১৬

পরিচ্ছেদঃ

১৬। আমার উম্মাতের দু’শ্রেণীর লোক যখন ঠিক হয়ে যাবে, তখন মানুষ ভাল হয়ে যাবে। নেতাগণ এবং ফাকীহগণ। (অন্য বর্ণনায় এসেছে ’আলেমগণ’)।

হাদীসটি জাল

তাম্মাম “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/২৩৮), আবু নোয়াইম “হিলইয়াহ” গ্রন্থে (৪/৯৬) এবং ইবনু আবদিল বার "জামেউ বায়ানিল ইলম” গ্রন্থে (১/১৮৪) মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ ইয়াশকুরী সূত্রে ... হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

এ সনদটি বানোয়াট। এ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ كذاب أعور يضع الحديث ’তিনি মিথ্যুক, চোখ টেরা, হাদীস জালকারী’।

ইবনু মাঈন ও দারাকুতনী বলেনঃ “كذاب” তিনি মিথ্যুক । আবূ যুর’আহ ও অন্যরাও তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। সুয়ূতী হাদীসটি “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে তার শর্তের বিরোধিতা করে উল্লেখ করেছেন। গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (১/৬) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদীস হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তার তাখরীজকারী হাফিয ইরাকী বলেনঃ সনদটি দুর্বল। হাফিয যে বলেছেন সনদটি দুর্বল আর আমরা বলেছি বানোয়াট তার মধ্যে কোন দ্বন্ধ নেই। কারণ বানোয়ট হচ্ছে দুর্বল হাদীসের প্রকারগুলোর একটি। যেমনটি হাদীস শাস্ত্রের নীতির উপর রচিত গ্রন্থ সমূহে এসেছে। এ মিথ্যুকের আরেকটি হাদীসঃ (দেখুন পরেরটি)

صنفان من أمتي إذا صلحا صلح الناس: الأمراء والفقهاء، [وفي رواية: العلماء] موضوع - أخرجه تمام في " الفوائد " (238 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (4 / 96) وابن عبد البر في " جامع بيان العلم " (1 / 184) من طريق محمد بن زياد اليشكري عن ميمون بن مهران عن ابن عباس مرفوعا وهذا سند موضوع محمد بن زياد هذا قال أحمد: كذاب أعور يضع الحديث وقال ابن معين والدارقطني: كذاب وكذبه أبو زرعة أيضا وغيره والحديث مما أورده السيوطي في " الجامع " خلافا لشرطه! وأورده الغزالي في " الإحياء " (1 / 6) جازما بنسبته إليه صلى الله عليه وسلم! وقال مخرجه الحافظ العراقي بعد أن عزاه لابن عبد البر وأبي نعيم: سنده ضعيف (تنبيه) ولا منافاة بين قول الحافظ هذا وبين حكمنا عليه بالوضع إذ أن الموضوع من أنواع الحديث الضعيف كما هو مقرر في علم المصطلح


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ