হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫৮০২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮০২-[২৭] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের মানুষ। একদিন তিনি (সা.) কোন এক কাজে আমাকে পাঠাতে চাইলেন। তখন আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি যাব না। কিন্তু আমার মনের মাঝে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে যে কাজের জন্য আদেশ করেছেন, আমি সে কাজে অবশ্যই যাব। অতঃপর আমি বের হয়ে এমন কিছু বালকদের কাছে এসে পৌছলাম যারা বাজারের মধ্যে খেলাধুলা করছিল। এমন সময় হঠাৎ রাসূলুল্লাহ (সা.) গিয়ে পিছন হতে আমার ঘাড় চেপে ধরলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি হাসছেন। তখন তিনি (সা.) স্নেহের সুরে বললেন, হে উনায়স! যে কাজের জন্য আমি তোমাকে আদেশ করেছিলাম সেখানে কি তুমি গিয়েছিলে? উত্তরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এই তো আমি এক্ষুণি যাচ্ছি। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَعَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ خُلُقًا فَأَرْسَلَنِي يَوْمًا لِحَاجَةٍ فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أَذْهَبُ وَفِي نَفْسِي أَنْ أَذْهَبَ لِمَا أَمَرَنِي بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجْتُ حَتَّى أَمُرَّ عَلَى صِبْيَانٍ وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي السُّوقِ فَإِذَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَبَضَ بِقَفَايَ مِنْ وَرَائِي قَالَ: فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقَالَ: «يَا أُنَيْسُ ذَهَبْتَ حَيْثُ أَمَرْتُكَ؟» . قُلْتُ: نَعَمْ أَنَا أَذْهَبُ يَا رَسُول الله. رَوَاهُ مُسلم رواہ مسلم (54 / 2310)، (6015) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: আনাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর খিদমাত করার সময় তাঁর বয়স অল্প ছিল। তাই তিনি মৌখিকভাবে বলেন, আল্লাহর কসম! আমি এখন এ কাজটি করতে পারবো না, তিনি পরে করার ইচ্ছা রাখেন। আর এ কথা বুঝা যায় তাঁর কথা থেকে তা হলো “আর আমার মনে আছে” আমি যাব যে কাজের জন্য নবী (সা.) আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা পালন করার জন্য।
(أنيس) শব্দটি (أنس) শব্দের তাসগীর বা ক্ষুদ্রত্ববাচক। রাসূলুল্লাহ (সা.) আনাস (রাঃ)-কে তাঁর আসল নামে সম্ভোধন না করে এর পরিবর্তে এ নামের তাসগীর-এর মাধ্যমে সন্মোধন করেছেন, যা তাঁর জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্নেহ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)