হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৯৭৯

পরিচ্ছেদঃ

৯৭৯ । যে ব্যক্তি আমার উম্মাতের নিকট একটি হাদীছ পৌঁছে দিয়ে তার স্বারা একটি সুন্নাত প্রতিষ্ঠা করবে কিংবা তার দ্বারা একটি বিদ’আত উঠিয়ে দিবে তার জন্য জান্নাত।

হাদীছটি জাল।

এটি আবু নোয়াইম "হিলইয়াতুল আওলিয়া" (১০/৪৪) গ্রন্থে, আল-খাতীব "শারাফু আসহাবিল হাদীছ" (২/৫৭/১) গ্রন্থে, ইবনু শাযান "আল-মাশীখাতুস সাগীরাহ" (নং ৪৬) গ্রন্থে ও আরো অনেকে আব্দুর রহীম ইবনু হাবীব ও আলী ইবনু মসলামাহ সূত্রে ইসমাঈল ইবনু ইয়াহইয়া হতে তিনি সুফিয়ান ছাওরী হতে তিনি লাইছ হতে তিনি তাউস হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদটি বানোয়াট। তার সমস্যা হচ্ছে এই ইসমাঈল। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তিনি ইবনু জুরায়েয ও মিসআর হতে বাতিল হাদীছ বর্ণনা করেছেন। সালেহ জাযারাহ বলেনঃ তিনি হাদীছ জাল করতেন। আল-আযদী বলেনঃ তিনি মিথ্যার স্তম্ভগুলোর একটি স্তম্ভ, তার থেকে বর্ণনা করাই হালাল নয়। ইবনু আদী বলেনঃ তার অধিকাংশ বর্ণনাগুলোই বাতিল। আবু আলী নেসাপুরী, দারাকুতনী ও হাকিম বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার থেকে তার মত দু’জন মিথ্যুক হাদীছটি গ্রহণ করেছেন! একজন হচ্ছেন আলী ইবনু মাসলামাহ। ইবনু হিব্বান (২/১৭৪) বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করতেন।

ইবনু তাহের বলেনঃ তিনি হাদীছ জাল করতেন।

আর দ্বিতীয়জন হলেন আব্দুর রহীম ইবনু হাবীব। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি কিছুই না। ইবনু হিব্বান (২/১৫৪) বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উপর জাল করতেন। সম্ভবত তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর পাঁচ শতেরও বেশী হাদীছ জাল করেছেন।

আবু নোয়াইম আল-আসবাহানী বলেনঃ তিনি ইবনু ওয়াইনাহ ও বাকিয়াহ হতে জাল হাদীছ বর্ণনা করেছেন। হাদীছটি সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করে গ্রন্থটিকে কালিমালিপ্ত করেছেন। ফলে “ফায়যুল কাদীর” গ্রন্থে মানবী তার সমালোচনা করেছেন।

সুয়ূতীর কারণে পরবর্তী যুগের কোন কোন মাগরেবীও ধোঁকায় পড়েছেন।

من أدى إلى أمتي حديث يقيم به سنة، أو يثلم به بدعة، فله الجنة موضوع - رواه أبو نعيم في " حلية الأولياء " (10 / 44) والخطيب في " شرف أصحاب الحديث " (2 / 57 / 1) وكذا ابن شاذان في " المشيخة الصغيرة " (رقم 46 من نسختي) وأبو القاسم القشيري في " الأربعين " (ق 150 - 151) والسلفي في " أربعينه " (10 / 2) وعنه ابن عساكر في " أربعين السلفي " (9 / 2) وابن البناء في " الرد على المبتدعة " (2 / 2) وعفيف الدين في " فضل العلم " (ق 124 - 125) ومحمد بن طولون في " الأربعين " (14 / 1) من طريق عبد الرحيم بن حبيب والعلاء بن مسلمة بعضهم عن الأول، وأكثرهم عن الآخر كلاهما عن إسماعيل بن يحيى التيمي عن سفيان الثوري عن ليث عن طاووس عن ابن عباس مرفوعا قلت: وهذا إسناد موضوع آفته إسماعيل هذا، قال الذهبي: " حدث عن ابن جريج ومسعر بالأباطيل، قال صالح جزرة: كان يضع الحديث، وقال الأزدي ركن من أركان الكذب لا تحل الرواية عنه، وقال ابن عدي: عامة ما يرويه بواطيل. وقال أبو علي النيسابوري والدارقطني والحاكم: كذاب قلت: وقد تلقاه عنه كذابان مثله! أحدهما العلاء بن مسلمة، قال ابن حبان (2 / 174) : " يروي الموضوعات عن الثقات " وقال ابن طاهر: " كان يضع الحديث والآخر عبد الرحيم بن حبيب، قال ابن معين: ليس بشيء، وقال ابن حبان (2 / 154) : " كان يضع الحديث على الثقات وضعا، لعله وضع أكثر من خمسمائة حديث على رسول الله صلى الله عليه وسلم ". وقال أبو نعيم الأصبهاني: " روى عن ابن عيينة وبقية الموضوعات ". والحديث مما سود به السيوطي كتابه " الجامع الصغير "! وعزاه لحلية أبي نعيم فقط! وتعقبه المناوي في " فيض القدير " بقوله: " وفيه عبد الرحيم (الأصل عبد الرحمن وهو خطأ) بن حبيب أورده الذهبي في " الضعفاء " وقال: " متهم بالوضع "، وإسماعيل بن يحيى التيمي قال - أعني الذهبي - كذاب يضع وقد اغتر بالسيوطي بعض المتأخرين من المغاربة، فأورده في كتابه " لبانة القاري من صحيح البخاري " وذكره في مقدمته محتجا به وجازما بنسبته إلى النبي صلى الله عليه وسلم


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ