হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১০৮৩

পরিচ্ছেদঃ

১০৮৩। যখন তোমাদের নিকট আমার উদ্ধৃতিতে এমন হাদীস বর্ণনা করা হবে যা হকের সাথে মিলে যায় তখন তা তোমরা গ্রহণ কর- আমি সে হাদীসটি বর্ণনা করে থাকি আর বর্ণনা না করে থাকি।

হাদীসটি জাল (বানোয়াট)।

এটি উকায়লী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (পৃঃ ৯), হারাবী "যাম্মুল কালাম" গ্রন্থে (৪/৭৮/২) এবং ইবনু হাযম "আল-আহকাম" গ্রন্থে (২/৭৮) আশয়াস ইবনু বারায হতে, তিনি কাতাদাহ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক হতে, তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

উকায়লী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এটির কোন সহীহ সনদ নেই। আশয়াসের এটি ছাড়াও মুনকার হাদীস রয়েছে।

ইবনু হাযম বলেনঃ তিনি একজন মিথ্যুক, সাকেত বর্ণনাকারী। ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে "আল-মাওষু’আত" গ্রন্থে উকায়লীর সূত্রে উল্লেখ করে তার উপরোল্লিখিত কথা বর্ণনা করার পর বলেছেনঃ ইয়াহইয়া বলেনঃ এ হাদীসটি যিন্দীকরা জাল করেছে। খাত্তাবী বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি নেই। ইয়াযীদ ইবনু রাবী’য়াহ হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি আবুল আশয়াস হতে, তিনি সাওবান হতে বর্ণনা করেছেন। ইয়াযীদ মাজহুল (অপরিচিত)। আর আবুল আশয়াস সাওবান হতে বর্ণনা করেননি।

ইয়াযীদ সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ জুযজানী বলেছেনঃ আমি তার হাদীস জাল হওয়ার আশংকা করছি। ইবনু আদী বলেনঃ আমার ধারণা তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। যাহাবী ইবনু আদীর কথার উপর নির্ভর করেননি। তার প্রমাণ এই যে, তিনি তাকে "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইমাম বুখারী বলেনঃ তার হাদীসগুলো মুনকার। নাসাঈ বলেনঃ তিনি মাতরূক।

তিনি “আল-মীযান” গ্রন্থে তার কতিপয় মুনকার হাদীস উল্লেখ করেছেন। এটি সেগুলোর একটি। অতঃপর তিনি বলেছেনঃ হাদীসটি খুবই মুনকার।

হাফিয সুয়ূতী যে হাদীসটির আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে তিনটি সূত্র উল্লেখ করেছেন, তার একটি খুবই দুর্বল। দ্বিতীয়টি ক্রটিযুক্ত। তৃতীয়টি দুর্বল। এছাড়াও তিনি তার সনদে ভুল করেছেন। বাস্তবতা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে সেগুলো উল্লেখ করা হচ্ছেঃ (দেখুন পরের হাদীসগুলো)

إذا حدثتم عني حديثا يوافق الحق فخذوا به، حدثت به أولم أحدث به موضوع - أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (ص 9) والهروي في " ذم الكلام " (4/78/2) وابن حزم في " الأحكام " (2/78) من طريق أشعث بن براز عن قتادة عن عبد الله ابن شقيق عن أبي هريرة مرفوعا، وقال العقيلي ليس بهذا اللفظ عن النبي صلى الله عليه وسلم إسناد يصح، وللأشعث هذا غير حديث منكر وقال ابن حزم عقبه: كذاب ساقط، وأورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من طريق العقيلي وذكر كلامه المتقدم وزاد وقال يحيى: هذا الحديث وضعته الزنادقة، وقال الخطابي: لا أصل له، وروي من حديث يزيد بن ربيعة عن أبي الأشعث عن ثوبان، ويزيد مجهول، وأبو الأشعث لا يروي عن ثوبان وتعقبه السيوطي في " اللآليء " (1/213) بقوله قلت: هذا الطريق أخرجه (هنا بياض في الأصل) وقول المؤلف أن يزيد مجهول مردود، فإنه له ترجمة في " الميزان " وقد ضعفه الأكثر، وقال ابن عدي: أرجو أنه لا بأس به، وقال أبو مسهر: كان يزيد بن ربيعة فقيها غير متهم، ما ينكر عليه أنه أدرك أبا الأشعث، ولكن أخشى عليه سوء الحفظ والوهم، وقوله: إن أبا الأشعث لا يروي عن ثوبان مردود، فقد روى أبو النضر: حدثنا يزيد بن ربيعة: حدثنا أبو الأشعث الصنعاني قال: سمعت ثوبان يحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: " قبل الجبار فيثني رجله على الجسر ". الحديث قلت: في " الميزان " جملة حذفها السيوطي، وليس ذلك بجيد، لا سيما وهي تخالف ما يتجه إليه من تمشية حال يزيد هذا، فقال الذهبي وقال الجوزجاني: أخاف أن تكون أحاديثه موضوعة، وأما ابن عدي فقال: أرجو أنه لا بأس به وفيه إشعار بأن الذهبي لم يتبن قول ابن عدي هذا، ويؤيده أنه أورد المترجم في " الضعفاء " وقال قال البخاري: أحاديثه منكرة، وقال النسائي: متروك وقد ساق له في " الميزان " أحاديث مما أنكر عليه، هذا أحدها، ثم قال فيه منكر جدا ثم ذكر السيوطي للحديثين ثلاث طرق أخرى عن أبي هريرة أحدها واه جدا، والثاني معلول، والثالث ضعيف مع أنه أخطأ في سنده فلابد من سوقها لبيان حقيقة أمرها


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ