হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫৬৬০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ

৫৬৬০-[৬] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি (مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى. . . . وَلَقَدْ رَآهُ نزلة أُخْرَى)  “(নবীর) অন্তঃকরণ মিথ্যে মনে করেনি যা সে দেখে ছিল। সে যা দেখেছে সে বিষয়ে তোমরা কি তার সঙ্গে বিতর্ক করবে? অবশ্যই সে [নবী (সা.)] তাঁকে (জিবরীল আলায়হিস সালাম-কে) আরেকবার দেখেছিল” (সূরাহ আন্ নাজুম ৫৩: ১১-১৩); আয়াতের তাফসীর বা ব্যাখ্যায় বলেছেন, মুহাম্মাদ (সা.) অন্তর-চক্ষু দ্বারা আল্লাহ তা’আলাকে দু’বার দেখেছেন। (মুসলিম)

আর তিরমিযীর বর্ণনাতে আছে- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, মুহাম্মাদ (সা.) তার প্রভুকে দেখেছেন, “ইকরিমাহ্ বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি- (لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ وَهُوَ يدْرك الْأَبْصَار) “চক্ষুসমূহ তাঁকে দেখতে পারে না, কিন্তু তিনি চক্ষুসমূহকে দেখতে পান”- (সূরা আল আ’আম ৬ : ১০৩)। উত্তরে ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, তোমার প্রতি আক্ষেপ। আরে! তা তো সেই সময়ের সম্পর্কে বলা হয়েছে, যখন আল্লাহ তা’আলা তাঁর বিশেষ জ্যোতিতে আত্মপ্রকাশ করবেন (তখন তাঁকে দেখা সম্ভব নয়) তবে মুহাম্মাদ (সা.) তার প্রভুকে (স্বাভাবিক অবস্থায়) দু’বার দেখেছেন।

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب رؤيةالله تَعَالَى)

وَعَن ابْن عَبَّاس: (مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى. . . . وَلَقَدْ رَآهُ نزلة أُخْرَى) قَالَ: رَآهُ بِفُؤَادِهِ مَرَّتَيْنِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَفِي رِوَايَة لِلتِّرْمِذِي قَالَ: رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ. قَالَ عِكْرِمَةُ قُلْتُ: أَلَيْسَ اللَّهُ يَقُولُ: (لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ وَهُوَ يدْرك الْأَبْصَار) ؟ قَالَ: وَيحك إِذَا تَجَلَّى بِنُورِهِ الَّذِي هُوَ نُورُهُ وَقَدْ رأى ربه مرَّتَيْنِ رواہ مسلم (285 / 176)، (437) و الترمذی (3279 وقال : حسن غریب) و حدیث الترمذی حدیث حسن و رواہ ابن خزیمۃ فی التوحید (ص 198 ح 273) و ابن ابی عاصم فی السنۃ (437 / 446) بسند حسن بہ ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: (ربه مرَّتَيْنِ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, নবী মুহাম্মাদ (সা.) - কে দু’বার দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ নবী মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহ তা'আলাকে দু'বার দেখেছেন। উল্লেখিত ইবারতটুকু অধিকাংশ সালাফে-সালিহীনের অভিমতের বিপক্ষে এবং সরাসরি কুরআনের আয়াতেরও বিরুদ্ধে যায়। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা. ৩২৭৯)