লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫০. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমার মুক্তদাস নাফি’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুবাইগ আল ইরাকী মুসলিম সৈন্যদের মাঝে কুরআনের কিছু বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করতে থাকে। অবশেষে সে মিশরে পৌঁছে যায়। তখন আমর ইবনুল ’আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট তাকে পাঠিয়ে দেন (দূত মারফত চিঠিসহ)। যখন দূত চিঠি নিয়ে তাঁর নিকট এলো, তখন তিনি চিঠিটি পাঠ করে বললেন, লোকটি কোথায়? দূত বলল, সে বাহনের উপর আছে। ’উমার বললেন, দেখো, সে যেন আবার পালিয়ে না যায়। তেমন হলে তার জন্য তোমার উপর আমার পক্ষ থেকে বেদনাদায়ক শাস্তি আপতিত হবে। ফলে দূত তাকে নিয়ে আসল। তখন উমার বললেন: তুমি (দেখছি) নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করে বেড়াচ্ছো। তিনি এক ব্যক্তিকে পাঠালেন খেজুরের ডাল নিয়ে আসার জন্য। সেই ডাল দিয়ে তিনি তাকে পেটাতে লাগলেন এমনকি তার পিঠ ঘায়েল করে ছাড়লেন। তারপর তাকে ছেড়ে দিলেন। যখন সে সুস্থ হল, তখন তিনি আবার তাকে পেটালেন। তারপর তাকে ছেড়ে দিলেন। তারপর যখন সে সুস্থ হল, তখন আবার তাকে মারার জন্য ডাকলেন। তিনি (রাবী) বলেন, তখন সুবাইগ বলল, আপনি যদি আমাকে হত্যা করার ইচ্ছা করেন, তবে সুন্দরভাবে আমাকে হত্যা করুন। আর যদি আপনি আমার রোগমুক্তি কামনা করেন, তাহলে, আল্লাহর কসম আমি রোগমুক্তি লাভ করেছি। তখন তাকে তার দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হল এবং আবু মুসা আল আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট তিনি লিখে পাঠালেন যে, তার নিকট যেন কোন মুসলিমকে বসতে দেয়া না হয়। ফলে লোকটির নিকট তা অত্যন্ত কঠিন ঠেকলো। তখন আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট লিখে পাঠালেন যে, সে উত্তম তাওবা করেছে। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু লিখে পাঠালেন যে, এখন লোকদেরকে যেন তার নিকট বসার অনুমতি দেয়া হয়।[1]
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، أَخْبَرَنِي ابْنُ عَجْلَانَ، عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ صَبِيغًا الْعِرَاقِيَّ جَعَلَ يَسْأَلُ عَنْ أَشْيَاءَ مِنَ الْقُرْآنِ فِي أَجْنَادِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى قَدِمَ مِصْرَ، فَبَعَثَ بِهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَلَمَّا أَتَاهُ الرَّسُولُ بِالْكِتَابِ فَقَرَأَهُ فَقَالَ: أَيْنَ الرَّجُلُ؟ فَقَالَ: فِي الرَّحْلِ، قَالَ عُمَرُ: «أَبْصِرْ أَنْ يكونَ ذَهَبَ فَتُصِيبَكَ مِنِّي بِهِ الْعُقُوبَةُ الْمُوجِعَةُ»، فَأَتَاهُ بِهِ، فَقَالَ عُمَرُ: «تَسْأَلُ مُحْدَثَةً»، فأرْسلَ عُمَرُ إِلَى رَطَائِبَ مِنْ جَرِيدٍ، " فَضَرَبَهُ بِهَا حَتَّى تَرَكَ ظَهْرَهُ دَبِرَةً، ثُمَّ تَرَكَهُ حَتَّى بَرَأَ، ثُمَّ عَادَ لَهُ، ثُمَّ تَرَكَهُ حَتَّى بَرَأَ، فَدَعَا بِهِ لِيَعُودَ لَهُ، قَالَ: فقالَ صَبِيغٌ: إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ قَتْلِي، فَاقْتُلْنِي قَتْلًا جَمِيلًا، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ أَنْ تُدَاوِيَنِي، فَقَدْ وَاللَّهِ بَرَأْتُ، فَأَذِنَ لَهُ إِلَى أَرْضِهِ، وَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنْ لَا يُجَالِسَهُ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَى الرَّجُلِ، فَكَتَبَ أَبُو مُوسَى إِلَى عُمَرَ: أَنْ قَدْ حَسُنَتْ تَوْبَتُهُ، فَكَتَبَ عُمَرُ: أنِ ائْذَنْ لِلنَّاسِ بِمُجَالَسَتِهِ إسناده ضعيف لضعف عبد الله بن صالح