পরিচ্ছেদঃ
১০১৬। তিনি জুম’আর (সালাতের) আগে চার ও পরে চার রাকাআত সালাত আদায় করতেন।
হাদীসটি মুনকার।
এটি ত্বারানী “আল-মুজামুল আওসাত” (নং ৪১১৬) গ্রন্থে আলী ইবনু সাঈদ আর-রাযী হতে, তিনি সুলায়মান ইবনু আমর হতে, তিনি আত্তাব ইবনু বাশীর হতে, তিনি খুসায়েফ হতে, তিনি আবু ওবায়দাহ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ত্ববারানী বলেনঃ এ হাদীসটি খুসায়েফ হতে একমাত্র আত্তাব ইবনু বাশীর বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যায়লাঈ "নাসবুর রায়াহ" গ্রন্থে (২/২০৬) কোন হকুম না লাগিয়ে চুপ থেকেছেন। হাফিয ইবনু হাজার "আদ-দিরায়াহ" (পৃঃ ১৩৩) এন্থে বলেনঃ তার সনদে দুর্বলতা রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এতে পাঁচটি সমস্যা রয়েছেঃ
১। ইবনু মাসউদ (রাঃ) ও তার ছেলে আবু ওবায়দার মধ্যে বিচ্ছিন্নতা। কারণ তিনি তার থেকে শ্রবণ করেননি। যেমনটি আবু ওবায়দাহ নিজে তা স্পষ্ট করেছেন। হাদীস শাস্ত্রের উপর হানাফীদের বর্তমান যুগের কোন গ্রন্থ রচনাকারী ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে আবু ওবায়দার শ্রবণ সাব্যস্ত করার চেষ্টা চালিয়েছেন!
২। খুসায়েফ দুর্বল। তিনি হচ্ছেন ইবনু আব্দির রহমান আল-জাযারী আল-হাররানী। হাফিয “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, হেফযে ক্রটিযুক্ত, তার শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।
৩। আত্তাব ইবনু বাশীর- বিতর্কিত ব্যক্তি। ইবনু মাঈন বলেছেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য। আরেকবার বলেছেনঃ তিনি দুর্বল। নাসাঈ বলেছেনঃ হাদীসের ক্ষেত্রে তিনি তেমন নন। ইমাম আহমাদ বলেনঃ আশা করি তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। তিনি তার শেষ জীবনে কতিপয় মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। আমি মনে করি সেগুলো খুসায়েফের পক্ষ হতেই হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটি খুসায়েফ হতেই বর্ণনাকৃত। এটি তার মুনকারগুলোর অন্তর্ভুক্ত। ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে হাদীসটি বর্ণিত হওয়ায় তাকে আরো শক্তিশালী করছে।
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে তিনি জুম’আর আগে ও পরে চার রাকাআত করে সালাত আদায় করার নির্দেশ দিতেন। এটি আব্দুর রাযযাক (৫৫২৫) বর্ণনা করেছেন।
৪। সুলায়মান ইবনু আমরকে কে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন পাচ্ছি না। তবে ইবনু আবী হাতিম “আল-জারহু অত-তা’দীল” (২/১/১৩২) গ্রন্থে বলেনঃ আবু হাতিম তার থেকে লিখেছেন।
উপরের আলোচনা হতে সাব্যস্ত হচ্ছে যে, এ হাদীসটি মারফু হিসেবে মুনকার। মওকুফ হিসেবে সঠিক।
৫। আত্তাব ইবনু বাশীর ভুল করে মারফু’ করে দিয়েছেন। কারণ তার হেফযে ক্রটি থাকা সত্ত্বেও মুহাম্মাদ ইবনু ফুযায়েল তার বিরোধিতা করে খুসায়েফ হতে ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এটি ইবনু আবী শাইবাহ "আল-মুসান্নাফ" (২/১৩১, ১৩৩) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবনু ফুযায়েল নির্ভরযোগ্য তিনি শাইখায়নের বর্ণনাকারী।
হাদীসটি দুর্বল হওয়ার কারণে এটি ’কবলাল জুম’আহ সুন্নাত নামের সালাত শরীয়ত সম্মত হওয়ার দলীল হতে পারে না।
সতর্কবাণীঃ হাদীসটির সনদ "নাসবুর রায়াহ" (২/২০৬) গ্রন্থে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছেঃ আলী ইবনু ইসমাঈল আর-রাযী সুলায়মান ইবনু উমর ইবনে খালেদ হতে। সঠিক হচ্ছে যেমনটি "আল-মুজামুল আওসাত" গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছি।
كان يصلي قبل الجمعة أربعا، وبعدها أربعا منكر - رواه الطبراني في " معجمه الأوسط " (رقم - 4116 - مصورتي) : حدثنا علي بن سعيد الرازي: حدثنا سليمان بن عمرو بن خالد الرقي: حدثنا عتاب بن بشير عن خصيف عن أبي عبيدة عن عبد الله بن مسعود مرفوعا، وقال الطبراني لم يرو هذا الحديث عن خصيف إلا عتاب بن بشير قلت: سكت عليه الزيلعي في " نصب الراية " (2/206) ، وقال الحافظ في " الدراية " (ص 133) وفي سنده ضعف قلت: وفيه خمس علل الأولى: الانقطاع بين ابن مسعود وابنه أبي عبيدة؛ فإنه لم يسمع منه، كما صرح بذلك أبو عبيدة نفسه على ما هو مذكور في ترجمته، وقد حاول بعض من ألف في مصطلح الحديث من حنفية هذا العصر أن يثبت سماعه منه دون جدوى الثانية: ضعف خصيف، وهو ابن عبد الرحمن الجزري الحراني، قال الحافظ في " التقريب صدوق سيء الحفظ، خلط بآخره الثالثة: عتاب بن بشير، مختلف فيه، قال ابن معين: ثقة، وقال مرة: ضعيف، وقال النسائي: ليس بذاك في الحديث، وقال أحمد: أرجوأن لا يكون به بأس، روى بآخرة أحاديث منكرة، وما أرى إلا أنها من قبل خصيف قلت: وهذا الحديث من روايته عنه، فهو من مناكيره، ويؤيد ذلك أنه ورد موقوفا على ابن مسعود، من طريقين عنه، فقال عبد الرزاق في " مصنفه " (5524) : عن معمر عن قتادة إن ابن مسعود كان يصلي قبل الجمعة أربع ركعات، وبعدها أربعا قلت: وهذا سند صحيح لولا أن قتادة لم يسمع من ابن مسعود كما قال الهيثمي (2/195) ، ثم قال عبد الرزاق (5525) : عن الثوري عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن السلمي قال كان عبد الله يأمرنا أن نصلي قبل الجمعة أربعا وبعدها أربعا قلت: وهذا سند صحيح لا علة فيه، وعطاء بن السائب وإن كان اختلط؛ فالثوري قد روى عنه قبل الاختلاط الرابعة: سليمان بن عمرو لم أجد من وثقه، ولكن كتب عنه أبو حاتم كما قال ابنه في " الجرح والتعديل " (2/1/132) فثبت مما تقدم أن رفع هذا الحديث منكر، وأن الصواب فيه الوقف. والله أعلم الخامسة: وهي العلة الحقيقية، وهي خطأ عتاب بن بشير في رفعه، فإنه مع الضعف الذي في حفظه قد خالفه محمد بن فضيل فقال: عن خصيف به موقوفا على ابن مسعود أخرجه ابن أبي شيبة في " المصنف " (2/131 و133) وابن فضيل ثقة من رجال الشيخين، ومع ضعف الحديث فلا دليل فيه على مشروعية ما يسمونه بسنة الجمعة القبلية كما سبق بيانه في الحديث (1001) ، فراجعه فإنه بمعنى هذا تنبيه: وقع إسناد الحديث في " نصب الراية " (2/206) هكذا: حدثنا علي بن إسماعيل الرازي: أنبأ سليمان بن عمر بن خالد الرقي. والصواب ما تقدم نقلا عن " المعجم الأوسط وقد روي الحديث عن أبي هريرة أيضا، وهو " كان يصلي قبل الجمعة ركعتين، وبعدها ركعتين