পরিচ্ছেদঃ হুমাইদ আত তউইলের হাদীসে শব্দকে ভিন্ন ব্যাখ্যাকারীর ব্যাখ্যাকে অপনোদনকারী হাদীস
২১০৯. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় ঘোড়ায় আরোহন করেন, অতঃপর ঘোড়া তাঁকে একটি খেজুর গাছের ডালের উপর ফেলে দেয় ফলে তাঁর পা ফেটে যায়। অতঃপর আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কামরায় আমরা তাঁকে দেখতে পেলাম, এসময় তিনি বসে নফল সালাত আদায় করছিলেন। অতঃপর আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়ালাম। তিনি আমাদের থেকে সরে গেলেন। তারপর আমরা আবার তাঁর কাছে আসি এবং তাঁকে ফরয সালাত আদায় করতে দেখি। আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়াই। তিনি আমাদের দিকে ইশারা করলেন ফলে আমরা বসে পড়লাম। অতঃপর যখন তিনি সালাত শেষ করলেন, তখন বললেন, “যখন ইমাম বসে সালাত আদায় করবে, তখন তোমরাও বসে সালাত আদায় করবে, আর যখন ইমাম ইমাম দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে। পারসিকরা যেমন তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে করে, তোমরা সেরকম করবে না।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে যে, হুমাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসের শব্দে বলা হয়েছে যে, তিনি বসে সালাত আদায় করছিলেন আর সাহাবীগণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেছেন। এটি ছিল নফল সালাত। যখন ফরয সালাতের সময় হয়, তখন তিনি তাদেরকে বসে সালাত আদায় করার নির্দেশ দেন, যেভাবে তিনি নিজে বসে সালাত আদায় করছিলেন। কাজেই এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূরণ বিষয় হলো যা আমরা বর্ণনা করলাম সেটা হলো এই নির্দেশ ফরয নির্দেশ; মুস্তাহাব নির্দেশক নয়।”
ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُدْحِضِ تَأْوِيلَ هَذَا الْمُتَأَوِّلِ لِهَذِهِ اللَّفْظَةِ الَّتِي فِي خَبَرِ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ
2109 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حدثنا أبو خيثمة قال: حدثنا جرير عن الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ: قَالَ: رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَسًا بِالْمَدِينَةِ فَصَرَعَهُ عَلَى جِذْعِ نَخْلَةٍ فَانْفَكَّتْ قَدَمُهُ فَأَتَيْنَاهُ نَعُودُهُ فَوَجَدْنَاهُ فِي مَشْرُبَةٍ لِعَائِشَةَ يُسَبِّحُ جَالِسًا فَقُمْنَا خَلْفَهُ فَتَنَكَّبَ عَنا ثُمَّ أَتَيْنَاهُ مَرَّةً أُخْرَى فَوَجَدْنَاهُ يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ فَقُمْنَا خَلْفَهُ فَأَشَارَ إِلَيْنَا فَقَعَدْنَا فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ: (إِذَا صَلَّى الْإِمَامُ جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا وَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَلَا تَفْعَلُوا كما يفعل أهل فارس بعظمائها) الراوي : جَابِر ِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2109 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((الإرواء)) (2/ 122)، ((صحيح أبي داود)) (615). قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: فِي هَذَا الْخَبَرِ بَيَانٌ وَاضِحٌ أَنَّ اللَّفْظَةَ الَّتِي فِي خَبَرِ حُمَيْدٍ حَيْثُ صَلَّى - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِهِمْ قَاعِدًا وَهُمْ قِيَامٌ إِنَّمَا كَانَتْ تِلْكَ سُبْحَةً فَلَمَّا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ الْفَرِيضَةُ أَمَرَهُمْ أَنْ يُصَلُّوا قُعُودًا كَمَا صَلَّى هُوَ. فَفِي هَذَا أَوْكَدُ الْأَشْيَاءِ أَنَّ الْأَمْرَ مِنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَا وَصَفْنَا أَمْرُ فَرِيضَةٍ لَا فَضِيلَةٍ.