হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫৮৭৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৮৭৩-[৬] উক্ত রাবী [ইবনু আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। বদর যুদ্ধের দিন নবী (সা.) বললেন, এই তো জিবরীল আলায়হিস সালাম তার ঘোড়ার মাথা (লাগাম) ধরে আছেন। তিনি যুদ্ধাস্ত্রে সাজানো। (বুখারী)

الفصل الاول (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ بَدْرٍ: «هَذَا جِبْرِيلُ آخِذٌ بِرَأْسِ فرسه عَلَيْهِ أَدَاة الْحَرْب» . رَوَاهُ البُخَارِيّ رواہ البخاری (3995) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে বদর যুদ্ধের দিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ হাদীসে উল্লেখিত (بَدْر) (বদর) শব্দের পরিচয়ের ক্ষেত্রে দুটি মত পাওয়া যায়। যথা -
১) ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, বদর হলো মক্কাহ ও মদীনার মাঝে একটি পরিচিত জলাশয়ের নাম যার দূরত্ব মদীনাহ থেকে চার মঞ্জীল তথা প্রায় ১৫০ কি.মি.।
২) ইবনু কুতায়বাহ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এটি হলো একটি কুপ। যা বদর নামক একজন ব্যক্তির ছিল। পরবর্তীতে সেই ব্যক্তির নাম অনুসারে উক্ত কূপকে বদর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল দ্বিতীয় হিজরী রমাযান মাসের ১৭ তারিখে জুমু'আর দিনে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
ফাতহুল বারীতে বদর যুদ্ধে ঘটে যাওয়া কিছু অলৌকিক বিষয় বিভিন্ন হাদীসের সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- ইবনু ইসহাক আবূ ওয়াক্বীদ আল লায়সী-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন আমি একজন মুশরিককে হত্যা করার জন্য তার পিছু নিলাম। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো যে, তার কাছে আমার তরবারি পৌছার পূর্বেই তার গর্দান মাটিতে পড়ে গেল।
অন্য আরেকটি হাদীসে রয়েছে, ‘আলী (রা) বলেন, বদর যুদ্ধের দিন প্রচণ্ড বাতাস প্রবাহিত হলো। যে রকম বাতাস প্রবাহিত হলো, সে রকম বাতাস প্রবাহিত হতে আর কোন সময় দেখিনি। তারপর আবারও প্রচণ্ড বাতাস প্রবাহিত হলো। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় যে, তিনি তা তিনবার উল্লেখ করেছেন। এখানে প্রথমটি ছিলেন, জিবরীল আলায়হিস সালাম, দ্বিতীয়টি ছিলেন আলায়হিস সালাম এবং তৃতীয়টি ছিলেন ইসরাফীল আলায়হিস সালাম। মীকাঈল আলায়হিস সালাম ছিলেন নবী (সা.)-এর ডানপাশে আর সেখানে ছিলেন আবূ বাকর (রাঃ)। যেখানে ইসরাফীল আলায়হিস সালাম ছিলেন নবী (সা.) -এর বামপাশে আর সেখানে ছিলাম আমি।
শায়খ তাক্বীউদ্দীন আস্ সাবাকী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মালায়িকাহ’র (ফেরেশতাদের) নবী (সা.) -এর সাথে থেকে লড়াই করার হিকমত সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো এভাবে যে, মালায়িকাহ্ কেন লড়াই করল? অথচ জিবরীল আলায়হিস সালাম তো একাই সক্ষম তার কোন এক ডানা দিয়ে কাফিরদেরকে প্রতিহত করতে। তখন উত্তরে আমি বললাম, এটি ঘটেছে এই উদ্দেশে, যেন যুদ্ধের কাজ নবী (সা.) সাহাবীদের মাধ্যমেই সংঘটিত হয় আর মালায়িকাহ যেন শুধু তাদেরকে সেনাবাহিনীর ভূমিকায় সাহায্য করেন। এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করে যে, মানুষ যেন উপকরণ গ্রহণ করতে পারে এবং আল্লাহর সেই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে যা তিনি তাঁর বান্দাদের মাঝে প্রচলিত করেছেন। (ফাতহুল বারী হা. ৩৯৯৫)