পরিচ্ছেদঃ
১৭৫৩। জিবরীল (আঃ) আমার নিকট আসলেন। অতঃপর আমাকে নির্দেশ দিলেন আমি যেন এ আয়াতটিকে এ সূরার অমুক স্থানে রেখে দিইঃ "আল্লাহ ন্যায়-বিচার, সদাচরণ ও আত্মীয়দেরকে দেয়ার হুকুম দিচ্ছেন, আর তিনি নিষেধ করছেন অশ্লীলতা, অপকর্ম আর বিদ্রোহ থেকে। তিনি তোমাদেরকে নাসীহাত করছেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর" (সূরা নাহল: ৯০)।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ (৪/২১৮) লাইস সূত্রে শাহর ইবনু হাওশাব হতে, তিনি উসমান ইবনু আবুল আস হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসে ছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি তার চোখকে উপরের দিকে উঠালেন, অতঃপর সোজা করে নিয়ে তিনি যেন দৃষ্টিকে যমীনের সাথে নিবদ্ধ করলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ অতঃপর তিনি পুনরায় তার দৃষ্টিকে উপরে উঠিয়ে বললেন ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দু’টি কারণে দুর্বলঃ
(১) বর্ণনাকারী শাহর ইবনু হাওশাব তার হেফযের দিক থেকে দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, শেষ বয়সে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।
(২) তিনি তার হাদীসকে পৃথক করতে পারতেন না। ফলে তাকে ত্যাগ করা হয়।
আমি (আলবানী) বলছি তার সনদের বিরোধিতা করা হয়েছে। আব্দুল হামীদ বর্ণনা করেন শাহর হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে, তিনি বলেনঃ "রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় তার ঘরের আঙ্গিনায় ছিলেন এমতাবস্থায় উসমান ইবনু মায’উন তাকে অতিক্রম করছিলেন ... আলহাদীস।” এর মধ্যে ইবনু মায’উনের ঈমান আনার ঘটনা রয়েছে এবং তাতে রয়েছেঃ “আমার নিকট এখনই আল্লাহর রসূল (জিবরীল) এসেছিলেন এমতাবস্থায় যে, তুমি বসেছিলে। (ইবনু মাযউন জিজ্ঞেস করল) আল্লাহর রসূল (জীবরল)? (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হা। সে (ইবনু মাযউন) বললঃ আপনাকে তিনি কি বললেন? তিনি বললেনঃ ... ৷
আব্দুল হামীদ হচ্ছেন ইবনু বাহরাম, তিনি সত্যবাদী যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন। তিনি লাইসের চেয়ে বেশী নির্ভরযোগ্য। তার বর্ণনা লাইসের বর্ণনার চেয়ে বেশী অগ্রাধিকারযোগ্য। তবে তার বর্ণনার ব্যাপারে ইবনু কাসীরের মন্তব্য (২/৫৮৩) আজব ধরনেরঃ সনদটি ভালো, মুত্তাসিল ও হাসান।
আর লাইসের বর্ণনার ক্ষেত্রে তার মন্তব্য হচ্ছেঃ এ সনদের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। সম্ভবত শাহরের নিকট দু’সূত্র হতেই বর্ণিত হয়েছে। হাইসামীর মন্তব্যও (৭/৪৯) তার মতইঃ হাদীসটি ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন আর তার সনদটি হাসান।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাসান হয় কিভাবে যার মধ্যে শাহর রয়েছে? আর তার থেকে লাইস বর্ণনা করেছেন। আর তিনি ভাষার মধ্যে বেশী করে বর্ণনা করেছেন যা আব্দুল হামীদ তার বর্ণনায় শাহর হতে উল্লেখ করেননি!
أتاني جبريل عليه السلام فأمرني أن أضع هذه الآية بهذا الموضع من هذه السورة: " إن الله يأمر بالعدل والإحسان وإيتاء ذي القربى، وينهى عن الفحشاء والمنكر والبغي، يعظكم لعلكم تذكرون ضعيف - أخرجه أحمد (4 / 218) من طريق ليث عن شهر بن حوشب عن عثمان بن أبي العاص قال: " كنت عند رسول الله صلى الله عليه وسلم جالسا، إذ شخص ببصره، ثم صوبه حتى كاد أن يلزقه بالأرض، قال: ثم شخص ببصره، فقال: فذكره قلت: وهذا إسناد ضعيف، فيه علتان: الأولى: شهر بن حوشب، ضعيف من قبل حفظه، قال الحافظ: " صدوق، كثير الإرسال، والأوهام ". والأخرى: ليث، وهو ابن أبي سليم، مثله في الضعف. قال الحافظ: " صدوق اختلط أخيرا، ولم يتميز حديثه فترك قلت: وقد خولف في إسناده، فقال عبد الحميد: حدثنا شهر حدثنا عبد الله بن عباس قال: " بينما رسول الله صلى الله عليه وسلم بفناء بيته بمكة إذ مر به عثمان بن مظعون ... " الحديث، وفيه قصة إيمان ابن مظعون، وفيه: " أتاني رسول الله آنفا، وأنت جالس، قال: رسول الله؟ قال: نعم، قال: فما قال لك؟ قال: " إن الله يأمر بالعدل ... " ". وعبد الحميد هو ابن بهرام، وهو صدوق، كما قال الحافظ، فهو أوثق من ليث، فروايته أرجح من رواية ليث، فمن الغريب قول الحافظ ابن كثير في روايته (2 / 583) : " إسناد جيد متصل حسن "! وقوله في رواية ليث: " وهذا إسناد لا بأس به، ولعله عند شهر من الوجهين ". ونحوه قول الهيثمي (7 / 49) : " رواه أحمد، وإسناده حسن فأقول: أنى له الحسن، وفيه شهر؟! وعنه ليث، وقد زاد في متنه ما لم يذكره عبد الحميد في روايته عن شهر. (تنبيه) : وقع في " المجمع ": " عن عمرو بن أبي العاص " وهو خطأ مطبعي، والصواب: " عثمان بن أبي العاص