضعيف، ذكره ابن عدي، وذكر له مناكير، وكان ليس بثقة يأتي ببلايا ". ثم ساق له حديثين من بلاياه وموضوعاته، وأقره الحافظ في " اللسان " وقال: " وأورد له ابن عدي أحاديث قال في بعضها: باطل بهذا الإسناد، ثم قال: وله غير ما ذكرت من المناكير