লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
৯৫৫। হে মুয়ায! যখন শীতের সময় হবে তখন ফজরের সালাতকে গালাসে (অন্ধকার থাকতেই) আদায় কর। মানুষের সাধ্য মাফিক কিরাআত লম্বা কর, তবে তাদের বিরক্তির কারণ হবে না। যখন গরম কাল হবে তখন আলোকিত করে ফজরের সালাত শুরু করবে। কারণ রাত ছোট, লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে। তাদেরকে একটু সুযোগ দাও যাতে করে তারাও জামা’আত পায়।
হাদীছটি জাল।
এটি বাগাবী "শারহুস সুন্নাহ" (১/২৫/১) গ্রন্থে আবুশ শাইখ সূত্রে আর আবুশ শাইখ "আখলাকুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" (পৃঃ ৭৬, ৮০) গ্রন্থে ইউসুফ ইবনু আসবাত হতে তিনি আল-মিনহাল ইবনুল জাররাহ হতে তিনি ওবাদাহ ইবনু নুসায় হতে তিনি আব্দুর রহমান ইবনু গানাম হতে তিনি মুয়ায (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। বরং বানোয়াট। তার সমস্যা এই আল-মিনহাল ইবনুল জাররাহ ইবনে মিনহাল। সকলে তার দুর্বল হওয়ার বিষয়ে একমত। ইমাম বুখারী ও মুসলিম বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। নাসাঈ ও দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূক। ইবনু হিব্বান (১/২১৩) বলেনঃ তিনি হাদীছের মধ্যে মিথ্যা বলতেন এবং মদ পান করতেন। আল-বারকী তাকে সেই অধ্যায়ের মধ্যে উল্লেখ করেছেন যাদেরকে মিথ্যার দোষে দোষী করা হয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমলই এটি মিথ্যা হওয়ার প্রমাণ বহন করছে। তিনি শীত ও গ্রীষ্ম কালে কোন পার্থক্য না করে ফজরের সালাত অন্ধকার থাকতেই আদায় করতেন। যার প্রমাণ দিচ্ছে সহীহ হাদীছগুলো। এখানে মাত্র একটি হাদীছ উল্লেখ করাই যথেষ্ট মনে করছি। সেটি হচ্ছে আবু মাসউদ আল-বাদরীর হাদীছ।
’রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার অন্ধকার থাকতেই সকালের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি অন্যবার উজ্জ্বলতা ফুটে উঠলে ফজরের সালাত আদায় করলেন। তার পর হতে মৃত্যু পর্যন্ত তার সালাত অন্ধকারেই ছিল। তিনি ইসফিরারের (আলোকিত করে সালাত আদায়ের) দিকে আর ফিরে আসেননি।’
এটি আবু দাউদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন, যেমনটি ইমাম নাবাবী এবং ইবনু হিব্বান তার “সাহীহ" (২৭৯) গ্রন্থে বলেছেন। হাদীছটিকে ইমাম হাকিম, খাত্তাবী ও যাহাবী সহ অন্য বিদ্বানগণ সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। যেমনটি আমি "সহীহ আবী দাউদ" (নং ৪১৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেছি। এর উপরেই জামহুরে সাহাবা, তাবেঈ ও মুজতাহিদ ইমামগণের আমল হয়ে আসছে।
يا معاذ إذا كان في الشتاء فغلس بالفجر، وأطل القراءة قدر ما يطيق الناس ولا تملهم، وإذا كان الصيف فأسفر بالفجر، فإن الليل قصير، والناس ينامون، فأمهلهم حتى يداركوا موضوع - رواه البغوي في " شرح السنة " (1 / 52 / 1) من طريق أبي الشيخ وهذا في " أخلاق النبي صلى الله عليه وسلم " (ص 76 و80) عن يوسف بن أسباط: المنهال بن الجراح عن عبادة بن نسي عن عبد الرحمن بن غنم عن معاذ بن جبل قال: بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى اليمن فقال: فذكره قلت: وهذا سند ضعيف جدا بل موضوع، آفته المنهال بن الجراح، وهو الجراح بن المنهال، انقلب على يوسف بن أسباط، وكذلك قلبه محمد بن إسحاق كما ذكر الحافظ في " اللسان " وهو متفق على تضعيفه، وقال البخاري ومسلم: " منكر الحديث ". وقال النسائي والدارقطني: " متروك "، وقال ابن حبان (1 / 213) : " كان يكذب في الحديث ويشرب الخمر ". وذكره البرقي في " باب من اتهم بالكذب ومما يؤكد كذبه في هذا الحديث أنه خلاف ما جرى عليه رسول الله صلى الله عليه وسلم من التغليس بصلاة الفجر دون تفريق بين الشتاء والصيف، كما تدل على ذلك الأحاديث الصحيحة فأكتفي بذكر واحد منها، وهو حديث أبي مسعود البدري " أن النبي صلى الله عليه وسلم صلى الصبح مرة بغلس، ثم صلى مرة أخرى فأسفر بها، ثم كانت صلاته بعد ذلك التغليس حتى مات، ولم يعد إلى أن يسفر رواه أبو داود بسند حسن كما قال النووي وابن حبان في " صحيحه " (273) وصححه الحاكم والخطابي والذهبي وغيرهم كما بينته في " صحيح أبي داود " (رقم 417) . والعمل بهذا الحديث هو الذي عليه جماهير العلماء، من الصحابة والتابعين والأئمة المجتهدين، ومنهم الإمام أحمد أن التعجيل بصلاة الفجر أفضل، لكن ذكر ابن قدامة في " المقنع " (1 / 105) رواية أخرى عن الإمام أحمد: إن أسفر المأمومون فالأفضل الإسفار "، واحتج له في الشرح بحديث معاذ هذا، وعزاه لأبي سعيد الأموي في مغازيه