পরিচ্ছেদঃ
১২৬২। সকালের সালাতে বিশ আয়াতের কম পাঠ করা হতো না আর এশার সালাতে দশ আয়াতের কম পাঠ করা হতো না।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ইমাম ত্ববারানী "আল-মুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (নং ৪৫৩৮/৪৪০৯) মিকদাদ ইবনু দাউদ হতে, তিনি আসাদ ইবনু মূসা হতে, তিনি ইবনু লাহী’য়াহ হতে তিনি ওবায়দুল্লাহ ইবনু আবী জাফার হতে, তিনি বুকায়ের ইবনু আদিল্লাহ ইবনে আশুয হতে, তিনি খাল্লাদ ইবনুস সায়েব হতে, তিনি রিফা’য়াহ্ আনসারী হতে বর্ণনা করেছেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দুটি কারণে এ সনদটি দুর্বলঃ
১। ইবনু লাহীয়াহ, তার নাম আব্দুল্লাহ। তার কিতাবসমূহ পুড়ে যাওয়ার এবং তার মুখস্থ শক্তি ক্রটিপূর্ণ হওয়ার কারণে তিনি দুর্বল। তবে তার থেকে যদি আবাদিলাহ্ বর্ণনাকারীগণ বর্ণনা করেন (যেমন আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, আব্দুল্লাহ ইবনুল মুনব্বিহ প্রমুখ) তাহলে তার বর্ণনা সহীহ। কিন্তু এখানে আবদিলাহ্ বর্ণনা করেননি।
২। দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারী মিকদাদ ইবনু দাউদ। তার সম্পর্কে ইমাম নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (২/১১৯) শুধুমাত্র ইবনু লাহীয়ার দ্বারা হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে কি যাবে না এ ব্যাপারে মতভেদ করা হয়েছে।
সঠিক হচ্ছে এই যে, তার থেকে আবাদিলাহ বর্ণনা না করে থাকলে তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না।
لا يقرأ في الصبح بدون عشرين آية، ولا يقرأ في العشاء بدون عشر آيات ضعيف - أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (رقم - 4538) : حدثنا المقدام بن داود: حدثنا أسد بن موسى: حدثنا ابن لهيعة: حدثنا عبيد الله بن أبي جعفر عن بكير بن عبد الله بن الأشج عن خلاد بن السائب عن رفاعة الأنصاري أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره قلت: وهذا إسناد ضعيف، وله علتان الأولى: ابن لهيعة، واسمه عبد الله، وهو ضعيف لسوء حفظه واحتراق كتبه إلا من رواية العبادلة عنه كعبد الله بن وهب وغيره، وليس هذا منها والخرى: المقدام بن داود، قال النسائي: " ليس بثقة " والحديث اقتصر الهيثمي في " المجمع " (2/119) على إعلاله بابن لهيعة وقال " اختلف في الاحتجاج به " والصواب أنه ليس بحجة إلا في رواية أحد العبادلة عنه كما ذكرنا مرارا